…
এডিটর পিক
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের যে ভয়াবহ চিত্র সেপ্টেম্বর শেষে সামনে এসেছে, তা শুধু আর্থিক…
Trending Posts
-
বিজেপি নেতার ‘ফুলকপি চাষের’ কথা ও এক ভয়াবহ দাঙ্গার ইতিহাস
নভেম্বর ২১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
বিজেপি নেতার ‘ফুলকপি চাষের’ কথা ও এক ভয়াবহ দাঙ্গার ইতিহাস
নভেম্বর ২১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে আবার কেন চীন–ভারত দ্বন্দ্ব?
- ভূমিকম্পের কথা আগে কি জানা সম্ভব?
- যেভাবে মানুষের বন্ধু হল কুকুর
- খেলাপি ঋণ ছাড়ালো ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা
- মুসলিম ইতিহাসকে যেভাবে ধ্বংস করছে মোদি
- শেখ হাসিনার লকারে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ
- রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন: নিছক দুর্ঘটনা নাকি পলিটিক্যাল?
- বিএনপি ও জামায়াত: কে জিতবে?
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির মেরুদণ্ড আজও তৈরি পোশাক খাত। গ্রাম থেকে শহরে উঠে আসা লক্ষ লক্ষ তরুণ–তরুণীর জীবিকা, পরিবারের ভরণপোষণ, সন্তানদের পড়াশোনা—সবকিছুই অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে একটি কারখানা, একটি অর্ডার, একটি রপ্তানি চালানের ওপর। অথচ ঠিক এই খাতটিই এখন টানা তিন মাস ধরে চাপের মুখে। একদিকে নতুন অর্ডার কমেছে, অন্যদিকে অল্পদিনের ব্যবধানে কয়েকশ’ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, শুল্কনীতি, দেশীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ক্রেতাদের আস্থাহীনতা একসূত্রে গাঁথা হয়ে যেন তৈরি করেছে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দেয়াল, যার সামনে দাঁড়িয়ে শ্রমিক, উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদ—সবাই উদ্বিগ্ন, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। রপ্তানি আদেশের বাস্তব চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন বা ইউডি’র তথ্যের দিকে তাকালে।…
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে রাজধানী ঢাকায় এক ধরনের অদৃশ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় বের হলে স্বাভাবিক কোলাহলই চোখে পড়ে, যানজটে আটকে থাকা মানুষের বিরক্তি, অফিসপাড়ার ভিড়—সবই যেন আগের মতোই। কিন্তু এই স্বাভাবিকতার আড়ালে অদেখা এক তীব্র অস্থিরতা কাজ করছে; কারণ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টানা কয়েকদিন ধরে ঘটছে ককটেল বিস্ফোরণ আর বাসে অগ্নিসংযোগের মতো চোরাগোপ্তা হামলা। এই হামলাগুলো এখনো পর্যন্ত বড় কোনো প্রাণহানি ঘটায়নি। কোথাও কেউ নিহত হয়নি, গুরুতর আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে—বিষয়টা সংখ্যা বা হতাহতের পরিসংখ্যান নয়, মূল ভয়টি কাজ করছে ‘কখন, কোথায়, কীভাবে’—এই অনিশ্চয়তাকে ঘিরে। যে শহরে…
তেহরানের ব্যস্ত ফুটপাতে একদল তরুণ–তরুণী রক সংগীতের তালে নাচছে। কারও চুল কাঁধ ছাড়িয়ে হাওয়ায় উড়ছে, কারও হাতে সিগারেট, কারও গায়ে ট্যাংক টপ আর জিনস। দূরে মোবাইল ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ছে দৃশ্যগুলো, মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দৃশ্যটা যদি অন্য কোনো শহরের হতো, হয়তো তেমন গুরুত্ব পেত না। কিন্তু এই শহর তেহরান—ইরানের রাজধানী। যেখানে পশ্চিমা রক সংগীত আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ, প্রকাশ্যে নারী–পুরুষ একসঙ্গে নাচা নিষিদ্ধ, নারীর ধূমপান সামাজিক অপরাধের মতো বিবেচিত, আর সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ—খোলা চুল। অথচ সেই শহরের মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে এক তরুণী যখন চুল উড়িয়ে ছন্দ মিলিয়ে নাচছেন, তখন বুঝতে কষ্ট হয় না—ইরানের ভেতরে কিছু একটা গভীরভাবে বদলে যাচ্ছে। এই…
