Author: ডেস্ক রিপোর্ট

গাজা উপত্যকা যেন এখন এক চলমান গণকবর। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে রক্তে রঞ্জিত হয়েছে প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি ভবন, প্রতিটি শিশুর মুখ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বর্বর অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ হাজার ৫২৩ জন মানুষ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নিহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধের নৃশংসতা কেবল যোদ্ধাদের গায়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি—সাংবাদিক, চিকিৎসক, ত্রাণকর্মী ও সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকও এর শিকার হয়েছেন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১০৫টি মৃতদেহ। আহত হয়েছেন আরও ৩৫৬ জন। এই নিয়ে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে…

Read More

ওয়াশিংটনে একের পর এক বৈঠকে ব্যস্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে মরিয়া তারা। একদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাপে হাঁপিয়ে ওঠা বাস্তবতা—এই দুইয়ের মাঝখানে চলছে এক জটিল দরকষাকষি। ৯ জুলাইয়ের (বাংলাদেশ সময় ১০ জুলাই) আগে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মার্কিন প্রশাসনের সদয় মনোভাব পাওয়ার আশায় বাংলাদেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ লাখ টন গম কিনতে যাচ্ছে, যেখানে টনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ ডলার বেশি খরচ পড়বে। শুধুমাত্র ট্রাম্প প্রশাসনের মন রক্ষার জন্যই এই লোকসানের সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং…

Read More

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় একটি শব্দ প্রায় সবার মুখে মুখে ঘুরছে—মূল্যস্ফীতি। বাজারে গেলে সবকিছুর দাম বাড়তির দিকে। চাল, ডাল, তেল, মাংস—প্রতিটি জিনিসেই আগের চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। মানুষ বলছে, “সব কিছুর দাম বাড়ছে, টাকার দাম কমে গেছে।” কিন্তু আসলে কেন এমন হচ্ছে? মূল্যস্ফীতি কীভাবে কাজ করে? কেন তা বাড়ে? এবং এর হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়? মূল্যস্ফীতি মূলত এমন একটি অর্থনৈতিক অবস্থা, যেখানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে এবং একই পরিমাণ টাকায় আগের মতো পণ্য কেনা সম্ভব হয় না। এই অবস্থাকে অনেকে বলেন টাকার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস। ১৯৭২ সালে যেটা ৫ টাকায় পাওয়া যেত, আজ…

Read More

ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলের ভয়াবহ জলবায়ু সংকট এখন আর শুধু কোনো প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার বিষয় নয়—এটা একটি সামাজিক, প্রশাসনিক এবং নৈতিক ব্যর্থতার প্রতিফলন। হিমাচল প্রদেশে মাত্র এক মাসের বর্ষায় ১৯টি মেঘফাটা বৃষ্টি ও ২৩টি চকিত বন্যায় ৭৮ জন প্রাণ হারানো কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়, বরং এই ধরনের বিপর্যয়গুলো ক্রমাগত বেড়ে চলেছে এবং তা স্পষ্টতই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া। হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, কেরালা বা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মতো পাহাড়ি এলাকাগুলো বরাবরই প্রাকৃতিক দিক থেকে সংবেদনশীল। কিন্তু গত এক-দেড় দশকে এই রাজ্যগুলোর উপর যে ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা অনেকাংশেই মানুষের অসচেতন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার ফসল। যেখানে ২০২৩ সালে হিমাচলে ৪২৮ জন মানুষ…

Read More

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম হচ্ছে। রাজনীতির মঞ্চে তোলা হচ্ছে এমন সব দাবি, যেগুলোর বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। এরই মধ্যে একটি বিতর্কিত প্রস্তাব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে—ভোটের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর দাবি। এই দাবি এসেছে মূলত ইসলামপন্থী দলগুলোর কাছ থেকে, যারা দীর্ঘদিন ধরে সংসদে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বিষয়টি এখন আর শুধু তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এই দাবিকে ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যদি এই পদ্ধতি বাস্তবায়িত হয়, তবে পতিত আওয়ামী লীগ ভিন্ন নামে আবারও সংসদে ফিরে আসতে পারে—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষভাবে প্রার্থী নয়, ভোট পড়ে রাজনৈতিক…

