…
এডিটর পিক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসে ২০১৪ সালে। তখন থেকেই…
Trending Posts
-
মহাকাশে দুই ছায়াপথের লাখ লাখ সূর্যের সংঘর্ষ, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা
মে ২, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে যেভাবে ঝুঁকিতে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি
এপ্রিল ২৮, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ভ্যানেই যৌন নির্যাতন ও হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরীকে
এপ্রিল ৩০, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
মহাকাশে দুই ছায়াপথের লাখ লাখ সূর্যের সংঘর্ষ, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা
মে ২, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে যেভাবে ঝুঁকিতে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি
এপ্রিল ২৮, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ভ্যানেই যৌন নির্যাতন ও হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরীকে
এপ্রিল ৩০, ২০২৪By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- মহাকাশে দুই ছায়াপথের লাখ লাখ সূর্যের সংঘর্ষ, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা
- ফটোকপিয়ার মেশিন যেভাবে বদলে দিল দুনিয়া
- যেকারণে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে অনুসন্ধান না করার নির্দেশ
- ভারতে মুসলিমদের ভাগ্য ও রাজনীতির পরিবর্তন
- বঙ্গোপসাগরের যে দ্বীপে মানুষ গেলে আর জীবিত ফিরে আসে না
- তীব্র খরায় জেগে উঠল ৩০০ বছরের পুরোনো শহর
- গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ভ্যানেই যৌন নির্যাতন ও হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরীকে
- পর্যটন গন্তব্য থেকে যেভাবে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য: বিবিসি প্রতিবেদন
Author: সরকার শুভ্র
‘আপনারা একটা জিনিস জানেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে বাংলাদেশে স্বাধীনতার আগে একসময় অনেক হিন্দু ছিল অর্থাৎ সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল। এখানে যারা উচ্চ সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলেন তারা সব কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে চলে গিয়েছেন, আর যত নিকৃষ্টগুলা এখানে থেকে গেছেন।’ – বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব আহম্মেদ (২৩শে জুলাই, ২০২২; সূত্র: নিউজবাংলা২৪) ক্ষমতাসীন দলের নেতার এই বক্তব্য অনেককিছুই স্পষ্ট করে দেয়। অনেক প্রশ্নের সামনে উত্তরের দরজা খুলে দেয়। তবু কিছু প্রশ্ন উত্তর জানা সত্ত্বেও বারবার করতে হয়। উত্তরের জন্য নয়, অস্তিত্বের জন্য। আর সেগুলো হল- মুসলিমরা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারলে, দূর্গাপুজোয় কেন হিন্দুদের আতঙ্কে থাকতে হবে? কেন কড়া পাহারায় পুজো হবে?…
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরুর আগে একটা ধারণা প্রচলিত ছিল যে, বিরোধী দলহীন এই স্থানীয় নির্বাচনে যারা সরকারি দলের প্রতীক নৌকা পাবেন তাদের বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে সত্য হল নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে হেরে গেছে প্রায় দেড় হাজারের বেশি প্রার্থী। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী একটি বেসরকারি সংস্থা ব্রতী’র শারমিন মুরশিদ অবশ্য বলছেন, এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিলো শাসক দলের জন্য আত্মঘাতী এবং দলের মধ্যকার বিশৃঙ্খলা এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বাইরে চলে এসেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, আজই গণভবনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর সাথে আলোচনা করবেন তারা। নিজেদের ঘাঁটিতেই হেরেছে নৌকা প্রায় সাড়ে…
