…
এডিটর পিক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্প্রতি সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ—তারা নিজেদের আখের…
Trending Posts
-
উপদেষ্টারা কীভাবে আখের গুছিয়েছে? সত্যিই কী সেফ এক্সিটের কথা ভাবছে?
অক্টোবর ১০, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
কেন নাহিদ বললেন—উপদেষ্টাদের অনেকেই সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে
অক্টোবর ৬, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
উপদেষ্টারা কীভাবে আখের গুছিয়েছে? সত্যিই কী সেফ এক্সিটের কথা ভাবছে?
অক্টোবর ১০, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
কেন নাহিদ বললেন—উপদেষ্টাদের অনেকেই সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে
অক্টোবর ৬, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- অর্থনীতি ধসল বলে
- উপদেষ্টারা কীভাবে আখের গুছিয়েছে? সত্যিই কী সেফ এক্সিটের কথা ভাবছে?
- সেনা কর্মকর্তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কী হবে? কীভাবে হবে?
- ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম
- অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন-পীড়ন করছে
- গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি কি নতুন কোন ফাঁদ?
- চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান কেন কিনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার?
- অন্তর্বর্তী সরকারের টিভি লাইসেন্স বিতরণ নিয়ে বিতর্ক কেন?
Author: সরকার শুভ্র
‘উইচ হান্ট’ বা ডাইনি নিধনের শুরু হয় সে মধ্যযুগ থেকে, কিংবা তারও আগে। ইউরোপে ডাইনি-নিধনের উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব ৪৫১-এ। এরপর ১৪ শতক থেকে বাড়তে থাকা এ ব্যাধি প্রশমিত হয় ১৮ শতকের শেষভাগে। আর ততদিনে ঝরে গেছে হাজারো প্রাণ। কুসংস্কারাচ্ছন্ন উগ্র দুর্বৃত্তদের আক্রোশের শিকার এ মানুষগুলোর সিংহভাগই নারী। রয়েছে পুরুষ আর শিশুও। এরপর ইউরোপ এই বর্বরতা থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে, এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে উইচ হান্ট বা ডাইনি নিধন নামে এখনও চলছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১-এ রোমে মহামারি দেখা দিলে একসঙ্গে ১৭০ জন মহিলাকে ‘ডাইনি’ সন্দেহে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার প্রায় দুই সহস্রাব্দ পরে, ১৪৫০ থেকে…
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসামে গরু জবাই, মাংস খাওয়া ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণে একটি বিল পাস করেছে রাজ্য সরকার। বিধানসভায় স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি শুক্রবার আসাম গরু সংরক্ষণ বিল, ২০২১ পাস হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। বিদ্যমান আসাম গরু সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০-এর পরিবর্তে কার্যকর হবে নতুন বিলটি। তবে একসময় গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষ ছিল ভারত। ২০১৭ থেকে নিচে নামতে থাকে ভারতের রপ্তানির সূচক। তবু ২০১৯ সালে গরুর মাংস রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ছিল এই ভারত। তাই গরু জবাই ও মাংস খাওয়ার ওপর ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা যে পুরোটাই দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের এক হাতিয়ার, তা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, ভারতের সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক…
