Author: সাঈম শামস্

প্রাচীন মিশরে জাদুবিদ্যার খুব বেশি প্রচলন ছিল। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, পুরো বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়েছে হয়েছে জাদুর সাহায্যে এবং সবকিছু পরিচালিত হচ্ছেও জাদুবলে! মিসরবিদ (Egyptologist) জেমস হেনরি ব্রেস্টেড মিশরের জাদুচর্চার ব্যাপারে বলেছিলেন- “প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে জাদু ছিল ঘুম আর খাওয়ার মতো স্বাভাবিক ব্যাপার।” প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতো, জাদুর নিয়ন্ত্রক ওষুধ এবং জাদুবিদ্যার দেবতা হেকা। ‘হেকা’ শব্দের অর্থ ‘জাদু’। অবশ্য হেকার কোনো মন্দির ছিল না। এমনকি তিনি অসাইরিস কিংবা আইসিসের মতো জনপ্রিয়ও ছিলেন না। প্রাচীন মিশরীয়দের নিকট জাদুবিদ্যা চিকিৎসা পদ্ধতিরও একটি অংশ ছিল। তাদের চারপাশের শুষ্ক ও ধূলাময় পরিবেশে কারণে শ্বাসকষ্টের মতো বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই ও শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকতো। এসব শারীরিক…

Read More

ইহুদিদের নির্বাসনের শেষ দিকে এবং মেসিয়ানিক যুগের প্রথম দিকে গৌগ মাগৌগের একটি দুর্ধর্ষ যুদ্ধ সংঘটিত হবে। র‌্যাবাই (ইহুদি মোল্লা/পন্ডিত) ডেভিড কিমহির মতে, যুদ্ধটি হবে জেরুজালেমে। ইহুদিদের বিশ্বাস অনুযায়ী, গৌগ মাগৌগের যুদ্ধ হবে ভালো ও মন্দের মধ্যে একটি চূড়ান্ত লড়াই যা চিরন্তন শান্তির সূচনা করবে। এজিকিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে ইহুদি সম্প্রদায়ে গৌগ মাগৌগের ধারণার সূত্রপাত হয়। তিনি গৌগকে একজন রাজপুত্র এবং তার দেশকে মাগৌগ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তবে মাগৌগ শব্দটি হিব্রু বাইবেলের জেনেসিস অংশে প্রথম লক্ষ্য করা যায়। সেখানে মাগৌগকে নবি নুহের পুত্র ইয়াফেসের একজন বংশধর হিসেবে অভিহিত করা হয়। সম্ভবত পূর্বে ইহুদি শ্রুতি ছিল ‘গৌগের মাগৌগ’। কিন্তু কালক্রমে তা ‘গৌগ মাগৌগ’-এ…

Read More

আগের পর্বটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন : ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার ইতিহাস (পর্ব-১) ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫ হাজার ইহুদি প্যালেস্টাইনে চলে আসে। তারা সেখানে অ্যাংলো-প্যালেস্টাইন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। ব্যাংকের মাধ্যমে প্যালেস্টাইনের কৃষকদের উচ্চ সুদে ঋণ দিতে শুরু করে। যখনই অধিকাংশ কৃষক ঋণ শোধ করতে ব্যর্থ হয় তখনই তারা ব্রিটিশ কমান্ডারের নেতৃত্বে কৃষকদের জমিগুলো দখল করে নেয়। সেই সাথে নিজেরাও ব্যক্তিগতভাবে সেখানে একের পর এক জমি কিনতে শুরু করে। গ্যালিলি এবং তিবারিয় এলাকায় আগে থেকেই যে ইহুদি বসতি ছিল তার সাথে নতুন ইহুদির সংখ্যা যোগ করে দিনে দিনে ইহুদিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ করে তোলার চেষ্টা চলতে থাকে। অবশ্য ১৮৬০ খ্রিষ্ঠাব্দে ইংরেজ সমাজকর্মী স্যার মোসেস…

Read More

ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে হলে ইহুদিদের ২ হাজার বছর আগের ইতিহাস থেকে শুরু করতে হবে। ব্যাবিলনীয় নির্বাসন থেকে কিছু সংখ্যক ইহুদি ফিরে আসার পর পারস্যের অর্থায়নে তারা দ্বিতীয় টেম্পল নির্মাণ শুরু করেছিল। নির্মাণ কাজের নেতৃত্বে ছিলেন তিন জন হিব্রু নবী : হাগাই, যাকারিয়া ও মালাখি। ৫১৬ খ্রিষ্টপূর্বে টেম্পলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩২ অব্দে সম্রাট আলেকজান্ডার ভূমধ্যসাগর জয় করলে জুদাহ রাজ্য তখন গ্রিক সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায়। এসময় জুদাইজম তথা ইহুদি ধর্ম হেলেনিস্টিক সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়। তবে আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর জুদাহ রাজ্য মিশরীয় সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হয়। মিশরে তখন টলেমি বংশের শাসন চলছিল। এখানে উল্লেখযোগ্য…

Read More

বর্তমান সময়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ তথা ডিভোর্সের পরিমাণ আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। কেউই শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারছে না কোন্ দম্পতির কখনই ডিভোর্স হবে না। যেকোন সময় যেকারও ডিভোর্স হতে পারে, জনমনে এধরনের একটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সমাজ বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, ডিভোর্স কাদের হয় এবং কেন হয়? কারণগুলো জানা থাকলে ডিভোর্সের দিকে ধীরে ধীরে এগোনো দম্পতিরা চাইলে তাদের সম্পর্কটা রক্ষা করতে পারবেন। টিনএজে কিংবা ৩২ বছরের পর বিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ২৭-৩০ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন তাদের দাম্পত্য জীবন তুলনামূলক বেশি মজবুত ও স্থায়ী হয়ে থাকে। অন্যদিকে যারা টিনএজ (১৩-১৯ বছর) বা ৩২+ বয়সে বিয়ে করে তাদের…

