Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বহির্বিশ্বে ক্রমবর্ধমান বিরোধপূর্ণ অবস্থান ভারতের জন্য নতুন বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত যে রকম দ্রুততার সাথে ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা তাদের কূটনৈতিক দোদুল্যমানতারই প্রতিফলন। দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে ভারত শেখ হাসিনাকে ঘিরেই বাংলাদেশের রাজনীতি পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করছিল, তা যেন হঠাৎ করে একটি বন্ধ দরজার মুখে এসে থেমে গেছে। অথচ ভারত এতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই বাংলাদেশে একমাত্র ভরসাযোগ্য ও নিরাপদ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখে এসেছে। এখন, হাসিনার অবর্তমানে ভারত যেন খুঁজে ফিরছে নতুন বাংলাদেশকে—not হাসিনা, বরং পুরো দেশটিকে। শেখ হাসিনার ভারত-নির্ভর কূটনীতি যে শেষমেষ ব্যুমেরাং হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে ভারতীয়…

Read More

কলকাতায় আওয়ামী লীগের ‘গোপন’ দলীয় কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি বিবিসি বাংলার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর, কলকাতার এক বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে দলটির একটি অঘোষিত ‘পার্টি অফিস’ চালু হয়েছে, যেখানে নিয়মিত নেতাকর্মীদের বৈঠক হয়, চলে সাংগঠনিক কাজকর্ম। এই অফিসটি এমনভাবে গোপন রাখা হয়েছে যে বাইরের কেউ দেখে বুঝতে পারবে না এটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই দফতরে কোনো সাইনবোর্ড, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা শেখ হাসিনার ছবি নেই। এমনকি দলীয় নথিপত্রও সংরক্ষণ করা হয় না। দলের নেতাদের মতে, এটি সচেতনভাবে করা হয়েছে, যাতে দপ্তরের পরিচয়…

Read More

বাংলাদেশ ২০২৪ সালের আগস্টে এক বৃহৎ গণআন্দোলনের সাক্ষী হয়, যেখানে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক প্রতিবাদ ও ঐতিহাসিক গণজাগরণ ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক শক্তি পরিবর্তনের প্রতীক ছিল না, বরং এটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার আশা নিয়ে নতুন এক যুগের সূচনা হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে যে চিত্র উঠে এসেছে, তা হতাশাজনক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেছে, নির্বিচার গ্রেপ্তার এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও হেফাজতে মৃত্যুর…

Read More

নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও উত্তাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা রাজনীতির কেন্দ্রে চলে এসেছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরাসরি চিঠি দিয়ে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ইসি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টি এখন নির্বাচনের দিকে। বিএনপি এই নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’ বলে উল্লেখ করে বলছে, এটি দেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের দ্বার উন্মোচন করবে।…

Read More

এই ঘটনাবহুল বাণিজ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। একসময় যে দুই নেতা—ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি—এক অপরকে ‘বন্ধু’ বলে আখ্যায়িত করতেন, আজ তাদের নেতৃত্বাধীন দেশদ্বয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেবল বাণিজ্যিক প্রতিক্রিয়া নয়; এর মধ্যে ভূরাজনৈতিক বার্তাও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতের অর্থনীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা। কারণ এটি এমন এক সময় এসেছে, যখন ভারত নিজেকে বিশ্বের অন্যতম বড় উৎপাদন ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, বিশেষত চীনের বিকল্প হিসেবে। কিন্তু এত উচ্চ শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা কঠিন হয়ে পড়বে এবং বিদেশি…

Read More

চট্টগ্রামের রপ্তানিখাত বিশেষ করে পোশাক শিল্প নতুন এক সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কহার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দেশটির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে চীন ও ভারতের মতো বড় ক্রেতা দেশগুলোর প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে চট্টগ্রামের ২৫০টিরও বেশি পোশাক কারখানার ওপর আন্তর্জাতিক অর্ডার চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তৈরি পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শুল্কহার সমান হলেও, চীনের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ এবং ভারতের তুলনায় ৫ শতাংশ কম হওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। বিশেষত, চীনা ক্রেতারা বর্তমানে ‘FOC’ বা ফ্রি অফ কস্ট পদ্ধতিতে অর্ডার দিচ্ছে। এ পদ্ধতিতে তারা নিজস্বভাবে কাপড় ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী পাঠিয়ে দেয় এবং বাংলাদেশে কেবল…

