বিশেষ প্রতিনিধি : গত ১ ফেব্রুয়ারি কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ ডকুমেন্টারি প্রচার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সেনা সদর দফতর ও সরকারের বিভিন্ন তরফ থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তাদের সাথে বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত মিডিয়াই সুর ধরে একই গান গেয়ে আসছে। তবে এর সবটাই আল জাজিরা এবং তথ্যচিত্রে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে কুৎসা এবং দোষ দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অর্থাৎ মূলকে ছেড়ে আশেপাশে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আসছে। তথ্যচিত্রের মূল তথ্য ধরে তেমন কোনো প্রতিবাদ আসেনি। তবে আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রকাশের ১৫ দিন পর আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে একটার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে সেনা সদর দফতর। সেখানে ইসরায়েল থেকে স্পাইওয়্যার কেনার বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ সেনাপ্রধানের ভাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আল জাজিরার প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
কারও সাজা মওকুফ করা হয়েছে কি না, তা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। – আনিসুল হক, আইনমন্ত্রী
আলজাজিরার ডকুমেন্টারিতে একটি ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে, সেনাপ্রধানের ভাইয়েরা খুনের ফেরারি আসামি হয়েও সেনাপ্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সাথে অংশগ্রহণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইএসপিআর থেকে পাঠানো সেনা সদর দফতরের প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, ‘গত ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে সেনাবাহিনী প্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান হয় যেখানে বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অথচ তার পূর্বেই সেনাবাহিনী প্রধান এর ভাইগণ (আনিস এবং হাসান/হারিস) তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক, পরিকল্পিতভাবে দায়েরকৃত সাজানো ও বানোয়াট মামলা হতে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অব্যাহতি পান। ফলে ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে সেনাবাহিনী প্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে তার কোনও ভাই কোনও দণ্ডপ্রাপ্ত বা পলাতক আসামি অবস্থায় ছিলেন না, বরং সম্পূর্ণ অব্যাহতিপ্রাপ্ত হিসেবেই তারা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং উক্ত সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় বা চলমানও ছিল না।
সেনাপ্রধানের দুই সহোদর হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদের সাজা মওকুফ বিষয়ে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’। সেখানে বলা হয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হারিস ও আনিসকে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাদের সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের আরেক ভাই তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফও খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। জোসেফের সাজা মাফ করার জন্য তার মা রেনুজা বেগম আবেদন করলে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় কারামুক্ত হন তিনি। তবে হারিস ও আনিসের জন্য কে, কখন, কীভাবে আবেদন করেছেন, সে তথ্য এখনো পরিষ্কার হয়নি।
প্রথম আলোর মাধ্যমে জানা যায়, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদের যাবজ্জীবন সাজা মাফ করা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে সরকার যেকোনো সময় বিনা শর্তে বা দণ্ডিত ব্যক্তি যে শর্ত মেনে নেয়, সেই শর্তে তার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত বা সম্পূর্ণ দণ্ড বা দণ্ডের অংশবিশেষ মওকুফ করতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, যেদিন মন্ত্রণালয় থেকে সাজা মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি হয়, সেদিনই ঢাকার পৃথক দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তার অনুলিপি পাঠানো হয়। এই দুটি বিচারিক আদালত আসামিদের সাজা দিয়েছিলেন। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদের নামে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরত পাঠানোর জন্য মোহাম্মদপুর ও কোতোয়ালি থানাকে আদেশ দেন আদালত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক, পরিকল্পিত, সাজানো ও বানোয়াট মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদের যাবজ্জীবন সাজা ও অর্থদণ্ড ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে মওকুফ করা হয়েছে।