দেশে প্রতি ৬ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট ১৩ লাখ ৯ হাজার ৯১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে মারা গেছেন ২১ হাজার ৬৩৮ জন; এদের মধ্যে ৭৯ শতাংশের বয়স পঞ্চশোর্ধ্ব। মৃত্যুর মিছিল থামাতে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি ব্যাপক ভিত্তিক টিকাদানের কোনো বিকল্প নেই। সরকারের যথেষ্ট টিকা আছে এই বক্তব্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, মিথ্যা আশ্বাস আর একের পর এক পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্ত। বিশেষ গণটিকাদান কার্যক্রম, ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুত টিকাদান, ৭ দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার ঘোষণার গালভরা গল্পের এই উৎসবে চলমান মহামারিতে দেশের সার্বিক টিকাদান কর্মসূচির অবস্থা অনেকটা তলা ছেঁড়া বস্তার…
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় গতির র্যাংকিংয়ে শেষ থেকে তৃতীয় বাংলাদেশ। ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ মতে, বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫ নম্বরে (জুন ২০২১)। বাংলাদেশের নিচে আছে শুধু ভেনিজুয়েলা ও আফগানিস্তান। মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও উগান্ডার মতো দেশও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের চেয়ে। অথচ বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরগুলো অনেকদিন ধরেই ৪জি গতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে বলে দাবি করে। এমনকি খুব শিগগিরই তারা ইন্টারনেটের নবতম প্রযুক্তি ৫জি সেবা দেবে এমন কথাবার্তাও শোনা গেছে। এদিকে আবার চলতি বছরেই সৌদিতে সাড়ে ৩০ কোটি টাকায় ৬ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানির চুক্তি করেছি আমরা। সূত্র মতে, সৌদি আরব ছাড়াও ভারত,…
চীন আর যাই হোক, সমাজতান্ত্রিক নয়। বরং পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদী ফ্রন্টকে ভেঙে নিপীড়িত চীনকে নতুন পথে নিয়ে আসা চীনা কমিউনিস্ট পার্টিই জন্ম দিয়েছে নয়া সাম্রাজ্যবাদের। তবে চীনের এই সাম্রাজ্যবাদ মূলত পুঁজিবাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে তাকালে এই অবস্থা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। সার্বিয়ান-মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্লাঙ্কো মিলানোভিচ ‘ক্যাপিটালিজম, অ্যালোন’ গ্রন্থে এ বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, চীন মূলত পুঁজিবাদী এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হলেও তার বেলায় মুনাফা নয়, জাতীয় স্বার্থই প্রধান। রাষ্ট্রই এখানে সর্বেসর্বা। পুঁজিবাদ এইখানে ফাঁদ; যার জাল গুটিয়ে নিতে প্রস্তুত হয়ে আছে সাম্রাজ্যবাদ। চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভেটো ক্ষমতা, বৈশ্বিক প্রভাবে অনেক আগে রাশিয়াকে…
আমাদের হাতে নাকি আর মাত্র ৬০০ বছর সময় আছে! নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে হলে তার আগেই নাকি পাড়ি দিতে হবে অন্য কোনো সৌরজগতে, অন্য কোনো গ্রহের সন্ধানে! না হলে মানব জাতির ধ্বংস অনিবার্য। প্রয়াত বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং-এর এই বক্তব্য যেন অল্প অল্প করে সত্য হয়ে উঠছে প্রতিদিন। সেই ১৯৭০ সালের ২২শে এপ্রিল আমেরিকায় প্রায় ২ কোটি মানুষ পথে নেমেছিলেন পৃথিবী ধ্বংসে মেতে ওঠাদের বিরুদ্ধে। এরপর পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, পৃথিবীতে তার ধ্বংসাত্মক প্রভাব, তার প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে নানা আলাপ আলোচনা করতে করতে আমরা কয়েক দশক পার করে দিয়েছি; লাভ বলতে ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর আরও বেশি পুঁজিবাদী হয়ে ওঠা। তবে ধীরে…
