…
এডিটর পিক
বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও নির্ভরতার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। ভৌগোলিক…
Trending Posts
-
প্রায় আশি বছর আগে কলকাতা-নোয়াখালী দাঙ্গা নিয়ে ভারতে নতুন বিতর্ক কেন?
আগস্ট ২০, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ট্রাম্পকে টেক্কা মোদির, রাশিয়াকে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান
আগস্ট ২১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
বিদেশে পাচারকৃত অর্থে গড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
আগস্ট ১৮, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
প্রায় আশি বছর আগে কলকাতা-নোয়াখালী দাঙ্গা নিয়ে ভারতে নতুন বিতর্ক কেন?
আগস্ট ২০, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ট্রাম্পকে টেক্কা মোদির, রাশিয়াকে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান
আগস্ট ২১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
বিদেশে পাচারকৃত অর্থে গড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
আগস্ট ১৮, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা কে এবং কেন পালাচ্ছিল?
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় জেল খাটছেন ৬৭ বছর বয়সী নারী
- বিভুরঞ্জনের মৃত্যু এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জীবন
- জাপানে হাঁটলেই তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ
- চীনের কেন পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত দ্রুত বাড়াচ্ছে?
- ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিবাদের এক বছর: কার ক্ষতি কার লাভ?
- থানার ব্যারাকে পুলিশের দ্বারা নারী পুলিশ সদস্য ধর্ষণ
- ট্রাম্পকে টেক্কা মোদির, রাশিয়াকে বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসে অর্থপাচার সবসময় একটি জটিল ও ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের ভেতরের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) নতুন করে যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা এই সমস্যার গভীরতা এবং ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করেছে। তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তি, যা বাংলাদেশের বাইরে পাচার হওয়া অর্থের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে। এই অনুসন্ধান শুধু সংখ্যার দিক থেকে নয়, বরং একটি রাষ্ট্রের আর্থিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে নতুন করে…
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে, তবে দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর নিয়ে নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ডিবিসি নিউজের তিন পর্বের অনুসন্ধানের প্রথম কিস্তিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রের কিছু স্পর্শকাতর পদে অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যক্তিদের নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাতা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটম অভিযোগ করেছে যে, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিফ সুপারইন্টেন্ডেন্ট মুশফিকা আহমেদকে ২০১৯ সালে কেমিক্যাল ও রেডিওঅ্যাক্টিভ ওয়েস্ট ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে তার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা রেডিয়েশন…
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছোট্ট কোনো বক্তব্যও বড় আকারের আলোচনার জন্ম দিতে পারে—এবার তার উদাহরণ হলো অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ‘হাঁসের মাংস’ বিতর্ক। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি মন্তব্য ঘিরে তিনি আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ঘটনা অনুযায়ী, উপদেষ্টা ভুঁইয়া একটি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন, রাতের কাজ শেষে মাঝে মাঝে তিনি পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে বা গুলশানের অভিজাত ওয়েস্টিন হোটেলে রাতের খাবার খেতে যান, যেখানে বিশেষত হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। এই মন্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছেন—সরকারের একজন উপদেষ্টার বেতন-ভাতার সঙ্গে অভিজাত হোটেলে যাওয়ার জীবনধারা কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতীতে তার দামি জুতা, বিমানবন্দরে হ্যান্ডব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন থাকার মতো ঘটনার কারণে তিনি…
বাংলাদেশে কর নিয়ে মানুষের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আয়কর থেকে ভ্যাট—সব ক্ষেত্রেই করদাতারা প্রায়শই প্রশ্ন তোলেন, তারা যে ট্যাক্স দেন তা আসলেই কোথায় ব্যয় হয়? সরকারি সেবা, অবকাঠামো কিংবা জনকল্যাণে এর প্রতিফলন তারা খুঁজে পান না। অথচ ইতিহাস বলছে, কর মানবসভ্যতার শুরু থেকেই রাষ্ট্র ও সমাজ চালানোর অন্যতম প্রধান ভিত্তি। হাজার বছর আগেও মানুষকে বিভিন্ন অদ্ভুত কর দিতে হতো—কখনো শস্যে, কখনো পশুতে, আবার কখনো একেবারেই অবিশ্বাস্য কিছুতে, যেমন প্রাচীন রোমে প্রস্রাবের জন্যও কর আদায় হতো। মেসোপটেমিয়াকে বলা হয় কর ব্যবস্থার জনক। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে সুমেরীয় নগররাষ্ট্রগুলোতে কৃষকের শস্য, পশু, মাছ ধরার অংশ কিংবা শ্রম দিয়েই কর মেটাতে…
