…
এডিটর পিক
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের যে ভয়াবহ চিত্র সেপ্টেম্বর শেষে সামনে এসেছে, তা শুধু আর্থিক…
Trending Posts
-
বিজেপি নেতার ‘ফুলকপি চাষের’ কথা ও এক ভয়াবহ দাঙ্গার ইতিহাস
নভেম্বর ২১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
বিজেপি নেতার ‘ফুলকপি চাষের’ কথা ও এক ভয়াবহ দাঙ্গার ইতিহাস
নভেম্বর ২১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- যেভাবে মানুষের বন্ধু হল কুকুর
- খেলাপি ঋণ ছাড়ালো ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা
- মুসলিম ইতিহাসকে যেভাবে ধ্বংস করছে মোদি
- শেখ হাসিনার লকারে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ
- রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন: নিছক দুর্ঘটনা নাকি পলিটিক্যাল?
- বিএনপি ও জামায়াত: কে জিতবে?
- চাঁদাবাজদের পায়ের নিচে দেশ
- মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে হাসিনা কি আর ফিরতে পারবেন
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রতীক–ভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহু দশক ধরে চালু থাকলেও সাম্প্রতিক গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন দেশটির দলীয় সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এত দিন জোটের শরিক ছোট দলগুলো বড় দলের জনপ্রিয় প্রতীক ব্যবহার করে ভোট করত এবং সংসদে টিকে থাকার মতো শক্তি অর্জন করত। কিন্তু নতুন বিধানে বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই পরিবর্তন জোট রাজনীতির পুরোনো কাঠামোকে নষ্ট করে দিচ্ছে, আর তার ফলে প্রশ্ন উঠছে—ধানের শীষ এবং দাঁড়িপাল্লার মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতীকের বাইরে দাঁড়িয়ে কোনো দল কি বাস্তবিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে? বাংলাদেশের রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাসে নৌকা ও ধানের শীষ…
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা, শাসনব্যবস্থায় চাপ, প্রশাসনের পেশাগত নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক—এসব যেন নতুন নয়। কিন্তু সম্প্রতি চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য সেই পুরোনো বিতর্ককে আরও তীব্র, আরও স্পষ্ট করে সামনে এনেছে। নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ নির্দেশনা নয়; বরং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গভীরভাবে ঠাঁই নেওয়া কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার প্রবণতার নগ্ন প্রতিফলন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হওয়া তাঁর বক্তব্য নতুন করে প্রশ্ন তুলছে—বাংলাদেশ কি আবারও শোষণ-নির্ভর, দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতির পথে হাঁটছে, নাকি এ পথ থেকে বেরিয়ে আসার সত্যিকারের প্রয়াস এখনো শুরুই হয়নি? চট্টগ্রাম…
ঢাকা যেন হঠাৎ করে নিজেরই ভঙ্গুরতা নতুন করে আবিষ্কার করছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় লাগাতার ভূমিকম্প—কখনো মাঝারি, কখনো তুলনামূলক মৃদু—মানুষকে শুধু ভয় পাইয়ে দিচ্ছে না, বরং বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘদিনের উদ্বেগকে আরও স্পষ্ট করে সামনে এনে দিচ্ছে। শুক্রবার সকালে নরসিংদীর মাধবদী থেকে উৎপন্ন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরের দিন ঢাকা–নরসিংদী অঞ্চলে হওয়া আরও কয়েকটি কম্পন দেখিয়ে দিয়েছে, এই শহর শুধু যানজট, জলাবদ্ধতা আর বায়ুদূষণের ঝুঁকিতে নয়; ভূমিকম্পজনিত বৃহৎ দুর্যোগের মুখেও দাঁড়িয়ে আছে। ভূমিকম্পবিদদের ভাষায়, ঢাকার বিপদ মূলত তিনটি স্তরে জমে আছে—ভূগর্ভের ফাটল রেখা, মাটির গঠন আর মানুষের হাতের তৈরি নগরচিত্র। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরে…
রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি নিয়ে ভারতের যে ‘জেদি আত্মবিশ্বাস’ গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছিল, সেটায় বড় ধাক্কা দিলো রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর শুল্ক আরোপের চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের এই বৃহত্তম বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি। সংবাদমাধ্যমের ভাষায়, এ যেন শেষ পর্যন্ত মার্কিন চাপে ভারতের নতি স্বীকারই। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি এখনো নিজেদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার যুক্তি তুলে ধরছে, তবু এই ঘটনাকে অনেকেই ভারতের বাস্তবধর্মী সমন্বয়–রাজনীতির ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ তেলের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা জোরদার হওয়ার পর থেকেই ভারত নতুন এক সুযোগ দেখে। যুদ্ধের আগে…
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এখন এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় দলটির সমর্থক এবং তাদের ‘ভোটব্যাংক’কে ঘিরে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা অভাবনীয়ভাবে বেড়ে গেছে। ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সংগঠিত ভোটব্যাংক এবারের নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ দলটি নির্বাচনে থাকুক বা না থাকুক, তাদের সমর্থক ভোটাররা তো রয়েই গেছে। সেই ভোটারদের প্রতি আকর্ষণ তৈরির জন্য বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা নানা কৌশল, প্রতিশ্রুতি ও রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে মাঠ গরম রাখছেন। গোপালগঞ্জ—যা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি এবং নৌকা প্রতীকের অনড়…
