Author: ডেস্ক রিপোর্ট

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ডলারের দাম বৈশ্বিক বাজারে ১০ শতাংশের বেশি কমে গেছে, যা ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণমান পরিত্যাগ করার পর ডলারের বড় ধস দেখা গিয়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার পতনের পেছনে আছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কনীতি, আত্মকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতির ওপর আস্থার হ্রাস। ডলার দুর্বল হয়ে পড়ায় মার্কিন জনগণের বিদেশে ভ্রমণের খরচ বেড়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে এমন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রকে তার বাড়তে থাকা বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য আরও বেশি ঋণ নিতে হচ্ছে।…

Read More

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বব্যাপী যে বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রমে ব্যাপক কাটছাঁট আরোপ করেছে, তা শুধু কূটনৈতিক ভারসাম্য নয়—মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারও উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এই তহবিল সংকোচনের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে, যাঁদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু। এই সংখ্যা কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়; এটি মানবতার জন্য এক ভয়াবহ সতর্কবার্তা। গবেষণাটি করেছে বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের (আইএসগ্লোবাল) গবেষক দল, যেখানে ১৩৩টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ চালানো হয়েছে। তারা দেখিয়েছে, ইউএসএআইডির কার্যকরী তহবিলের মাধ্যমে ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি ১০…

Read More

২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয় কোটা-বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তা একদিকে যেমন জাতীয় সচেতনতা গড়ে তোলে, অন্যদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্ত প্রতিক্রিয়াও সামনে আসে। একবছর পেরিয়ে সরকার এখন সেই আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সেই উদ্যোগই আবার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে—এই কি তবে আরেক ধরনের ‘কোটা’ চালুর পথ? সরকার ঘোষিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, নিহতদের ‘শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। শ্রেণিভেদে ‘অতি গুরুতর আহত’দের ‘ক’ শ্রেণি, ‘গুরুতর আহত’দের ‘খ’…

Read More

আমাদের পৃথিবীতে একসময় এমন সময় ছিল যখন যৌনতা বলে কিছু ছিল না। জীবনের শুরুতে সমস্ত জীবজন্তু এককোষীয় ও একবংশবাহী ছিল। অর্থাৎ তারা নিজেদের কোনো সঙ্গীর প্রয়োজন ছাড়াই নিজেদের ক্লোন করে বংশ বিস্তার করত। এই ছিল জীবনের সবচেয়ে সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর পদ্ধতি। প্রত্যেক সদস্য স্বতন্ত্রভাবে বংশবিস্তার করত, নিজেকে দুই ভাগে বিভক্ত করে তাদের ডিএনএ নকল করত। খাবার খাওয়া এবং শিকার থেকে বাঁচার পাশাপাশি একমাত্র কাজ ছিল জীবের এই পুনরুৎপাদন। কিন্তু এই এককোষীয় জীবজন্তুরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত হতে শুরু করলো। প্রোক্যারিওট নামক এককোষীয় প্রাণীরা একে অপরের সাথে ডিএনএ আদান-প্রদান করতে শিখল, যা তাদের জাতিকে নতুন বৈশিষ্ট্য ও অভিযোজনের সুযোগ দেয়।…

Read More

নেটো সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) ৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত খাতে। নেটোর মহাসচিব মার্ক রুটে একে “একটি ঐতিহাসিক ঝাঁপ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা নাকি একশো কোটিরও বেশি মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে এই বিশাল সামরিক ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি আদৌ সত্যিকার অর্থে নিরাপত্তা এনে দেবে কিনা, কিংবা কার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে – সেটিই এখন প্রশ্নের বিষয়। যেখানে একসময় ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রাই অনেক নেটো সদস্যের কাছে দুরূহ মনে হতো, সেখানে এখন তার দ্বিগুণেরও বেশি খরচের প্রতিশ্রুতি যেন এক প্রকার বিস্ময়কর পালাবদল। ২০০২ সালে প্রথম ২ শতাংশ লক্ষ্য…

