Author: বিশেষ প্রতিবেদক

ক্ষমতার দীর্ঘ ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ, বিভিন্ন বক্তৃতা এবং গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি এবং এসব মন্তব্য নিয়ে অনেকক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানাধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মন্তব্য নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা। “গ্যাস উত্তোলনে যত বাধাই আসুক, দেশের উন্নয়নে সরকার যা করা দরকার তা-ই করবে।” [সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতাকালে। ৭ অক্টোবর ২০০৯, বিডিনিউজ২৪ ডটকম] পর্যালোচনা: শেখ হাসিনার এই ঘোষণার পর এক যুগেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু তার সরকার গ্যাস উত্তোলনে কোনো অর্জন দেখাতে পারেনি। এমনকি সমুদ্রজয় নিয়ে বহু বড়াই করেছে, কিন্তু সমুদ্রের…

Read More

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান ভিত্তি। এ খাতের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের হাতে থাকাই বাঞ্ছনীয়। নইলে আশঙ্কা থাকে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশে সরকার এই খাতকে ব্যক্তি মালিকদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে একগুচ্ছ পদক্ষেপ কার্যকর করেছে। সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নের নীতিই ছিল ব্যক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারি খাতকে সংকুচিত করে আনা। এ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের চেয়ে সরকার আমদানিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আইএমএফ বেসরকরি খাতের বিকাশ এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের শর্তারোপ করে সরকারকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়। শর্তাবলির অধীনে থাকা নানা বিষয়ের মধ্যে…

Read More

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বর্তমানে কঠিন সংকট মোকাবিলা করছে। জ্বালানি সংকটের কারণে হচ্ছে না পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে সারা দেশে দিনে রাতে দফায় দফায় চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ সার কারখানার উৎপাদন। উৎপাদন সীমিত করতে হয়েছে নানা ধরনের শিল্পকে। গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং চলছে বিধায় কৃষি উৎপাদনও বিপর্যয়ের মুখে। সরকারের কঠোর নির্দেশে সূর্যাস্তের প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে সব ধরনের দোকানপাট। মোটকথা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে শিল্প ও কৃষি উৎপাদন, বেচাকেনা, গৃহস্থালী জীবন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, সব কিছুই চরম দুর্দশায়। সরকার যেখানে চাহিদার চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে, সেখানে আজ কেন ঘরে ঘরে…

Read More

চলমান ডলার সংকট কাটাতে ৪.৫ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সাপোর্ট) চেয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ)  আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গত রোববার আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভার কাছে লেখা প্রস্তাবটি সংস্থাটির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের মাধ্যমে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছে। দেশে আইএমএফ-এর সাম্প্রতিক সফরের পরই এই প্রস্তাব পাঠানো হয়।  অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে আইএমএফ-কে প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরুর অনুরোধ করা হয়। বাংলাদেশ যাতে আগামী তিন বছরের জন্য অর্থপ্রদানের ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজেটের প্রয়োজনে এই ঋণ ব্যবহার করতে পারে- সে বিষয়ে আলোচনা শুরুর অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফ’র কাছে ঋণ চেয়ে বাংলাদেশের সরকার চিঠি পাঠিয়েছে বলে অর্থ…

Read More

দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল চলাচল বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাবনা এসেছে। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনাও চলছে। কেউ বলছেন, মহাসড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার মূল কারণ দুই চাকার এই মোটরসাইকেল। এটিকে মহাসড়কে চলতে দেওয়া উচিত নয়। যদিও মোটরসাইকেল রাইডাররা বলছেন, সড়কে তাদের জন্য পৃথক লেনের দাবি বহুদিনের। সেটা না করে বন্ধ করে দিলে তা হবে ‘হাতের সমস্যায় হাত কেটে ফেলা’র মতো সিদ্ধান্ত। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে আন্তজেলা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল স্থানীয়ভাবে বন্ধ রাখার পক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে পরিবহন বিষয়ক টাস্কফোর্স। সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন খাতে ‘শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন’ সংক্রান্ত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে…