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও নাগরিক সমাজের মধ্যে এক ধরনের আশা-প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল যে, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ পাচার, স্বজনপ্রীতি ও অস্বচ্ছ শাসনব্যবস্থার পর এবার অন্তত একটি নতুন ধারার সূচনা হবে। শেখ হাসিনার পতনের পর যেভাবে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের ঢেউ দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, তাতে মনে হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রবর্তন করা। বিশেষ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তার উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য দ্রুততম সময়ে নিজেদের আয়-সম্পদের হিসাব জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন।…
কাছাকাছি সময়ের মধ্যে পরপর দুবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসীম মুনির। বিশেষ করে ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও হাইড্রোকার্বন খাতে সহযোগিতায় আগ্রহী। রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও তেল-গ্যাস খাতে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ও বাণিজ্যে অংশগ্রহণকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করছে। গত মাসে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা পাকিস্তানের দাবির ভিত্তিতে শুল্ক কমানো ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে মূলত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে খনন প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ…
বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সংকট আজ শুধু অর্থনৈতিক নয়, গভীরভাবে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক এক সংকটের রূপ নিয়েছে। এই সংকটের শেকড় ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থায়, যা প্রায় দুই শতাব্দী আগে ভারতবর্ষে প্রবর্তিত হয়েছিল মূলত ব্রিটিশ শাসকের স্বার্থে। উদ্দেশ্য ছিল এমন এক শিক্ষিত শ্রেণি তৈরি করা, যারা বিদ্যা অর্জনের চেয়ে বেশি মনোযোগ দেবে শাসকের দপ্তরে চাকরি করার জন্য প্রস্তুত হতে। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা সেই মানসিক কাঠামো থেকে বের হতে পারিনি। আজও আমাদের শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হয়ে আছে সরকারি চাকরি—একটি ‘সোনার হরিণ’—যা শুধু অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নয়, সামাজিক মর্যাদারও নিশ্চয়তা দেয়। শৈশব থেকেই আমাদের পাঠ্যবই, গল্প ও সামাজিক বয়ানে এমন একটি শ্রেণিচেতনা গড়ে তোলা হয় যেখানে…
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে যেন হঠাৎ করে এক ‘সুযোগের জানালা’ খুলে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ৩১ জুলাই বাংলাদেশি পোশাকের শুল্ক ২০ শতাংশে নামালেও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশ এবং ভারতের ক্ষেত্রে তা ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। তার ওপর রাশিয়ার জ্বালানি কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প উৎস খুঁজতে বাধ্য করেছে, আর সেই ফাঁকেই বাংলাদেশে ক্রয়াদেশের বন্যা বইছে। শুধু মার্কিন ক্রেতাই নয়, ভারতের শীর্ষ রপ্তানিকারকরাও দীর্ঘমেয়াদে বাজার ধরে রাখতে বাংলাদেশের কারখানার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। চীন থেকেও বিনিয়োগ…
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক বছর কেটে গেলেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল হয়নি—এমন বাস্তবতা সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান, মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন এবং বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের আগস্টে সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনী কার্যত ভেঙে পড়ে। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করে কর্মস্থলে ফেরেননি, কেউ কেউ আবার সহিংস হামলার শিকার হয়েছেন। এই শূন্যতার সুযোগে রাজনৈতিক প্রতিশোধ, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মব সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যা আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে আরও নড়বড়ে করে দেয়। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ‘ডেভিল হান্ট’ ও ‘চিরুনি অভিযান’-এর মতো কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল, তবুও অপরাধের প্রবণতা থামেনি, বরং বহু ক্ষেত্রে তা বেড়েছে…
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত বহু বছর ধরে নানা সমস্যার জালে আটকে ছিল—অব্যবস্থাপনা, অস্বচ্ছতা, অতিরিক্ত ভর্তুকি নির্ভরতা আর ব্যয়বহুল চুক্তির চাপে এই খাত প্রায়শই জনআস্থা হারিয়েছে। অথচ বিদ্যুৎ শুধু আমাদের ঘর আলোকিত করে না, শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা—দেশের প্রতিটি খাতকে সচল রাখার অন্যতম চালিকাশক্তি। ঠিক এই জায়গায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যুৎ খাতে একযোগে সাহসী, সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, যার প্রভাব ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। প্রথম বড় পদক্ষেপ ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ রহিত করা। দীর্ঘদিন ধরে এই আইনের আওতায় চুক্তিগুলো হয়ে আসছিল নানা সমালোচনা আর স্বচ্ছতার অভাবে ভরপুর। আইন রহিত করার…