Read More

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে দেশটি—যেখানে জনগণের একাংশ বিচার ব্যবস্থায় আস্থা হারিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, আর সরকার তার মুখে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও বাস্তবতায় তার প্রতিফলন খুবই ক্ষীণ। অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র সাত মাসেই দেশে ১১৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যাতে নিহত হয়েছেন ১১৯ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন। এ ধরনের সহিংসতার প্রতিটি দৃশ্য যেন মানবাধিকারের উপর এক নির্মম আঘাত, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার এক জ্বলন্ত প্রমাণপত্র। এই সময়কালে গণপিটুনি, গণধোলাই, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সংখ্যালঘুদের হেনস্তার মতো ঘটনা সামনে এসেছে ধারাবাহিকভাবে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরানো…

Read More

বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ৯ হাজার ১০০টি—যা শুধু একটি সংখ্যাতাত্ত্বিক চিত্র নয়, বরং একটি সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের নির্মম দলিল। পুলিশ সদর দপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রতি মাসেই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। মে মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৭টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা আগের মাসগুলোর তুলনায় ক্রমবর্ধমান হারের ইঙ্গিত দেয়। শুধু ঢাকা মহানগরীতেই (ডিএমপি) এ সময়কালে ৮০৫টি মামলা হয়েছে। এই চিত্রটি বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা ভয়াবহ বাস্তবতা দেখতে পাই—২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে মামলা ছিল ৭ হাজার ৩১৩টি, অর্থাৎ…

Read More

প্রাচীন মানুষরা কিভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতেন—এই প্রশ্ন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যতটা অবাস্তব মনে হয়, হাজার বছর আগে তা ছিল তাদের বাস্তবতা। আধুনিক প্রযুক্তি, মানচিত্র, কম্পাস, কিংবা জিপিএসের তো প্রশ্নই ওঠে না, সেই সময় তারা কেবল সূর্য, ঢেউ এবং অন্তর্দৃষ্টির উপর নির্ভর করেই উত্তাল সাগর অতিক্রম করেছিলেন। ‘ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’র অধ্যাপক ইয়োসুকে কাইফুর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি চমকপ্রদ গবেষণা সেই সাহসিকতারই এক জীবন্ত প্রমাণ তুলে ধরেছে। এই গবেষণায় মূল প্রশ্ন ছিল—প্রাচীন মানুষরা কীভাবে আজকের তাইওয়ান থেকে জাপানের দক্ষিণের দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতেন? কাইফু ও তার দল এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন আধুনিক প্রযুক্তি নয়, বরং প্রাগৈতিহাসিক কৌশল ও সরঞ্জামের সাহায্যে। তারা পাথরের যন্ত্রপাতি দিয়ে একটি…

Read More

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের মুহূর্ত এখন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ, নিবন্ধন স্থগিত, নেতৃত্বের বড় অংশ বিদেশে কিংবা কারাবন্দি। অথচ এ দলের লাখ লাখ সমর্থক এখনো দেশে আছেন—নিশ্চুপ, কিন্তু নির্ধারক। সেই নিরব ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনের আচরণ ও প্রস্তুতিতে স্পষ্ট হয়েছে, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছে এবং ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু মূল প্রশ্নটা ভোটারদের ঘিরেই—বিশেষ করে আওয়ামী ঘরানার ভোটারদের নিয়ে। বিএনপির মনে হচ্ছে,…

Read More

আসামের ডিব্রুগড় শহরে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভেঙে ফেলা হয়েছে একটি ১২৮ বছরের পুরনো মসজিদ, যার নাম ছিল চাউলখোয়া জামা মসজিদ। শহরের বকুল এলাকা থেকে সেসা সেতু পর্যন্ত একটি প্রধান নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিব্রুগড় পৌর বোর্ডের কমিশনার জয় বিকাশ। তিনি দাবি করেন, শহরের কৃত্রিম বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাই শহরের বৃহত্তর স্বার্থে মসজিদটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের বক্তব্য, মসজিদ ভাঙার আগে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। তবে ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক…

Read More