Read More

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলমান সংলাপের প্রথম দিন গত রোববার রাজনৈতিক দলগুলোকে যে কোনো মূল্যে ভোটের মাঠে থাকার তাগিদ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় তিনি একটি উদাহরণও টানেন। বলেন, ভোটের মাঠে কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায় তাহলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানো উচিত। গণমাধ্যমে তার এই বক্তব্য শিরোনাম হয়ে আসার পর সেদিন বিকেলেই অন্য একটি দলের সঙ্গে সংলাপের সময় নিজের বক্তব্য সংশোধন করেন সিইসি। তখন তিনি বলেন, ‘আপনারা তলোয়ার রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না, টেবিল বসে যুক্তি দিয়ে কথা বলেন।’ পরদিন সকালে আরও একটি দলের সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেন, তিনি তলোয়ারের কথা…

Read More

দারুণ এক প্যারডক্সে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়াকে অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এখনই সতর্ক পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, রিজার্ভ কমে যাওয়া মানে হচ্ছে অর্থনেতিক সক্ষমতা কমে যাওয়া। আর তারা পরিস্থিতি সামলাতে কমপক্ষে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইএমএফ থেকে। আবার বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে শ্রীলঙ্কার মতো সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থার প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা গত শনিবার বলেছেন, যেসব দেশের ঋণের মাত্রা উচ্চ এবং নীতিমালার পরিসর সীমিত, তারা অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়বে। তাদের জন্য শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি একটি সতর্কসংকেত। আইএমএফ প্রধানের বক্তব্যের সূত্র ধরে বিবিসির এক…

Read More

“সরাফত খুবই ক্ষমতাশালী। তিনি নাম্বার ওয়ান, অর্থ্যাৎ প্রধানমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠ। তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ আছে।”- চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ক্ষমতা বুঝতে তার ঘনিষ্ঠ একজন পর্যবেক্ষকের এই কথাটাই যথেষ্ট। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্বালে অর্থমন্ত্রীর ওপর প্রভাব খাটিয়ে তার কাছ থেকে রেইস অ্যাসেট ম্যনেজমেন্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও “ক্লোজড এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড” পরিচালনা অব্যাহত রাখার অনুমতি আদায় করে নেয়। এই সিদ্ধান্তের কারণে সরাফতের কোম্পানির বিশাল লাভ হয়েছে। কেননা, তহবিলের মেয়াদ শেষ হয়ে এলে ক্লোজড এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেবার ক্ষেত্রে কোম্পানিটির সমস্যায় পড়ার শঙ্কা ছিল। কিন্তু এখন সেই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া ছাড়াও, উল্টো অব্যাহত কমিশন প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে।…

Read More

২০১০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেখানে বিদেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ছিল ১০ শতাংশের কম, ২০৩০ সালে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বেড়ে হবে ৭০ শতাংশ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটা ৯০ শতাংশও হতে পারে। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা, তার জন্য জ্বালানি (মূলত বিদেশি কয়লা, বিদেশি তেল, বিদেশি এলএনজি ও গ্যাস) খরচ বেড়ে দাঁড়াবে বর্তমান অর্থমূল্যে প্রতিবছর ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে পাঁচগুণ। ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতা গ্রহণকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ৪,৯৪২ মেগাওয়াট। আর বিদ্যুৎসুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭%। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা…

Read More

উন্নয়ন, আশীর্বাদ না অভিশাপ! এই দ্বিধা কাটাতে কিছুটা অতীতে যাওয়া যাক। যাওয়া যাক ব্রিটিশ আমলে। আমাদের নদীগুলো উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত। সেসবকে হাজারো জায়গায় কাটাকুটি করে গেছে পূর্ব-পশ্চিমগামী রেললাইন। ফলে, বন্যার পানি বয়ে যাওয়ার প্লাবনভূমিতে উঁচু রেলবাঁধ পড়েছে। এভাবে নদীশাসনের নামে নদীর গতি নষ্ট করে সৌভাগ্যের জননীকে পরিণত করা হয় দুর্যোগের ডাকিনীতে। ব্রিটিশ নদীপ্রকৌশলী স্যার উইলিয়াম উইলকক্স ১৯২৮ সালে দেওয়া এক বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, ‘ইংরেজ আমলের গোড়াতেই সনাতন খালব্যবস্থাগুলোকে কাজে লাগানো ও সংস্কার তো করাই হয়নি, বরং রেলপথের জন্য তৈরি বাঁধের মাধ্যমে এগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।’ ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জি থমসনও হিন্দু ও মুসলিম যুগের নদীব্যবস্থাপনা ধ্বংসকেই বাংলার কৃষি ও জলদেহকে বিপর্যস্ত করার…

Read More