…
এডিটর পিক
খোলস ছেড়ে ধীরে ধীরে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।…
Trending Posts
-
পাহাড়ে লুকিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, কেন?
মার্চ ২৮, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
মুসলিমদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
মার্চ ২৭, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা যেভাবে প্রতিনিয়ত ধর্মীয়ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে
মার্চ ২৭, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় আমেরিকা?
মার্চ ২৬, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
পাহাড়ে লুকিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, কেন?
মার্চ ২৮, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
মুসলিমদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
মার্চ ২৭, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা যেভাবে প্রতিনিয়ত ধর্মীয়ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে
মার্চ ২৭, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় আমেরিকা?
মার্চ ২৬, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- পর্দার আড়ালে চলছে আ’লীগকে ফেরানোর বন্দোবস্ত!
- পাহাড়ে লুকিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, কেন?
- হাসিনার সময়ে পাচার হওয়া ২৩৪ বিলিয়ন ডলার কি আদৌ ফিরবে?
- নিয়মিত পাওনা পরিশোধ, বাংলাদেশকে পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুৎ দিচ্ছে আদানি
- সিগন্যাল কেলেঙ্কারিতে ‘যুদ্ধ–পরিকল্পনা’ ফাঁস, কী করবেন ট্রাম্প?
- পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা যেভাবে প্রতিনিয়ত ধর্মীয়ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে
- ইউরোপিয়ানদের জমদূত হয়ে ওঠা আরবের এক নারী শাসকের ইতিহাস
- মুসলিমদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
Author: সাঈম শামস্
রাশিয়ানরা হয়তো সামরিক শক্তির জোরে ইউক্রেন জয় করে ফেলবে। কিন্তু ইউক্রেনিয়ান জনতা বিগত কয়েক দিনে দেখিয়ে দিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেবে না। যুদ্ধ শুরু হয়েছে এক সপ্তাহও পার হয়নি। কিন্তু এরইমধ্যে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিন এক ঐতিহাসিক পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে সবক’টা লড়াইয়ে জিতে গেলেও মোটের ওপর যুদ্ধে পরাজিত হবে। পুতিন বরাবরই রাশিয়ান সাম্রাজ্য পুনরায় নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখে আসছে। তার এই স্বপ্নের বুনিয়াদ রয়েছে একটি মিথ্যার ওপর- ইউক্রেন কোনো প্রকৃত দেশ নয়, ইউক্রেনিয়ানরা আসল মানুষ নয় এবং কিয়েভ, খারকিভ এবং লভিভের বাসিন্দারা মস্কো দ্বারা শাসিত হওয়ার জন্য আকুল হয়ে রয়েছে! অথচ…
পুরো নাম : মোশে বেন মাইমন। তাঁর আরবি নাম : মূসা বিন মাইমুন। তিনি রামবাম নামেও পরিচিত। মোশের জন্ম হয় ১১৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মার্চ বর্তমান স্পেনের কর্ডোভায়। তিনি একাধারে একজন ইহুদি দার্শনিক, আইনবিদ, চিকিৎসক এবং মধ্যযুগীয় ইহুদি ধর্মের অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। তিনি আরবি ভাষায় ইহুদির জন্য দিকনির্দেশনামূলক বিভিন্ন গ্রন্থস্থ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বই রচনা করেছেন। ধর্ম, দর্শন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁর অবদান ইহুদি এবং অ-ইহুদি সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করেছে। মাইমোনাইডসের কর্মক্ষেত্রের বিস্তৃতি অনেক বেশি। তিনি ১৬ বছর বয়সে তার প্রথম গ্রন্থ রচনা করেন, আরবি ভাষায় সেই নাম ছিল ‘মাকলাহ ফি সিনাত আল-মান্তিক’। এটি ছিল বিভিন্ন তাত্ত্বিক ধারণায় যুক্তির প্রয়োগের ওপর একটি…
