ইউরোপের দেশ জার্মানিতে বাংলাদেশিদের আগমন ইউরোপের অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম৷ গত কয়েকবছরে কয়েক হাজার বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে জার্মানিতে প্রবেশ করেছেন৷ যাদের অনেকে আবার অন্যত্র চলে গেছেন, বা যেতে বাধ্য হয়েছেন৷ তবে জার্মানিতে নানাভাবে অনুপ্রবেশ করা ও অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাচ্ছে জার্মান কর্তৃপক্ষ’৷
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা অন্তত ১১৯ জন৷ আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়ায় স্বেচ্ছায় ফেরার সুযোগ নিয়েছেন আরো অনেকে৷ খবর ইনফোমাইগ্রেন্টস
গত এক বছরে অনেক বাংলাদেশিই জার্মানি থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন৷ আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়ায় নির্দেশনা মেনে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করেছেন৷ আর যারা এই নির্দেশনা মানেননি তাদের অনেককে চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরায় জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
২০২১ সালে প্রত্যাবাসন করা পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে ইনফোমাইগ্রেন্টস, যারা সবাই ২০১৫ সালে জার্মানিতে আসেন৷ তাদের কেউ ছিলেন ইরাকে, কেউবা দুবাইতে৷ উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনিয়মিত উপায়ে তারা ইউরোপের এই দেশটিতে পাড়ি জমান৷
গত ১৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে জার্মানির একটি চার্টার্ড ফ্লাইট৷ যার মাধ্যমে দেশটি থেকে ২৬ জন বাংলাদেশিকে ফেরানো হয়৷ গত শুক্রবার জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস সেক্রেটারি সাশা লাওফরে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন৷
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবর্তনকারীদের জোরপূর্বক দেশত্যাগ করানোর বাধ্যবাধকতা ছিল৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসে এবং ফ্লাইটেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছিলেন’৷
নিয়ম অনুযায়ী কারো বসবাসের অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে তিনি জার্মানি ছাড়তে বাধ্য৷ এক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ দেশটি থেকে না গেলে পরবর্তীতে কোনো সময় না দিয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে জোরপূর্বক তাকে ফেরত পাঠানো হয়৷ এই ২৬ জনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে৷
জার্মানি থেকে জোরপূর্বক প্রত্যাবর্তনের ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়৷ এর আগে অক্টোবরেও ৩৩ জনকে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছিল বার্লিন। জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাশা বলেন, ‘২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৯৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ জনকে ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি’৷
সামনের দিনে আর কতজনকে ফেরত পাঠানো হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাশা বলেন, ‘আগে থেকে এই তথ্য দেয়া সম্ভব নয়’৷
তবে, চলতি মাসে ফেরত পাঠানোদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়া ৫০ থেকে ৬০ জন বাংলাদেশির ট্রাভেল পারমিট সম্প্রতি ইস্যু করেছে দূতাবাস৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ক্লিয়ারেন্স প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আমরা তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করেছি’৷
গত এক বছরে অনেক বাংলাদেশিই জার্মানি থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন৷ আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়ায় নির্দেশনা মেনে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করেছেন৷ আর যারা এই নির্দেশনা মানেননি তাদের অনেককে চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরায় জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
এর আগে গত অক্টোবরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো ‘আট শতাধিক বাংলাদেশিকে জার্মানি থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছে বলে’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, এদের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে জার্মানি ছেড়ে চলে গেছেন৷ ফলে ফেরত পাঠানোর প্রকৃত সংখ্যাটি আরো কম হবে৷