শুধু পুরুষদের নয়, নারীদেরও খৎনা হয়! যদিও এ বিষয়ে অনেকেই অবগত নন! তবে সত্যিই এমন প্রথা রয়েছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে। আফ্রিকা মহাদেশের ২৭টি দেশসহ ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের কুর্দিস্তান, ইয়েমেনে দেশগুলোতে নারীদের খৎনা একটি ধর্মীয় রীতি হিসেবেই প্রচলিত। জাতিসংঘের হিসাবে, বিশ্বের প্রতিটি ২০জন মেয়ে শিশু বা নারীর মধ্যে একজনের খৎনা করা হয়ে থাকে, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় এফিএম বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন। মূলত আধুনিক বিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রায় শতবর্ষ আগে থেকেই এ রীতি মেনে আসছেন বহু মানুষ। আর সংখ্যাটাও একেবারেই নগণ্য নয়! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের মত অনুসারে ‘চিকিৎসা বহির্ভূত কোনো কারণে নারীদের যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশের আংশিক বা পূর্ণ অপসারণ করানো…
প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাবের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন অর্থ দপ্তর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে সাতজন বাংলাদেশের। আলোচনার টেবিলে যারা মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞাকে খুব একটা পাত্তা দিতে রাজি নন তাদের যুক্তি হলো, বর্তমান সরকারের সময়ে দুদেশের সম্পর্ক একটা নতুন উচ্চতায় গিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শুধু একটি প্রভাবশালী দেশই নয়, এ অঞ্চলের ভূরাজনীতিতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। অতএব বাংলাদেশকে এড়িয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অসম্ভব। তাছাড়া বাংলাদেশের…
আন্দোলনে পুলিশি অত্যাচার এক ট্র্যাডিশন হয়ে উঠেছে। পুলিশের জন্য আদৌ কি দেশে কোনও আইন আছে? কোনও মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার নামে পুলিশ কি যথেচ্ছ আচরণ করতে পারে? ছাত্র আন্দোলন দমাতে পুলিশ কি গুলি ছুঁড়তে পারে? পুলিশের হামলায় নিরপরাধ শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারালে কি শাস্তি হবে ওইসব দোষী পুলিশদের? আন্দোলন মোকাবিলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই সঙ্গত প্রশ্নগুলি বছরের পর বছর ধরে উঠলেও উত্তর মেলেনি। সরকারের রাজনৈতিক রঙ বদল হয়েছে, কিন্তু উত্তরটা অধরাই থেকে গেছে। পুলিশ বা সরকার, কারও কাছ থেকেই আচরণ পরিবর্তনের কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি। ‘যে সমস্ত শিক্ষক ছাত্রদের শরীর থেকে রক্ত ঝরানোর নির্দেশ দেন, তারা শিক্ষক নামের কলঙ্ক।’- সিলেটের শিল্পী ও…
ডিজেলের দাম বাড়ার পর কোনো ঘোষণা ছাড়াই পরিবহণ ধর্মঘট করে পরিবহন মালিকেরা সারাদেশ অচল করে দেন। মন্ত্রীরা বা বিআরটিএ সময় চাইলেও তারা সময় দেননি। তারা ইচ্ছেমত ধর্মঘট ডেকে খুশিমত ভাড়া আদায় করে নিয়েছেন। এদিকে নতুন ভাড়া আদায় নিয়েও চলছে নৈরাজ্য। যে যেভাবে পারছে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি আদায় করছে। কিলোমিটার অনুযায়ী কেউ ভাড়া নিচ্ছে না। কেউই তাদের এই নৈরাজ্য থামাতে পারছেন না কেন? প্রসঙ্গত, মোট সিটের শতকরা ৭০ ভাগ বিবেচনায় নিয়ে বিআরটিএ বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে। এরপর প্রতিটি বাসে সামনের দিকে দুই-তিনটি অবৈধ সিট থাকে। উপরন্তু সিটের বাইরেও দাঁড়িয়ে কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী বহন করা হয়। ফলে বাস মালিকেরা…