কোনো আইনগত অধিকার পলাতক আসামি পায় না। আইনগত অধিকার পেতে হলে তাকে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করতে হয়। – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এই প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি হারিস আহমেদ, আনিস আহমেদ ও তাদের মা রেনুজা বেগমকেও প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। সরকারের এতগুলো দপ্তরে প্রায় দুই বছর আগে এই প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি গেলেও এত দিন তা গোপন ছিল।
তবে এখানে প্রশ্ন হলো, পলাতক আসামি কীভাবে মওকুফ পায় যদি না সে আত্মসমর্পন না করে? পলাতক কোনো আসামি কোনো আইনগত অধিকার পেতে পারেন কি না এবিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো আইনগত অধিকার পলাতক আসামি পায় না। আইনগত অধিকার পেতে হলে তাকে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করতে হয়।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, পলাতক কোনো ব্যক্তি কখনো কোনো ধরনের আইনি সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার ভোগ করতে পারে না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় পলাতক কারও সাজা মওকুফ করা হলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি হবে। এটা আইনের স্পষ্ট বিধান। তিনি বলেন, যদি কেউ এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করে সাজা মওকুফের ব্যবস্থা করেন, তাহলে তার বা তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কারণ, পলাতক আসামির দণ্ড মওকুফ করার অর্থ ক্ষমতার বেআইনি ব্যবহার ও অপপ্রয়োগ।
পলাতক কোনো ব্যক্তি কখনো কোনো ধরনের আইনি সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার ভোগ করতে পারে না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় পলাতক কারও সাজা মওকুফ করা হলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি হবে। – শাহদীন মালিক
এই প্রসঙ্গে একই পত্রিকাকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কারও সাজা মওকুফ করা হয়েছে কি না, তা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
অথচ হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদের সাজা মওকুফের জন্য কে বা কারা, কখন কীভাবে আবেদন করেছিল এবিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই। ফলে উক্ত দুই আসামির মওকুফ নিয়ে মোটা অক্ষরেই রহস্য ও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, দুই সহোদর হারিস ও আনিস আহমেদের সাজা মওকুফ করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ, আর সেনাপ্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের সাথে উপস্থিত ছিলেন একই বছরের ২৯ মার্চ। অর্থাৎ সাজা মওকুফের পরেরদিনই তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন অথবা অনুষ্ঠানের আগেরদিন তারা সাজা থেকে মাফ পান। এই একদিনের হেরফেরটাকে স্বাভাবিকভাবেই ‘স্বাভাবিক’ হিসাবে গ্রহণে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
দুই সহোদর হারিস ও আনিস আহমেদের সাজা মওকুফ করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ, আর সেনাপ্রধানের ছেলের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের সাথে উপস্থিত ছিলেন একই বছরের ২৯ মার্চ।