ঘটনাটির সূচনা ২৪ আগস্ট ২০২৫, সাতক্ষীরা থেকে পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী, বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভারতের বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) কর্তৃক আটক হয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে এবং পরবর্তী সময়ে তাকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরিফুজ্জামানের পরিচিতি মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একসময় একজন দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর কর্মজীবনে সাম্প্রতিক কিছু সমস্যা সামনে এসেছে যা তাকে বিতর্কের মধ্যে ফেলেছে।
পেশাগত জীবন এবং বরখাস্ত মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কাজ করছিলেন। এরপর তাঁকে বদলি করে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন-২-এ পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তবে, ১৪ অক্টোবর থেকে তিনি বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে হাজির না হওয়ার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল।
অভিযোগ ও আটক মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি তার সরকারি কর্তব্য পালনে অনুপস্থিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে অবৈধভাবে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এই অবস্থায়, বিএসএফ তাকে আটক করে এবং বর্তমানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে বাংলাদেশি পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
সীমান্ত সুরক্ষা ও আইনগত ব্যবস্থা সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত খান জানিয়েছেন, মোহাম্মদ আরিফুজ্জামানকে বিএসএফ আটক করার পর বাংলাদেশ ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করছে। সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠোর করার জন্য উভয় দেশই এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশের পুলিশ এই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দৃষ্টিপাত মোহাম্মদ আরিফুজ্জামানের এই ঘটনা, যে কোনো পেশাদার কর্মীর জন্য একটি বড় দৃষ্টান্ত হতে পারে। একজন সরকারি কর্মকর্তা তার দায়িত্ব থেকে পলায়ন করে অবৈধভাবে সীমান্তে প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনিয়ম ও অবহেলা কখনোই মেনে নেয়া যাবে না।
আপনার মতামত জানানঃ