দিল্লির লাল কেল্লা এলাকার আকাশটা সোমবার সন্ধ্যায় ছিল একেবারে সাধারণ—অফিস ফেরত যানজটে ভরা রাস্তা, শীত আসার আগের সেই হালকা গরম, লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর–১ এর সামনে সিগন্যালের লাল বাতিতে থেমে থাকা গাড়ির লাইন। ঠিক সেই দৈনন্দিনতার মাঝখানেই হুন্ডাই আই–টুয়েন্টি গাড়িটির ভিতর থেকে আচমকা যে বিস্ফোরণটি হলো, তা শুধু ওই রাস্তার দৃশ্যই নয়, ভারতজুড়ে মানুষের নিরাপত্তাবোধকেও ছিন্নভিন্ন করে দিল। মুহূর্তের মধ্যে অন্তত আট জনের মৃত্যু, প্রায় দুই–তিন ডজন মানুষ গুরুতর জখম, আগুনে পুড়ে গেল আরও কয়েকটি গাড়ি আর অটোরিকশা, আর লাল কেল্লার গা ঘেঁষে ছুটে চলা শহরটা যেন একঝটকায় থমকে দাঁড়াল। সন্ধ্যা সাতটার একটু আগে, অফিস টাইমের ভিড় তখনও…
জাগ্রোস পর্বতমালার পাদদেশে নরম মাটি সরাতে সরাতে যখন আচমকা উদ্ভাসিত হলো বিশাল একটি দেয়ালের রেখা, খননকারীরা প্রথমে ভাবতেই পারেননি—তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ হাজার বছর আগের এক স্মৃতিস্তম্ভের অবশিষ্ট অংশ। উত্তর ইরাকের কানি শাই নামের এই প্রত্নস্থানে তুলে আনা প্রতিটি ইট, প্রতিটি ভাঙা শিলামূর্তি যেন বলতে শুরু করেছে সেকালের এক অজানা গল্প। যে যুগে পৃথিবীতে শহর মানে ছিল নতুন এক ধারণা, সে সময়েই এখানে দাঁড়িয়ে ছিল এক বিরাট সরকারি বা ধর্মীয় ভবন—যার কক্ষগুলোতে আলো জ্বলে উঠত প্রদীপে, যেখান দিয়ে হাঁটা দিত প্রাচীন নগরজীবনের কর্মকর্তা, পুরোহিত আর ব্যবসায়ীরা। গত সেপ্টেম্বরের এই আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে উরুক যুগ,…
বাংলাদেশ ঘিরে ভারতের সাম্প্রতিক কৌশলগত পদক্ষেপগুলোকে শুধু সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে দেখলে ভুল হবে। এই পদক্ষেপের পেছনে লুকিয়ে আছে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠনের হিসাব, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নৈকট্য নিয়ে উদ্বেগ, আর ‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডরকে যেকোনো মূল্যে সুরক্ষিত রাখার তাগিদ। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ঢাকা–ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত, সঙ্গে চীনের প্রতি ইতিবাচক সুর– সব মিলিয়ে নয়াদিল্লি যে এখন বাংলাদেশকে আর শুধু বন্ধুত্বের ভাষায় নয়, বরং কৌশলগত ঝুঁকি ও সুযোগের সমীকরণে হিসাব করছে—এমন ইঙ্গিতই মিলছে সাম্প্রতিক সামরিক ও কূটনৈতিক তৎপরতায়। ভারতের বার্তা সংস্থা ডিএনএ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তার ভিত্তিতে জানা যায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মূল প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি…
