Author: বিশেষ প্রতিবেদক

‘চিলে কান নিয়ে গেছে’ বলে চিৎকার জুড়ে দিতে ব্যস্ত আমাদের গণমাধ্যমের কানে হাত দিয়ে সত্যতা যাচাইয়ের কোন চেষ্টাই থাকে না। আর এই প্রবণতার কারণে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ এখন জনপ্রিয় আলাপ। প্রায় প্রতিদিন হয়ে যাচ্ছে মিডিয়া ট্রায়াল৷ অভিযুক্তকে অপরাধী বানিয়ে, প্রশ্নকর্তাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বিচার হয়ে যাচ্ছে মিডিয়ায়৷ হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে ব্যক্তিগত অধিকারে৷  যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি অভিযুক্ত৷ যত গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকুক না কেন, তিনি অপরাধী নন৷  কিন্তু এই অভিযুক্ত ও অপরাধীদের মধ্যে যে অদৃশ্য রেখা আছে, সেটা এখন ক্রমশ মুছে যাচ্ছে৷ কতদিনে বিচার হবে, কবে তার রায় বেরোবে, সেই রায় কী হবে,…

Read More

গত একদিন ধরে করোনার আতঙ্ককে ছাড়িয়ে গেছে টিকা না নিয়ে বেরোনো বিষয়ক মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর শাস্তির আতঙ্ক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক  গতকাল বলেছিলেন, ‘১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের ওপরের কোনো মানুষ ভ্যাকসিন ছাড়া মুভমেন্ট করলে সেটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। রাস্তাঘাটে, মোটরসাইকেল, সাইকেল, টেম্পু, বাস, ট্রেনে হোক চলাচল করলে টিকা নেওয়া থাকতে হবে’। মন্ত্রীর এই বক্তব্যে নড়ে ওঠে গোটা দেশ। যারা এখনো টিকা নেননি অথবা টিকা নিতে আবেদন করেও বসে আছেন দিনেরপর দিন, তাদের মনে বাইরে বেরোনো বিষয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে তুমুল সমালোচনা ও ট্রল। কিন্তু সেটা যে আতঙ্কের কোনো শো…

Read More

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি রোধে চলছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি। টিকা পাওয়ার জন্য সারা বিশ্ব যেখানে অঘোষিত ঠাণ্ডাযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে ঠিক তার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো আদৌ ভ্যাকসিন পাবে কি না, সে দুশ্চিন্তা ছিল। তবে সরকারের সময়োপযোগী কর্মতৎপরতায় আমরা এরই মধ্যে ভ্যাকসিন পেয়ে গেছি। কিন্তু টিকাদানে দেশটি তেমন কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কোভিড-১৯ টিকাদানে সবচেয়ে পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ২১৭টি দেশের মধ্যে কোভিড টিকা দেয়ার হারে বাংলাদেশ ১৫৫তম অবস্থানে রয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার নিচে বাংলাদেশ। যদিও দুই সপ্তাহ…

Read More

সম্প্রতি সৌদি আরবের একটি আইন সংশোধন করা হয়েছে; যার ফলে দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসী নাগরিকদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংশোধিত এই আইনে সৌদি আরবের নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদের স্থানীয় স্পন্সর ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ রাখা হয়েছে; এতে করে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি হয়েছে ‍নতুন সম্ভাবনা।  মূলত ভিশন ২০৩০ এর আওতায় শ্রমবাজারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবর্তন আনছে সৌদি সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের অভ্যন্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। যার সুবিধা পাবে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে মূলত বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া, স্থানীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং বিনিয়োগ সহায়তা…

Read More

দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ; চীনের কাছে তো অবশ্যই। বলা হয়, নিজেদের ‘ব্যাক ইয়ার্ড’ হিসেবে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখে বেইজিং। তবে এটা শুধু যোগাযোগ রাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নাকি ভারতকে সরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার চালকের আসনে নিজেদের বসার কৌশল, সেটা সময়ই বলে দেবে। আফগানিস্তানে ক্ষমতার রদবদল এটা বেশ সহজ করে দিয়েছে চীনের জন্য। পাশাপাশি করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ভারতের অবন্ধুসুলভ আচারণ, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের পাশ কেটে চলার নীতি, চীনের এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য ক্ষেত্র একপ্রকার প্রস্তুত করেই দিয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাথে তিস্তা ও সিন্ধুর পানিবন্টন নিয়ে ক্রমাগত দাদাগিরি করে, কাশ্মীরে চালানো কয়েক দশকের নির্মম…

