Author: ডেস্ক রিপোর্ট

ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক মহড়া — একে অপরের পাশেই, একই সময়ে — দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন: বিধ্বংসী সংঘাত হবে কি না, নাকি দুই দেশের সামরিক কূটকৌশলই চলছে? গত কয়েক দিনে উপকূল ও সীমান্তভিত্তিক বড়—বড় অনুশীলন দেখে এ প্রশ্ন স্বাভাবিক। ভারতের ‘ত্রিশূল’ নামক তিন বাহিনী সম্মিলিত মহড়া গুজরাট—রাজস্থান সীমান্ত ও আরব সাগরের উপকূলে শুরু হয়েছে; একই সময়ে পাকিস্তানও উত্তর আরব সাগরে নৌ মহড়া চালু করেছে — সময়গত ও ভৌগোলিক মিল যে উদ্বেগে বাড়িয়েছে, সেটা অস্বীকার করা যায় না। এই দুই মহড়া একেবারে নতুন নয়; প্রতিবেশী দুই সামরিক শক্তিই নিয়মিতভাবে নিজেদের সক্ষমতা পরীক্ষা করে থাকে। কিন্তু চলতি বার যে এক সঙ্গে —…

Read More

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনের আগমন মানেই এক অস্থিরতা, উত্তেজনা ও নানা রকম আলোচনার জন্ম। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি যখন তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তখন সেই তালিকার কয়েকজনের নাম ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—ঋণখেলাপি প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিয়ে। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অন্তত সাত দিন আগে কোনো প্রার্থী যদি নিজের ঋণ নিয়মিত করতে না পারেন, তবে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বলে গণ্য হবেন। এই আইনি বাস্তবতা সামনে রেখেই এখন বিএনপির কিছু প্রার্থী ঋণ নিয়মিত করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। কিন্তু…

Read More

ভারতের আতিথ্যে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে গত এক বছরে যে ধীরে-ধীরে বদল এসেছে, তার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রশ্ন—দিল্লি কি তাকে ক্রমান্বয়ে “আনলক” করছে? প্রশ্নটি নিছক কৌতূহল নয়; এতে জড়িয়ে আছে দিল্লি-ঢাকার টানাপোড়েন, বাংলাদেশের ভেতরকার রাজনৈতিক সমীকরণ, এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সূক্ষ্ম বার্তা-রাজনীতি। গত অগাস্টে ভারতে পা রাখার পর প্রথম কয়েক মাস যে কঠোর নীরবতা ও নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন, তা এখন অনেকটাই বদলে গেছে: অনলাইনে বক্তব্য, বিদেশে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে লাইভ সংযোগ, এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ—আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ধারাবাহিক লিখিত সাক্ষাৎকার। বিশেষ করে ২৯ অক্টোবর একসঙ্গে রয়টার্স, এএফপি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টে প্রকাশিত লিখিত প্রশ্নোত্তর—যা ভারতীয়…

Read More

ভারতের আদানি পাওয়ার কোম্পানি ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মধ্যে বকেয়া অর্থ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ৩১শে অক্টোবর পাঠানো এক চিঠিতে আদানি পাওয়ার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, চলতি মাসের ১০ই নভেম্বরের মধ্যে ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ না করলে ১১ই নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ চিঠিতে বলেন, বহুবার অনুরোধের পরও পাওনা মেটানো হয়নি, অথচ এর মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলারকে পিডিবি নিজেই বিরোধহীন পাওনা হিসেবে স্বীকার করেছে। পিডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদানির দাবিকৃত অর্থের পুরোটা তারা মেনে নিচ্ছে না। মূল বিতর্ক তৈরি হয়েছে কয়লার দাম নির্ধারণ নিয়ে। পিডিবির অভিযোগ, চুক্তির শর্তের…

Read More

বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের আত্মরক্ষা ও অস্ত্র ব্যবহারে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক। অন্তর্বর্তী সরকারের এই উদ্যোগকে কেউ দেখছেন জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের কৌশল হিসেবে, আবার কেউ বলছেন এটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকারি হিসেবে প্রায় নয় হাজার তরুণ ও তরুণী এই কর্মসূচির আওতায় ১৫ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ নেবেন, যেখানে শেখানো হবে জুডো, কারাতে, তায়কোন্দ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের মৌলিক কৌশল। এ ধরনের কর্মসূচি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যা জাতীয় প্রতিরক্ষা ও গণপ্রতিরক্ষার ধারণাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটি মূলত পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে চালু করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো,…

