Author: ডেস্ক রিপোর্ট

মুসলমানরা ভারতবর্ষ জয় করে প্রথমে অষ্টম শতকে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে এবং পরবর্তীতে দশম শতকে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে। কিন্তু তারও অনেক আগে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবদ্দশাতেই, সপ্তম শতকের প্রথম ভাগে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে ইসলাম প্রবেশ করে আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। আর সেখানেই নির্মিত হয় ভারতবর্ষের প্রথম মসজিদ- চেরামন জুমা মসজিদ। এটি শুধু ভারতবর্ষের প্রথম মসজিদই না, আরব বিশ্বের বাইরে নির্মিত পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ভারতবর্ষের বুকে প্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠার অবিশ্বাস্য গল্পটি। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমে, আরব সাগরের উপকূলে, বর্তমান কেরালা রাজ্যে এক হিন্দু রাজা ছিলেন, যার নাম ছিল চেরামন পেরুমল। কথিত আছে, একদিন তিনি…

Read More

বহুল আলোচিত তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। সেখানকার সেচ বিভাগ প্রায় এক হাজার একর পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করেছে। গতকাল শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছে। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকটে থাকা বাংলাদেশ নতুন করে সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পদক্ষেপের আওতায় জলপাইগুড়ি ও কোচ বিহার এলাকার আরও অনেক কৃষিজমি সেচের আওতায় আসবে। তবে নতুন খাল খননের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে ক্ষুব্ধ করবে। এতে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ কম পানি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচমন্ত্রী পার্থ…

Read More

গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে তারা বায়ু থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করে, গাছ এবং মাটিতে কার্বন সঞ্চয় করে এবং বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ছেড়ে দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ করতে সহায়তা করে। তবে সেই গাছই এখন ঝুঁকিতে। বৃক্ষরোপণই একমাত্র প্রতিহত করতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনকে। এতদিন এমনটাই মনে করে এসেছেন গবেষকরা। এই তত্ত্বে ভুলও নেই এতটুকু। কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে শোষণ করে তা খাদ্য কিংবা মাটিতে আবদ্ধ করে গাছ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘ল্যান্ড কার্বন সিঙ্ক’। ফলে, সার্বিকভাবে বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ কমতে থাকে। এবার সাম্প্রতিক গবেষণা জানাল, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের কার্যকলাপের জন্য ক্রমে কার্বন শোষণের ক্ষমতা হারাচ্ছে গাছ। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের প্রথম সারির…

Read More

মিশর নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পিরামিডের ছবি। নীলনদের তীরে সুপ্রাচীনকালে গড়ে ওঠা মিশরীয় সভ্যতার অনেকগুলো অনন্য নিদর্শনের মধ্যে নিঃসন্দেহে পিরামিড সবচেয়ে বিস্ময়কর ও রহস্যময়। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই পিরামিডকে ঘিরে। এমনকি আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও খুঁজে পাওয়া যায়নি পিরামিডের অনেক রহস্যের কূল কিনারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেট পিরামিডে লুকায়িত নতুন চেম্বার আবিষ্কৃত হয়েছে। মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস ও পর্যটন মন্ত্রী আহমেদ ইসা চেম্বার আবিষ্কারের এই ঘোষণা দেন। আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেয়া হয়েছে স্ক্যানপিরামিডস প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) মিশরীয় পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো খুফু পিরামিডের ভিতরে একটি লুকানো করিডোর আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশ…

Read More

২০০৯ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো উটের ক্লোনিং করেন নিসান আহমাদ ওয়ানি। বর্তমানে তিনি দুবাইয়ের রিপ্রোডাক্টিভ বায়োটেকনোলজি সেন্টারের বৈজ্ঞানিক পরিচালক। ক্লোনিং পদ্ধতি দুবাইয়ে এখন এতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, ওয়ানিকে আজকাল এ কাজটাই নয়টা-পাঁচটার চাকরির মতো করতে হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে দুবাইয়ে উটের ক্লোনিং নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে সিএনএন। ওয়ানি ও তার গবেষক দল এ সেন্টারে ক্লোনিং নিয়ে গবেষণা করেন, নতুন নতুন ক্লোনিং প্রযুক্তির বিকাশ ঘটান এবং কোষব্যাংকের ব্যবস্থাপনা করেন। এ সেন্টারে মহিষ ও ভেড়ার ক্লোনও করা হয়, তবে এখানে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয় উটের ক্লোনিংয়ের ওপর। প্রতিবছর এ সেন্টারে ক্লোনিং পদ্ধতিতে কয়েক ডজন ড্রোমেড্যারি উটের বাচ্চা তৈরি করা হয়। কেন করা…