Read More

পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে দেশে দেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ। এনএসও দাবি করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থারগুলোর কাছে পেগাসাসের মতো প্রযুক্তি থাকায় পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ নিরাপদে রাতে ঘুমাতে ও রাস্তায় হাঁটতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, তারা এটি পরিচালনা করে না কিংবা গ্রাহকদের সংগৃহীত উপাত্তে কোনো অ্যাকসেসও নেই। এনএসও এর মুখপাত্র বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সাহায্য ও যেকোনো ধরনের অপরাধ তদন্ত, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেগাসাস এবং এ ধরনের সকল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান। এনএসও কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা বিভিন্ন দেশের সরকারকে সহায্য করার জন্য এবং…

Read More

ই-কমার্সের এই যুগে বাংলাদেশের জন্য একটা বড় ধাক্কা হতে পারে দেশীয় ডিজিটাল কমার্সের শীর্ষ অবস্থানে থাকা ইভ্যালির বন্ধ হয়ে যাওয়া। ২০১৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি গত আড়াই বছরে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিল। ইভ্যালি এই বন্ধ হয়ে যাওয়া আদতে কোন লাভের না হলেও, ক্ষতির হবে এ নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে, এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রীম যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, যার মোট অঙ্ক প্রায় ৩০০ কোটি টাকারও বেশি, তা পুনরুদ্ধারের কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। গত ৪ জুলাই, গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (মার্চেন্ট) কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ৩৩৮ কোটি…

Read More

কিউবা বলতেই কাস্ত্রো, চে; কিউবা বলতেই পশ্চিমাদের মুখে কমিউনিজমের থাপ্পড়। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রে, বাণিজ্য অবরোধেও কাঁধ ঝোঁকেনি হাভানার। ফিদেল কাস্ত্রোকে তার ৯০ বছরের জীবনে ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর চরেরা এই চেষ্টা চালায়। হত্যার ষড়যন্ত্র বেশির ভাগই করা হয় তার শাসনামলের শুরুতে। এবার সুযোগসন্ধানী যুক্তরাষ্ট্র কিউবার সাধারণ মানুষের বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।    আর সোভিয়েত-পরবর্তী যুগে এর থেকে গভীর সংকটে পড়েনি কিউবা। মার্কিন অবরোধ, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, বৈশ্বিক খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী, অভ্যন্তরীণ দমনপীড়ন, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, মুদ্রাবাজারে কিউবান পেসোর অবমূল্যায়ন, কম মজুরি, ধসে যাওয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় মুষড়ে পড়া হাভানার কাঁধ আরো ঝুঁকে গেছে এই…

Read More

বিটিভি খুললেই ফসলের বাম্পার ফলনে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এদিকে উদ্বৃত্ত ৩০ লাখ টন, তারওপর ১০ লাখ টন আমদানিও করছে সরকার; তবুও বাড়ছে চালের দাম। কার ইশারায় বাড়ছে? সরকার দেখাচ্ছে মিলারদের, মিলাররা দেখাচ্ছে কৃষকদের, কৃষকরা আঙুল তুলছেন পাইকারদের দিকে, আবার পাইকাররা দায়ী করছেন আড়তদারদের। চালের দাম জড়িয়ে পড়েছে এক মহাচক্রে। যার মূল্য দিতে হচ্ছে মহামারিতে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষদেরকেই। বাজারের সবচেয়ে কমদামি চালের কেজিই এখন ৪৮ টাকা। আগে যা ছিল বড়জোর ২৮-৩০ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪৮ টাকা দামের চালটা বেশ লাল ও মোটা। এক বেলায় রান্না করা ভাত আরেক বেলায় খাওয়া যায় না। নাজিরশাইল বা মিনিকেটের দিকে হাত বাড়ালেই…

Read More

নিয়মের কোনো বালাই নেই দেশের কারখানাগুলোতে। আগুনের ঝুঁকি কমাতে যে যে নিয়মগুলো মানা দরকার তার সিকিভাগও মানছে না। নিজেদের ব্যয় সংকোচন করতে গিয়ে কিংবা গাফিলতিতে কারখানাগুলো মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি কারখানায় বৈদ্যুতিক সুরক্ষার গড় ঘাটতি ৫০ শতাংশ। আর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কারখানায় কাঠামোগত ঝুঁকি রয়েছে। অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকির ক্ষেত্রে এ ‘উদ্বেগজনক চিত্র’ উঠে এসেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) একটি জরিপে। দেশের মোট ৩০০টি কারখানা পরিদর্শন করে এই জরিপ করা হয়। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, আগুনের ঝুঁকি কমাতে যে বিষয়গুলো মেনে চলা দরকার, একেকটি কারখানা গড়ে তার ৬০ শতাংশই পূরণ করছে না। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর জানায়, তাদের ‘চেকলিস্টে’ কারখানায়…

Read More