Author: ডেস্ক রিপোর্ট

When the Liberation War of 1971 erupted, India’s involvement was hailed worldwide as the act of a benevolent neighbor coming to the rescue of millions of suffering Bengalis. This is the dominant narrative taught to generations, repeated in political speeches, and cemented in textbooks. But the hidden story beneath the surface tells a different tale. India’s actions, though decisive, were not motivated purely by compassion or solidarity. They were driven by calculation, strategy, and a cold assessment of national interest. The dark side of India’s involvement in 1971 is that it turned Bangladesh into a tool for its own geopolitical…

Read More

২০১৮ সালে শুরু হওয়া এক দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার পরে, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে রাজনীতি ও শাসন ব্যবস্থায় এমন একটি পর্যায় আসছে যেখানে ‘সংস্কার’ এক কার্যকর রাজনৈতিক দাবিতে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের জুলাই‐আগস্টে শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও জনতার আন্দোলন, আন্দোলনের ওপর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের ঘন জোরাজুরি শেষে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুসন্ধান কমিটি ও সংস্কার‐কমিশন গঠন করেন: নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতিবোধ ও তথ্য অধিকার ইত্যাদির মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে। ঐকমত্য কমিশন, যা এমন একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন পার্টি, গোষ্ঠী ও অভ্যাগত নাগরিক অংশগ্রহণ করছিল,…

Read More

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতবর্ষে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের নিয়ে যে গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতজুড়ে শরণার্থী শিবিরগুলোতে কী ঘটেছিল, কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ চরম দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে জীবন যাপন করেছিল এবং কত বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দীর্ঘদিন ধরেই আংশিক তথ্য আর টুকরো স্মৃতির ওপর ভিত্তি করে বলা হতো। এবার যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক নাজমুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী গবেষক কৌস্তভ অধিকারী এবং মাহবুবুর রহমান জালালের এক দশকের বেশি সময় ধরে করা গবেষণার ফলাফল একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা সামনে এনেছে। তাদের গবেষণায় বলা হচ্ছে, ভারতের ১৭টি শরণার্থী শিবিরের রেকর্ড অনুযায়ী অন্তত সাড়ে ছয় লাখ…

Read More

ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে একটি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত সংগঠন। এর জন্ম হয় ১৯৭৭ সালে জামায়াতে ইসলামী–সংলগ্ন ছাত্র সংগঠন হিসেবে। জন্মলগ্ন থেকেই শিবির নিজেদের লক্ষ্য স্থির করে ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই আদর্শে গড়ে তোলা। সংগঠনটির আদর্শিক মূলনীতি ছিল শরীয়াভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা, আর সেই লক্ষ্যেই তারা ধীরে ধীরে নিজেদের বিস্তার ঘটায় বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসায়। শুরুতে এটি ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করার সংগঠন হিসেবে পরিচিত হলেও দ্রুতই রাজনৈতিক চরিত্র ধারণ করে নেয়। আশির দশকে সামরিক শাসনের সময় শিবির ছাত্রশক্তি হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ বড় বড় শিক্ষাঙ্গনে তারা নিজেদের আধিপত্য…

Read More

গাজায় ত্রাণ বিতরণের “নিরাপত্তা” আজ যে রাজনৈতিক প্রতীকে ভরা, তার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ হলো মার্কিন বাইকার গ্যাং ‘ইনফিডেলস এমসি’-র সদস্যদের একটি বেসরকারি ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত করা—আর সেই দলটির সদস্যরা বহু বছর ধরে প্রকাশ্যে ইসলামবিদ্বেষী ভাষ্য ও ক্রুসেড-প্রতীক ব্যবহার করে এসেছে। এই চিত্রটি কেবল একটি নৈতিক ব্যত্যয় নয়; এটি সাহায্যকেন্দ্রগুলোর সামনে প্রতিদিন যে অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক ও রক্তক্ষয়, সেটিকেও তীব্র করে তোলে। ব্রিটেনে বহু মাধ্যমে প্রতিধ্বনিত বিবিসির অনুসন্ধান দেখিয়েছে—গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) যে বিতরণ কেন্দ্রগুলো চালাচ্ছে, সেখানকার সশস্ত্র নিরাপত্তায় কাজ করছে ‘ইউজি সলিউশনস’ (UG Solutions) নামের কন্ট্রাক্টরের অধীনে থাকা অন্তত দশ জন ইনফিডেলস সদস্য; নেতৃত্বেও রয়েছেন তাদের কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তি। ইনফিডেলস এমসি-র…

