…
এডিটর পিক
ভারত নিজেদের তৈরি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ফাঁদে সত্যিই কতটা জড়িয়ে গেছে—দিল্লির লালকেল্লার কাছে সাম্প্রতিক ভয়াবহ…
Trending Posts
-
ভারতীয় দূতকে তলব করে গণমাধ্যমের সঙ্গে হাসিনার কথা বলা বন্ধের আহ্বান
নভেম্বর ১৩, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
ভারতীয় দূতকে তলব করে গণমাধ্যমের সঙ্গে হাসিনার কথা বলা বন্ধের আহ্বান
নভেম্বর ১৩, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- যেভাবে খাল কেটে কুমির এনেছে ভারত
- শাপলার কলি কি ফুটবে?
- আফগানিস্তানে হাসপাতালে যেতে নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক
- ভারতীয় দূতকে তলব করে গণমাধ্যমের সঙ্গে হাসিনার কথা বলা বন্ধের আহ্বান
- নির্বাচন না হলে মানুষ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে
- আগামীকাল কী হবে?
- ধ্বংসের মুখে গার্মেন্টস শিল্প
- ঢাকায় বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা!
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
ভারত নিজেদের তৈরি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ফাঁদে সত্যিই কতটা জড়িয়ে গেছে—দিল্লির লালকেল্লার কাছে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বিস্ফোরণ সেই প্রশ্নটাই নতুন করে সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের অবস্থান সাধারণত খুব স্পষ্ট থাকে—পাকিস্তানকে দায়ী করা, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদকে কাঠগড়ায় তোলা এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুমকি। কিন্তু এবারের হামলার পর ঘটনাপ্রবাহ একেবারেই ভিন্ন। বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত, ২০ জন গুরুতর আহত, শহরের কেন্দ্রস্থলে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের মতো ঘটনা ঘটলেও সরকার তড়িঘড়ি করে পাকিস্তানের নাম নেয়নি, সীমান্তপারের ‘অপকর্ম’ হিসেবে আঙুলও তোলে না। এতে শুধু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই নয়, ভারতীয় গণমাধ্যমও বিস্মিত। এই বিস্ময়ের পেছনে যে জটিল বাস্তবতা কাজ করছে, তা মূলত গত কয়েক…
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এনসিপি, বিএনপি এবং জামায়াতকে ঘিরে যে জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে, তা দেশের রাজনীতিকে এক নতুন উত্তাপে নিক্ষেপ করেছে। জুলাই আন্দোলনের পর জন্ম নেওয়া এই ছাত্রনেতৃত্বাধীন দল এনসিপি শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও তাদের ভবিষ্যৎ, অবস্থান, মতাদর্শ ও রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের কৌশল নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জমেছে। ‘ধানের শীষে শাপলা কলি ফুটবে কি না’—এই প্রশ্নটিই আজ প্রাসঙ্গিক, কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট ও সমঝোতা কখনোই সরল সমীকরণে কাজ করে না। প্রতিটি দলই নিজেদের স্বার্থ, রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং ভবিষ্যৎ অবস্থানকে সামনে রেখে হিসাব–নিকাশ করে। সেক্ষেত্রে এনসিপির এই অদ্ভুত ও কিছুটা দ্রুত উত্থান, এটি ঘিরে থাকা বিতর্ক, বিএনপির…
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে নতুন করে নারীদের চলাচল ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ওপর আরোপ করা বিধিনিষেধ আবারও প্রমাণ করল—একটি সমাজে রাজনৈতিক পরিবর্তন যত দ্রুতই আসুক, তার প্রভাব সবচেয়ে গভীরভাবে আঘাত করে সাধারণ মানুষের জীবনে। বিশেষ করে নারীদের জীবনে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা শুধু এক অঞ্চলের পরিস্থিতি নয়; বরং পুরো আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী হেরাতের সরকারি হাসপাতালে নারী রোগী, তাদের অভিভাবক এবং চিকিৎসাকর্মীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নারীদের পূর্ণ শরীর ও মুখ ঢেকে রাখা ইসলামী পর্দা প্রথা অবশ্য নতুন নয়, কিন্তু এবার এর প্রয়োগ যেভাবে জনজীবনকে…
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই একটি ঘনিষ্ঠ ও পরস্পরনির্ভরশীল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দুই দেশের ভৌগোলিক সন্নিকটতা, ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা, মুক্তিযুদ্ধের মিত্রতা, বাণিজ্যিক নির্ভরতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নদী–পানিবণ্টনসহ নানা ইস্যু এই সম্পর্ককে একই সঙ্গে জটিল ও অপরিহার্য করে তুলেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান এবং তাঁর বিভিন্ন ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, তা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থায় নতুন প্রশ্ন তুলেছে। ঢাকা থেকে ভারতীয় উপহাইকমিশনার পবন ভাদেকে তলব করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বেগ জানানোর মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরো গুরুত্ব ও স্পষ্টতা লাভ করেছে। বাংলাদেশ…
নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা শুধুই আবেগের কথা নয়, বাস্তব রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার ভেতরেও এর শক্ত ভিত্তি আছে। একটি রাষ্ট্রকে ব্যর্থ বলা হয় তখনই, যখন সে তার নাগরিকদের নিরাপত্তা, ন্যূনতম সেবা, আইনের শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় এবং রাষ্ট্রের বৈধতা জনগণের চোখে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ এখন যে ক্রান্তিকালের মুখোমুখি, সেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ভেঙে গেলে এই সব সূচকেই ধস নামার ঝুঁকি তৈরি হবে, যা আমাদের ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে। একটি রাষ্ট্র ব্যর্থ কি না তা নির্ধারণের জন্য রাজনৈতিক তত্ত্বে কয়েকটি দৃষ্টিকোণ গুরুত্ব পায়—রাষ্ট্রের ভূখণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ, আইন–শৃঙ্খলা রক্ষা,…
ঢাকার আকাশে আজও দিনের শেষে একটু গরম ভাব লেগে থাকে, কিন্তু রাজনৈতিক আবহাওয়ার তাপমাত্রা তারও অনেক ওপরে। আগামীকাল ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ডাক দেওয়া অবরোধ ও রাজধানী লকডাউনকে ঘিরে আবারও পুরোনো আতঙ্ক ফিরে এসেছে শহর ও মফস্বলে। ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে রিকশাচালক, গার্মেন্টস কর্মী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র—সবাই একটি প্রশ্ন ঘুরেফিরে করছেন: কাল কী হবে? এই প্রশ্নের পেছনে শুধু একটি কর্মসূচি নয়, আছে গত দেড়–দুই বছরের টালমাটাল রাজনীতির জমাট অভিজ্ঞতা। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের আন্দোলন, সেই ধারাবাহিকতায় আগস্টে শেখ হাসিনার পতন, তারপর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতায় আসা—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন অজানা পর্বে ঢুকে পড়ে। এই পরিবর্তনের…
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির মেরুদণ্ড আজও তৈরি পোশাক খাত। গ্রাম থেকে শহরে উঠে আসা লক্ষ লক্ষ তরুণ–তরুণীর জীবিকা, পরিবারের ভরণপোষণ, সন্তানদের পড়াশোনা—সবকিছুই অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে একটি কারখানা, একটি অর্ডার, একটি রপ্তানি চালানের ওপর। অথচ ঠিক এই খাতটিই এখন টানা তিন মাস ধরে চাপের মুখে। একদিকে নতুন অর্ডার কমেছে, অন্যদিকে অল্পদিনের ব্যবধানে কয়েকশ’ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, শুল্কনীতি, দেশীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ক্রেতাদের আস্থাহীনতা একসূত্রে গাঁথা হয়ে যেন তৈরি করেছে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দেয়াল, যার সামনে দাঁড়িয়ে শ্রমিক, উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদ—সবাই উদ্বিগ্ন, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। রপ্তানি আদেশের বাস্তব চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন বা ইউডি’র তথ্যের দিকে তাকালে।…
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে রাজধানী ঢাকায় এক ধরনের অদৃশ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় বের হলে স্বাভাবিক কোলাহলই চোখে পড়ে, যানজটে আটকে থাকা মানুষের বিরক্তি, অফিসপাড়ার ভিড়—সবই যেন আগের মতোই। কিন্তু এই স্বাভাবিকতার আড়ালে অদেখা এক তীব্র অস্থিরতা কাজ করছে; কারণ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টানা কয়েকদিন ধরে ঘটছে ককটেল বিস্ফোরণ আর বাসে অগ্নিসংযোগের মতো চোরাগোপ্তা হামলা। এই হামলাগুলো এখনো পর্যন্ত বড় কোনো প্রাণহানি ঘটায়নি। কোথাও কেউ নিহত হয়নি, গুরুতর আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে—বিষয়টা সংখ্যা বা হতাহতের পরিসংখ্যান নয়, মূল ভয়টি কাজ করছে ‘কখন, কোথায়, কীভাবে’—এই অনিশ্চয়তাকে ঘিরে। যে শহরে…
তেহরানের ব্যস্ত ফুটপাতে একদল তরুণ–তরুণী রক সংগীতের তালে নাচছে। কারও চুল কাঁধ ছাড়িয়ে হাওয়ায় উড়ছে, কারও হাতে সিগারেট, কারও গায়ে ট্যাংক টপ আর জিনস। দূরে মোবাইল ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ছে দৃশ্যগুলো, মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দৃশ্যটা যদি অন্য কোনো শহরের হতো, হয়তো তেমন গুরুত্ব পেত না। কিন্তু এই শহর তেহরান—ইরানের রাজধানী। যেখানে পশ্চিমা রক সংগীত আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ, প্রকাশ্যে নারী–পুরুষ একসঙ্গে নাচা নিষিদ্ধ, নারীর ধূমপান সামাজিক অপরাধের মতো বিবেচিত, আর সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ—খোলা চুল। অথচ সেই শহরের মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে এক তরুণী যখন চুল উড়িয়ে ছন্দ মিলিয়ে নাচছেন, তখন বুঝতে কষ্ট হয় না—ইরানের ভেতরে কিছু একটা গভীরভাবে বদলে যাচ্ছে। এই…
দিল্লির লাল কেল্লা এলাকার আকাশটা সোমবার সন্ধ্যায় ছিল একেবারে সাধারণ—অফিস ফেরত যানজটে ভরা রাস্তা, শীত আসার আগের সেই হালকা গরম, লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর–১ এর সামনে সিগন্যালের লাল বাতিতে থেমে থাকা গাড়ির লাইন। ঠিক সেই দৈনন্দিনতার মাঝখানেই হুন্ডাই আই–টুয়েন্টি গাড়িটির ভিতর থেকে আচমকা যে বিস্ফোরণটি হলো, তা শুধু ওই রাস্তার দৃশ্যই নয়, ভারতজুড়ে মানুষের নিরাপত্তাবোধকেও ছিন্নভিন্ন করে দিল। মুহূর্তের মধ্যে অন্তত আট জনের মৃত্যু, প্রায় দুই–তিন ডজন মানুষ গুরুতর জখম, আগুনে পুড়ে গেল আরও কয়েকটি গাড়ি আর অটোরিকশা, আর লাল কেল্লার গা ঘেঁষে ছুটে চলা শহরটা যেন একঝটকায় থমকে দাঁড়াল। সন্ধ্যা সাতটার একটু আগে, অফিস টাইমের ভিড় তখনও…