…
এডিটর পিক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ধাক্কায় ভারতের রপ্তানি যে সংকটে পড়েছে, তার গভীরতা এখন…
Trending Posts
-
শ্রীলঙ্কার দুর্যোগে বাংলাদেশের ‘আলু কূটনীতির’ যে সুযোগ
ডিসেম্বর ৫, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ এনে কি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়া যাবে?
ডিসেম্বর ১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ভারতীয় আদালত কি মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে?
ডিসেম্বর ১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
শ্রীলঙ্কার দুর্যোগে বাংলাদেশের ‘আলু কূটনীতির’ যে সুযোগ
ডিসেম্বর ৫, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ এনে কি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়া যাবে?
ডিসেম্বর ১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ভারতীয় আদালত কি মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে?
ডিসেম্বর ১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- ট্রাম্পের শুল্কের আঘাতে বড় সংকটে ভারত
- শ্রীলঙ্কার দুর্যোগে বাংলাদেশের ‘আলু কূটনীতির’ যে সুযোগ
- কেন পিছিয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা?
- ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ
- বাউল–বিরোধের আড়ালে গ্রাম দখলের লড়াই
- ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির: পাকিস্তানের নতুন সুলতান
- মুসলিম যুবককে ‘বাংলাদেশি রোহিঙ্গা’ আখ্যা দিয়ে মারধর,’জয় শ্রীরাম’ বলানোর অভিযোগ
- এতো বড় অর্থনীতির ভারত কেন আইএমএফ-এর মূল্যায়নে ‘সি’ গ্রেড পেলো?
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ধাক্কায় ভারতের রপ্তানি যে সংকটে পড়েছে, তার গভীরতা এখন কেবল পরিসংখ্যানের খাতায় নয়, দেশের লাখো কারখানা, গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকবাড়ি আর শহুরে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দুঃস্বপ্নে ফুটে উঠছে। বহু বছর ধরে ভারতীয় পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিল। কম দাম, স্থিতিশীল সরবরাহব্যবস্থা এবং শ্রমনির্ভর উৎপাদনশীল খাত ভারতকে সেখানে প্রতিযোগিতায় সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে শুল্ক বাড়ার ফলে পরিস্থিতি এমনভাবে বদলে গেছে যে ভারতের রপ্তানি এখন নিজ দেশের শিল্পকে রক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত, আর মার্কিন বাজার ধরে রাখার প্রশ্নটি ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। গত দুই দশকে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধির যাত্রা সহজ ছিল না।…
শ্রীলঙ্কা আজ এক গভীর মানবিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার আঘাত, তার পরবর্তী টানা বৃষ্টি, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস—সব মিলিয়ে দেশটির জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। তিন দিনব্যাপী অঝোর বর্ষণে দ্বীপদেশটির ২৫টি জেলার বড় অংশ পানিতে ডুবে যায়। বিদ্যুৎ–বিভ্রাট, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়া, যোগাযোগ ব্যবস্থার পঙ্গুত্ব এবং সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এক অচিন্তনীয় দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। এক দশকের মধ্যে এমন ধ্বংসযজ্ঞ আর দেখা যায়নি। সরকারি হিসাবে অন্তত ৪১০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে, আর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৩৬ জনের বেশি। বহু জায়গায় ভূমিধসের সম্ভাবনা এখনো তীব্র, এজন্য রেড অ্যালার্ট বহাল রয়েছে। মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ গাদাগাদি…