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল ঘিরে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে সমুদ্রবন্দর, বিদেশি কোম্পানি আর ‘উন্নয়নের গল্প’। অন্তর্বর্তী সরকার আবুধাবিভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে এই টার্মিনাল ইজারা দিতে যেন অদৃশ্য এক তাড়াহুড়োয় নেমেছে। দরপত্র ছাড়াই, দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার স্বচ্ছতা ছাড়াই, জাতীয় কৌশলগত স্বার্থের খোলা মূল্যায়ন ছাড়াই—একটি রাষ্ট্রীয় বন্দরের অংশ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। চুক্তি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি, কিন্তু কোম্পানিটির কর্মকর্তারা বন্দরে যাতায়াত শুরু করেছেন, সরকারি উচ্চপর্যায় থেকে এই উদ্যোগের সমালোচকদের “প্রতিরোধ করার” আহ্বানও শোনা গেছে। একই সঙ্গে হঠাৎ করে বন্দরের মাশুলও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি, আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা ও সাধারণ ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।…
ইরানের রাজধানী তেহরান—একসময় বরফঢাকা পাহাড় আর সরু নদীর জলধারায় ঘেরা শহর—এখন দাঁড়িয়ে আছে এমন এক সঙ্কটের দুয়ারে, যেখানে কল খুললে পানি আসবে কি না, সেটাই হয়ে গেছে এক ধরনের লটারি। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমই সতর্ক সাইরেন বাজিয়ে জানিয়েছে, শহরের প্রধান জলাধার আমির কাবির বাঁধে এখন যতটুকু পানি আছে, তা প্রায় এক কোটি মানুষের প্রয়োজন মিটিয়ে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ চলতে পারে। এক বছর আগেও যেখানে ৮৬ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি ছিল, সেখানে এখন আছে মাত্র ১৪ মিলিয়ন ঘনমিটার। হিসেবটা নির্মম, আর সংখ্যার পেছনের বাস্তবতা আরও নির্মম—একটি মহানগরী ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে তার ‘ডে জিরো’র দিকে। এই ‘ডে জিরো’ আসলে কেমন একটি দিন হতে পারে,…
সাভারের একসময় কোলাহলময় একটি গার্মেন্টস এলাকার এখন চিত্র পাল্টে গেছে। বড় ফটকের বাইরে ঝুলছে মরিচা ধরা তালা, ভেতরে অন্ধকার সিঁড়ি আর ফাঁকা তলা। কয়েক মাস আগেও যেখানে লাঞ্চব্রেকে গমগম করত শ্রমিকদের হাসি–কথা, এখন সেখানে শুধু বাতাসের শব্দ আর ইটের গায়ে লাগানো পুরোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছেঁড়া কাগজ। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ার এই দৃশ্য শুধু কোনো শিল্প এলাকার গল্প নয়—এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রধান উৎস, তৈরি পোশাকশিল্পের এক অনিশ্চিত সীমানায় পৌঁছে যাওয়ার ছবি। গত ১৪ মাসে সাভার, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ৩৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে—এর মধ্যে কিছু স্থায়ী, কিছু অস্থায়ী। এর সঙ্গে জুড়ে আছে…
আট মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি যেন এক দীর্ঘ বৈঠকখানায় আটকে ছিল। সংবিধান সংস্কার, জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোট আর আসন্ন নির্বাচন—সব প্রশ্নই ঘুরেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গোল টেবিল ঘিরে। টানা বৈঠক, খসড়া, সংশোধন, ‘নোট অব ডিসেন্ট’—সব মিলিয়ে একটা ধারণা জন্মেছিল, অন্তত এই পর্বটা হয়তো তুলনামূলক শান্তিপূর্ণই কাটবে। কিন্তু নভেম্বর শুরু হতেই আবার সব হিসাব বদলে যাচ্ছে। দলগুলো আলোচনা ছেড়ে রাস্তার দিকে ফিরছে, ব্যস্ত হয়ে উঠছে সমাবেশ–শোভাযাত্রায়, কর্মসূচির পাল্টা-কর্মসূচিতে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—এই নভেম্বর কি শুধু রাজনৈতিক প্রস্তুতির মাস, নাকি উত্তপ্ত এক সময়ের পূর্বাভাস? এর পেছনে মূল প্রেক্ষাপট জুলাই জাতীয় সনদ। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর যে সনদকে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা বলা হচ্ছে,…