ডিজিটাল যুগেও টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একজন অপরাধীর সাজা খাটছেন নিরাপরাধ অন্য একজন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আড়াই মাস মো. আজাদ নামে এক আসামির সাজা খাটছে মো. আবদুর রহিম নামে এক অটোরিকশা চালক। চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলায় রহিম এ সাজা খাটছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রহিম আজাদ পরিচয়ে কারাগারে আসার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে আজাদ সেজে ১৫ দিনের জন্য কারাগারে থাকার মৌখিক চুক্তিতে কারাগারে এসেছিল। এই সময়ের মধ্যে জামিন করিয়ে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে আড়াই মাস পার হয়েছে।
কারাগার সূত্র জানা যায়, চকবাজার থানায় মানবপাচার আইনে মামলায় {নম্বর ০৬(১২)১৯} প্রধান আসামি মো. আজাদ। সেই আজাদ নাম দিয়ে রহিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত ২ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠান। পরবর্তীতে জানা যায়, এই ব্যক্তি আজাদ নয়। তার প্রকৃত নাম মো. আবদুর রহিম। সে হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ গোমানমর্দন ছিপাতলী এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রয়েছে। হাজতি নম্বর-১১০২৭/২০। অপরদিকে প্রকৃত আসামি আজাদ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকার আব্বাসের ছেলে। পেশায় আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী। নগরীর চকবাজার এলাকায় ‘ইমামগঞ্জ’ নামে একটি আবাসিক হোটেল আছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বের মাদক মামলাও আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চকবাজার থানার ওসি মো. রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনদিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিতে থাকে ওই ব্যক্তি। পরে এ মামলায় জামিনে থাকা আসামি নুর হোসেনকে তার বিষয়ে জানতে চাইলে সে ওই ব্যক্তি এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামি আজাদ নয় বলে শনাক্ত করেন। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি তার নাম রহিম বলে স্বীকার করে। আমরা আসল আজাদকে খুঁজছি। তাকে পাওয়া গেলে রহস্য উদঘাটন হবে।’
মিই/
আপনার মতামত জানানঃ