Read More

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পাহাড়ি জনপদ উত্তরকাশীতে হঠাৎ নেমে আসা মেঘভাঙা বৃষ্টি ও তৎসংলগ্ন আকস্মিক বন্যা যেন মুহূর্তেই জনজীবনকে তছনছ করে দেয়। ধরালি গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী হর্ষিল উপত্যকা কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে প্রবল জলস্রোত, কাদা এবং বিশাল পাথরের আঘাতে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জীবনের এমন ভয়াবহ দৃশ্য তারা আগে কখনো দেখেননি। এই বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ক্ষীরগঙ্গা নদীর উন্মত্ত স্রোত, যা পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে এসে গ্রাম-ঘর, হোটেল, হোমস্টে—সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে মানুষ চিৎকার করে অন্যদের সতর্ক করছে—“পালাও, পালাও”—কিন্তু অনেকেই পালিয়ে বাঁচতে পারেননি। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে চারজনের প্রাণহানির…

Read More

ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। ব্যস্ততম নগরীতে এটি এনে দিয়েছে দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক যাতায়াতের সুযোগ। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ মেট্রোরেলে চলাচল করছে। যাত্রীদের চাপ এতটাই বেশি যে পিক আওয়ারে অনেকেই প্রথম ট্রেনেই উঠতে পারেন না। কিন্তু অবাক করার মতো বাস্তবতা হলো—এই বিপুল যাত্রীচাপ সত্ত্বেও মেট্রোরেলের আয় দিয়ে এর নির্মাণ ব্যয় বা ঋণ পরিশোধের কিস্তি তোলা যাচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের ভর্তুকির বোঝা। বর্তমানে ঢাকায় চালু থাকা এমআরটি-৬ লাইনটি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত। দিনে গড়ে প্রায় চার লাখ যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করে। কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সরকারের…

Read More

নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারীর মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় রাজনৈতিক কর্মীর প্রাণহানি এবং সেইসব ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বিভ্রান্তিকর ও বিভাজিত পরিসংখ্যানের চিত্র। জুলাই-অগাস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তা এখন শুধু মানবিক নয়, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক জটিলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সরকারি গেজেটে ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃত নিহতদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৮৪৪ জন, যা সরকারের তথ্য অনুযায়ী আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের হাতে প্রাণ হারানো নাগরিকদের নামেই সীমাবদ্ধ। অথচ জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের তদন্তে জানাচ্ছে, প্রায় ১৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অনেকে শিশুও ছিল এবং বেশিরভাগই প্রাণ হারিয়েছেন…

Read More

বাংলার ইতিহাসে পাল বংশ এক গৌরবময় অধ্যায়, যাদের হাত ধরে বৌদ্ধ ধর্ম এ অঞ্চলে রাজধর্মের মর্যাদা পায় এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতি, শিক্ষা ও স্থাপত্যের এক অসাধারণ বিকাশ ঘটে। কিন্তু ইতিহাসে যেমন উত্থান থাকে, তেমন পতনও অনিবার্য। পালদের দীর্ঘ ৪০০ বছরের শাসনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলার বৌদ্ধ ধর্মও তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উচ্চতা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করে। একসময় যেই ধর্ম বাংলার প্রধান ভিত্তি ছিল, তা-ই কালের প্রবাহে হয়ে পড়ে প্রান্তিক। প্রশ্ন জাগে—কেন? কিভাবে এত বিস্তৃত, শক্তিশালী এক ধর্মব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেল? গোপাল দেব ছিলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা—প্রজা কর্তৃক নির্বাচিত বাংলার প্রথম শাসক। তার বংশধররাই বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের…

Read More