Author: ডেস্ক রিপোর্ট

শিকার সভ্যতা ছেড়ে কৃষিতে মানুষ পা রেখেছে আনুমানিক ১৫ হাজার বছর আগে। আর কৃষির গোড়া থেকেই প্রাধান্য পেয়েছে গম, বার্লি, বাজরা, জোয়ার ও ধান। প্রথম কীভাবে ধান চাষ করা হলো তা হলফ করে বলা মুশকিল। সূচনাটা নারীর হাতেই হোক আর স্বতঃস্ফূর্ত গতিতে; ধান চাষের আদি নজির দক্ষিণ এশিয়ায়। সম্ভবত এখানেই প্রথম চাষ করা হয় এবং সে চাষপ্রণালি চীনে অগ্রগতি পায়। চীনের ইয়াংজি নদীরে উপকূলেই ধানচাষ তার পরিণতি লাভ করে। পরবর্তী সময়ে যা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে। ধান চাষের ইতিহাসের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারত, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ চীন ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারত ও চীনকে কেন্দ্র করে চাষ ব্যবস্থায় যে…

Read More

সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি বা বাজারে টাকার প্রবাহ কমানোর নীতি অব্যাহত থাকলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও কমে আসবে। এতে বেসরকারি খাত প্রসারে ক্ষতি এবং নতুন বিনিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হবে। নতুন শিল্প স্থাপনের গতি মুখ থুবড়ে পড়বে। ফলে নতুন কর্মসংস্থানের গতি যেমন কমবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চলমান কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো। ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে শিল্প ও ব্যবসার খরচ লাগামহীনভাবে বাড়তেই থাকবে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত রপ্তানি বাণিজ্যও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এতে ডলারের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সব মিলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের গতি হ্রাস পাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখতে হবে। এদিকে আইএমএফও…

Read More

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ১২ শতাংশই করা হচ্ছে আমদানির মাধ্যমে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বাবদ ব্যয় হতে পারে ১৭ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে এবার দেশে বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় বাড়তে পারে প্রায় ৮ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা বা ৯০ শতাংশের বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিতের চেয়ে আমদানি করা বিদ্যুতে খরচ তুলনামূলক কম। এ কারণে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বিদ্যুতের আমদানি বাড়াচ্ছে সরকার। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ কেনায় ব্যয় বাড়তে যাচ্ছে সরকারের।…

Read More

কোনো ধরনের উপসর্গ বা তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই হঠাৎ করেই একটি রোগে এক সময় অন্ধ হয়ে যেতে পারেন মানুষ। চোখের এই রোগটির নাম হচ্ছে গ্লুকোমা। গ্লুকোমার কারণে চোখের একটি নির্দিষ্ট স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই প্রক্রিয়া এতো ধীরে ধীরে চলতে থাকে যে অনেকেই এটা হয়তো খেয়ালই করেন না। গ্লুকোমা কী? গ্লুকোমা হচ্ছে চোখের একটি রোগ যেখানে চোখের পেছনে থাকা অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই স্নায়ুর কাজ হচ্ছে চোখকে মস্তিস্কের সাথে যুক্ত করা। ব্রিটিশ সাস্থ্য সেবা বিভাগ এনএইচএস এর তথ্য অনুযায়ী, চোখের সামনের অংশে তরল জমা হওয়ার কারণে সেটি চোখের উপর যে চাপ সৃষ্টি করে তার…

Read More

ইসরায়েলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে তারা সরে যেতে বলেছে। গাজা যুদ্ধ, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কন্স্যুলেটে হামলার পর এবার চিরশত্রু ইরান ও ইসরায়েল মুখোমুখি। কন্স্যুলেটে হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও অন্য সদস্যদের হত্যার বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইরান। এ আশঙ্কায় ইসরায়েলে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেখানে নতুন এক যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। বাতিল করা হয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগের যোদ্ধা (কমব্যাট) ইউনিটগুলোর সব রকম ছুটি। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জিপিএস। এক কথায় ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। কারণ, এই দুই দেশের মধ্যে…