Read More

নেপালের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগের পর নিজের দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ তুলেছেন যে ভারতবিরোধিতার কারণেই তিনি ক্ষমতা হারিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, যদি তিনি লিপুলেখ অঞ্চল নিয়ে প্রশ্ন না তুলতেন কিংবা অযোধ্যা ও দেবতা রামকে ঘিরে বিতর্কিত বক্তব্য না দিতেন, তবে হয়তো প্রধানমন্ত্রীর পদে টিকে থাকতে পারতেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর জেন-জির আন্দোলনের চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর গুঞ্জন ছড়ায় তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তবে পরে জানা যায়, তিনি নেপালের সেনাবাহিনীর শিবপুরি ব্যারাকে অবস্থান করছেন। অলি মনে করেন, লিপুলেখ ও কালাপানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়াই তার পতনের অন্যতম কারণ। ১৮১৬ সালের সুগৌলি…

Read More

মানুষ আসলে কখনো স্থির হয়নি, বরং সে এক অবিরাম যাত্রার ফল। কয়েক মিলিয়ন বছর আগে যখন আমাদের পূর্বপুরুষরা আফ্রিকার বনে ঘুরে বেড়ানো এক ধরণের প্রাইমেট ছিল, তখন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে একদিন তারা দাঁড়িয়ে হাঁটবে, আগুন আবিষ্কার করবে, ভাষা সৃষ্টি করবে, সভ্যতা গড়ে তুলবে। আজকের আধুনিক মানুষ—হোমো স্যাপিয়েন্স—হচ্ছে সেই দীর্ঘ বিবর্তনের সাফল্য। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়: আমরা কি এখন শেষ বিন্দুতে এসে পৌঁছেছি? নাকি মানুষ এখনো বদলাচ্ছে, আর ভবিষ্যতে হয়তো একেবারেই অন্যরকম হয়ে উঠবে? এই প্রশ্ন নতুন নয়। বিজ্ঞানের আলোচনায়, দর্শনের বিতর্কে এবং এমনকি সাহিত্যের কল্পনায়ও মানুষ সবসময় ভেবেছে তার ভবিষ্যৎ রূপ নিয়ে। বিবর্তন কি থেমে গেছে? মানুষ কি…

Read More

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়কে শুধু একটি ছাত্ররাজনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা যায় না, বরং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথের একটি বড় ইঙ্গিত। অতীতে যে সংগঠনটি কখনও ডাকসুর কোনো পদে জয়ী হতে পারেনি, তারা এবার ভিপি, জিএসসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টি দখল করেছে। এটি প্রমাণ করে, দীর্ঘ সময় নিষিদ্ধ বা প্রান্তিক অবস্থায় থাকার পরও তারা সাংগঠনিক শক্তি হারায়নি, বরং নতুন প্রজন্মের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের শাসনের পতনের পর যে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সেটি ইসলামপন্থীরা দ্রুত পূরণ করতে চাইছে। ২০১৩ সালের পর জামায়াতে ইসলামীর ওপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলেও তাদের…

Read More

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সাম্প্রতিক তিয়ানজিন সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। এ সম্মেলন কেবল আঞ্চলিক সহযোগিতার মঞ্চ নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টির ইঙ্গিতও দিয়েছে। একদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা সংকট এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলেছে, অন্যদিকে এসসিও এই অস্থিরতার মধ্যে বহুপক্ষীয়তার শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে চাচ্ছে। এখানে চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন পরাশক্তি নিজেদের অবস্থানকে নতুনভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত বহন করে। সম্মেলনে বিশ্বের বিশটি দেশ ও দশটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,…

Read More

গাধা শব্দটি আমাদের সমাজে একদিকে বাস্তব প্রাণীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, আবার অন্যদিকে বোকা বা অযোগ্য কাউকে ব্যঙ্গ করার ভাষা হিসেবেও প্রচলিত। অথচ এই প্রাণীটি প্রকৃতপক্ষে যে চিত্র আমাদের চোখে ধরা হয় তার সঙ্গে বাস্তবতা মেলে না। মানুষের কল্পনা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক ভাষাচর্চায় গাধা এক ধরনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ফলে প্রশ্ন আসে—গাধা কি আসলেই গাধা, নাকি মানুষ নিজের সুবিধার্থে তাকে এমনভাবে তুলে ধরেছে? গাধা মূলত ঘোড়ার কাছাকাছি প্রজাতির একটি প্রাণী। হাজার হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ পরিবহনের কাজে, পণ্য বহনে এবং কৃষিকাজে গাধাকে ব্যবহার করেছে। মরুভূমি বা পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে ঘোড়া বা অন্য পশু টিকতে পারে না, সেখানে গাধা সহজেই চলাফেরা…

Read More