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাদের সাজা মওকুফের এই পুরো বিষয়টা যেমন গোপনে হয়েছে, তেমনি দীর্ঘ দুই বছর ধরেও গোপনই রয়ে গেছিল। তারচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো, আল জাজিরা প্রতিবেদন করার পরও এটা তেমনি গোপনেই ছিল। আল জাজিরা প্রতিবেদন করার পর এই ১৫ দিন ধরে সরকারের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রী চারপাশে জোরেসোরে ফাঁকা আওয়াজ ছুঁড়ে আসলেও কারও মুখে এই বিষয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত আসেনি। এমনকি গতকাল পর্যন্ত গোটা দেশবাসী জানতো হারিস ও আনিস দুই ভাই খুনের মামলায় পলাতক আসামি। স্বাভাবিকভাবেই তাই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছে, দৃশ্যত পলাতক খুনের মামলার দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামির সাজা যে কার্যত মাফ করে দেওয়া হয়েছিল তা কি সরকারের এমপি মন্ত্রীরা কেউ জানতো না? গত দুই সপ্তাহ ধরে কারও বক্তব্যে না আসার কারণ কী? আচমকা এই দুই ভাইয়ের সাজা মওকুফের বিষয়টি একদিকে যেমন রহস্যের জন্ম দিয়েছে অন্যদিকে বের হচ্ছে সাজানো নাটকের দুর্গন্ধ।
এদিকে এতোদিন দেশের সব সারির মিডিয়াতে আল জাজিরার প্রতিবেদন মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণের জন্য নিজেদের মতো করে বিভিন্ন ব্যাখ্য বিশ্লেষণ করে আসছে। সেসব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে আল জাজিরায় প্রকাশিত তথ্যচিত্রের ভিডিও ও তথ্যচিত্রের অন্যান্য বিষয় নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা হয়। তথ্যচিত্রে সংযুক্ত সেনাপ্রধানের দুই ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি নিয়ে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয় সেই ভিডিও এবং তথ্যচিত্রে প্রকাশিত অন্যান্য ছবিকে ফেইক এবং বানোয়াট বলে প্রচারিত হয়। কিন্তু সেনা সদর দফতর থেকে পাঠানো প্রতিলিপিতে সেনাপ্রধানের দুই সহোদরের বিবাহোত্তর উনুষ্ঠানে উপস্থিতি স্বীকার্যে রেখে ব্যাখা প্রদান করে। এখন প্রশ্ন হলো, বিয়ের অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের ভাইদের অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশের যেসব মিডিয়া ফেইক ছবি এবং ফেইক ভিডিও বলে প্রচার চালিয়েছিল এসবের দায় কি এখন ঐসব মিডিয়া নেবে?
এতো গেলো সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গোপনীয়তা বজায় রেখে মওকুফের এক গোজামিল চিত্র। এবার আসা যাক উক্ত দুই পলাতক আসামি নিয়ে পুলিশের ওয়েবসাইট আমাদের কী তথ্য দেয়।
বলা হচ্ছে, দুই বছর আগে খুনের মামমলায় পলাতক দুই আসামি হারিস ও আনিসকে মওকুফ করা হয়েছে। অথচ চলতি বছরের ০৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় আসামি হারিসের নাম ও ছবি ছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, ১০ তারিখের পর হারিসের নাম ও ছবি পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় আবার ফিরে আসে। এরপর আবারও সরিয়ে ফেলা হয়, দুইদিন গ্যাপ দিয়ে আবার ১৫ ফেব্রুয়ারি হারিসকে সংযুক্ত করা হয়। প্রশ্ন হলো, পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় হারিসের সরানো আবার সংযুক্তি এমন নাটক করার পেছনে কী কারণ ছিল? কেনইবা সরানো-বসানো খেলায় মেতে উঠেছিল পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকা নিয়ে ওয়েবসাইটটি? যদি আসামি সাজা থেকে মওকুফই পেয়ে থাকেন তবে পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় এতদিন ধরে কেনো নাম ছিল? কেনইবা এখনো ওয়ান্টেড তালিকায় নাম রয়েছে?
সিনেমা কিংবা নাটক নির্মানের ক্ষেত্রে একজন পরিচালক সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন চিত্রনাট্যের প্লটহোল বিষয়টির দিকে। সিনেমা/নাটকে দুর্বল একটি প্লটহোল ধরা পড়লেও দর্শকের মনে যেমন প্লট নিয়ে সন্দেহের জন্ম দেয়, তেমনি সিনেমা/নাটকটিও অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। সেখানে যদি শক্ত একটি প্লটহোল থাকে, কিংবা একাধিক প্লটহোল থাকে তবে উক্ত সিনেমা/নাটকটি কি আর তা থাকে? অথচ আমরা দেখছি যে, আল জাজিরার প্রতিবেদনটি নিয়ে সরকারের তরফ থেকে যেসব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে যেমন রয়েছে প্লটহোলের ছড়াছড়ি, তেমনি রয়েছে ধোঁয়াশা ও রহস্য। সরকার ও সেনাসদরের তরফ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য যেসব তথ্য, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে, স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সেসব তথ্য ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে গোজামিলে ভরপুর থাকায় এখন বোমেরাং হয়ে দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