Read More

ভারতের ব্যবসা জগতে একসময় যে নামটি ছিল আকাশচুম্বী—তিনি অনিল আম্বানি। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি একসময় ছিলেন দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের একজন। কিন্তু আজ সেই নামই আলোচনায় এসেছে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে। ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অনিল আম্বানির ৩ হাজার কোটি রুপিরও বেশি মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে। এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে কর্পোরেট দুর্নীতি, প্রভাবশালী পরিবারগুলোর ব্যবসা পরিচালনা ও অর্থ পাচারের বিষয়গুলো। ইডির এই পদক্ষেপ এসেছে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) অনুযায়ী। তদন্ত সংস্থাটি গতকাল চারটি প্রাথমিক আদেশ জারি করেছে। এতে মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল পালি হিল এলাকার আম্বানির বাড়িসহ রিলায়েন্স গ্রুপের একাধিক আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি…

Read More

দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার কথা দীর্ঘদিন ধরে বলা হলেও বাস্তবে তা গ্রাস করতে পারেনি। এখন সরকার ‘সামরিক অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ডিফেন্স ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়—কথা হচ্ছে, দেশে ড্রোন, সাইবার সক্ষমতা ও বিভিন্ন ধরনের সশস্ত্র সরঞ্জাম উৎপাদন করবে বাংলাদেশ; নিজ চাহিদা মেটাবে, বাকি রপ্তানি করবে। ঘোষণা হাসিখুশি মনে হলেও এই উদ্যোগের অর্থনৈতিক-বহুমুখী ও নীতিগত প্রভাবকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এটি শুধু ফ্যাক্টরি নির্মাণ বা বিনিয়োগের বিষয় নয়; এটি দেশের নিরাপত্তা কৌশল, শিল্পনীতি, কর্মসংস্থান এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির এক জটিল সমীকরণ। প্রথমত, ধারণাগতভাবে ‘প্রতিরক্ষা শিল্প’ আর সাধারণ শিল্পখাতের সঙ্গে মিশে যায় না। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনকে ঘিরে থাকে রাষ্ট্রীয়…

Read More

একটি দেশ কতটা আত্মনির্ভরশীল, কতটা স্থিতিশীল—তার আসল পরীক্ষা কখনো মুদ্রা বা সামরিক শক্তিতে নয়, বরং একটিমাত্র ট্রাকে লুকিয়ে থাকে। হ্যাঁ, একটি ট্রাক। যে ট্রাকটি প্রতিদিন নিজ ভূখণ্ডে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সীমান্তে সংঘাত হোক বা রাজনীতিতে টানাপোড়েন। ভারত এখন সেই সহজ অথচ কঠিন পরীক্ষায় বারবার হোঁচট খাচ্ছে। মণিপুরে ২০২৩ সালের সহিংসতা এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লির ঘোষণা—যেখানে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম’ বাতিল ও ১৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—এই দুই ঘটনাই ভারতের দুর্বলতার আয়না হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিজস্ব পথ রক্তাক্ত ও অচল হয়ে পড়েছে। তাই আজ ভারতের ট্রাকগুলো নিঃশব্দে ঘুরপথে চলছে—বাংলাদেশের বন্দর ও মহাসড়ক ধরে, এক নিরাপদ, স্থিতিশীল…

Read More

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে এ খাত নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু সেসব প্রশ্ন কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন সেই সব সন্দেহকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ দুর্নীতি, অপচয়, লুটপাট ও অনিয়মের এক অন্ধকার চিত্র, যা কেবল আর্থিক ক্ষতিই সৃষ্টি করেনি, বরং দেশের বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতাকেও বিপন্ন করেছে। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির নামে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক, রাজনীতিক এবং আমলাদের মধ্যে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে উঠেছিল। এই চক্র সরকার কর্তৃক প্রণীত বিশেষ আইনের…

Read More

চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের নিস্তব্ধতায় যেন চাপা পড়ে আছে এক অদৃশ্য যুদ্ধের ইতিহাস—এক দীর্ঘ সামরিকীকরণের কাহিনি, যা এখনো চলছে নিঃশব্দে। ফটোগ্রাফার ডেনিম চাকমার প্রকল্প ‘লিভিং আন্ডার মিলিটারাইজেশন’ সেই নীরব যুদ্ধের দলিল। তার চোখে ধরা পড়েছে পাহাড়ের মানুষদের প্রতিদিনের ভয়, তাদের অসহায়তা, আর সেই রাষ্ট্রীয় নীরবতা, যা সবকিছুকে আড়াল করে রাখে। ডেনিমের লেন্স শুধু ছবি ধরে না, তুলে আনে সেই প্রশ্ন—কেন এই মানুষগুলো এখনো বন্দী নিজেদের ভিটেমাটিতেই? ২০০১ সালে শুরু হওয়া “অপারেশন উত্তরণ”-এর পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিণত হয়েছে এক প্রহরিত উপত্যকায়। সেনা ক্যাম্প, চেকপোস্ট, “ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ” লেখা সাইনবোর্ড—সবই যেন পাহাড়বাসীর দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। ডেনিমের শৈশব কেটেছে এই বন্দিত্বের ছায়ায়।…

Read More