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও তার বিদেশযাত্রা নিয়ে যেমন গভীর উদ্বেগ, তেমনি রয়েছে বহুস্তরীয় আলোচনার ঝড়। দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন, দীর্ঘদিন ধরেই যার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিতর্ক ও উৎকণ্ঠা চলছিল, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি গত কয়েক দিনে নতুন মোড় নিয়েছে। কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে লন্ডনে নেওয়ার কথা থাকলেও সেই ফ্লাইটের সময় পিছিয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তেও বিলম্ব এসেছে। একই সঙ্গে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রতিটি বক্তব্যই আরও স্পষ্ট করেছে যে রাজনৈতিক ও মানবিক—উভয় দিক থেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার…
ঢাকায় সামান্য কম্পন অনুভূত হলেই মানুষ গুগলে লেখে—“আজ কি ভূমিকম্প হলো?” কিংবা “earthquake today in Dhaka.” গত ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পে সারা দেশে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, তার রেশ সপ্তাহ পার হলেও কাটেনি। মাত্র সাত দিনের মধ্যে ছয়বার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় মানুষের মন থেকে ভয় সরে যায়নি। কারণ বাংলাদেশের নাগরিকদের ভূমিকম্প সম্পর্কে ধারণা বরাবরই সীমিত—ঝাঁকুনি লাগলে দৌড়ে বাইরে যাওয়া, আতঙ্কে বাড়ি-ঘর থেকে নামা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন করা ছাড়া আর বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নেই। অথচ বাংলাদেশের ঠিক পূর্বে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরেই আছে এমন একটি দেশ, যেখানে ভূমিকম্প নিত্যদিনের ঘটনা। জাপান—যেখানে বছরে প্রায় দেড় হাজার ভূমিকম্প হয়, সুনামির সতর্কতা দেওয়া হয়…
অগ্রহায়ণ মাস গ্রামের মানুষের জীবনে উৎসব ও অর্থনীতির এক বিশেষ সময়। এই সময়ই মাঠের ধান ঘরে ওঠে, কৃষকের হাতে কিছু অতিরিক্ত আয় আসে এবং সেই আয়কে কেন্দ্র করেই গ্রামে দেখা দেয় এক ধরনের সামাজিক উচ্ছ্বাস। নবান্ন আয়োজন, পিঠাপুলি, আত্মীয়স্বজনের সমাগম, নানা সামাজিক আড্ডা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—সব মিলিয়ে গ্রামবাংলায় অগ্রহায়ণ মানে উৎসবের মৌসুম। দীর্ঘ শীতের রাতকে উদ্যাপন করতে আবহমানকাল ধরেই আয়োজন হয়ে আসছে পালাগান, বাউলগান, যাত্রাপালা, গাজির গান, মাজারে ওরস শরিফ কিংবা বিভিন্ন ধরনের জলসা। এসব আয়োজন একসময় ছিল গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্থানীয় শিল্পী, বাদ্যযন্ত্রী, সাজসজ্জার শ্রমিক, খাবার সরবরাহকারী—সবারই উপার্জনের ক্ষেত্র ছিল এসব আয়োজন। তবে গ্রামীণ সাংস্কৃতিক ধারার মধ্যেও সবসময়…
পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চাইতেও আলোচনার কেন্দ্রে যে একজন মানুষ, তিনি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আহমেদ শাহ। ৫৭ বছর বয়সী এই সেনা কর্মকর্তা চার তারকা জেনারেল থেকে পাঁচ তারকা ফিল্ড মার্শাল হয়েছেন, সেনাপ্রধানের চেয়ার পেরিয়ে এখন তিনি “সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান”—অর্থাৎ সেনা, নৌ, বিমান, গোয়েন্দা সংস্থা এবং পারমাণবিক কমান্ডসহ পাকিস্তানের সমস্ত নিরাপত্তা কাঠামোর শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী তাঁকে কার্যত আইনের ঊর্ধ্বে এক ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে নজিরবিহীন। আসিম মুনিরের জন্ম রাওয়ালপিন্ডিতে, এমন এক পরিবারে যেখানে ইসলামি মূল্যবোধ, শিক্ষা এবং শৃঙ্খলা ছিল অপরিহার্য অংশ। তাঁর পরিবার ১৯৪৭ সালের…
