Author: স্টেটওয়াচ ডেস্ক

গত ৪০ দিনে দুইজন ‘মৃত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার বা তাদের ফিরে আসার ঘটনা ঘটেছে। আর দেড় বছরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এর মধ্যে একজনকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলা, একজনকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং আরেকজনকে বিষাক্ত শরবত পান করিয়ে হত্যার পর শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কথিত অপরাধীদের পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। কিন্তু ‘মৃত’ সেই তিনজনই বাড়ি ফিরে এসেছেন জীবিত। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, হত্যায় জড়িত না থেকেও কোনো ব্যক্তি কেন, কিভাবে আদালতে বলেন, ‘আমিই হত্যাকারী’। এই স্বীকারোক্তির কারণ কী? ভুক্তভোগীদের পরিবার বলছে, গ্রেপ্তারের পর…

Read More

টেলিফোনে আড়ি পাতা, কারো ফোনালাপ পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ড করে তা প্রকাশ করার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। শুধু ফোনালাপ নয়, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকের একান্ত ব্যক্তিগত অডিও-ভিডিওসহ নানা তথ্য প্রকাশের ঘটনা বাড়ছে। সংবিধান একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিলেও সেটি উপেক্ষিতই থাকছে। ‘লফুল ইন্টারসেপশন’ বা আইনসংগত আড়ি পাতার বিষয়টি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও রাজনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই এর শিকার। অন্য পেশাজীবীরাও নিরাপদ নন। দেশের টেলিযোগাযোগ আইনে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য দুই বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এ অপরাধে কারো শাস্তি পাওয়ার ঘটনা বিরল। দেশে ফোনকলে আড়ি পাতা এবং…

Read More

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার পদে ন্যূনতম ৬ মাস দায়িত্ব পালন করলেই আজীবন পেনশন সুবিধা পাওয়া যাবে। দায়িত্ব পালনের মেয়াদ অনুসারে নির্ধারিত হবে মাসিক টাকার অঙ্ক। এসব বিষয় রেখে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের (সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধাদি) আইন’র খসড়া তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। খসড়ায় সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের বেতন, গাড়ি, বাড়ি, যাতায়াতসহ অন্যান্য সুবিধাদি টাকার অঙ্কে উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে সুযোগ-সুবিধাদি টাকার অঙ্কে বলা নেই। শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আপিল বিভাগের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের হাইকোর্টের বিচারপতির সমান সুযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে আইনে। খসড়ায় বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই অধ্যাদেশের…

Read More

মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত সহস াধিক পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৫০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এতে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখায় কর্মরত পুলিশ সদস্যের সংখ্যাই বেশি। এ বিভাগে ২৩ জন মাদকাসক্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পিওএম উত্তর ও পশ্চিম বিভাগে আটজন করে, পূর্ব বিভাগে পাঁচজন এবং দক্ষিণ বিভাগে দু’জন রয়েছেন। এছাড়া ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে সাতজন এবং কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন। অন্য বিভাগগুলোতে ১-২ জন করে সদস্যের মাদকাসক্ত ধরা পড়েছে। ডিএমপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ডোপ টেস্টে পজিটিভ সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হবে। ডিএমপি সদর দফতরের…

Read More

নয়ন বন্ডকে যারা তৈরি করেছেন, তাদের আইনের আওতায় না আনলে সন্ত্রাস কমবে না * গ্রুপ সদস্যরা পর্দার আড়ালে মাদক ব্যবসাসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত * শুরু হয়েছে নতুন করে তিনটি গ্রুপের অপকর্ম বরগুনায় নয়ন বন্ডের গড়া ‘গ্রুপ ০০৭’ নামের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের সদস্যরা এখন অন্তরালে। রিফাত শরীফ হত্যার পর তাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা এখন কোথায়- এমন প্রশ্ন বরগুনাবাসীর। বিশেষ করে বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এ প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। তবে এই গ্রুপের নেপথ্য নায়করা (গডফাদার) প্রকাশ্যে থাকলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে-এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের মতে, নয়ন বন্ড তৈরি করে যারা মাদক ব্যবসা করেছে, তাদের (গডফাদার) আইনের…

Read More

বাগেরহাটের শরণখোলা থানার পরিদর্শক মফিজুর রহমানেরে বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, প্রতিপক্ষকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করতে সহায়তা, নিরীহ পরিবারকে হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ ও ন্যায়বিচার পেতে বৃহস্পতিবার বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন লিপিয়া আক্তার নামে এক নারী। শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া দ্বীপচর এলাকার ফজলুল হক সওদাগরের মেয়ে তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিপির বড় বোন নাসিমা আক্তার ও বোন জামাই মুন্না। লিখিত বক্তব্যে লিপিয়া আক্তার বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও তার ওয়ারিশদের কাছ থেকে চারটি দলিলে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করেন আমার বাবা। এরপর থেকে জমিটি ভোগদখল করি আমরা। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২০ সালের…

Read More

দাউদকান্দি উপজেলা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার আট দিন পার হলেও এখনও হদিস মেলেনি ওই ব্যবসায়ীর। এ ছাড়া এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে না পুলিশ। সাইফুল দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই গ্রামের মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে। তার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে কনফেকশনারি ও পরিবহনের ব্যবসা রয়েছে। এদিকে, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের দাবিতে তার পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় এলাকাবাসী মহাসড়কে মানববন্ধন করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে তারা…

Read More

সাড়ে ১১ বছর পর গত সেপ্টেম্বরে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারের’ ঘটনা ঘটেনি। ২০০৯ সালের মার্চ মাসের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করেছে, সেপ্টেম্বরে দেশের কোথাও ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ সাড়ে ১১ বছর পর ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মুক্ত মাস পেল বাংলাদেশ । আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোই বলছে, বন্দুকযুদ্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছ, এমন খবর তাদের কাছে নেই। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ২০০২ সালের শুরুতে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। এরপর ২০০৪ সালে থেকে র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের একের…

Read More

‘মিন্নি আগাগোড়াই ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আদালতের রায়েও সে মুক্তি পায়নি। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হবে। আশা করি, উচ্চ আদালত থেকে মিন্নি খালাস পাবে। আমি আবারও বলছি, মিন্নি নিরপরাধ।’ বরগুনায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁসির রায়ের পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী জেড আই খান পান্না এসব কথা বলেছেন। তিনি হাইকোর্টে মিন্নির জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছিলেন।সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী গতকাল কালের কণ্ঠকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে মিন্নিকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে…

Read More

এক বছরের ব্যবধানে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে পারিবারিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও শিশু হত্যার ঘটনা। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) গত বছর ও চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসের জরিপ পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো আসকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে নির্যাতনের শিকার হন ৮৮ জন সাংবাদিক। চলতি বছরের ৯ মাসে সেই সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ২০৯ জন সাংবাদিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮১…

Read More