উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আবারও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিতে। দল থেকে ভোট বর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও দেখা যাচ্ছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকেই সেটি মানছেন না।
এ ঘটনায় তৃণমূলের উপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একইসঙ্গে, সামনে আসছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সমন্বয়হীনতা ও নেতৃত্ব সংকটের মতো বিষয়গুলোও।
সার্বিক দিক বিবেচনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন যে, ১৭ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ক্রমেই আরও দুর্বল দলে পরিণত হচ্ছে। দলটির শীর্ষ নেতারা অবশ্য তা মনে করছেন না।
উল্টো তাদের দাবি, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা
যতই দিন গড়াচ্ছে, নেতৃত্ব সংকটে দলের অভ্যন্তরে সমন্বয়হীনতা, কোন্দল এবং তৃণমূলে বিশৃঙ্খলার মতো সমস্যাগুলো বিএনপিতে ততই প্রকট হতে দেখা যাচ্ছে। চলমান উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সম্প্রতি বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে বিএনপি। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে দলটির মাঠ পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী ইতোমধ্যেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, যাদেরকে পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর মধ্যে, গত আটই মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৯ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
বহিষ্কার করার আগে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে, এমনকি সরাসরি কথা বলেও থামানোর চেষ্টা করেছে দলটি। যদিও কোনো প্রচেষ্টাতেই শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি।
উল্টো আগামী ২১শে মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিএনপি’র আরও অন্তত ৬১ নেতাকর্মী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, বহিষ্কারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরও ভোট করা থেকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরত রাখতে না পারার বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যেই অস্বস্তি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
“এটি মোটেও ভালো লক্ষণ নয়,” গণমাধ্যমকে বলেন বিএনপির জেলা পর্যায়ের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরও বলেন, “যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা ভোটে জিতলে অনেকেই নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে যেতে উৎসাহিত হবে। এতে দলের চেইন অব কমান্ড ক্ষতির মুখে পড়বে।”
নির্দেশ না মানার কারণ কী?
সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েও নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠ থেকে সরাতে পারছে না বিএনপি। অথচ তৃণমূলের এসব নেতাকর্মীদের অনেকেই এতদিন মামলা-হামলা এবং নির্যাতন সহ্য করার পরও মাঠে থেকে দলের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
তাহলে হঠাৎ কেন তারা কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে ভোট করছেন? “জাতীয় নির্বাচনের পরে বিএনপি যদি আগে থেকেই ঘোষণা দিত যে, কোনও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা যাবে না, তাহলে আমি এই (ভোটে প্রার্থী হওয়ার) সিদ্ধান্তে যেতাম না,” গণমাধ্যমকে বলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা তোফাজ্জল হোসেন।
মি. হোসের মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মি. হোসেন দাবি করেছেন যে, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই তিনি ভোটে প্রার্থী হয়েছেন।
“তখন তো তারা নিষেধ করেনি। বলেছে যে, যাওয়া যেতে পারে,” গণমাধ্যমকে বলেন মি. হোসেন। তিনি আরও বলেন, “এরপর মার্কার দেওয়ার দুইদিন আগে আমাকে হঠাৎ করে বললো যে, এখন নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু ততক্ষণে আমি এলাকার জনগণকে কথা দিয়ে ফেলেছি যে, (নির্বাচন থেকে) সরে যাবো না।”
আ’লীগের পক্ষে ভোট করার অভিযোগ
এবারের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি’র মাঠ পর্যায়ের সক্রিয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও অনেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হয়ে গোপনে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
“প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির কমিটির লোকজন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করতেছে,” গণমাধ্যমকে বলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা তোফাজ্জল হোসেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “দল কী তাদের দেখে না? তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? শুধু আমাদেরকেই বহিষ্কার করা হলো।”
কিন্তু বিএনপি’র নেতাকর্মীরা কেন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছেন?
“আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা যারা নির্বাচন করছেন, তারা হয়তো আশ্বাস দিয়েছেন যে, ভোটে জয়লাভ করলে তোমাকে আর পুলিশি যন্ত্রণা করবো না,” গণমাধ্যমকে বলেন মি. হোসেন।
এছাড়া আত্মীয়তার সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা অর্জনের জন্যও বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সমন্বয়হীনতা ও নেতৃত্ব সংকট
এক সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা এখন অনেকটাই নাজুক হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এ অবস্থার জন্য দলটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকেই দায়ী করছেন কেউ কেউ।
“তারেক জিয়া লন্ডন থেকে একটা নির্দেশ দিচ্ছেন, দেশে রিজভী এক ধরনের নির্দেশ দিচ্ছেন, আবার দেখা যাচ্ছে, দলের মহাসচিব আরেক রকম নির্দেশ দিচ্ছেন,” গণমাধ্যমকে বলছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরিন।
“এই যে তাদের মধ্যে একটা সমন্বয়হীনতা এবং সেখানে সমন্বিত কোনও নির্দেশনা নেই, পলিসি নেই, উদ্দেশ্য নেই। এতে দলের নেতাকর্মীরা অনেক সময় বুঝতে পারছেন যে, কার কথা শোনা উচিৎ,” বলেন মিজ নাসরিন।
এসব কারণে দাবি আদায়ে শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারায় নেতাকর্মীদের অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন বলেও জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
“যে দল ক্ষমতার বাইরে থাকে। সেই দলের মধ্যে যখন এমন উপদল এবং বিক্ষিপ্ততা তৈরি হয়, তখন কিন্তু নেতাকর্মীদের মধ্যেও একটা হতাশা এবং দোদুল্যমানতা তৈরি হয়,” গণমাধ্যমকে বলেন মিজ নাসরিন।
এমন পরিস্থিতি দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদেরকে একতাবদ্ধ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। “বিএনপির নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে”, গণমাধ্যমকে বলেন মিজ নাসরিন।
বিএনপি কী বলছে?