আশ্রয়প্রার্থীদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনে উৎসাহ দিতে আরইএজি/জিএরআপি নামে জার্মানির সরকারের একটি প্রকল্প রয়েছে৷ এর অধীনেই আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম প্রত্যাবর্তনকারীদের নানাভাবে সহযোগিতা করে৷ ফ্লাইট টিকেট, যাত্রাকালীন খরচ হিসেবে ২০০ ইউরো, এমনকি এককালীন নগদ এক হাজার ইউরো অর্থ সহায়তাও বুঝে পান তারা৷ মনসুরসহ স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া আরো কয়েকজনও এই সহায়তাগুলো পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এককালীন টাকা তারা বুঝে পেয়েছেন ফ্লাইটে ওঠার আগে৷ তবে যাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয় এই সুবিধাগুলো পান না তারা৷
জোরপূর্বক বা স্বেচ্ছায় যেভাবেই আসেন না কেন প্রত্যাবাসনকারীরা বাংলাদেশে নামার পর দুইটি প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা পেয়ে থাকেন, যা থেকে ফেরত আসার মোট সংখ্যাটিও জানা যায়৷ এরমধ্যে ১৬টি ইইউ দেশের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প ইউরোপীয় রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক বা ইরিন৷ অন্যটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে আইওএম পরিচালিত ‘প্রত্যাশা’৷
দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গেই যুক্ত বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক৷ ইরিন প্রকল্পের অধীনে গত বছর জার্মানি থেকে ফিরে আসা ২৯ জনকে সহায়তা দিয়েছে তারা৷ অন্যদিকে, প্রত্যাশার অধীনে সহায়তা পেয়েছেন ১৬৮ জন৷ অর্থাৎ, সব মিলিয়ে জার্মানি থেকে ফিরে আসা প্রায় ২০০ জন গত বছর এই দুই প্রকল্পের সহায়তা নিয়েছেন৷ গত চার বছরে এই সংখ্যাটি প্রায় ৪৫০৷ এরা সবাই ২০১৫ সালের পর ফেরত এসেছেন৷
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগামের প্রধান শরিফুল হাসান ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপি) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আনডকুমেন্টেড বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য৷ এর মানে বাংলাদেশ চায় না অনিয়মিত পন্থায় লোক বিদেশ যাক’৷
শরিফুল জানান, গত কয়েকবছরে ইউরোপ থেকে ফেরত আসা সবচেয়ে বেশি লোক তারা পেয়েছেন ইটালি, গ্রিস ও জার্মানি থেকে৷
তিনি বলেন, ‘যারা ফেরত এসেছেন তাদেরকে বিমানবন্দরে জরুরি সহায়তা, কাউন্সেলিং ও পরে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয় যাতে তারা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেন৷ পাশাপাশি এইভাবে ঝুঁকি নিয়ে যেন লোকজন ইউরোপে না যায় সেজন্য সারাদেশে আমরা সচেতনতা তৈরির কাজ করছি৷ আসলে দেশে বিদেশে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সংকটের সমাধান করতে হবে’।
জানা যায়, মূলত বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, সামাজিক গোষ্ঠী কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে যারা নিজেদের দেশে নিজেদের নিরাপদ মনে না করে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেন তাদের এই ক্যাটাগরিতে আশ্রয় দেয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়৷ তবে যারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে দেশত্যাগ করেন এবং অবৈধভাবে জার্মানিতে প্রবেশ করেন, তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বিবেচনা করা হয় না৷
আন্তর্জাতিক এবং জার্মান আইন অনুযায়ী, যেসব মানুষ নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির আশায় অবৈধভাবে অন্যদেশে যাচ্ছেন, তারা শরণার্থী নন৷ ফলে সংঘাতপ্রবণ নয় কিংবা যুদ্ধ চলছে না, এমন দেশের মানুষরা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চাইলে অধিকাংশক্ষেত্রেই তা বাতিল হয়ে যায়৷ তবে যারা আশ্রয় পান, তাদেরকে তিন বছরের জন্য আশ্রয় দেয়া হয়৷ সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সেটা নবায়ন করা হবে কিনা তা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয়৷
