“পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। যে কোনো দিক থেকে মৃত্যু এসে হাজির হতে পারে,” বলছিলেন পল। ছোট খাটো, হালকা গড়ন, বছর ত্রিশেক বয়স। ইকুয়েডরের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ অপরাধী চক্রের সদস্য তিনি।
তার বিশ্বাস, গত দেড় বছর ধরে বিপক্ষ দলের হিট লিস্টে (সম্ভাব্য খুনের তালিকায়) তার নাম জ্বলজ্বল করছে। তবু যে তিনি এখনো বেঁচে আছেন তার কারণ তার মায়ের প্রার্থনা।
“মনে হয় সৃষ্টিকর্তা আমাকে ওপরে তুলে নিতে চান না, শয়তানেরাও নিচে টেনে নিতে চায় না।”
পল (ছদ্মনাম) জানান, গ্যাংয়ে জীবনের অর্ধেক সময় পার করেছেন। আরো অনেকের মতো, তিনিও খুব অল্প বয়সে যোগ দিয়েছিলেন, মাত্র পনের বছর বয়স তার তখন।
গায়াকুইলের রাস্তায় গাড়িতে চলতে চলতে কথা বলছিলাম আমরা। গায়াকুইল ইকুয়েডরের সবচেয়ে বড় শহর। সেখানে প্রায় ২০টি গাং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত।
পল আশঙ্কা করছিলেন, যদি তিনি বেশি সময় অবস্থান করেন, শত্রুরা তাকে ধরে ফেলতে পারে। তাই আমরা চলার ওপরই ছিলাম, যাতে সহজে কেউ পিছু নিতে না পারে।
“আমি সম্মান চেয়েছিলাম,” বলছিলেন তিনি। কিন্তু যে সহিংসতা ইকুয়েডরের চেহারা পাল্টে দিয়েছে তাতে নিঃসন্দেহে তিনি এবং তার গ্যাং জড়িত।
একসময় লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ দেশ ছিল এটি। গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপের প্রবেশদ্বার আর রেইনফরেস্টের সেই দেশ গত পাঁচ বছরে এক বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে।
লাতিন আমেরিকায় সর্বোচ্চ খুনের রেকর্ড এখন ইকুয়েডরের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ২০২৩ সালে আট হাজার হত্যাকাণ্ডের তথ্য রয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা ২০১৮ সালের পাঁচ গুণ। এই পরিসংখ্যানের কারণে মেক্সিকো ও কলম্বিয়াকে পেছনে ফেলে খুনের রেকর্ডে এগিয়ে গেছে ইকুয়েডর।
জানুয়ারিতে, সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে একটি টিভি স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেয় একদল মুখোশধারী। সেই ঘটনা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল।
ওই সময়ে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন শহরে অপহরণ, বিস্ফোরণ চালায়। জেলখানায় দাঙ্গায় লিপ্ত হয় কয়েদিরা।
মাত্র দুই মাস আগে দায়িত্ব নেয়া প্রেসিডেন্ট নোবোয়া মাদক পাচার ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
“মাদক-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চায়। তাদের ধারণা আমরা তাদের দাবি মেনে নেবো। কিন্তু, সন্ত্রাসীদের সাথে কোনো আপস নয়,” বলেন তিনি।
সেই থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে সোমবার। তবে, প্রেসিডেন্ট এক বিশেষ সংঘাত পরিস্থিতির ঘোষণা দিয়েছেন। যার নাম দেয়া হয়েছে “ইন্টারনাল আর্মড্ কনফ্লিক্ট”(অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত)।
তিনি কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং কারাদণ্ডের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চান। এসব বিষয়ে ২১ এপ্রিল এক গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
পথের ভয়
পলের গ্যাংয়ের মতো গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতায় সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অপহরণ, চাঁদাবাজি সেখানে নিত্যদিনের ঘটনা।
এসবের ভয়ে অনেকেই নিজেদের জীবনধারা বদলে ফেলেছেন। ঘরের বাইরে সময় কাটানো কমিয়ে দিয়েছেন তারা। বিশেষ করে রাতে পারতপক্ষে বাইরে বের হন না।
রাজধানী কিটো, গায়াকুইলসহ বেশ কয়েকটি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে সরকার। “আমার কাছে মানসিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রচুর রোগী আসছেন। কেউ কেউ একেবারে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়ে আসছেন,” বলছিলেন গ্যাব্রিয়েলা আলমিদা। মিজ আলমিদা কিটোর একজন চিকিৎসক।
তার বাসা দেয়াল এবং আলাদা ফটক দিয়ে সুরক্ষিত। রাতে যেন বের হতে না হয় সেজন্য তিনি রুটিনও বদলে ফেলেছেন।
বের হওয়ার সময় ট্যাক্সি আসার আগ পর্যন্ত আলমিদা ভেতরেই দাঁড়িয়ে থাকেন, রাস্তায় নামেন না। সবসময় পরিবারকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে রাখেন।
“কাছাকাছি একটা অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, মাত্র চারটা বাড়ি পরে,” বলছিলেন তিনি।