আমাদের সিজনাল প্রতিবাদী সংস্কৃতি ক্ষমতার গদি জেঁকে বসাদের মুখ থেকে লাগামকে নিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ক্ষমতাসীনরা জানে, অন্যায় অপরাধ যাই হোক; এক মাস পার না হতেই সব প্রতিবাদ স্বাভাবিক হয়ে যাবে, সব স্লোগান থেমে যাবে, সব পোস্টারের জায়গা হবে ডাস্টবিনে, সব সুসন্তান সুবোধ ছেলের মতো বাড়ি ফিরবে। তাই স্বভাবতই কোনও প্রতিবাদই তাদের টলাতে পারে না। মূলত কোন প্রতিবাদই তাদের কানে পৌঁছায় না। তারা গদিতে চেপে বসে, সবকিছু স্বাভাবিক হবার জন্য অপেক্ষা করে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। মৃতদের জন্য শোক জানায় এবং জীবিতদের জন্য কবর খোঁড়ে। কারণ সব অন্যায়, অপরাধ আর জুলুমের পর বাঙালির ভরপেট খেয়ে বিছানায় গড়িয়ে দেয়া…
বিপুল জনগোষ্ঠীর এইদেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখেরও বেশি নারী ও পুরুষ কর্মী যুক্ত হচ্ছে। তার তুলনায় কর্মসংস্থানের হার একেবারে কম। তাই এর বিরাট একটি অংশ প্রতিবছর কর্মহীন হয়ে পড়ে। কর্মহীন থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সমাজে নানারকম সমস্যার সূত্রপাত হয়। তখন আমাদেরকে একরকম বাধ্য হয়েই ভাবতে হয় শ্রম অভিবাসনের কথা। যদিও স্বাধীনতার পরপরই আমাদের দেশের নারীরা দেশের অভ্যন্তরে নানা কর্মক্ষেত্রে যোগদান করে পারিবারিক স্বচ্ছলতা ও দেশের অর্থনীতিতে নিরন্তর অবদান রাখা শুরু করে। অনেক আগেই বাংলাদেশের নারী কর্মীদের শ্রম অভিবাসন শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের নারীরা সরাসরি শ্রম অভিবাসনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখের মতো বাংলাদেশি নারী প্রবাসে…
সরকার শুভ্র তখন মায়েদের শুক্রবারগুলো ছিল শাবানার। আঙুলে আঁচল জড়ানো, নিচু চোখে তাকানো, লজ্জা পেয়ে পর্দার আড়াল নে’য়া আর বিপদে রাজ্জাক অথবা আলমগীরের পেছনে লুকিয়ে পড়া। ‘জেন্ডার ইনইকুইলিটি’ তখন থেকেই বাঙলা সিনেমার ‘নাড়ী ছেঁড়া ধন’। সিনেমায় অন্তত দু’জন নারী যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলে, তখন তাদের আলাপের বিষয় একটা সময় পুরুষে গিয়ে দাঁড়ায়। কিংবা নারীর কথা— কোনও নারী নয়, বলে একজন পুরুষ। এগুলো হাবাগোবা চুলে তেল দে’য়া ছেলেদের বলা কথার মতো শোনালেও, সমাজ এবং শিল্পের জার্নিতে নারীদের থার্ড ক্লাসের প্যাসেঞ্জার হয়ে ভ্রমণ করার টিকিট এগুলোই। ‘সিনেমা সমাজ পরিবর্তন করতে পারে না। কখনও করেওনি’— সত্যজিত রায়ের এই কথার সামনে গণেশ উল্টে…
‘জগৎ শেঠ’ বাংলার ইতিহাসে পরিচিত একটি নাম। তবে এ নাম কোনো ব্যক্তির নয়। অষ্টাদশ শতকের বিখ্যাত ধনী ‘জগৎ শেঠ’ একটি পারিবারিক উপাধি। বিপুল ধনসম্পদ ও সেই সুবাদে প্রভূত রাজনৈতিক ক্ষমতা ভোগকারী এই পরিবারটির আবাস ছিল সেই সময়কার সুবা বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে। কিন্তু আদতে জগৎ শেঠরা বাংলার মানুষ নন। তাদের আদি নিবাস রাজস্থানের জোধপুরের নাগোর অঞ্চলে। প্রথমে তারা শ্বেতাম্বর জৈন ধর্মাবলম্বী ছিলেন। পরে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেন। আরও পরে তাঁরা আবার জৈনধর্ম নেন। এই বংশে প্রাচীন ইতিহাস ঘাঁটতে বসলে দেখা যায়, হীরানন্দ সাহু নামে এক ব্যক্তি জোধপুর থকে ভাগ্য অন্বেষণে পাটনায় আসেন। অসম্ভব দরিদ্র হীরানন্দ মনের দুঃখে দিন কাটাতেন। এমন সময়ে…