রানীপাড়া গ্রামের রাস্তায় রাতের অচেনা আলোয় যখন কেবল পায়ের আওয়াজ আর দূরের কোনো গাড়ির হেডলাইট ছিল, তখনই হঠাৎ জনজোড়া গড়ে ওঠে। আড়াল থেকে এগোনো মানুষগুলো একে একে ঘিরে ধরে। তাদের হাতে লাঠি, চোয়াল পর্যন্ত কাদামাখা; মুখে ছিল কিছু বাক্য বারবার বলানোর তাগিদ। মুর্শিদাবাদ জেলার চক হরেকৃষ্ণপুরের ২৪ বছরের রাহুল ইসলামের কাছে তিনি তাঁর আধার কার্ডটি তুলে ধরলে শুরু হয় অভিযুক্ত অভিযোগ ও অসম্মান। একে বলেন ‘ভুয়া’, একে বলেন ‘বাংলাদেশি’, কেউ কেউ আবার উচ্চস্বরে ঘোষণা করে তাকে ‘রোহিঙ্গা’ বলেও আতঙ্কিত করেন। তারপরই শুরু হয় মারধর — চড়, থাপ্পড়, লাঠির আঘাত; কেউ লাথিও মারে। আহত রাহুলকে দাঁত-চোড়া কাটা কাপড়ের মতো কপালে লেগে…
ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকারি দাবি যতই উজ্জ্বল হোক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চোখে ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যানের গুণমান ততটাই প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিরূপ মূল্যায়ন নতুন নয়, কিন্তু ২০২৫ সালের আর্টিকেল–IV কনসালটেশন রিপোর্টে যখন আবারও ভারতকে ‘সি গ্রেড’ দেওয়া হলো, তখন জনমত থেকে রাজনৈতিক অঙ্গন—সব জায়গাতেই প্রশ্ন উঠছে: কেন প্রবৃদ্ধি বাড়লেও ডেটার মান নিয়ে আইএমএফ এতটা অসন্তুষ্ট? ভারতের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নাকি পরিসংখ্যান ব্যবস্থার ভেতরের গভীর ত্রুটি—কোনটি বেশি কার্যকর? পুরো বিষয়টি বুঝতে গেলে ভারতের ডেটা অবকাঠামো, পদ্ধতিগত কাঠামো এবং বাস্তব অর্থনীতির পরিবর্তনের সঙ্গে সরকারি পরিসংখ্যানের অসামঞ্জস্য একসঙ্গে বিশ্লেষণ করা জরুরি। আইএমএফ মূলত চারটি গ্রেড ব্যবহার করে—এ, বি, সি এবং ডি—যেখানে ‘এ’ মানে তথ্য…
পাকিস্তানের রাজনীতির ভেতরে এখন এমন এক নিস্তব্ধ ঝড় বইছে, যার শব্দ বাইরে শোনা না গেলেও তার অভিঘাত টের পাওয়া যায় প্রতিটি দিনে, প্রতিটি ঘটনায়, প্রতিটি সরকারি সিদ্ধান্তে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নাম উচ্চারণ করা হয় প্রায় ফিসফিস করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ছবি পোস্ট করা হলে তা মুহূর্তেই সরিয়ে নেওয়া হয়, টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর পরিচয় দেওয়া হয় পরোক্ষ নামে—‘কাসিমের বাবা’। এ যেন এক বেখাপ্পা, অদৃশ্য সেন্সরশিপের যুগ, যেখানে একটি মানুষকে জনস্মৃতি থেকে মুছে ফেলার প্রকল্প চলছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। অথচ সেই মানুষটাই কয়েক বছর আগেও পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক চরিত্র, বিশ্বকাপজয়ী নায়ক এবং পরিবর্তনের প্রতীক ছিলেন। এখন তাঁর অবস্থান হচ্ছে…
কর্ণফুলী নদীর মোহনার অদূরে, গুপ্তবাঁক এলাকায় নির্মিতব্য লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালকে ঘিরে দেশের বন্দর অর্থনীতি, নীতিনির্ধারণ ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা ক্রমেই নতুন মাত্রা পাচ্ছে। সরকারি প্রচারণা টার্মিনালটিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কেন্দ্র বলে তুলে ধরলেও প্রকাশিত তথ্য–বিশেষ করে নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টে থাকা গোপন স্ল্যাব, মেয়াদ, রাজস্ব কাঠামো এবং অপারেটরের প্রভাব–এগুলোর বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তিতে এমন অনেক সুবিধা লুকিয়ে আছে যা একতরফাভাবে বিদেশী অপারেটরের জন্য লাভজনক। ফলে লালদিয়া টার্মিনাল শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের বন্দর পরিচালনার ইতিহাসে এটি কি একটি ‘লো-রিস্ক, হাই-রিটার্ন’ মডেলের মাধ্যমে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা নিশ্চিত করেছে? এর বিপরীতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)…