“আমরা তখন ছোট, কলম্বিয়ায় কী কী ঘটছিল সব মনে আছে। আমাদের দেশেও একই রকম ঘটনা ঘটবে কোনোদিন কল্পনাও করিনি। বড়জোর বাসে পকেটমার হতে পারে। কিন্তু, খুন হয়ে যাওয়ার ভয় পেতে হয়নি কখনো। একটা দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকা পড়েছি যেন।”
আলমিদা একজন ‘সিঙ্গেল মাদার’। একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে গুরুত্ব দিয়েই তিনি স্পেনে পাড়ি দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।
“আমার ছেলেটাকে এমন একটা ভবিষ্যৎ দিতে চাই যেখানে থাকে পথে বেরোতে হামলা বা অপহরণের ভয় পেতে হবে না,” ব্যাখ্যা করে বলেন তিনি।
ইকুয়েডরের মাদক সাম্রাজ্য
প্রেসিডেন্ট নোবোয়ার বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, মাদক বাণিজ্যের নেপথ্যে অনেক বিষয় জড়িত। পলের জীবনের গল্পেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। তিনি বলেন, গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত হবার পর, তিনি এলাকায় গাজা ও কোকেনের ব্যবসা করতেন।
মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত জাতিসংঘের দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়টাতেই বিশ্বব্যাপী কোকেনের উৎপাদন ও ব্যবহার সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে।
শুধুমাত্র ২০২০ এবং ২০২১ সালেই এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে কোকেন উৎপাদন। ফলে, মেক্সিকো, কলম্বিয়া এবং আলবেনিয়া ভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীরা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নতুন নতুন জায়গা খুঁজছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কোকেন উৎপাদনকারী দুই দেশ কলম্বিয়া এবং পেরুর সাথে সীমান্ত আছে ইকুয়েডরের। দেশটির সরকারের পাচারকারীদের সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতায়ও ঘাটতি আছে। এসব কারণে ইকুয়েডরই হয়ে ওঠে যথার্থ স্থান।
ইকুয়েডর পরিণত হয় গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন হাবে (বৈশ্বিক বিতরণ কেন্দ্র)। যেখানে মাদক সংরক্ষণ, চালানের জন্য প্রস্তুতকরণ সম্পন্ন করা হয়। শিপিং কনটেইনারের ভেতরে লুকিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হয় সেগুলো। গ্যাংগুলো মূল ভূমিকা পালন করে এই প্রক্রিয়ায়।
পল বলছিলেন, ইকুয়েডরের এই রূপান্তরের ফলে তারা অল্প মাদকের খুচরা কারবারি থেকে কিলোগ্রামের পর কিলোগ্রাম কোকেনের পাচারকারী হয়ে ওঠেন।
তিনি বলেন তার নতুন কাজ হলো, শিপিং কনটেইনারে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে অবৈধ মাদক লুকিয়ে দেয়া। কলা, চিংড়িসহ ইকুয়েডরের রপ্তানি পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলবর্তী গায়াকুইল বন্দর দিয়ে যায়। ইকুয়েডরর কোস্ট গার্ডের তথ্য, অবৈধ মাদকদ্রব্যের নব্বই শতাংশই এসব শিপিং কনটেইনারে করে পাচার হয়।
‘ইন্টারনাল আর্মড কনফ্লিক্ট’ নামক বিশেষ অবস্থা জারির পর, কোস্টগার্ড তাদের নজরদারি বাড়িয়েছে। “আগে আমাদের কাজ ছিল সাধারণ অপরাধীদের নিয়ে। এখন, যাদের পেছনে ছুটছি তাদের কাছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রও থাকতে পারে,” বলছিলেন একজন কোস্টগার্ড কমান্ডার। বন্দর এবং আশেপাশের এলাকায় তার টহলরত নৌযানে সঙ্গী হয়েছিলাম আমরা।
গ্যাংয়ের লোকেরা প্রতিশোধ নিতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। মুখটাও একটা মুখোশে ঢেকে রেখেছিলেন পুরোটা সময়।
তার সশস্ত্র দলটি মাদক চোরাচালানীদের খোঁজে দিনে চারবার টহল দেয়। স্পিডবোটে চেপে এসে কোনো জাহাজের কনটেইনারে মাদক ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে কি না সতর্ক দৃষ্টিতে সেসব খেয়াল রাখেন তারা।
দুর্নীতির কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজটা সবসময়ই কঠিন হয়ে যায়। পলের তথ্য অনুযায়ী, ঠিকমতো অর্থ পেলে বন্দরেরই কেউ সিকিউরিটি ক্যামেরা অপরাধীদের বেআইনি কাজকারবার থেকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়।
“সিস্টেমের মধ্যে দুর্নীতিবাজ লোকের সংখ্যা অনেক,” উল্লেখ করেন কমান্ডার। “কখনো কখনো বন্দরের ভেতরের চেক পয়েন্টগুলোতে কনটেইনারে মাদক ঢোকানো হয়। কিন্তু, বেশিরভাগ আগে থেকেই মাদক ভর্তি হয়ে আসে।
“সবাই নিজস্ব এলাকা চায়”
পলের কাছে বেশি চোরাচালান মানে, “বেশি অর্থ, ভালো অস্ত্র”। ইকুয়েডর পুলিশের তথ্যমতে, ২০২০ সাল থেকে অস্ত্র জব্দ করার হার ৫৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। বাহিনীটি বলছে, এর থেকে তারা অনুমান করছে দেশের ভেতরে আরো বেশি অস্ত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার টানাপোড়েনে সহিংসতা বেড়ে গেছে বহুগুণ। রাস্তাঘাটে তো বটেই, কারাগারের ভেতরেও সংঘাতে জড়ায় তারা।
