অধিকাংশ স্ত্রী হত্যা মামলায় আদালতের রায় অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও সমাজে এর প্রভাব না পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২২ জুন) আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চে স্ত্রী হত্যা সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি গ্রহণ করা হয়। তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, এত ফাঁসির (মৃত্যুদণ্ডাদেশ) পরও দেশে স্ত্রী হত্যা কমছে না। স্ত্রী হত্যায় দেশে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ মামলায় সাজা হয়, তারপরও এ অবস্থা!
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
আদালত বলেছেন, স্ত্রী হত্যায় আমাদের দেশে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ মামলায় সাজা হয়, তারপরও এ অবস্থা! এরপর আদালত অন্যান্য মামলার ওপর শুনানি শুরু করেন।
এর আগে ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিনের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত বলেছেন, ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিনের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে না। গত ২৩ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ উষ্মা প্রকাশ করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ নাথ বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট ২২ বছরের এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার দু’দিন পর ৩১ আগস্ট মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার চার বছর পর আসামি হাবন ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন নেয়। পরে ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটির শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ধর্ষণের মামলায় হাইকোর্ট কীভাবে আগাম জামিন দেয়? রাজনৈতিকভাবে হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের জন্য আগাম জামিনের বিষয়ে আমরা গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছি।
এ সময় আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আগাম জামিন প্রশ্নে সুনির্দিষ্টভাবে গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেছিলেন, জঘন্যতম অপরাধ (ধর্ষণ)। আগাম জামিন দেয় কীভাবে?
এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আইনজীবীকে খুশি করতে আগাম জামিন দেবেন দিন। তবে সেটা হতে হবে আইনমাফিক। এরপর আপিল বিভাগ আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ দেন।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/১৯১০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