১৯৪০ সালে এই ছবিগুলো তুলেছিলেন জন টোফাম। গ্রেভসেন্ডের কাছে শর্নমিড দুর্গে রয়্যাল আর্টিলারি কোস্টাল ডিফেন্স ব্যাটারির ঘাঁটি পরিদর্শন করার সময় তিনি ছবিগুলো তুলেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, ব্রিটিশ সৈন্যদের তাদের ড্রাগ শো’তে ক্রিসমাস চ্যারিটি পারফরম্যান্সের জন্য রিহার্সেল করার ছবি হিসাবে বিনোদন নেওয়া।
তবে তখন হঠাতই শত্রুপক্ষ থেকে ব্রিটিশ সৈন্যদের ওপর আক্রমণ হয়। তখন মেয়েদের পোশাক পরা সৈন্যরা পোশাক পরিবর্তন করার কোনো সময় না পাওয়াতে মেয়েদের পোশাকেই যুদ্ধে নেমে পড়ে। তখন তাদের মাথায় কেবল হেলমেট ছিল।
অন্যান্য ছবিগুলোতে দেখা যায় যে, সৈন্যরা একে অপরকে মেকাপ করে দিচ্ছে। পোশাক উড়িয়ে তালে নাচছে, কারও বা আন্ডারওয়্যার দেখা যাচ্ছে। এক সৈনিককে তার স্কার্টের ওপর বুলেট বেল্ট পরা দেখা যায়।
অবসর সময়ের বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে ব্রিটিশ সেনাদের নিকট ড্রাগ শো ও প্যান্টোমাইমস জনপ্রিয় ছিল। এতে তাদের মানসিক চাপও অনেক লাঘব হত। তবে যুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সরকার এই ছবিগুলো নিষিদ্ধ করে দেয়। কেননা, তাদের ভয় ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের পোশাক পরিহিত সৈন্যদের বিষয়ে নেতিবাচক গুজব রটে যেতে পারে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এতটাই আতঙ্কিত ছিলেন যে তারা অবিলম্বে ছবিগুলি প্রকাশ করা নিষিদ্ধ করেছিলেন। তারা আশঙ্কা করেছিল যে নাৎসিরা এই ছবিগুলো নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাতে পারে। মিত্রদের নিকট উপহাসের পাত্র বানাতে পারে।
তা সত্ত্বেও, টোফামের শর্নমিড ফোর্ট পরিদর্শন থেকে অন্যান্য ছবিগুলি (যা সামরিক কর্মকাণ্ডকে চিত্রিত করেনি) দ্য স্কেচ এবং দ্য ওয়ার ইলাস্ট্রেটেড পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিমান হামলার সাইরেন শুনে তারা বাঁধের ঘাসের ওপর দিয়ে মেয়েদের পোশাক পরেই দৌড়াচ্ছে। আরেকটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষরা মঞ্চে বনেট, পোষাক এবং কালো স্টকিংসে অভিনয় করছে।
এসডব্লিউ/কেএইচ/১৯৩৭
লেখা: https://rarehistoricalphotos.com/
ছবি: TopFoto / Mirror UK
আপনার মতামত জানানঃ