জেলা প্রশাসনের চোখ–কান যদি সাত থেকে ১৫ দিন দেরিতে কাজ করে, তবে সে জেলার আইন–শৃঙ্খলার আসল চালকের আসনে বসে আছে কে? প্রশ্নটা শুধু আমলাতান্ত্রিক কোনো বিধান নিয়ে নয়; প্রশ্নটা নাগরিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং আসন্ন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। বণিক বার্তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন এক বাস্তবতা, যেখানে থানায় নথিভুক্ত মামলার এজাহার ও জিডির তথ্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিদিন যাওয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবে তা পৌঁছাতে সময় লাগছে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ। এর মধ্যে অনেক অপরাধী গা–ঢাকা দিতে পারছে, অনেক “সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া” ঘটনা কোনোদিনই আলোচনার টেবিলে ওঠে না, আর জেলা আইন–শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটি কার্যত অন্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়—যেন পিছনের…
মানিকগঞ্জের ঘিওরের ছোট্ট শহরটার ওপর হঠাৎ যেন ঘনীভূত হয়ে নেমে এসেছে এক অস্বস্তিকর নীরবতা। কয়েক দিন আগেও যেখানে জাবরার “খালা পাগলীর মেলা”র মাঠজুড়ে ছিল বাউল–দরবেশদের বাঁশি, একতারার সুর, তালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুলতে থাকা মানুষ, সেখানে এখন আলোচনার কেন্দ্র একটাই নাম—বাউল শিল্পী আবুল সরকার। পালাগানের মঞ্চে উচ্চারিত কয়েকটি বাক্য, মোবাইল ফোনে ধারণ করা কয়েক মিনিটের ভিডিও, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তোলা কিছু পোস্ট—সব মিলিয়ে লোকগান আর লোকআস্থার এই পুরোনো মেলাটাই রাতারাতি পরিণত হয়েছে “ধর্ম অবমাননার” অভিযোগ আর আইনি তৎপরতার মঞ্চে। ৪ নভেম্বর রাতের সেই পালাগানের আসরে ঠিক কী কী কথা উচ্চারিত হয়েছিল, তা এখন আর শুধু মেলার অতিথিদের স্মৃতির মধ্যে…
লন্ডনের ঠান্ডা নভেম্বরের এক দিন। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেটের হলজুড়ে তখন পর্যটন–খাতে রঙিন স্টল, হাসি, ছবি তোলার ভিড়। এই ভিড়ের মাঝেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে এক অস্বস্তিকর কিন্তু ঐতিহাসিক মুহূর্ত—ইসরায়েলের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাইকেল ইজহাকভের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেখবাজ শরিফের পর্যটন উপদেষ্টা সারদার ইয়াসির ইলিয়াস খানের করমর্দন। খুব ছোট, আনুষ্ঠানিক–ধরনের এই ‘হ্যান্ডশেক’ হঠাৎ করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ঝড় তোলে, ইসলামাবাদ দ্রুত জানায়—এটি সরকার অনুমোদনহীন ব্যক্তিগত আলাপ। কিন্তু যে দেশের পাসপোর্টেই লেখা থাকে “ইসরায়েল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশে বৈধ”, সেখানে এ ধরনের যেকোনো ছবি শুধু প্রটোকল ভাঙা নয়, একটি ভূরাজনৈতিক সিগন্যালও বটে। এই ছবিটা একা নয়। কিছু মাস আগেই বেসরকারি উদ্যোগে পাকিস্তানি সাংবাদিক…
বিহারের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর জয়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই আসামের বিজেপি মন্ত্রী অশোক সিংঘল এক্স–এ পোস্ট করলেন ফুলকপি ক্ষেতে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা কপির ছবি। সঙ্গে লিখলেন, “বিহার অ্যাপ্রুভস গোবি ফার্মিং”—অর্থাৎ বিহার এবার কপি চাষকে অনুমোদন দিল। দেখতে সাধারণ রাজনৈতিক রসিকতা মনে হলেও, ভারতীয় রাজনীতির সাম্প্রতিক ইতিহাস জানারা সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যান—এটি কেবল কৃষি বা ভোটের রসিকতা নয়, বরং ভাগলপুরের এক গণহত্যার রক্তাক্ত স্মৃতিকে টেনে আনা। যে স্মৃতিতে রয়েছে লাশের স্তূপ, পুকুরের জল আর সেই লাশের ওপরে কপি চাষের বিভীষিকা। সিংঘলের পোস্টের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। আসাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ লিখলেন, এই ধরনের পোস্ট…
ঢাকার নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে হঠাৎ বিশেষ বরাদ্দের বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে এক নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, আর তার আগেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঢাকার ২৭৪টি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে যে উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছে, তার প্রেক্ষাপট এবং বণ্টনের ধরন বিশ্লেষণ করলে একটি বড় প্রশ্ন সামনে আসে: কেন বরাদ্দের প্রায় সবটুকুই ঢাকার মাত্র তিনটি সংসদীয় এলাকায় দেওয়া হলো? মোট ২০টি আসন থাকা সত্ত্বেও বাকি ১৭টি আসন প্রায় শূন্য বরাদ্দ পেয়েছে; আর যে তিনটি আসনে বরাদ্দ গেছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বরাদ্দ এককভাবে ঢাকা-১০ আসনে দেওয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৭৪টির মধ্যে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানই ঢাকা-১০, ঢাকা-৯ এবং…