“সবাই নিজস্ব এলাকা চায়। মাদক বিক্রির জন্য, পাচারের জন্য, এমনকি মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও অপহরণের জন্যও এলাকার দখল চায় তারা,” বলছিলেন পল।
যখন জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি গ্যাং ছাড়তে চান না কেন, তার দাবি আত্মগোপনে যাওয়ার পর থেকে এসবের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা কম। কিন্তু যারা তাকে খুঁজছেন, তারা ছড়িয়ে আছেন ‘সর্বত্র’।
জানান, কখনো দরকার পড়লে যেন অস্ত্র ও জনবল দিয়ে তাকে সহায়তা করে, এজন্য গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন তিনি।
কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু, তারা কারাগারেও সক্রিয় দাবি করে পল বলেন, “গ্যাং ছাড়ার একমাত্র পথ দেশত্যাগ করা”।
তার সম্পৃক্ততা বিষয়ে জানতে আরেকটু জোর করার পর, অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বীকার করেন, তিনি মানুষ খুন করেছেন। কিন্তু, একেকটা পরিবার ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তিনি অনুতপ্ত।
“মানুষের জীবন নেয়ার জন্য আমার অনুশোচনা হয়। বিশ্বাস করুন, এতো মানুষের ক্ষতি করে আমি অনুতপ্ত। রাতে ঘুমোতে পারি না আমি।”
ন্যায়ের জন্য লড়াই, অন্যায়ের শিকার
সমস্যাগুলো নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে, আমাদের জানানো হয় সহিংস খুনের সংখ্যা “নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে” সক্ষম হয়েছে তারা। কারাগারে সংঘবদ্ধ গ্যাংগুলোর দাপট নস্যাৎ করে দিয়েছেন বলেও দাবি সরকারের।
জানানো হয়, দুর্নীতি ঘটনায় তদন্ত করা হয়েছে। আর এসবের মধ্য দিয়ে “মাফিয়া” বিরুদ্ধে জয়ী হতে যাচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। রাষ্ট্র যেমন একদিকে গ্যাংগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। কিছু মানুষও শামিল হয়েছেন এই লড়াইয়ে। কিন্তু, অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে গিয়ে টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন তারা।
দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ছয় জন পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকারি আইনজীবী খুন হয়েছেন। তাদের একজন সিজার সুয়ারেজ। তিনি টিভি স্টেশনে হামলাসহ আরও কয়েকটি মামলার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। জানুয়ারিতে গায়াকুইলে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।
“সুয়ারেজ খুবই প্রাণোচ্ছ্বল মানুষ ছিলেন… সজ্জন ছিলেন, কাজকে ভালোবাসতেন,” বলছিলেন মিশেল লুনা। মিজ লুনা নিজেও একজন পাবলিক প্রসিকিউটর। মি. সুয়ারেজের সহকর্মী ছিলেন তিনি।
তার বয়স ছয় যখন বছর, সেই সময় তার বাবাকে একটি জালিয়াতির মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়। “সেই ছোটবেলায়ই আমি বুঝে যাই অবিচার কাকে বলে,” যোগ করেন মিজ লুনা। “এবং প্রতীজ্ঞা করি বড় হয়ে আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই করবো।”
যদিও এখন, নিজের জীবন নিয়ে ভয়ে আছেন তিনি। পেশাই পাল্টে ফেলার চিন্তা করছেন। “যদি আর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাই, পদত্যাগ করতে হবে আমাকে।”
তিনি এবং তার অন্য সহকর্মী আইনজীবীরা চান মামলায় তাদের পরিচয় গোপন রাখা হোক। রিমোট হিয়ারিং বা সশরীরে উপস্থিত না হয়ে দূর থেকেই শুনানিতে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের, যাতে অপরাধীদের সাথে একই আদালত কক্ষে যেতে না হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল ডায়ানা সালাজার পাচারকারীদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অনুসন্ধান করছেন। মিজ সালাজার নিজেও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন।
পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু জনবল সংকট একটা প্রতিবন্ধকতা।
“দু’জন সহযোগী নিয়ে মাত্র একজন প্রসিকিউটরের পক্ষে পাঁচ হাজার মামলা পরিচালনা করা কীভাবে সম্ভব?” প্রশ্ন রাখেন মিশেল লুনা।
লুনা নিজে এখনো হুমকি পাননি। তবে, এটা কেবল সময়ের ব্যাপার বলে মনে করেন তিনি। তার শঙ্কা, ইকুয়েডরের সহিংস গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া যে কেউই সংঘবদ্ধ অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবেন।
আপনার মতামত জানানঃ