হিব্রু ভাষা আরবি ভাষার মতো হিব্রু ভাষাও আফ্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। মূলত পৃথিবীতে যত সেমেটিক ভাষা আছে সবই আফ্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। হিব্রু একটি সেমেটিক ভাষা। হিব্রু ভাষাকে হিব্রুতে ‘ইভরিত’ বলা হয়। হিব্রু জাতি তথা ইসরাইলিদের কথ্য ভাষা এবং ধর্মশাস্ত্রের ভাষা ছিল হিব্রু। তবে সেই প্রাচীন হিব্রু ভাষা এবং বর্তমানকালের আধুনিক হিব্রু ভাষার মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত হিব্রু ভাষা বেশ কয়েকবার বিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন হিব্রু ভাষার উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন কেনানাইট ভাষাগোষ্ঠী থেকে। আবার কেনানাই ভাষাগোষ্ঠী ছিল উত্তর-পশ্চিম সেমেটিক ভাষা পরিবারের একটি শাখা। পোলিশ ভাষাবিদ আভরাহাম বেন ইউসেফের মতে, খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ৫৫৬ অব্দের মধ্যে ইসরাইল…
নারীকে সাধারণত প্রেয়সী, মমতাময়ী, যত্নশীল, নমনীয় এবং যত্নবান হিসেবে জানি। কিন্তু ইতিহাসের দিকে তাকালে এরকম অনেক নারীর দেখা মেলে যারা তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে পৃথিবীর বুকে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন! নির্যাতন, নৃশংসতা, খুন এসব ছিল তাদের পছন্দের কাজ। বিভিন্ন সময় পৃথিবীর পুরুষদের কুকর্মের ইতিহাস নিয়ে বিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করা হলেও নারীদের নিয়ে তেমন কোন আলোচনা চোখে পড়ে না। ইরমা গ্রেস জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯২৩, র্যাচেন, জার্মানি। তিনি নাৎসিদের যুদ্ধবন্দী ক্যাম্পে চাকরি করতেন সেইসাথে বার্গেন-বেলসেনে নারী সেকশনের ওয়ার্ডেন ছিলেন। বেলসেনে মানবতা লঙ্ঘন করার কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার বিচারে ফাঁসির রায় হয়। তিনি বিভিন্ন পন্থায় কষ্টদায়ক নির্যাতন চালাতে পছন্দ করতেন, তার পায়ে…
মিডিয়ার পক্ষে নিউজ বা বিনোদনের মাধ্যমে কারো স্বার্থসিদ্ধি করা সহজ। মিডিয়া এমন নেতার পক্ষে জনমত গঠন করতে সক্ষম যে কিনা মানুষের উন্নতি নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়! মানুষ গর্দভ হতে হতে এতটা নিচে নেমে গেছে যে, ফ্যাক্ট, সংবাদ কিংবা বিজ্ঞান হিসেবে তাদের সামনে যা-ই উপস্থাপন করা হয় তারা সেটা দ্বিতীয়বার না ভেবেই গ্রহণ করে নেয়। “যে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সে জনতার মন নিয়ন্ত্রণ করে।”- নোম চমস্কি Mass Mind Control Through Network Television এর লেখক, গবেষক অ্যালেক্স আনসারি দেখিয়েছেন যে নতুন বিশ্বে প্রথমত টিভি, দ্বিতীয়ত রেডিও কীভাবে জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে। অ্যালেক্স আনসারি লিখেছেন, টিভির সবকিছুই আমাদেরকে প্রভাবিত করার জন্য বানানো, বিষয়টা ঠিক…
বাংলাদেশে ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকুরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা যেন বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো! কোনোভাবেই দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না, বরং সময়ের সাথে সাথে নিত্য-নতুন কলাকৌশল অবলম্বন করে জালিয়াতি করা হচ্ছে। ৮০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করে অস্বাভাবিক স্কোর (৭৮, ৭৯ এমনকি ৮০) পাচ্ছে অসৎ পরীক্ষার্থীরা। অন্যদিকে মেধাবী পরীক্ষার্থীরা নিজের মেধার জোরে ৮০ তে ৭২ নাম্বার পেয়েও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না। সারা বছর ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে, বিভিন্ন ধাপে চলছে জালিয়াতির মেলা। স্বাভাবিকভাবে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কীভাবে হচ্ছে এত জালিয়াতি? ফাঁকা খাতা…
