Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাণঘাতী গুলির ব্যবহার ও মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ছাত্র আন্দোলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলিতে দুই শতাধিক নিহত এবং প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রাণঘাতী গুলির ব্যবহার হয়েছে। নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের দমন করতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বেশি শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিকে অনেকেই নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করছেন। ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলনের সময়কার বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ হয়েছে, যা চরম উদ্বেগ তৈরি করেছে। এরকম কয়েকটি ভিডিও যাচাই করে…

Read More

ক্ষমতার দম্ভ ও জবাবদিহিহীন শাসনব্যবস্থা কী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, তার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনে অকল্পনীয় নৃশংসতা এবং দুই শতাধিক মানুষ হতাহতের ঘটনা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহাল করে উচ্চ আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত জুন মাসে যে আন্দোলন শুরু হয়, তা শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশের মধ্যেই সীমিত ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার আদালতের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়াকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি আলোচনা পর্যন্ত করতে রাজি হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাইয়ের শুরুতে আন্দোলন খণ্ডকালীন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ পর্যায়ে প্রবেশ করে। তখনো আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনে সহিংসতা শুরু হয় ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন…

Read More

জুলাইয়ের শুরু থেকেই কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে রংপুরে আবু সাঈদের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উত্তাল থেকে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। যে পরিস্থিতি- মোকাবিলা করতে সরকার অধিক কঠোর নীতি গ্রহণ করে। ছাত্র-জনতা এবং আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এত এত হতাহতের পরও বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিবেশ দমাতে পারছে না সরকার। বরং এই দমন-পীড়ন সরকারের জন্য বুমেরাং হয়েছে বলে মনে করছেন ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক…

Read More

বাংলাদেশে জুলাইয়ের সহিংসতায় অন্তত ৩২ শিশু নিহত এবং আরো অনেকে আহত ও আটক হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। গতকাল সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান সঞ্জয় উইজেসেকেরা এক বিবৃতিতে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে এক সপ্তাহ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিশুদের ওপর বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও চলমান অস্থিরতার প্রভাব নিয়ে। বিবৃতিতে সহিংসতার প্রতি নিন্দা এবং নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, শিশুদের সর্বদা রক্ষা করতে হবে এবং এটা সবার দায়িত্ব। সঞ্জয় উইজেসেকেরা জানান, শিশুদের আটক করার বিষয়ে তিনি অবগত এবং কর্তৃপক্ষকে মনে করাতে চায়…

Read More

প্রতি মুহূর্তে নিত্যনতুন ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রায় সব ঘটনাই আমরা টের পাচ্ছি ঘটে যাওয়ার পর। প্রতিটি ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা যাই ঘটছে, তার বেশির ভাগ ঘটছে আমাদের মন-মস্তিষ্কজাত সহজাত বুদ্ধি কিংবা কল্পনা অথবা আশা-আকাক্সক্ষা অথবা আতঙ্কের সীমার বাইরে। ১৮ জুলাই ২০২৪ সালের রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা কল্পনা করতে পারিনি যে, পুরো দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে এবং তা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকবে। দেশে হানাহানি হবে, শত শত নির্মম নিষ্ঠুর খুনখারাবি ও হত্যাকাণ্ডের সাথে পাল্লা দিয়ে লাখ লাখ মানুষের শরীর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হবে। বেশুমার লোক আহত হয়ে জুলাই ম্যাসাকার নামক একটি অধ্যায়ের অংশীদার হবে। আমরা বুঝতে পারছি না আগামীকাল…

Read More

বার্তা সংস্থা এএফপি এক রিপোর্টে বলেছে, দেশ জুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া এবং আবার তা চালু হওয়ার পর লাখ লাখ বাংলাদেশি অনলাইনে ফিরেছেন। তারা নিজেদের ঘরের ভেতর বন্দি করে রেখেছিলেন। এ সময়ে তারা যেসব কথা শুধু শুনেছেন, তাদের অনেকে পুলিশের সেই ভয়াবহ দমনপীড়নের দৃশ্য দেখে স্তব্ধ। গত মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০৬ জন নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার মেয়াদে সরকারি চাকরিতে বিধির বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা। নিহতদের মধ্যে কিছু পথচারী এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, নিহতদের বেশির ভাগই মারা গেছেন পুলিশের গুলিতে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করার…

Read More

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সহিংসতার রেশ প্রত্যাশিতভাবেই আছড়ে পড়েছে প্রতিবেশী ভারতের সামাজিক মাধ্যমেও। ওই আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও বলে দাবি করে বহু পোস্ট ভারতের ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ বা এক্সেও (সাবেক টুইটার) দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে – যার অনেকগুলোই চরিত্রে রীতিমতো সাম্প্রদায়িক। তবে অনুসন্ধানে বা ভারতেরও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ফ্যাক্ট-চেকিং সাইটের প্রতিবেদনেও দেখা গেছে, এই সব ভিডিওর বেশির ভাগই অনেক পুরনো – যেগুলোকে বিকৃত ন্যারেটিভে পেশ করা হচ্ছে। এর অনেকগুলোতেই সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, কিংবা একটা ঘটনার ছবি বা ভিডিও সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার বলে চালানো হচ্ছে। সোজা কথায়, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সঙ্গে সম্পর্কিত দাবি করে ভারতে যে সব পোস্ট ছড়িয়ে…

Read More

দেশে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে। জুনের তুলনায় গত মাসে ৬৩ কোটি ডলার বা প্রায় ২৫ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ে বড় পতনের এ ধাক্কা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর পড়েছে। জুলাইয়ে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৩০ কোটি বা ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সের এ তথ্য জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুসারে দেশের রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ৩১ জুলাই তা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তবে ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দেশের ইতিহাসে…

Read More

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতে নিহত প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রাণঘাতী গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। বেশির ভাগের গুলি লেগেছে মাথা, বুক, পিঠ ও পেটে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২১২ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে প্রথম আলো। এর মধ্যে ১৭৫ জনের মৃত্যুর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৩৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী গুলি ও ২২ জনের শরীরে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। অন্যদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে ছিল মারধর ও আঘাতের চিহ্ন। চারজনের মৃত্যু হয়েছে গাড়ি ও স্থাপনায় দেওয়া আগুনে পুড়ে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দুজনের। আঘাতের ধরন পাওয়া গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নথি পর্যালোচনা এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের…

Read More

সংঘাত-সহিংসতাসহ যে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত করা বিধান রয়েছে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সম্প্রতি সারা দেশে যে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশকেই সমাধিস্থ করা হয়েছে ময়নাতদন্ত না করেই। ঠিক কতগুলো মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ ধরনের অন্তত ৫৮টি মরদেহে খোঁজ পেয়েছে বিবিসি বাংলা। এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলেই যাদের মৃত্যু হয়েছে, ‘পুলিশি ঝামেলা’র ভয়ে তাদের স্বজনদের অনেকেই মরদেহ সরাসরি বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, যাদের মৃত্যু হাসপাতালে হয়েছে, তাদের বিষয়ে খবর দেওয়া হলেও…

Read More