Read More

পুরো বিশ্ব জুড়ে যৌনতার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যকার পার্থক্যগুলোর ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ রয়েছে। তবে উন্নত দেশগুলোতে পার্থক্যগুলোর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বিবর্তনবাদের মাধ্যমে দেখা যায়, আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রাইমেট গোত্রের ছিল। যারা একজন পুরুষ ও একজন নারী মিলে বাচ্চাদের দেখাশোনা ও খাদ্যের ব্যবস্থা করতো। তবে অন্য প্রাণীদের মতো এই প্রাইমেটদের মাঝেও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক নারী-পুরুষগণ বহুগামীও ছিল। বহুগামীতার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল পুরুষ। কারণ তারা গর্ভধারণ না করে বা বাচ্চা লালন-পালনের সাথে সরাসরি যুক্ত না হয়েই স্রেফ সঙ্গমের মাধ্যমে সন্তান জন্মে ভূমিকা রাখতে পারতো। আর এই বহুগামীতায় লিপ্ত হতো তূলনামূলক শক্ত-সমর্থ্য পুরুষরা। ফলে নারীরা ভাল জিনের অধিকারী সুস্থ-সবল সন্তান…

Read More

স্ক্রিনের প্রতি আসক্তির কারণে শিশুরা দেরিতে কথা বলা শিখছে । তাই শিশুকে স্ক্রিন থেকে দূরে রাখা জরুরি। কিন্তু এই আধুনিক যুগে চারপাশে স্ক্রিনের ছড়াছড়ি, তাই চাইলেও শিশুদেরকে শতভাগ স্ক্রিনের সংস্পর্শ থেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তবে স্ক্রিন টাইম সীমিত করা সম্ভব। দি আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স (AAP) তথা আমেরিকান শিশু বিশেষজ্ঞ একাডেমি থেকে জানানো হয়েছে, বাচ্চার ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত তাকে সবধরনের স্ক্রিন থেকে দূরে রাখতে হবে। বাচ্চার বয়স তারচেয়ে বাড়লে কিছু স্ক্রিন টাইম দেওয়া যেতে পারে। তবে বাচ্চার বয়স ২ বছর বা তার বেশি হলে তাকে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম দেওয়া যাবে। AAP থেকে আরো বলা…

Read More

বর্তমান সময়টা হলো তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। অনেক অভিভাবক এখন বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ডিভাইসের স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে রেখে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করেন বা বাচ্চাকে শান্ত করার জন্য স্ক্রিন ব্যবহার করে থাকেন। মজার ব্যাপার হলো, এই কৌশলটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঠিকই কাজ করে। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিন যেভাবে একটি শিশুর মনোযোগ ধরে রাখে তা সম্ভবত অন্য কোনো কিছুর পক্ষে সম্ভব হয় না। বাচ্চাকে স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে দিলে বাবা, মা যেন একটু স্বস্তিতে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু কখনো কি মাথায় প্রশ্ন জেগেছে এতে বাচ্চার কী কী সমস্যা হতে পারে? একজন শিশুর আসলে সর্বোচ্চ কতক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকা উচিত? স্ক্রিন টাইম শিশু যে সময়টুকু কোনো ডিভাইসের…

Read More

২০১৭ সালের ঘটনা। নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টি’স অকশন হাউজে সালভাদর মুন্ডি নামের একটি চিত্রকর্ম নিলামে তোলা হবে। পেইন্টিংটি সম্ভবত আসল কিংবা বলা যায় যথেষ্ট সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিত্রকর্মটিকে আসল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছেন। চিত্রকর্মটিতে দেখা যাচ্ছে : স্বচ্ছ চেহারার যিশু খ্রিস্ট, ডান হাত দিয়ে ক্রস আঁকছেন আর তার বাম হাতের তালুতে রয়েছে একটি স্বচ্ছ গোলক। তিনি ‘বিশ্বের রক্ষাকর্তা’-এর ভূমিকায় রয়েছেন, ছবিতে সেটাই প্রতীকিভাবে তুলে ধরা হয়েছে। স্বর্গ রয়েছে তার বাম হাতের মুঠোয়। ছবি : সালভাদর মুন্ডি পেইন্টিং এই চিত্রকর্মটি মূলত কালেকটর’স আইটেমের চেয়ে বরং জনপ্রিয় আইটেম হয়ে উঠেছিল। সদ্য চালু হতে যাচ্ছে এমন কোনো জাদুঘরে ভিঞ্চির নতুন কোনো চিত্রকর্ম প্রচুর দর্শনার্থী…

Read More

প্রশ্ন : আমেরিকানদের পক্ষে কি তথাকথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া সম্ভব? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে কীভাবে সম্ভব? আর যদি ‘না’ হয়, তাহলে নিউ ইয়র্ক বা ওয়াশিংটনে যেধরনের হামলা হলো, সেধরনের হামলা ভবিষ্যতে প্রতিহত করার জন্য বুশ প্রশাসনের কী করা উচিত? চমস্কি : আমরা যদি প্রশ্নটি নিয়ে খুব গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে চাই তাহলে শুরুতেই স্বীকার করে নিতে হবে- পৃথিবীর বড় একটি অংশের কাছে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র এবং তার পেছনে যথেষ্ট ‍যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে।  ধরুন, আমরা মনে করতে পারি, ১৯৮৬ সালে বিশ্ব আদালত আমেরিকাকে সমালোচনা করেছিল ‘বেআইনি শক্তি ব্যবহারের কারণে’ (আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ) এবং পরে নিরাপত্তা পরিষদ একটি…

Read More