যারা রাজনৈতিক কারণে নিজের দেশে নিগৃহের শিকার হয়েছেন কিংবা হওয়ার আশঙ্কায় আছেন, তাদেরকে এই ক্যাটাগরিতে জার্মানিতে আশ্রয় প্রদান করা হয়৷ তবে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে চাইলে অবশ্য আশ্রয়প্রার্থীকে নথিপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি তার দেশে নিরাপদ নন৷ জার্মান সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয় খুব কম মানুষকে প্রদান করা হয়৷ যারা এই আশ্রয় পান তাদেরকে প্রথমে তিন বছর মেয়াদে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়৷ পরবর্তীতে সেই মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকে৷
যে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আশ্রয় পাননি কিন্তু নিজের দেশে ফিরলে মৃত্যুদণ্ড বা অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন, তাকে জার্মানিতে শর্তসাপেক্ষে এক বছরের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়৷ মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাতের কারণে যদি কেউ দেশে ফিরতে না পারেন তাকেও এই ক্যাটাগরিতে থাকতে দেয়া হয়৷ তবে একবছর পর তার বসবাসের মেয়াদ বাড়বে কিনা সেটা নির্ভর করছে জার্মান কর্তৃপক্ষের উপর৷
খুবই দুর্লভক্ষেত্রে এ ধরনের বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়৷ যদি একজন আশ্রয়প্রার্থীর উপরে উল্লেখিত সবগুলো ক্যাটাগরিতে আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হয়, তারপরও জার্মান কর্তৃপক্ষ চাইলে তাকে ফেরত পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে৷ এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় কনভেনশন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি তার দেশে ফেরত গেলে তার মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে কিনা সেটা বিবেচনা করা হয়৷ এক্ষেত্রেও আশ্রয়ের মেয়াদ হয় একবছর৷ এই সময়ের পর বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হয়৷
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তেমন একটা দেখা যায়নি৷ আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো পরিস্থিতিও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে নাই৷ তাই, ইইউতে দেশটির বাসিন্দাদের আশ্রয়ের আবেদন তেমন একটা গ্রহণ করা হয় না৷
মোটের উপর ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি বাংলাদেশ, ইরাক এবং গাম্বিয়ার নাগরিকদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের সুপারিশ করেছে, যদি তারা ইউরোপে অবস্থানরত বৈধ বসবাসের অধিকার নেই এমন দেশগুলোর নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহায়তা না করে৷
বাংলাদেশ সরকার এরকম নিষেধাজ্ঞা এড়াতে দূতাবাসগুলোর প্রতি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তার নির্দেশনা দিয়েছে৷
যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবস্থাদৃষ্টে শান্ত রয়েছে, তাসত্ত্বেও দেশটির মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং কমিটি এগেনিস্ট টর্চারের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো মাঝে মাঝেই বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনে৷
গত দশকে দেশটিতে বেশ কয়েকজন ইসলাম ধর্মের সমালোচক ব্লগার ও সমকামীদের অধিকারের পক্ষে সংগ্রামরত অ্যাক্টিভিস্টকে হত্যা করেছে উগ্রপন্থিরা৷ এরপর অনেক বাংলাদেশি ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ বের্নহার্ড হার্টলাইন মনে করেন, জার্মানি থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের বিতাড়ন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়৷ তবে তিনি বাংলাদেশিদের আশ্রয়ের আবেদনগুলো আলাদা আলাদাভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইয়ের আহ্বান জানান৷
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে৷ কিছুদিন আগে কারাগারে একজন লেখকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷ মৃত্যুর আগে তার জামিনের আবেদন বেশ কয়েকবার বাতিল হয়েছিল৷ তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷’
হার্টলাইন, ‘এধরনের ঘটনা এটাই ইঙ্গিত দেয় যে দেশটিতে শুধু নাস্তিক ব্লগার বা এলজিবিটিকিউ অ্যাক্টিভিস্টরাই নয়, সরকার সমালোচক এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও হুমকি এবং নির্যাতনের মুখে রয়েছেন।’
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৯৪৪
আপনার মতামত জানানঃ