Read More

প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কসবা গ্রামের ‘আল্লাহর মসজিদ’। তৎকালীন বাংলার মুসলিম স্থাপত্যের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন এ মসজিদটি নির্মাণের সময়কাল কিংবা ইতিহাসযুক্ত কোনো শিলালিপি পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে পঞ্চাদশ শতাব্দীতে হযরত খান জাহান আলী (রহ.) আমলে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। এটি দেখতে অনেকাংশে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের মতো। জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় সাতশ’ বছর পূর্বে মসজিদটি জ্বীন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি নির্মাণের ব্যাপারে বিভিন্ন অলৌকিক কাহিনীর কথা বর্ণিত রয়েছে। আর এ অলৌকিকতার জন্য মসজিদটি ‘আল্লাহর মসজিদ’ নামে পরিচিত রয়েছে। সরেজমিনে মসজিদ ঘুরে দেখা গেছে, ৩৮ ফুট করে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে নির্মিত মসজিদের দেয়ালগুলো…

Read More

খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া আঙুর যেমন ক্রমশ শুকিয়ে যায়, তেমন অবস্থা চাঁদেরও। পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের আয়তন কমে ক্রমশ ছোট হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। জোয়ার-ভাঁটায় এখনও পর্যন্ত কোনও হেরফের নজরে পড়েনি বিজ্ঞানীদের। কর্তব্যে কোনও ফাঁকি দেবে না চাঁদ। এপ্রিলে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণও যথাযথ ভাবেই সম্পন্ন হবে বলেই জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কত দিন? অতি সম্প্রতি ইউএসএ-র মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতির উপগ্রহ চাঁদের আয়তন ক্রমশ কমছে। আর তার জের নিয়ে চিন্তায় নাসা। চলতি বছরেই নাসা চাঁদে মানুষ পাঠানো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। তার কারণও রয়েছে। অত্যন্ত ধীর গতিতে হলেও কমছে। নাসার হিসেব, গত কয়েক লক্ষ বছরে চাঁদের ব্যাস…

Read More

নদের কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও শুকনো। কোথাও আবার সরু খাল। যেখানে পানি আছে, সেখানে ‘বাংলা ড্রেজারে’ (অননুমোদিত খননযন্ত্র) বালু উঠছে। শুকনো জায়গায় নদের বুক খুঁড়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে শত শত ট্রাক বালু। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যত্রতত্র বড় বড় পুকুর ও ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। নদের মাঝখানে ও তীরে বিশাল বালুর স্তূপ। জামালপুর শহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র সেতুর ওপরে দাঁড়ালে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য। এককালের খরস্রোতা নদটির ক্ষতবিক্ষত দশা দেখে মনে হয়, ব্রহ্মপুত্র এখানে যেন নদ নয়, কেবলই বালুমহাল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদের জামালপুর শহরের ছনকান্দা থেকে পিয়ারপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে…

Read More

শ্রীলংকা স্বল্পমেয়াদি ঋণের ফাঁদে পড়েছিল, বাংলাদেশেও এমন ঋণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সেমিনারে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দেশের মেগা অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বিদেশী ঋণে করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে প্রয়োজনের চেয়ে ২০-৫০ শতাংশ বেশি ব্যয় হচ্ছে।’ দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা রেহমান সোবহান বলেন, ‘শ্রীলংকা স্বল্পকালীন ঋণের ফাঁদে পড়েছিল। স্বল্পমেয়াদি অনেক ঋণ নিয়েছিল দেশটি। কিন্তু হঠাৎ রফতানি কমে আসায় এসব…

Read More

হেলিওপজ মূলত হেলিওস্ফিয়ারের প্রতিরক্ষা বা ঢালের শক্তির পরিমাণকে বোঝায়। যেটি ছাড়া মহাজাগতিক বিকিরণ ‘গ্যালাকটিক’ একেবারে বাধাহীন। সৌরজগতের শেষ সীমা হচ্ছে সূর্যের সবচেয়ে বাইরের বায়ুমণ্ডলীয় স্তর। একে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘হেলিওস্ফিয়ার’ আর এর সীমানাকে বলা হয় ‘হেলিওপজ’। হেলিওপজ সৌরজগতের সে অঞ্চলকে চিহ্নিত করে, যেখানে এক আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যম সৌরজগৎ থেকে বাইরে যেতে চাওয়া বাতাসকে আটকে দেয়। ভয়েজার ১ ও ভয়েজার ২ নামের দুটি নভোযান হেলিওপজে ভ্রমণ করলেও হেলিওপজের ব্যাপ্তি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। তবে, বিজ্ঞানীদের একাংশ এ অঞ্চল সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী, যার জন্য তারা একটি মিশনের ধারণা তৈরি করছেন। সৌরজগতে হেলিওস্ফিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর বিভিন্ন ক্ষতিকর মহাজাগতিক…

Read More