…
এডিটর পিক
পতিত স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হবে? গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার বিপ্লবের…
Trending Posts
-
অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেউলিয়া, বিপন্ন বাংলাদেশের হাজারো শ্রমিক
নভেম্বর ২২, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ইতিহাস: ৬শ’ বছরের অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের নেপথ্যে যে কারণ
নভেম্বর ২০, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
মিলিত হতে চলেছে দুই বিশাল ব্ল্যাকহোল: কী ঘটবে মহাকাশে?
নভেম্বর ১৭, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
৪০০০ আলোকবর্ষ দূরে শ্বেতবামনকে প্রদক্ষিণ করছে আরেক ‘পৃথিবী’
নভেম্বর ১৯, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেউলিয়া, বিপন্ন বাংলাদেশের হাজারো শ্রমিক
নভেম্বর ২২, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ইতিহাস: ৬শ’ বছরের অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের নেপথ্যে যে কারণ
নভেম্বর ২০, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
মিলিত হতে চলেছে দুই বিশাল ব্ল্যাকহোল: কী ঘটবে মহাকাশে?
নভেম্বর ১৭, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
৪০০০ আলোকবর্ষ দূরে শ্বেতবামনকে প্রদক্ষিণ করছে আরেক ‘পৃথিবী’
নভেম্বর ১৯, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকের প্রস্তুতি, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিএনপি কি পারবে পথ দেখাবে?
- অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেউলিয়া, বিপন্ন বাংলাদেশের হাজারো শ্রমিক
- আওয়ামী লীগের শেষ পরিণতি কী হবে?
- পৃথিবী কি পুরুষ-শূন্য হওয়ার পথে?
- হত্যা ও নির্যাতনের বিচারের পর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে আওয়ামী লীগ
- পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস সন্ত্রাসীদের, দেখা যায় বিএনপির সভায়
- যে ‘ষড়যন্ত্রের’ ভয় পাচ্ছে বিএনপি
Author: তপন চাকমা
গত ২৬ এপ্রিল বান্দরবানের “লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড”-এর দেয়া আগুনে লামা উপজেলার ৩’টি দুর্গম ম্রো পাড়ার প্রায় ৪০’টি পরিবার যথেষ্ট খাদ্য এবং খাবার পানির সংকটে রয়েছে। পাড়াগুলো হলো দুর্গম লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া ও রেংয়ান ম্রো পাড়া। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দেয়া আগুনে তিনটি পাড়ার মোট একশ একরের অধিক বিভিন্ন ফলজ বাগান পুড়ে ছাই হয়ে যায় স্থানীয় আদিবাসীদের। যে বাগানের উপর নির্ভরশীল ছিলো তাদের বাঁচা-মরার অস্তিত্ব। বর্তমানে লামার ৩’টি পাড়ার স্থানীয় আদিবাসীরা খাদ্যভাবে বনের লতাপাতা খেয়ে মানবেতর জীবনের সর্বোচ্চ উপত্যকায় বসে হতাশার দিন গুনছে। ঘরে খাবার নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ বনের পাহাড়ি লতাপাতা সিদ্ধ করে খেয়ে কোনমতে চোখে…
আজ ২০’শে মে ২০২১। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৮৯ সালের ৪’ঠা মে সেনাবাহীনির ছত্রছায়ায় সেটেলার বাঙালী কতৃক আদিবাসীদের উপর সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে জন্ম হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র লড়াকু ছাত্র সংগঠন “পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের”। সেই পাশবিক গণহত্যায় ছোট্ট শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ কেউ রক্ষা পায়নি শাসকশ্রেণীর বর্বরতা থেকে। সেই গণহত্যার প্রতিবাদে হাজারো বাধা উপেক্ষা করে তরুণ ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয় পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) নামের আদর্শিক পাঠশালায়। বুলেটের ন্যায় অদম্য-অপ্রতিরোধ্য গতিধারায় অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ও অধিকারহীন মানুষের মুক্তির দিশারি আপোষহীনভাবে ছুটে চলা এই ছাত্র সংগঠনের অন্যতম হাতিয়ার হলো তরুণ ছাত্র সমাজ। প্রজন্ম…
আজ ১’লা মে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপ্লবী নারীনেত্রী কল্পনা চাকমার ৪৫’তম জন্মদিন। ১৯৭৬ সালের আজকের এইদিনে রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের এক শ্রমঘনিষ্ঠ পরিবারে জন্ম হয় বিপ্লবী নারী নেত্রী কল্পনা চাকমার। পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা “কল্পনা চাকমা” ছিলেন বেশ অন্তর্মূখী ও শান্ত স্বভাবের। শৈশব থেকেই চরম দারিদ্র, সামাজিক বৈষম্য, নারী পুরুষের ভেদাভেদ ও জাতিগত নীপিড়ন-নির্যাতন দেখে বড় হয়েছেন কল্পনা চাকমা। নিজেকে বোঝার সাথে সাথেই ছাত্রজীবন থেকে(এসএসসি পাশ করার পরে) যোগ দেন পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াকু নারী সংগঠন “হিল উইমেন্স ফেডারেশন”-এর সাথে। হিল উইমেন্স ফেডারেশনকে অন্যায় ও বৈষম্যর প্রতিবাদী মঞ্চ হিসেবে পেয়ে রপ্ত করলেন রূখে দাড়ানোর মন্ত্র। শৈশবে…
পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব এখন চরম সংকটাপন্ন ও ক্রান্তির অবস্থানে দাঁড়ানো। পাহাড়ের প্রকৃতিও এখন বেশ হতাশ। যাপিত বাস্তবতার উপত্যকায় দাঁড়ানো পাহাড়ের জীববৈচিত্রতার আর্তচিৎকার। প্রকট থেকে অধিকতর প্রকটভাবে ধ্বনিত পাহাড়ের ক্রন্দন। সবমিলিয়ে পাহাড় কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা এবং পাহাড়ের সহজ সরল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীগুলোর অস্তিত্ব বর্তমানে ব্যাপক হুমকির মূখে পতিত। একসময় পাহাড় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির অনুকূলে বেশ সবুজ ছিলো, কিন্তু এখন আর নেই। সবুজ পাহাড়কে বিবর্ণ করা হয়েছে। চরম বিবর্ণ!!! যে বিবর্ণের হিংস্র ছাঁয়াই পাহাড়কে তিলে তিলে মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পর্যবসিত হতে হচ্ছে। পাহাড়ের ভূমিপুত্র আদিবাসীরা একসময় তাদের জন্মভূমি পাহাড়ের বুকে প্রাণভরে উচ্ছাসিত নিশ্বাস নিতে পারতো, এখন আর সেটা…
কল্পনা চাকমাকে দিয়ে শুরু করা যাক। কল্পনা চাকমা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন সাহসী নারী। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র লড়াকু নারী সংগঠন “হিল উইমেন্স ফেডারশন” এর তৎসময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন কল্পনা চাকমা। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নারী মুক্তির আন্দোলনে তাঁর প্রতিবাদী বজ্রকন্ঠ ছিলো সবসময় সোচ্চার। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউলাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ীতে কল্পনা চাকমাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট “ফেরদৌস” এর নেতৃত্বে রাতের আধারে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৪টি বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো অপহরণকারীদের হয়নি সুষ্ঠু বিচার। দেশের বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে কল্পনা চাকমা অপহরণের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি…
১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ দুইভাগ হয়ে ১৪′আগস্ট সৃষ্টি হয় ‘পাকিস্তান’ এবং ১৫ আগস্ট সৃষ্টি হয় ‘ভারত’ নামক রাষ্ট্র। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পূর্ব-পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম-পাকিস্তানের অবহেলা আর বৈষম্য। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো নিয়ে একাধিক আলাদা রাষ্ট্র গঠন করার কথা থাকলেও “মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ” লাহোর প্রস্তাব পরিবর্তন করে ঘোষণা করেন একাধিক আলাদা রাষ্ট্র গঠন না হয়ে একটি মাত্র রাষ্ট্র গঠন করা হবে এবং সেটি হবে পাকিস্তান। তার সেই ঘোষণার কারণে বাঙালীদের মনে জন্ম হয় হতাশা। কারণ বাঙালী মুসলমানরা চেয়েছিলো ভারতের পূর্বাংশ নিয়ে একটি স্বাধীন বাঙালী মুসলিম রাষ্ট্র গঠন করতে। কিন্তু ১৯৪৬…
তপন চাকমা : বাংলাদেশের একটি অংশ যার নাম “পার্বত্য চট্টগ্রাম”। পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠিত মূলত তিনটি জেলা নিয়ে রাঙ্গামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা।গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম বলা যায় মনোরম পরিবেশের সুউচ্চ পাহাড়ে ঘেরা।পাহাড়ের নদ নদী,পাহাড়ীয়া ঝর্ণা,বিশাল বিশাল দৃষ্টিনন্দিত সুউচ্চ পাহাড়,পাহাড়ের বুকে প্রাণবন্ত সহজ সরল সাদামাটা পাহাড়ী মানুষদের “জুম চাষ” সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় অন্যান্য থেকে পাহাড়ের প্রকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্রটা একদম আলাদা। পাহাড়ের প্রাণবন্ত সাদামাটা সহজ সরল মানুষগুলো কঠিন প্রকৃতিপ্রেমী। তারা প্রতিনিয়ত পাহাড়ী প্রকৃতির সাথে পাগলের মত মিতালী ঘটিয়ে নিজেদের স্বকীয়তাকে খূঁজে নেয়, খূঁজে পায় আনন্দ।পাহাড়ের মানুষগুলো আসলেই অদ্ভূত। তারা বেশ পরোপকারীও বটে। পাহাড় বেঁচে থাকুক চিরকাল। বেঁচে থাকুক পাহাড়ের বৈচিত্রময় প্রকৃতি। বেঁচে থাকুক…