অনেকেই ইতিহাস বিষয়টিকে অপছন্দ করেন। বিশেষ করে ছাত্রজীবনে ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষায় বিভিন্ন সাল যথাযথভাবে মনে রাখতে কারো কারো গলদঘর্ম হয়ে গেছে। অতীতের বিভিন্ন আমলে জীবন কাটিয়ে যাওয়া বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী, বিভিন্ন রাজাদের বীরত্ব গাঁথা বা পরাজয়ের ইতিহাস মুখস্ত করতে করতে ‘ইতিহাস’ রীতিমতো একটি ঘৃণ্য সাবজেক্টে পরিণত হয়েছে অনেকের কাছে। তবে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে ‘ইতিহাস’-এর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন এবং তিনি ইতিহাস বিষয়ক যাবতীয় বইপত্র পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার সুবাদে ২৪৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে কিন শি হুয়ান মাত্র ১৩ বছর বয়সে কিন প্রদেশের রাজা হিসেবে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হোন। ২১৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে যখন তার…
২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে (BC) সেমেটিক ভাষা ব্যবহারকারী উপজাতির একটি গোষ্ঠী কেনান ভূমিতে এসে বসবাস শুরু করেছিল। প্রাচীন নিকট প্রাচ্যে (Near East; যা আধুনিক যুগে Middle East নামে পরিচিত) লৌহযুগে (Iron Age) বসবাসকারী এই গোষ্ঠীকে ইসরাইলি বলা হয়। হিব্রু বাইবেল অনুযায়ী, ইসরাইলিদের পূর্বপুরুষ হলেন আভরাহাম (ইব্রাহিম) ও তার স্ত্রী সারাহ। তাদের পুত্র ছিলেন ইসহাক এবং ইসহাকের পুত্র ছিলেন ইকাকোভ (ইয়াকুব)। ইয়াকোভের অন্য নাম ইসরাইল। পরবর্তীতে ইয়াকোভের বংশধররা ইসরাইলি বা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত হয়। ইংরেজিতে ইসরাইলাইট শব্দটি গ্রিক শব্দ (Ισραηλίτης) থেকে উদ্ভুত, এর অর্থ ‘বনি ইসরাইল’ (בני ישראל) বা ইসরাইলের পুত্র। তবে আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, শুধুমাত্র ধর্মীয় কাহিনীর সাহায্যে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই…
গ্রীক মিথোলজি মতে, দেবী আফ্রোদিতি’র সাথে দেবতা দিয়োনুসোস-এর গভীর প্রণয় ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকগণ সম্প্রতি পশ্চিম তুরস্কের আইজানোই নামের এক প্রাচীন শহরে এই দুই দেব-দেবীর ভাস্কর্যকে কাছাকাছি অবস্থায় আবিষ্কার করেছেন। প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি এবং সুরার (মদ/পানীয়) দেবতা দিয়োনুসোস-এর ভাস্কর্য কাছাকাছি আবিষ্কৃত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এবার ভাস্কর্য দুটোর মাথা পাওয়া গিয়েছে। এর আগে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ ভাস্কর্য দুটোর শরীর মাথাবিহীন অবস্থায় খনন করে উদ্ধার করেছিলেন। এই খনন কার্যক্রমের সমন্বকারী কুত্যাহিয়া দুমলুপিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক গোখান কোসকুন তুরস্কের একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এই ভাস্কর্যগুলো প্রমাণ করে, কোনো আবেদন না হারিয়ে প্রাচীন গ্রীসে রোমান যুগের মতো বহুঈশ্বরবাদী সংস্কৃতি দীর্ঘদিন টিকেছিল। তুরস্কে ভাস্কর্যগুলো…
১৭তম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ১৮তম শতাব্দীর শুরুর দিকে মূলত শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছিল। নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং নানাধরনের যন্ত্র ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিশাল পরিবর্তন এসেছিল ইউরোপ এবং আমেরিকায়। তখন গ্রামীণ সমাজে বাস করা কৃষক এবং হস্তশিল্পের কারিগররা ধীরে ধীরে দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোর দিকে চলে এসেছিল। যন্ত্রপাতি ভরা ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে এসেছিল তারা। কৃষক থেকে কারখানার শ্রমিকে পরিণত হয়েছিল।। শিল্প বিপ্লব অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করার পাশাপাশি নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করলেও এর অনেক নেতিবাচক দিকও ছিল। পরিবেশ দূষণ এবং কারখানায় কর্মরত শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। শিল্প বিপ্লবের কয়েকটি নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো…