Author: ডেস্ক রিপোর্ট

জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল বিশ্বব্যাপী হিমবাহের দ্রুত গলে যাওয়া। এই বরফের স্তরগুলি, যাকে একসময় চিরন্তন বলে মনে করা হত, তারা এখন ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রার নিরলস আক্রমণে গলতে শুরু করেছে। এটি পুরো গ্রহের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতদিন পর্যন্ত মনে করা হত, আমাদের হাতে বোধহয় কিছুটা সময় আছে। কিন্তু, ‘নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে’ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, দ্রুত হারে হিমবাহ গলনের ফলে, ২০২৫ সালের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে গাল্ফ স্ট্রিম বা উপসাগরীয় স্রোত। এই স্রোত বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে, উত্তর গোলার্ধের একটা বড় অংশে নেমে আসবে তুষার যুগ।উপসাগরীয় প্রবাহ, মেক্সিকো উপসাগরে উৎপন্ন একটি শক্তিশালী…

Read More

যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ মিলে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বিস্তারিত ও বিস্তৃত একটি পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সৃষ্টির একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা আছে এতে। ওয়াশিংটন পোস্টকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জেরুজালেম পোস্ট। বলা হয়েছে সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। কিন্তু তা নির্ভর করছে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি শুরু এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির ওপর। পরিকল্পনাকারীরা মনে করছেন এই চুক্তি পবিত্র রমজানের আগেই সম্পন্ন হতে পারে। ওদিকে বুধবার রাতে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তারা রাফায়…

Read More

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। জান্তা বাহিনীর তিনশতাধিক সদস্যের পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এবং সীমান্তের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে নিরাপত্তা হুমকি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান কীভাবে হবে সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারত এবং চীনকে সাথে নিয়ে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ, রাখাইনে নতুন করে সংঘাত এবং বিদ্যমান রোহিঙ্গা সংকট মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য পুরো পরিস্থিতি দিন দিন আরো জটিল হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইনকে ঘিরে ভূরাজনীতি এবং পরাশক্তিগুলোর স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকায় মিয়ানমারের সঙ্গে…

Read More

এসডো’র এক সাম্প্রতিক গবেষণায় বাংলাদেশের টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশে উদ্বেগজনক মাত্রায় প্যারাবেন পাওয়া গেছে। গবেষণাটিতে মানব স্বাস্থ্যের উপর এসব রাসায়নিক পদার্থের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাবের বিষয়গুলোও তুলে আনা হয়েছে। যেমন প্যারাবেনের কারণে হরমোন নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত, প্রজনন সমস্যা এবং এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ফ্লোরাইডের অতিরিক্ত ব্যবহার হাড়ের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং দাঁতের এনামেল গঠনে সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া অতিরিক্ত সোডিয়াম ডাইক্লোরাইড ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার এসডো’র প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ওনজিন ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ (WIOEH) সংস্থার সহযোগিতায় এই…

Read More

ডায়মন্ড বা হীরাকে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন সভ্যতা বা জাতিতে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। বর্তমানে এর কদর শুধুমাত্র উচ্চমূল্যের জন্য হলেও প্রাচীনকালে এর সাথে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ও জড়িত ছিল। যেমন- প্রাচীন রোমান এবং গ্রিকে এই হীরাকে দেবতাদের অশ্রু কিংবা পতনশীল কোনো তারা মনে করা হতো; একে তারা ভালোবাসার প্রতীকও মনে করতেন। অনেক প্রাচীন সভ্যতায় যোদ্ধাদেরকে হীরার তৈরী অলংকার পরানো হতো। কেননা, তাদের বিশ্বাস ছিল যে এই রত্নপাথর যোদ্ধাদের শক্তি ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করবে। ডায়মন্ডকে এপ্রিল মাসের জন্মপাথর ও ১০ম এবং ৬০তম বিবাহ বার্ষিকীর রত্নপাথর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একে সবচাইতে বিশুদ্ধ রত্নপাথরও বলা হয়। ভারতে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০…

