Author: স্টেটওয়াচ ডেস্ক

সুমিত রায় মঙ্গলবার এবং বুধবার ন্যাটো এবং তার মিত্ররা জোটের ৭৪ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভিলনিয়াস লিথুয়ানিয়ায় মিলিত হয়েছিল। আলোচ্যসূচির মূল বিষয় ছিল আশ্চর্যজনকভাবে ইউক্রেন, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ন্যাটো ইউক্রেনের সদস্যপদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পথ সরবরাহ করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা। মঙ্গলবার বিকেলে ন্যাটোর যৌথ বিবৃতিতে মূলত ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, ইউক্রেন শীঘ্রই ন্যাটোতে যোগ দেবে না এবং তারা এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবে না। সুতরাং এই আর্টিকেলে, ইউক্রেইন-ন্যাটো সম্পর্কের ইতিহাস, ন্যাটোর বিবৃতি, ইউক্রেন কেন ক্ষুব্ধ এবং পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইউক্রেইন-ন্যাটো সম্পর্কের ইতিহাস ন্যাটোর প্রতি ইউক্রেনের মনোভাব প্রশাসনের উপর নির্ভর করে ওঠানামা…

Read More

সুমিত রায় চীন-মার্কিন প্রতিযোগিতা নিয়ে বিতর্কের ক্ষেত্রে একটি মাত্রা যা প্রায়শই উপেক্ষিত হয় তা হ’ল উভয় দেশের সফ্ট পাওয়ার। এখন, মানুষ যখন আলোচনা করে, চীন-ইউএস প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেলে কে জিতবে, বা চীনের মিলিটারি শীঘ্রই ইউএস এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে কিনা তখন তারা আসলে হার্ড পাওয়ার নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু একটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানের জন্য কেবল হার্ড পাওয়ারই সব নয়। এখানে সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধেরও ব্যাপার আছে যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির মধ্যে সেই দেশ সম্পর্কিত পারসেপশন বা উপলব্ধি গঠন করে। আর এটাই সফ্ট পাওয়ার নামে পরিচিত। এই আর্টিকেলে এই সফট পাওয়ারকে ব্যাখ্যা করা হবে, সেই সাথে চীন কীভাবে এখানে মার্কিন…

Read More

সুমিত রায় গত বছরের বেশিরভাগ সময়, রাশিয়ার মুদ্রা, রুবল, প্রত্যাশার চেয়ে ভাল কাজ করেছে। আগ্রাসনের পরপরই প্রতি ডলারে ১৪০ রুবলের ঐতিহাসিক নিম্নস্তরে নেমে যাওয়ার পরে, এটি এপ্রিলে প্রতি ডলারে ৫৬-এর উচ্চতায় ফিরে আসে এবং গত বছরের বেশিরভাগ সময় প্রতি রুবলে প্রায় ৬০-এ স্থিতিশীল হয়।তবে গত কয়েক মাসে, রুবল ক্রমাগত হ্রাস পেতে শুরু করেছে, ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ডলারে ৭০ রুবলে নেমে এসেছে, তারপরে এপ্রিলে ৮০ রুবল এবং ওয়াগনার অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার পরে এই সপ্তাহে প্রতি ডলারে প্রায় ৯৫-তে গিয়ে পৌঁছেছে। এই আর্টিকেলে সম্প্রতি রুবলের কী ঘটেছে, কেন এটি হ্রাস পেয়েছে এবং রাশিয়ার অর্থনীতি ও ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য এর অর্থ কী হতে পারে তা…

Read More

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীনে ২০১৩ সালে মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সে বছরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলো একত্র হয়ে একটি আলাদা দেশ গঠন করার জন্য মালির উত্তরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। মালি অনেক বছর ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের হুমকির শিকার এবং তাদের হত্যা ও নির্যাতনের কারণে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ক্রমবর্ধমান জিহাদীদের উত্থানের কারনে সেসময় চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ এই শান্তিরক্ষা মিশন শুরু করে। মালি একসময় ফরাসী উপনিবেশ ছিল এবং সেদেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর অভ্যুত্থান নিয়ন্ত্রণে ফ্রান্সও মালিতে পাঁচ হাজার সৈন্য…

Read More

সুমিত রায় গত ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে, চীন ইউয়ানের অবমূল্যায়ন বজায় রাখতে এবং চীনের ক্রমবর্ধমান উত্পাদন ও রফতানি খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজস্ব মুদ্রা দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ডলার কিনছে। এর ফলস্বরূপ, চীন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে যা তারা প্রধানত ডলার-ডিনমিনেটেড ঋণ এবং মার্কিন ট্রিজার কিনতে ব্যবহার করে। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি সর্বদা উদ্বেগের বিষয় ছিল, তবে এই উদ্বেগটি সম্প্রতি বিশেষত তীব্র হয়ে উঠেছে কারণ নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে চীন আসলে তার ডলারের মজুদ লুকিয়ে রেখেছে যা পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার সরকারী পরিসংখ্যানের প্রায় দ্বিগুণ। সুতরাং এই আর্টিকেলে ব্যাখ্যা করা হবে চীন কেন ডলার ভালবাসে,…

Read More

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাসহ প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলো এখন নানা সংকটের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে, ত্রান সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করছে যা কখনোই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এর পরিণাম ভয়াবহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকে খুন-অপহরণের মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে এবং এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউ এফ পি) তহবিলের অভাবে ১ জুন থেকে…

Read More

জাকির হোসেন পশু জবাইকে আরবিতে বলা হয় দাবিহা (ذَبِيْحَة) বা কুরবান (قُرْبَان)। শব্দটির মূল ইহুদি শব্দ কোরবান। কিছু জায়গা যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতে কুরবানি বলা হয়ে থাকে। ইসলামী প্রেক্ষাপটে পশু বলিদানকে দাবিহা বলা হয়। যার অর্থ ধর্মানুষ্ঠানের মাধ্যমে পশু জবাই। কোরবানি শব্দটির অর্থ কিছু ছাড় দেওয়া বা কোন কিছু দিয়ে দেওয়া। শব্দটি রূপকার্থেও ব্যবহার করা হয়। অন্যের ভালো করা বোঝানোর জন্য অথবা বড় কিছু পাওয়ার জন্য ছোট ক্ষতি স্বীকার করা। ভূমিকা মানব ইতিহাস জুড়ে ত্যাগ বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। প্রস্তর যুগের আদিম চর্চা থেকে শুরু করে প্রাচীন সভ্যতায় আচার-অনুষ্ঠান পর্যন্ত বলিদানের কাজটি সহস্রাব্দ বছর…

Read More

মোহাম্মদ রুবেল বাংলাদেশের গদিনশীল পীরদের মধ্যে চরমোনাই শায়েখ অন্যতম। বিশাল আশেকান গোষ্ঠীর প্রশ্নবিহীন আনুগত্য ও হাদিয়ায় টুইটুম্বুর চরমোনাইয়ের অর্থভান্ডার। এবার তিনি তার সম্রাজ্য বিস্তারে বরিশাল সিটির দিকে নেক নজর দিয়েছেন। যথারীতি হাতপাখা মার্কা নিয়ে ভোটারদেরকে শীতল বাতাস করে ভোট কামনা করছেন। বিষয়টা এ পর্যন্ত হলে বলার কিছু ছিলনা। কারণ গণতন্ত্রের চারণভূমি ভারতে মোদিজী ধর্মের দোকান খুলতে পারলে চরমোনাই বাদ যাবে কেন! তাইতো চরমোনাই প্রকাশ্য বয়ান দিলেন, তাদের হাতপাখায় ভোট দিলে ভোট পাবে স্বয়ং আল্লাহ ও তার রাসূল। চরমোনাইয়ের এমন ফতোয়ায় নিম্নোক্ত ঐতিহাসিক ঘটনাটা খুবই প্রাসঙ্গিক। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খানের সাথে ফাতিমা জিন্নাহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করলে বাংলাদেশের অধিকাংশ ইসলামী দলগুলো ফাতিমা…

Read More

জাকির হোসেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে লিঙ্গ সমতার অন্বেষণ বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য গতি অর্জন করেছে। এটি একটি ক্ষেত্র যা যাচাইয়ের আওতায় এসেছে তা হল মহিলাদের সম্পত্তির অধিকার। যদিও কেউ কেউ যুক্তি দেন যে, ইসলাম নারীদের সমান সম্পত্তির অধিকার দেয় না। মুসলিম বিশ্বে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে নারীরা সফলভাবে ন্যায়সঙ্গত সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেছে। এই প্রবন্ধটি ইসলামে নারীর সমান সম্পত্তির অধিকারের ধারণাটি অন্বেষণ করে, বাংলাদেশে এর বাস্তবায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি নারী নেতৃবৃন্দের পরিবর্তনের পক্ষে ওকালতি করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয় এবং লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। সমান বন্টনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ইসলাম লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির…

Read More

আবদুল্লাহ আল তারেক ইসলামি ধর্মতত্ত্ব দাবি করে, পৃথিবীতে প্রথম মাটি বা ভূমি সৃষ্টি হয় পশ্চিম এশিয়ার মরুদেশ সৌদি আরবের ‘বাক্কা’ নামক স্থানে; এবং সেই প্রথম মাটির ওপর প্রথম যে ঘর নির্মিত হয় সেটিই আল্লাহর ঘর বলে কথিত ‘বাইতুল্লাহ’ বা কাবা শরীফ। বাক্কা হলো মক্কা নগরীর প্রাচীন নাম। এই নগরীতেই ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ। মক্কা নগরীতে সর্বপ্রথম কে কাবাঘর নির্মাণ করেন?—এ বিষয়ে খোদ্ ইসলামের মধ্যেই রয়েছে একাধিক মতভেদ। ইসলামের কোনো সূত্র বলছে, জনহীন মরুপ্রান্তরের বুকে এটি সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন মুসলমানদের জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)। আবার কোথাও দাবি করা হয়েছে, এটি প্রথম নির্মাণ করেন মানব জাতির…

Read More