Author: সাঈম শামস্

অ্যাসাসিনরা হলো ইসমাইলিয়া নামক একটি গোপন মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মান্ধ শাখা। যাদের মূলমন্ত্র ছিল- আপেক্ষিকভাবে সব কাজই ঠিক। এজন্য তারা তাদের ইচ্ছেমতো যা খুশি তা-ই করতো। ‘অ্যাসাসিন’ শব্দটি ইংরেজি ভাষায় প্রবেশ করেছে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উদ্দেশে হত্যা করার জন্য প্রশিক্ষিত লোকদের বোঝাতে। নিজেদের সময়ে অ্যাসাসিনরা যে কোনো জায়গার জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর গুপ্তসংঘ ছিল। কোনো অ্যাসাসিন তার লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতো। কখনো কাজ হাসিল করার জন্য টার্গেটের সাথে বন্ধুত্ব করতো। তারা ব্যাপকভাবে সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিয়েছিল। তারা ভাবতো, তাদের চোখ, কান সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। তারা স্বভাবে অত্যন্ত নির্মম ছিল। গুপ্তহত্যার মিশনে প্রেরণের আগে হাশিশ (গাঁজা জাতীয় নেশা দ্রব্য)…

Read More

বর্তমানে গুপ্তসংঘ ইলুমিনাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায় ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের উদ্ভট কল্পনার জগতে। যাদের কাজই হলো এসব চরিত্র পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে একধরনের ভীতি প্রবণতা জিইয়ে রাখা যে- আমরা আসলে একটা গুপ্তসংঘের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি। শুধু তা-ই নয়, আমরা বাহ্যিকভাবে যাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি, তারাও আসলে এই গোষ্ঠীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত! এসব সন্দেহই ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদদের মনে একটা ফ্যান্টাসি তৈরি করে। ‘ক্ষমতার পিরামিড’ তত্ত্বও এসব কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের আবিষ্কার। যেখানে ইলুমিনাতিরা সবার ওপরে অবস্থান করে। দাবি করা হয়ে থাকে, পিরামিডের চূড়ায় গুপ্ত নিয়ন্ত্রকেরা অবস্থান করে ‘কমিটি অব থ্রি হান্ড্রেড’ রূপে। বলা হয়- ফ্রিম্যাশন, স্কাল অ্যান্ড বোন্স, ইয়েল এবং বোহেমিয়ান গ্রোভ; এসব প্রধান প্রধান গুপ্তসংঘগুলোর মাঝে ইলুমিনাতি…

Read More

১৮১৬ সালে মাদ্রাজ লাইব্রেরির সাহিত্য গেজেটে জনৈক ড. শেরউডের লেখা একটি নিবন্ধ পাওয়া যায়, তিনি আততায়ীদের একটি রহস্যময় গোপন গোষ্ঠী সম্পর্কে গুজব শুনেছিলেন। এই নিবন্ধটিই ছিল প্রথম কোনো লিখিত বক্তব্য, যেখানে একটি আধ্যাত্মবাদী দলের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করা হয়েছিল, যারা কিনা হিন্দুদের দেবী কালি’র নামে হত্যাযজ্ঞ চালাতো। কালি ছিলেন রক্তপিপাসার বাস্তব উদাহরণ। তার চারটি বাহু, রক্ত রাঙা চোখ। কোলকাতায় তার নামে একটি জায়গায় রয়েছে- কালিঘাট; যার অর্থ ‘কালির পদক্ষেপ’। ঠগী ছিল এমন সম্প্রদায়, যারা বংশপরম্পরায় এর সদস্য হতো। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় থেকে যারা জাত ও ধর্মের বেড়াজাল অতিক্রম করতে পারতো তারাই এর সদস্যপদ লাভ করতো। ঠগ পিতাগণ কৈশোর…

