Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ বাংলাদেশ। এখানকার তরুণ জনশক্তিকে দেখা হয় অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে। নীতিনির্ধারক ও অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন সময় প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এ যুব শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ আদায় করে নিতে সক্ষম হবে। কিন্তু দেশে এখন তরুণ কর্মজীবীর (১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী) সংখ্যা কমছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে দেশে তরুণ জনশক্তির সদস্যসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার। ২০২৩ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার। সে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে দেশে যুব শ্রমশক্তি সংকুচিত হয়েছে…

Read More

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবিএল) ভারত থেকে টাওয়ারের জন্য ৬৮ কিলোগ্রাম বল্টু, নাট ও ওয়াশার আমদানি করেছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৫ ডলার দিয়ে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। চুক্তি মূল্যের চেয়ে এসব সরঞ্জামের দাম ১ হাজার ৬১৯ গুণ বেশি ধরা হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পিজিসিবিএল যে ক্রয় চুক্তি জমা দিয়েছে সে অনুসারে, প্রতি কেজি ২ দশমিক ১৮ ডলার দরে এই চালানের প্রকৃত মূল্য হওয়ার কথা ১৪৮ ডলার। গত বছরের এপ্রিলে চালানটি মোংলা বন্দরে পৌঁছালেও অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যের কারণে এগুলো খালাস করতে দেয়নি শুল্ক কর্মকর্তারা। পিজিসিবিএলের অধীনে ইস্টার্ন গ্রিড নেটওয়ার্ক প্রকল্পের সম্প্রসারণ ও…

Read More

বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় পরিবর্তন হয় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই। ওই বছরে ব্যাংকটির কর্তৃত্ব চলে যায় সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের কাছে। নিজের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতাদের পর্ষদে যুক্ত করে ব্যাংকটির একক নিয়ন্ত্রণ নেয় সিকদার পরিবার। শুরু হয় অনিয়ম, ব্যাংক ছাড়েন ভালো উদ্যোক্তারা। এর আগপর্যন্ত এটির পরিচিতি ছিল একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে। সিকদার পরিবারের হাতে ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ যাওয়ার পর পরিচালনা পর্ষদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বেনামি ঋণের নানা ঘটনা বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে। পর্ষদে পটপরিবর্তনের প্রায় ৬ বছর পর ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ…

Read More

সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে গবেষণাগার, সর্বত্র এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) রমরমা। এআইয়ের মাধ্যমে যে কোনও কাজ করে ফেলা যায় চোখের নিমেষে। অত্যাধুনিক এআই অ্যাপ এখন সকলের হাতে হাতে ঘুরছে। ছবি বা ভিডিয়ো তৈরি করা, তাতে কারুকাজ করা আর কঠিন নয়। তার জন্য প্রয়োজন হয় না বিশেষজ্ঞেরও। এআই প্রযুক্তির মধ্যে ভবিষ্যৎ বেকারত্বের ছায়া দেখতে পান অনেকে। মানুষের কাজ সহজ করে দিয়ে নতুন বিপদ ডেকে এনেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিভিন্ন সংস্থায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। ফলে কর্মী ছাঁটাই অনিবার্য। এআই-এর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছেই। এর মাঝে নতুন বিস্ময়ের খোঁজ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা তৈরি করে…

Read More

মানব সভ্যতার কোন পর্বে যে ঠিক কী লুকিয়ে থাকতে পারে, তা কল্পনারও অতীত! মাঝে মাঝেই একেকটা অধ্যায় চলে আসে চোখের সামনে এবং বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়! যেমনটা করছে এক সাম্প্রতিক অভিযান! বেলজিয়ামের এক গুহায় নিয়েনডারথাল মানুষের অস্থি খুঁজে পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, সেই সময়ে মানুষ নরখাদক ছিল! নিয়েনডারথাল মানুষরা নিজেদের মাংস খেতে দ্বিধা বোধ করত না। ইতিহাস বলছে, ৪,০০,০০০ বছর আগে এই মানবপ্রজাতি ইউরোপ আর পশ্চিম এশিয়ার নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এবং, ৪০,০০০ বছর আগে তারা লুপ্ত হয়ে যায় পৃথিবী থেকে। সেই জন্যই তাদের নিয়ে কৌতূহলেরও অন্ত নেই। মনে করা হয়, এই নিয়েনডারথালদের জীবনযাপনের সূত্রটি খুঁজে পেলে মানবসভ্যতার ইতিহাসের…