Read More

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রশ্নে সম্প্রতি বিএনপিকে ঘিরে বিতর্ক ও প্রচারণা তীব্র হয়েছে। দলটি অভিযোগ করছে, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাদের সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করতে চাইছে। গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে কঠোর ভাষায় কথা বলেন। তিনি জানান, কিছু গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে জনগণ এতে সাড়া দিচ্ছে না। সংস্কার নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তখনই উঠল যখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শেষ ধাপের আলোচনায় প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে নবগঠিত দল এনসিপির অভিযোগ—বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দলের জন্য মৌলিক সংস্কার থমকে গেছে। জামায়াতে ইসলামীর প্রাক্তন নেতাদের নেতৃত্বে থাকা এবি পার্টির এক সদস্য আরও সরাসরি বলেন, পরিবর্তনের…

Read More

প্রায় ২৯ বছর আগে, ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই, বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে। স্কটল্যান্ডের এডিনবরার রসলিন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়ার দেহকোষ থেকে ক্লোন করে একটি ভেড়ার জন্ম দেন। তার নাম ছিল ডলি। এটি ছিল প্রথম স্তন্যপায়ী প্রাণী, যাকে প্রাপ্তবয়স্ক কোষ থেকে ক্লোন করা হয়েছিল। এই আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক জগতে যেমন আলোড়ন তোলে, তেমনি নৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করে। ডলির জন্ম হয় ‘সোমাটিক সেল নিউক্লিয়ার ট্রান্সফার’ নামের একটি পদ্ধতিতে। বিজ্ঞানীরা একটি ফিন ডরসেট প্রজাতির ভেড়ার স্তনগ্রন্থির কোষ ব্যবহার করেন, যাতে পুরো জিনগত তথ্য থাকে। অন্যদিকে, একটি স্কটিশ ব্ল্যাকফেস ভেড়ার ডিম্বাণু থেকে নিউক্লিয়াস বের করে দেওয়া হয়। এরপর ঐ স্তনগ্রন্থির কোষ…

Read More

বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে সাম্প্রতিক এক বছর যেন এক বিপরীত বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘদিন বিরোধী রাজনীতির ধারা ধরে রাখা বিএনপি, বর্তমান ক্ষমতা শূন্য অবস্থায় এক অদ্ভুত রূপ নিচ্ছে মাঠপর্যায়ে। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত, দেশজুড়ে চার হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে তাদেরই সংগঠনকে। এর পেছনে যে বাস্তবতা কাজ করছে তা একাধিক স্তরে বিশ্লেষণ দাবি করে। যুদ্ধপরবর্তী দেশগুলোর মতো, বাংলাদেশেও রাজনীতির শূন্যতা বা পরিবর্তনের পর নতুন একটি দল যখন নেতৃত্বের সম্ভাবনা তৈরি করে, তখন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে একপ্রকার “অঘোষিত নিয়ন্ত্রণ” ও কর্তৃত্ব গড়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের পতনের পর ঠিক এমনটাই দেখা…

Read More

বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার একটি ছোট গ্রাম বাগুনি—স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে। কারণ এখানকার অনেক বাসিন্দাই দারিদ্র্য ঘোচাতে নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে ৪৫ বছর বয়সী সাফিরউদ্দিন তার কিডনি বিক্রি করেন ভারতের এক রোগীর কাছে। দাম পান ৩৫০,০০০ টাকা (প্রায় ২৮৫০ ডলার)। স্বপ্ন ছিল একটি বাড়ি বানাবেন সন্তানদের জন্য। কিন্তু বাড়ি এখনও অসমাপ্ত, টাকা শেষ, আর শরীরের যন্ত্রণা এখন নিত্যসঙ্গী। তিনি এখন কাজ করেন একটি ঠান্ডা ঘরের শ্রমিক হিসেবে। কাজ করতে গিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, কারণ অস্ত্রোপচারের পর তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। “আমি সব করেছি পরিবারকে ভালো রাখতে। স্ত্রী-সন্তানদের জন্যই নিজের শরীর…

Read More

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে নতুন ট্রেন চালুর পেছনে রাজনৈতিক নেতাদের ইচ্ছা ও চাপ বড় ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে বহু ট্রেন চালু করা হয়, গন্তব্য পরিবর্তন হয়, এমনকি নতুন স্টেশনে ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার অনেকগুলোই ছিল আর্থিকভাবে অকার্যকর। এভাবে রাজনৈতিক আবদারে পরিচালিত এই সিদ্ধান্তগুলো এখন রেলওয়ের ওপর চরম আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। ২০১৪ সালে চালু হওয়া বিজয় এক্সপ্রেস প্রথমে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত চললেও ২০২৩ সালে জামালপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো গবেষণা বা সমীক্ষা করা হয়নি। রুট পরিবর্তনের ফলে যাত্রীর সংখ্যা কমে যায়, আর বর্তমানে…

Read More