Read More

থার্ড টেম্পল নির্মাণ কি ইহুদিরা শুরু করেছে? জেরুজালেমের বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা মুসলিমদের দখলে, তাহলে কীভাবে ইহুদিরা থার্ড টেম্পল নির্মাণ করবে এবং সেখান থেকে তাদের মেসিয়াহ শাসনকার্য পরিচালনা করবেন? থার্ড টেম্পলকে ঘিরে ইহুদিরা কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমেরিকার লিবার্টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রত্মতত্ত্ববিদ ড. র‌্যান্ডল প্রাইস রচিত একটি আর্টিকেলে চোখ বোলানো যাক। Jewish Voice নামক ওয়েবসাইটে Update on the Building of the Third Temple শিরোনামে আর্টিকেলটি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ড. র‌্যান্ডল প্রাইস ইহুদিদের থার্ড টেম্পল নির্মাণের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। নিচে আর্টিকেলটির বাংলা ভাষান্তর তুলে দেওয়া হলো : যারা ইহুদি ধর্মশাস্ত্রে উল্লেখিত ইহুদি জাতি এবং ইসরাইলের…

Read More

আপনি যা করেন কিংবা করতে ব্যর্থ হোন, তার ৯৫% নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের ওপর। আপনার অভ্যাসগত ধারণা ও আচরণগত ধারণার ওপর আপনার কর্মকান্ড নির্ভর করে। অভ্যাসগত ধারণা হলো- আপনি জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে নিজেকে যেভাবে পরিচালিত করেন। আর আচরণত অভ্যাস হলো- আপনি যা করতে অভ্যস্ত কিংবা অভ্যস্ত নন। সফলতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলোৈ মানুষের খারাপ অভ্যাস। কখনো কখনো সেগুলো অচেতনভাবে মনে ভেতরে রয়ে যায় এবং বছরের পর বছর ধরে ব্যক্তির সর্বোচ্চ সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে দমিয়ে রাখে। তবে ভাল খবর হলো, যাবতীয় অভ্যাসসমূহ (অভ্যাসগত ধারণা ও আচরণত অভ্যাস) আমাদের শেখা। যেহেতু অভ্যাসগুলো শেখা যায়, তাই সেগুলো ভুলে যাওয়া কিংবা বাতিলও করা…

Read More

ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার শো ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এর মাধ্যমে পুরো বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি পাওয়া ব্যক্তিটিকে আমরা সবাই বেয়ার গ্রিলস নামে চিনি। বনে-জঙ্গলে তাঁর বৈচিত্র্যময় কর্মকাণ্ডগুলোকে টারজানের সাথে তুলনা করলে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক প্রচণ্ড সাহসী, বুদ্ধিমান ও দক্ষ এই অ্যাডভেঞ্চার মানব সম্পর্কে। সংক্ষিপ্ত পরিচয় পুরো নাম: এডওয়ার্ড মাইকেল ‘বেয়ার’ গ্রিলস। জন্ম তারিখ: ৭ ই জুন, ১৯৭৪ জন্মস্থান: কাউন্টি ডাউন, নর্দান আয়ারল্যাণ্ড উচ্চতা: ৫ ফুট সাড়ে ১১ ইঞ্চি (১.৮২ মিটার) বাবা রাজনীতিবিদ স্যার মাইকেল গ্রিলস ও মা সারাহ গ্রিলস-এর দ্বিতীয় সন্তান বেয়ার গ্রিলস। তাঁর বড় এক বোন আছে। লারা ফ্যকেট। ছোট ভাইয়ের বয়স যখন মাত্র…

Read More

সাক্ষাৎকারের আগের অংশটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন : টুইন টাওয়ার হামলা ও লাদেন প্রসঙ্গে নোম চমস্কি (পর্ব-১) প্রশ্ন : এই প্রসঙ্গে মার্কিন সরকারের প্রতিক্রিয়াকে আপনি কীভাবে দেখেন? আসলে কার মতামতকে তারা প্রতিনিধিত্ব করছে? চমস্কি : আমেরিকান সরকার অন্যান্যদের মতো প্রাথমিকভাবে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ শক্তিরই প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। এটা এক ধরনের স্বতঃসিদ্ধ সত্যের মতো। অবশ্য এটা ছাড়াও অন্যান্য প্রভাবক রয়েছে। যেমন : নানান ধরনের জনপ্রিয় মতামত সমূহ। আসলে জনপ্রিয় মতামত বা ধারণাগুলো প্রায় সকল সমাজেই প্রভাবক হিসেবে কাজ করে, তা সে খুব গণতান্ত্রিক সমাজ হোক বা একেবারে নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী সমাজ হোক। এপর্যন্ত আমাদের জানামতে, আমেরিকান সরকার এখন নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মরিয়া…