বিশ্লেষকরা সমন্বয়হীনতা ও নেতৃত্ব সংকটের কথা বললেও বিএনপি সেটি মানতে নারাজ। তারা বরং উল্টো কথাই বলছেন। “গত কয়েক বছরের রাজপথে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালানোর সময় আমরা যেগুলো ফেস করেছি, সেখান থেকে দল তো শিখেছে,” গণমাধ্যমকে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিজ ওবায়েদ। তিনি বলেন, “আপনারা যদি ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগে গত বছর হওয়া আমাদের সমাবেশগুলো দেখেন, সেখানে সাধারণ জনগণসহ নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেছেন।”
“সংগঠন দুর্বল হলে তো সেটা হতো না,” গণমাধ্যমকে বলেন মিজ ওবায়েদ। তাহলে কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো ঘটনা ঘটছে কেন?- তার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল বিবিসি।
“কিছু ঘটনা ঘটছে, কিন্তু বিএনপির লাখ-লাখ নেতাকর্মীর তুলনায় তাদের সংখ্যা খুবই সামান্য,” বলেন মিজ ওবায়েদ। দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভোটে নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
“স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে একটা প্রচেষ্টা আছে ভোটে প্রার্থী নেওয়ার ক্ষেত্রে,” গণমাধ্যমকে বলেন মি. রায়। ভোটে নেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আর্থিক প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে, দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না। বিএনপি’র সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালে। তিন বছর পর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর একে একে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও পরবর্তী কাউন্সিলের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিএনপি। এছাড়া দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যেও বেশিরভাগেরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। এতে দলের নেতাকর্মীদের অনেকের মধ্যেই চাপা ক্ষোভ এবং হতাশা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
“আমরাও বিষয়টা বুঝি, কিন্তু সরকার যেখানে আমাদের দশজন নেতাকর্মীকেই এক জায়গায় দাঁড়াতে দিচ্ছে না, সেখানে কাউন্সিল করবো কীভাবে?”, গণমাধ্যমকে বলেন মি. রায়।
তিনি আরও বলেন, “তারপরও আমরা ধীরে ধীরে সবগুলো কমিটি দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আশাকরি, তাতে সমস্যার সমাধান হবে।” সাতই জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মতো আমজনতার ইস্যুকে সামনে এনে আন্দোলন শুরু করেছিল বিএনপি।
যদিও সেই আন্দোলনকে তারা বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি। এরপর গত তিন মাসে বিএনপিকে সেভাবে আর মাঠে দেখা যায়নি। তবে কারাবন্দী নেতারা একে একে জামিন পেতে শুরু করায় দলটি এখন নতুন আন্দোলন কর্মসূচির ব্যাপারে ভাবছে বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
কিন্তু নতুন আন্দোলন কর্মসূচি সফল করার জন্য যে ধরনের সাংগঠনিক সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন; তৃণমূলের বিশৃঙ্খলা, সমন্বয়হীনতা এবং নেতৃত্ব সংকটের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে সেটি অর্জনে করে রাজনীতির মাঠে বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে কী-না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বিএনপি চলছে কীভাবে?
দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। দীর্ঘ এই সময়ে তিনটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলোর আগে-পরে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি দলটি।
দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন বড় ছেলে তারেক রহমান, যিনি ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় যেসব নেতারা এতদিন সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই এখন হয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন, অথবা অসুস্থ হয়ে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই যখন দলের অবস্থা, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম তাহলে চলছে কীভাবে?
“বর্তমান প্রযুক্তির জগতে লন্ডন এক মিনিটের পথ। তিনি (তারেক রহমান) সেকেন্ডে সেকেন্ডে আমাদের সকলের সঙ্গে (অনলাইনে) কথা বলতেছেন,” গণমাধ্যমকে বলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সম্প্রতি বিএনপি’র কারাবন্দী নেতারা একে একে জামিন পেতে শুরু করেছেন। ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের আদালত।
এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা আরেকটি মামলায় তার নয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত মি. রহমান দেশে ফিরে আসছেন না। এ অবস্থায় ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনেই দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
“এর ফলে আমাদের দলীয় কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে,” গণমাধ্যমকে বলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি আরও বলেন, “আগে যেখানে স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং মাসে একটাও হতো না, সেটি এখন প্রতি সপ্তাহে একটা, কখনও কখনও দুইটাও হচ্ছে।”
স্থায়ী কমিটির এসব মিটিংয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান মি. রায়।
আপনার মতামত জানানঃ