Read More

বাংলাদেশে নারীদের শিক্ষার হার এখন ৭৩ শতাংশ। স্বাধীনতার সময় যেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৪ শতাংশ ছিল, তা এখন বেড়ে ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এর পেছনে বাংলাদেশের ক্রমশ এগিয়ে চলা গার্মেন্টস খাত সব থেকে বড় ভূমিকা রাখছে। কোভিড-১৯ আঘাত হানার আগের এক দশকে বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৭ শতাংশ। শুধুমাত্র চীনের থেকেই পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ, যদিও ব্যবধান ছিল একেবারেই সামান্য। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২৫০০ ডলার, যা ভারতের থেকে বেশি। ২০২৬ সালেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের। এরপর ২০৩১ সালের মধ্যেই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হতে চায় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এই উন্নয়নের গতিপথ এখন পরীক্ষার মুখে। কোভিড মহামারি…

Read More

প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের ২০১৫ সালের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা ৩১টি। বাংলাদেশ নিয়ে এই সংস্থার ২০০০ সালের প্রতিবেদনে সংখ্যাটি ছিল ১৩। অর্থাৎ ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অন্তত ১৬টি প্রজাতির প্রাণী। মুলত খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট, বন উজাড় করা, অপরিকল্পিত নগরায়নের মতো নানা কারণে প্রতি বছরই পৃথিবী থেকে কোনো না কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশে প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার এই হার আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। আইইউসিএন তাদের ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী বলছে বাংলাদেশে ১৬০০-এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৯০টি প্রজাতিই বিলুপ্তির হুমকির মুখে রয়েছে। এই প্রজাতিগুলোকে আইইউসিএন লাল তালিকাভুক্ত করেছে।…

Read More

মনুসংহিতায় কলিযুগে ব্রাহ্মণদের জন্য গোহত্যা, অশ্বমেধ এবং নরবলিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই বিধিনিষেধ থেকে এটাই মনে হয় যে, মনুর আগের যুগে অথবা মনুর যুগেও হিন্দুসমাজে নরবলি বেশি না হলেও কিছু কিছু অবশ্যই ঘটত। উজ্জয়িনীরাজ বিক্রমাদিত্যের নামের সঙ্গে জড়িত উপাখ্যান ‘বেতাল-পঞ্চবিংশতি’র সূচনাও একটি কাপালিকের কাহিনীকে অবলম্বন করে হয়েছে বলেই দেখতে পাওয়া যায়। ভারতে হিন্দুরাজত্বের শেষভাগে, গুপ্তোত্তর যুগে, তন্ত্রধর্মের অভ্যুত্থান হয়েছিল বলে ঐতিহাসিকেরা মনে করে থাকেন এবং বামাচারী তান্ত্রিক সাধকেরাই খুব সম্ভবত নরবলিকে আবার শাস্ত্রীয় মহিমায় মণ্ডিত করেছিলেন বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন। খ্রিস্টীয় বারোশো বা তেরোশো শতাব্দীতে রচিত ‘কালিকাপুরাণ’ গ্রন্থে নরবলিদানের শাস্ত্রীয় আচারগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত সময়ে…

Read More

সিডনিভিত্তিক জ্বালানিবিশেষজ্ঞ টিম বাকলি বলেছেন, এই চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশকে পাঁচ গুণ বেশি দাম দিয়ে আদানি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হতে পারে এবং ‘চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের টাকায় এশিয়ার সাবেক শীর্ষ ধনীর পকেট ভরার চুক্তি’। তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ রক্ষার আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘এটি কোনো চুক্তি নয়, বরং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আদানিকে বাংলাদেশের দেওয়া উপহার।’ রামপাল চুক্তি ছিল একটি বিতর্কিত ও সমালোচিত চুক্তি। সুন্দরবনের কাছে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের এই চুক্তিটির সমালোচনা ছিল প্রধানত দুটি কারণে। এর পরিবেশগত ঝুঁকি এবং এতে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে ভারতীয় কোম্পানিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে, বিদ্যুতের দাম, বিদ্যুৎ…

Read More

উদার গণতান্ত্রিক সূচক ও নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা গত বছরের তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে। গতবারের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান এক ধাপ পিছিয়েছে। সুইডেনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসির (ভি-ডেম) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। ভি-ডেমের এবারের প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘ডিফাইঅ্যান্স ইন দ্য ফেস অব অটোক্রাটাইজেশন’। সাত বছর ধরে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে ‘গণতন্ত্র প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে আসছে সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট। ভি-ডেমের এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদার গণতান্ত্রিক সূচকে (লিবারেল ডেমোক্রেসি ইনডেস্ক) ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। স্কোর শূন্য দশমিক ১১। গতবারের চেয়ে স্কোর কমেছে শূন্য দশমিক ০২। আগেরবার বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬তম। প্রতিবেদনে ‘নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের…

Read More