Read More

প্রশ্ন : টুইন টাওয়ার হামলার মিডিয়া কভারেজকে আপনি কীভাবে দেখছেন? এটা কি মধ্যপ্রাচ্য আক্রমণ করার জন্য ‘সম্মতি উৎপাদন’-এর মতো সমান্তরাল ঘটনা? চমস্কি : মিডিয়া কভারেজ ঠিক সবক্ষেত্রে একই রকমের নয় যেমনটা সাধারণত ইউরোপীয়রা বিশ্বাস করে থাকেন। কারণ তারা সম্ভবত নিউ ইয়র্ক টাইমস, জাতীয় বেতার কিংবা টিভি ইত্যাদির ওপর আস্থা রাখছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস আজ সকালে মেনে নিয়েছে গত কয়েকদিন ধরে তারা যা প্রচার করে আসছিল তার তুলনায় নিউ ইয়র্কের মনোভাব বেশ আলাদা। দ্য টাইমস এখন রিপোর্ট করেছে, ‘নিউ ইয়র্কের রাস্তায় যুদ্ধের দামামার শব্দ এখন খুবই ক্ষীণ…’ এবং এখন শান্তির ডাক দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে ‘শান্তির ডাকের সংখ্যা প্রতিশোধের ডাকের চেয়ে…

Read More

নমরুদ শব্দটি হিব্রু শব্দ ‘মরদ’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘বিদ্রোহী’। হিব্রু বাইবেল বা তানাখের জেনেনিস এবং ক্রনিকেলস অনুযায়ী, নমরুদ ছিলেন শিনারের (মেসোপটেমিয়া) রাজা এবং কুশের তথা নূহের নাতির পুত্র। তিনি তার খোদাদ্রোহীতা এবং টাওয়ার অব ব্যাবেল নির্মাণের জন্য পরিচিত। ইহুদিদের বিভিন্ন র‌্যাবাইনিক সাহিত্য যেমন : Midrash, Tanhuma, Lekh Lekhah 6, Targum থেকে শুরু করে হিব্রু বাইবেলের Exodus (14:1) এবং Eruvin (53a) প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থ ঐতিহাসিক চরিত্র নমরুদ বলতে রাজা আমরাফেলকে চিহ্নিত করেছে। সপ্তাদশ শতাব্দীতে লেখা Sefer Hayashar Midrash গ্রন্থের ১১ নাম্বার অধ্যায়ে বলা আছে- “নমরুদ ব্যাবিলনে বসবাস করতেন এবং সেখানে অবশিষ্ট প্রজাদের নিয়ে নিরাপত্তার সাথে রাজত্ব পুনরায় স্থাপন করলেন। সেখানে তার…

Read More

এস্কেটোলজি হলো ধর্মতত্ত্বের এমন একটি অংশ যেখানে বিশ্বজগতের শেষ সময়ের (End of the World) রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয়সহ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এস্কেটোলজি শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘এস্কেটোস’ থেকে এসেছে যার অর্থ ‘শেষ’ এবং ‘লজি’ শব্দের অর্থ ‘অধ্যয়ন’। ১৮৪৪ সালের দিকে ইংরেজিতে প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার হয়েছিল। The Oxford English Dictionary এস্কেটোলজির সংজ্ঞা এভাবে দিয়েছে- “ধর্মতত্ত্বের সেই অংশ যা মৃত্যু, বিচার এবং আত্মার ও মানবজাতি চূড়ান্ত নিয়তির সাথে সম্পর্কিত।” ইহুদি এস্কেটোলজিতে মূলত পৃথিবীর শেষ দিনগুলোর ঘটনাসমূহ নিয়ে বিভিন্ন ইহুদি নবি ও পন্ডিতদের ভবিষ্যদ্বাণী ও তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এর আলোচিত নানা বিষয়ের মাঝে রয়েছে নির্বাসিত ইহুদিদের পুনরায় ইসরাইলের…

Read More