Read More

বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার আইনের অধীনে মিয়ানমার প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০০০ যুবক-যুবতীকে যুক্ত করার খসড়া শুরু করছে। এ হিসেবে প্রতিবছর সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রায় ৬০,০০০ যুবক, যুবতীকে। এমন আইন করার ফলে অনেক যুবক-যুবতী এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালানোর কথা চিন্তা করছেন। দেশটিতে নতুন বর্ষবরণ হবে এপ্রিলে। এ সময় রীতি অনুযায়ী বর্ষবরণের পর শুরু হবে এই কার্যক্রম। এ খবর দিয়ে অনলাইন মিয়ামি হেরাল্ড লিখেছে- সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগ দেয়ার আইন শনিবার ঘোষণা করে সামরিক জান্তা, সামরিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তার আকস্মিক এই ঘোষণা এটাই বলে দেয় যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।…

Read More

ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসছে। এসব সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে এসব ক্যামেরার ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠি থেকে জানা গেছে, এই সিসি ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই চিঠি থেকে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় নিজ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা বসানোর অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ভবন ও…

Read More

ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে দেশের প্রধানতম নদী পদ্মার আকার ও গতিপথ। স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ হয়েছে। সোজা অবস্থান থেকে পরিবর্তিত হয়ে আঁকাবাঁকা হয়েছে নদীর গতিপথ। বেড়েছে ‘ব্রেইডিং’ বা পরস্পরছেদী প্রবণতা। প্রমত্তা পদ্মায় এখন সেতু আছে তিনটি। শতবর্ষী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালনশাহ সেতু ও ২০২২ সালে চালু হওয়া পদ্মা সেতু। বর্তমানে এ নদীতে নতুন করে আরো ছয়টি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকারের সেতু বিভাগ। নাসার প্রতিবেদনে পদ্মার আকার ও গতিপথ পরিবর্তন প্রবণতার দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি হলো মুক্তভাবে প্রবাহিত এ নদীর পাড় সুরক্ষায় কোনো…

Read More

প্রশাসনের প্রতিরোধের মুখে পড়লেও তাদের আন্দোলন যে থামবে না, সে কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের প্রতিবাদী কৃষকেরা। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো হাজার হাজার কৃষক তাদের দাবি আদায়ে দিল্লির দিকে মিছিল অব্যাহত রেখেছেন। তবে, সেই অভিযান সে সহজ হবে না, সে কথা মঙ্গলবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিল প্রশাসন। বুধবারও নিরাপত্তার কড়া বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল হরিয়ানার শাম্ভু, টিকরি ও সিঙ্ঘু সীমান্ত-সহ রাজধানী দিল্লি ঢোকার অন্যান্য প্রবেশপথ। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা, কৃষি ঋণ মওকুফ এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন-সহ একাধিক দাবি নিয়ে ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে কয়েক হাজার কৃষক ‘দিল্লি চল’ আন্দোলনের যে ডাক দিয়েছিলেন, আজ তার…

Read More

ভৌগলিক চরিত্র আর শাসকদের নিয়মিত উত্থান-পতনের মধ্যে বাংলা ছিল রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল অঞ্চলগুলোর একটি, নিয়মিত পরিবর্তন আর পরিবর্ধন হয়েছে বাংলার ভৌগলিক সীমারেখার। রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রভাবকগুলোও এই অঞ্চলের পটপরিবর্তনে নিয়মিত ভূমিকা রেখেছে, এই অঞ্চলের শাসকদের মুক্ত ভূমিকা নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। পাশাপাশি, অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক কারণগুলোই বিদেশী ব্যবসায়ীদের বাংলার প্রতি আকৃষ্ট করেছে, যা পরবর্তীতে বাংলাকে নিয়ে গেছে দু’শো বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খলে। বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যায় ১৭৫৭ সালে, যদিও বাংলায় কোম্পানির শাসন শুরু হয় তারও এক দশক পরে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে, মাত্র কয়েক হাজার ইংরেজ সৈন্যের কাছে পরাজয় হয় বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার। যুদ্ধে নবাব সিরাজের পক্ষে প্রধান সেনাপতি ছিলেন মোহন…

Read More