Read More

‘ঐতিহাসিক’ এই বছর এরই মধ্যে চার মাস পার করেছে। বেশ কিছু দেশে ভোট হয়েও গেছে। এমন এক সময়ে এই নির্বাচনগুলো হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মান নিচের দিকে নামছেই। সুইডেনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্সের ২০২৩ সালের পর্যবেক্ষণ বলছে, বিশ্বের অর্ধেক দেশে টানা ছয় বছর ধরে গণতন্ত্রের ক্ষয় চলছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ল্যারি ডায়মন্ড এক দশকের বেশি আগে ‘গণতান্ত্রিক মন্দা’ শব্দটির প্রচলন করেছিলেন। তাঁর মন্তব্যকেও আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। তিনি মনে করেন, প্রতিটি সময়ের একটি আবেদন থাকে এবং এই সময়টি গণতন্ত্রের নয়। আবার বিশ্বরাজনীতিও এখন বেশ টালমাটাল। যুদ্ধ-সংঘাত, গোলযোগ ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অনেক অঞ্চল। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক…

Read More

প্রায় ১০ হাজার বছর আগে কৃষিকাজের আবির্ভাব হওয়ার আগে প্রস্তরযুগে মানুষ কী খেত? দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি বদ্ধমূল ধারণা ছিল প্রাচীন মানুষ বিশাল সব প্রাণী শিকার করত। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করত ম্যামথের মতো বড় প্রাণীর ঝলসানো মাংস। কিন্তু আইবেরোমরুসিয়ান নামে একটি পুরনো প্রস্তরযুগের জনগোষ্ঠীর ওপর নতুন এক গবেষণা প্রচলিত এই ধারণার ওপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আইবেরোমরুসিয়ান গোষ্ঠীর মানুষ ছিল শিকারি-সংগ্রাহক। ১৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার বছর আগে বর্তমান মরক্কোয় তাদের বসবাস ছিল। দেশটির বিখ্যাত তাফোরালত গুহায় ৩০ জনের বেশি বিভিন্ন বয়সী আইবেরোমরুসিয়ানে মানুষের কবর পাওয়া গিয়েছিল। এই জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো গবেষণা, মানুষের পূর্বপুরুষরা খাদ্য হিসেবে মূলত মাংসের ওপর নির্ভর…

Read More

চলতি অর্থবছরে প্রত্যাশিত কর সংগ্রহ করতে না পারার কারণে আগামী বাজেটে কর সংগ্রহের বড় চেষ্টা থাকতে পারে সরকারের। সে ক্ষেত্রে আরো বেশি মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। গতকাল রবিবার বাংলাদেশের বাজেট নিয়ে এক আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে চলতি অর্থ বছরে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। নতুন সরকারের আগামী বাজেট নিয়ে এই সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি। এবার বাজেটের আগে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে, প্রবৃদ্ধির ধারা কমার কারণে কম কর সংগ্রহের মতো বিষয়গুলোকে মূল সংকট হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “প্রবৃদ্ধির…

Read More

এক সময়ের প্রমত্ত পদ্মা নদীকে ঘিরে আছে নানা কথা। কিন্তু সেই পদ্মা এখন মরতে বসেছে। ৪০ বছরের ব্যবধানে পদ্মা নদীর আয়তন নেমেছে অর্ধেকে। এতে পানির গভীরতার পাশাপাশি কমেছে প্রবাহ। আবাসস্থল হারিয়ে বিলুপ্তির আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ। হুমকিতে পড়েছে পদ্মার পুরো জীববৈচিত্র্য। ফারাক্কা বাঁধের কারণেই এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন পদ্মার বুকজুড়ে বালু চর। স্প্রিংগার থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন’ ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় উঠে আসা গবেষণার তথ্যে বলা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ।…

Read More

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) প্রকল্পের পরিধি কমিয়ে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। শুরুতে ৫৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের আওতায় একটি সফটওয়্যারে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ১৭টি মডিউল ডেভেলপ করার কথা ছিল। পরে দুদফা প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় ২৪ কোটি টাকা বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে ৮টি মডিউল। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটি ব্যবসা সহজীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমদানি-রপ্তানিকারকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে মডিউল কমানো হলেও ব্যয় বাড়ছে কেন তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভেতরে-বাইরে সর্বত্র জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে এবং ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উন্নতির লক্ষ্যে ২০১৭ সালে এনএসডব্লিউ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৫৮৫ কোটি…

Read More