দেশভাগের বেশ আগে থেকেই অখন্ড ভারতের রাজনীতির গদিতে জাঁকিয়ে বসে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। এই সাম্প্রদায়িকতা ব্রিটিশদের কলোনিয়াল এজেন্ডার ফুলেফেঁপে ওঠা চেহারা। ১৯৪০ এর দশকেই দেশভাগের নামে ভারতবর্ষকে ধর্মের মাপকাঠিতে ভাগ করতে এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে হিন্দু নির্মূলীকরণের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। যার প্রমাণ মেলে নোয়াখালী দাঙ্গায়। নোয়াখালী দাঙ্গার ইতিহাস হয়তো আজকের অসাম্প্রদায়িক তকমা নিয়ে বিশ্বের সামনে নিজেকে জাহির করা বাংলাদেশ ভুলে যেতে চাইবে। হয়তো স্বীকার করবে না। দেশ ভাগের দোরগোড়ায় যখন ভারতবর্ষ, তখন একে ধর্মীয় চেহারা দিতে অনেকটাই সাহায্য করেছিল ‘নোয়াখালী দাঙ্গা’। সালটা ছিল ১৯৪৬। হিন্দুদের উপর নোয়াখালী গণহত্যার শুরু হয়েছিল ১৯৪৬ সালের ১০…
পবিত্র শহর মক্কার পথে আলখাল্লা পোশাকে মোড়া শরীরটা অন্যান্য হজযাত্রীদের মধ্যে মিশে যায়। পোশাকের নিচে দলের অন্যান্য মুসলিমদের মতোই তার ছিল মুণ্ডিত মাথা এবং কোনরকমে রাখা দাড়ি। আরবিতে অনর্গল কথা বলতে পারতেন, আর মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতিটাও আয়ত্ত্ব করেছিলেন দারুণভাবে। এই যাত্রায় তিনি মুসলিমদের মতো প্রার্থনা করেছেন। কুরআন রাখার একটি সোনাখচিত হামাইলও ছিল তার সাথে। যদিও হামাইলের মধ্যে কোন পবিত্র গ্রন্থ ছিল না। তার বদলে হামাইলটিতে ঘড়ি, কম্পাস, অর্থ, ছুরি, পেন্সিল ও কাগজ ছিল। তবে কেউ এই য়ুরোপীয় চেহারার মানুষটাকে আলাদাভাবে লক্ষ্য করেনি। এই সময় তিনি নিজের নাম বলেন ‘মির্জা আবদুল্লাহ্ বাশরি’। এক সুফি দরবেশের ছদ্মবেশে তিনি আরবের ইয়াম্বুতে পৌঁছান। তার পরে…
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কই ইসরায়েলকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। ১৯৪৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া তুরস্ক দীর্ঘ ছয় দশক দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে। এরদোগান ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের উষ্ণ ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এরপর কেন এই বৈরিতা। ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের অমানবিক নীতিই কি এর একমাত্র কারণ। নাকি অন্য কিছু! দেশ দুটির ৬০ বছরের সুসম্পর্কে তিক্ততা শুরু হয় বছর দশেক আগে। নথি ঘেঁটে দেখায় যায়, তুরস্কের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক ছিন্ন হবার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ২০১০ সালে গাজা অভিমুখে তুরস্কের ত্রানবাহি ‘মাভি মারমারা’ জাহাজে ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলা। এই হামলায় তুরস্কের ১০ জন নাগরিক…
১৯৫৩ সালে জিনজিয়াংকে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ ছিল হান আর ৭৫ শতাংশ ছিল উইঘুর মুসলিম। আজ এই উইঘুরেরাই দেশটিতে ‘ধর্মীয় চরমপন্থী’। এমনকি পাকিস্তানেও তারা উপেক্ষিত, নির্যাতিত। অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রতিপত্তিই এর পেছনের কারণ। পাকিস্তান এখানে অনেকটাই রুটির সামনে লেজ নেড়ে ডান বাম হেলতে থাকা পোষ্য। তবে হাতবদল হচ্ছে রুটিটা। এটা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের হতে, কখনও চীনের। এখন চীনের। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অভিযোগমতে, চীন প্রায় ১০ লাখ উইঘুরকে রি-এডুকেশন সেন্টার নামের বন্দিশালায় আটকে রেখেছে। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস ও আচরণ বদলে দিয়ে চীনাকরণ চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যেমন আফগান নারীদের মুক্তির জন্য যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল, চীন বলছে, তারা উইঘুর নারীদের কেবল সন্তান জন্ম…