Author: ডেস্ক রিপোর্ট

মহাকাশ সবসময়ই মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা সাধারণভাবে মনে করি মহাকাশ একেবারে শূন্য ও বৈশিষ্ট্যহীন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য ও রহস্য উন্মোচন করে আমাদের সেই ধারণাকে বদলে দিচ্ছেন। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এবার খুঁজে পেয়েছেন মহাকাশজুড়ে বিস্তৃত এক বিশাল আন্তনাক্ষত্রিক সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা। এই আবিষ্কার শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানের নতুন অধ্যায়ই নয়, বরং আমাদের সৌরজগতের অবস্থান ও গঠন সম্পর্কেও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের সৌরজগত এক বিশেষ অঞ্চলে অবস্থান করছে, যা পরিচিত “গরম বুদ্‌বুদ” নামে। এখানে ঘনত্ব খুবই কম এবং ধারণা করা হয়, এক থেকে দুই কোটি বছর আগে মৃত নক্ষত্রের সুপারনোভা বিস্ফোরণের ফলে এই অঞ্চল তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের…

Read More

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত একটি প্রশ্ন হলো—কেন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে আত্ম-অনুশোচনা নেই। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সরকারি বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তারপরও আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কোথাও তেমন অনুতাপ বা দায় স্বীকারের প্রবণতা দেখা যায়নি। বরং উল্টোভাবে অনেকেই নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করেছে। এই অনমনীয়তা শুধু রাজনৈতিক নয়, সমাজ-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গেও গভীরভাবে যুক্ত। বিশ্ব ইতিহাসে দেখা যায়, বড় ধরনের সংকট বা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে অপরাধ স্বীকার ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কৃতি নতুন পথ পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান জনগণকে নাৎসি অপরাধের ভয়াবহতা দেখানো হয়েছিল। শুধু ছবি…

Read More

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং এর বড় অংশজুড়ে রয়েছে মোটরসাইকেল আরোহীরা। বিআরটিএর হিসাবে গত ১৩ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৫ জন। এদের মধ্যে এক হাজার ৭৯৮ জনই মোটরসাইকেল আরোহী, যা মোট নিহতের প্রায় ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি তিনজন নিহতের একজনই মোটরসাইকেলে ছিলেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮০০ জনের বেশি ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী, যা মোট প্রাণহানির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। শুধু তাই নয়, এই সময়কালে মারা যাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রেও চিত্র ভয়াবহ— প্রায় ৪ হাজার ৮০০ শিশুর মধ্যে ১ হাজার…

Read More

প্রায় আশি বছর আগেকার কলকাতা ও নোয়াখালী দাঙ্গা আবারও সামনে চলে এসেছে এক বলিউড ছবিকে ঘিরে। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর নতুন ছবি দ্য বেঙ্গল ফাইলস মুক্তির আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গ এবং সারা ভারতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অগ্নিহোত্রী গত এক মাস ধরে টুইটার ও ফেসবুকে ১৯৪৬ সালের নোয়াখালীর দাঙ্গার নানা বিতর্কিত বর্ণনা তুলে ধরছেন। তার দাবি, দেশভাগের আগের এই হত্যাযজ্ঞ ও কলকাতার ভয়াবহ দাঙ্গার ইতিহাসই সিনেমার মূল প্রেক্ষাপট। এই প্রচারণা চলচ্চিত্রটির মুক্তিকে ঘিরে জনমনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, ছবিটি রাজ্যের কোনও সিনেমা হলে প্রদর্শন করা যাবে না। তাদের যুক্তি—এটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এমনকি…

Read More

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় বহু শতাব্দী ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। পাহাড়ের চূড়ায় শিবমন্দিরকে ঘিরে প্রতিবছর হাজারো ভক্ত আসেন এখানে। সম্প্রতি এই তীর্থস্থানের শান্ত পরিবেশ নষ্ট হয় একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে, যা মুহূর্তেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ঢাকার জুতা ব্যবসায়ী এম এম সাইফুল ইসলাম ১৫ আগস্ট পাহাড় ভ্রমণের পর ফেসবুকে লেখেন, দেশে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হলেও চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কোনো মসজিদ নেই। তিনি মনে করেন, মুসলিম পর্যটকদের জন্য নামাজের জায়গা থাকা উচিত। এর পরের দিন তিনি আরও একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, “আজ না হোক কাল, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে নামাজের জায়গা হবেই।” এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ…

Read More

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে নিজেকে একাধিকবার শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার সময় তিনি দাবি করেছিলেন যে, তিনি ছয়টি যুদ্ধ শেষ করেছেন এবং যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে স্থায়ী শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে এসব দাবি যাচাই করলে বাস্তবতার সঙ্গে বড় ধরনের অমিল দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি যুদ্ধবিরতিকে শান্তি চুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, আবার কিছু ক্ষেত্রে তার ভূমিকা আদৌ ছিল না। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক তার আমলে আরও উত্তপ্ত হয়েছিল। ইরানি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা হয়। এটিকে তিনি শান্তি চুক্তি হিসেবে দেখালেও বাস্তবে তা ছিল সাময়িক বিরতি।…

Read More

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় আড়িপাতা ও নজরদারির বিষয়টি আজ শুধু রাজনৈতিক আলোচনার অংশ নয়, বরং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও গোপনীয়তা প্রশ্নেও গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। গত দশকে যে হারে নজরদারি প্রযুক্তি কেনা হয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতেই ব্যবহৃত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। জর্জ অরওয়েলের “বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং ইউ” কল্পকাহিনীর বাস্তব রূপ যেন বাংলাদেশে দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও এই বিতর্ক থেকে যায়। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নজরদারি ও স্পাইওয়্যারের পেছনে খরচ করেছে প্রায় ১৯ কোটি ডলার, যা দুই হাজার কোটির বেশি টাকায় দাঁড়ায়। টেক গ্লোবাল ইন্সটিটিউটের গবেষণা…

Read More

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা প্রতিদিন আরও গভীর হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের কথাবার্তা, উপদেষ্টাদের ভিন্নমুখী বক্তব্য, নতুন দলগুলোর হুমকি এবং বিরোধী দলের অভিযোগ—সব মিলিয়ে জনমনে এখন এক ধরনের বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বারবার ঘোষণা করেছেন যে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, তবুও পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে, নানা কারণে এই সময়সীমা নিয়ে সংশয় ক্রমেই বাড়ছে। এই অনিশ্চয়তার শুরু এক ধরনের রাজনৈতিক নাটকীয়তার ভেতর দিয়েই। লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে দুই নেতার বৈঠককে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় বাঁক বদলের সূচনা হিসেবে দেখা হয়েছিল। সেখানে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের পর যত দিন…

Read More

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃদেশীয় মানবপাচার বহুদিন ধরেই একটি গভীর সংকট হিসেবে বিদ্যমান। সম্প্রতি হায়দরাবাদ শহরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া এক কিশোরীকে উদ্ধার করার মধ্য দিয়ে এই সমস্যাটি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। এ ঘটনা শুধু কোনো একক অপরাধ নয়, বরং একটি দীর্ঘদিনের সংগঠিত অপরাধচক্রের প্রতিফলন, যেখানে দারিদ্র্য, প্রতারণা, মাফিয়া নেটওয়ার্ক এবং দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একসাথে মিশে গেছে। গত দুই দশকে হায়দরাবাদ শহরে একাধিকবার পতিতালয় থেকে বাংলাদেশি নারীদের উদ্ধার করা হয়েছে, আর প্রতিবারই এই প্রশ্ন সামনে এসেছে—কীভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবৈধভাবে মানুষ পাচার হয়, কারা এর সঙ্গে জড়িত, এবং কেন এত বছরেও এটি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ…

Read More

আলাস্কার আকাশে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের করমর্দনের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে, তখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে—এটি কি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য, নাকি এর ভেতরে লুকিয়ে আছে ভূরাজনৈতিক নতুন সমীকরণ? লালগালিচায় অভ্যর্থনা, সৌজন্যমূলক বক্তব্য এবং দীর্ঘ বৈঠকের প্রতিশ্রুতির মধ্যেও দেখা গেছে ক্ষমতার রাজনীতি, ব্যক্তিগত মনস্তত্ত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতার ছাপ। এই বৈঠককে অনেক বিশ্লেষক কেবল এক সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখেননি। বরং তারা মনে করেন, পুতিন এখানে ব্যবহার করেছেন তাঁর গুপ্তচরজীবনের অভিজ্ঞতা—কীভাবে প্রশংসা, মনস্তাত্ত্বিক চাপ এবং প্রতীকী ইঙ্গিতের মাধ্যমে একজন আত্মপ্রেমী নেতাকে প্রভাবিত করা যায়। কিয়েভভিত্তিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পুতিন ট্রাম্পকে প্রশংসার মাধ্যমে এমনভাবে আবদ্ধ করেছেন, যাতে…

Read More