বাগেরহাট পৌর শহরে ও পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপির মিছিল-সমাবেশে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে একই দিনে নোয়াখালীতে বিএনপির মিছিল সমাবেশেও হামলায় অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অপরদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এদিকে, খুলনায় গত ১০ দিনে হামলায় বিএনপির অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রগ কেটে দেওয়াসহ গুরুতর জখম হয়েছেন ১৮ জন।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বমূল্য, ভোলায় ছাত্রদল সভাপতিকে হত্যা ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি।
বাগেরহাট ও পটুয়াখালী
জানা যায়, পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে ফেরার পথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বিএনপির অন্তত ৩০ জন আহত এবং বেশকিছু মোটরসাইকেল ও এক বিএনপি নেতার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম সাংবাদিকদের বলেন, হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমানও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির হোসেনের অফিসসহ বেশকিছু নেতাকর্মীর বাড়িঘর ও অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং ভাঙচুর করা হয়েছে দলীয় কার্যালয়ের আসবাবও। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় শহরের বাজার রোড এলাকায় অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের আসবাব। এসব ঘটনায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ এ ঘটনাকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের ঘটনা বলে দাবি করেছে। এ নিয়ে গলাচিপায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম
এদিকে একই দিনে নোয়াখালীতে বিএনপির মিছিল সমাবেশেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে বিএনপির অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে।
বিএনপি দাবি করেছে, নোয়াখালীর চাটখিলে ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপির সমাবেশে হামলা, ভাংচুর এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপির সমাবেশ স্থলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির ৩০ নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
দুপুর ২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে চাটখিল কামিল মাদরাসা ও চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহা সড়কের পূর্ব বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বিএনপির সভামঞ্চ ভাংচুর ও তছনছ করে সমাবেশকে পন্ড করে দেয়। তবে তবে সরকারি দলের হামলা উপেক্ষা করেই বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে চাটখিল বাজারের পূর্ব পাশে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
হামলায় উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান রানা চাটখিল পৌর সভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ওমর ফারুক, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা আহত হন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, ‘প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক সাংসদ ও বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ও মামুনুর রশিদ মামুন সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে তারা মাদরাসা মাঠে প্রসাশনের অনুমতি নিয়ে মঞ্চ তৈরি করেন। জুমার নামাজের পর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল নিয়ে এসে সভামঞ্চ ভাংচুর করে। এসময় পুলিশ দাঁড়িয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ভাংচুরের দৃশ্য ধারণ ও সংবাদ করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক বঙ্গবাজার এর সম্পাদক নুর আলমকে হামলাকারীরা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।’
চাটখিল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহজাহান রানা বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসম্মিক উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মদদে আমাদের প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। তখন আমরা নামাজে ছিলাম। বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী সেখানে ছিলেন না।’
এ ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাহাবুব উদ্দিন খোকন ও মামুনুরু রশিদ মামুন গ্রুপের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। ওই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ সম্পৃক্ত নয় বলে তার দাবি।
চাটখিল পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ভিপি বলেন, বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে মাহাবুব উদ্দিন খোকন ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে তাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সংঘর্ষ ও আহত হওয়ার ঘটনা স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিপ্রকাশ।
এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়ায় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আতাউর রহমান দিদারকে কুপিয়ে যখম করে। তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম গুনাগরীর প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লণাটিচার্জের পাশাপাশি গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে পুলিশের এএসপি, থানার ওসি, ইন্সপেক্টর তদন্তসহ পুলিশের ১১ সদস্য কমবেশি আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল হকসহ বিএনপির ১৮ থেকে ২০ নেতাকর্মীও। ঘটনার জন্য পরস্পরকে দুষছে পুলিশ ও বিএনপি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলামের বাড়িতে সমবেত হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা সেখানে সমাবেশ করার পর তারা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে ওঠার চেষ্টা করেন। কর্মসূচিতে জাফরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ জেলা এবং উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে পুলিশ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এভাবে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাটিচার্জ করার পাশাপাশি গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের দোষারোপ করে বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বিএনপির মিছিল থেকে নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে অর্তকিত পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে ও লাটিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এএসপি (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির, ওসি মো. কামাল উদ্দিন, ওসি তদন্ত এস এম আরিফুর ইসলাম, এসআই নজরুল ইসলামসহ আরও ১১ কনস্টেবল।
তবে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে আমরা যেখানে কর্মসূচি দেই সেখানেই আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলামের বাড়িতে আমরা সমবেত হই। সেখানে সমাবেশ করার পর মিছিল নিয়ে বের হওয়ার সময় পুলিশ কোনো উস্কানি ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়।
পুলিশের লাঠিচার্জ এবং গুলিতে বিএনপির ২৫ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৬-৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল হক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে কর্মসূচিতে আসার পথেও পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে।’
খুলনা
খুলনায় গত ১০ দিনে হামলায় বিএনপির অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রগ কেটে দেওয়াসহ গুরুতর জখম হয়েছেন ১৮ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩টি স্থানের সমাবেশ মঞ্চ। এ ছাড়া একই স্থানে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ায় ৫টি ওয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত সভা করতে পারেনি সংগঠনটি। সব মিলিয়ে জেলায় বিএনপি দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় রাজপথে কর্মসূচি পালনের বিকল্প খুঁজছেন দলটির নেতারা। নেতারা বলছেন, যে ওয়ার্ডগুলোতে সভা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের মহানগর বিএনপি কার্যালয় কর্মসূচি পলন করতে বলা হয়েছে। পুলিশের পরামর্শে সংঘর্ষ এড়িয়ে বড় সমাবেশগুলো বিকল্প স্থানে করা হচ্ছে। তারপরও হামলা বন্ধ হচ্ছে না।
খুলনা বিএনপির নেতারা বলছেন, সভা-সমাবেশ ডাকলেই এমন ধারাবাহিক হামলার ঘটনা অতীতে হয়নি। তবে হামলায় তারা ভীত নন, উল্টো কর্মীদের মনোবল আরও চাঙ্গা হচ্ছে। সমাবেশগুলোতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে গত এক মাস ধরে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘরোয়া সভা করছে মহানগর বিএনপি। গত ১৭ আগস্ট ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির ঘরোয়া সভায় প্রথম হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মারধরে তাদের নারীকর্মীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। ইলিয়াস হোসেন নামের এক শ্রমিক দল নেতার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ৩৫টি মোটর সাইকেল। হামলাকারীরা মঞ্চে উঠে কর্মীদের মারধর করে। এ সময় আহত হন নারী কর্মীরাও।
জেলা পর্যায়ের এক নেতা জানান, এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৮ আগস্ট ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাস্থলে পাল্টা সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। পরে পুলিশের অনুরোধে সেখানে সভা করেনি বিএনপি। বিকেলে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভা হয়েছিল। পরদিন ১৯ আগস্ট যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাস্থলেও পাল্টা সভা আহ্বান করে আওয়ামী লীগ। পরে ওই সভাও হয়নি। একইভাবে ২৭ ও ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সভাস্থলে আওয়ামী লীগ সভা ডাকায় সেখানেও বিএনপি সভা করতে পারেনি। পরে মহানগর কার্যালয়ে সভা করে দলটি।
গত ২৪ আগস্ট দৌলতপুর থানা বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় বিএল ছাত্রলীগ ও বিএনপি। সমাবেশ শেষ হওয়ার পরই দৌলতপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বিএনপির কেউ আহত না হলেও তাদের সমাবেশ মঞ্চ, মাইক ভাঙচুর করা হয়। এরপর বিএনপি কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙা হয়।
২৫ আগস্ট দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা খায়রুল আলমসহ ৯ জন গুরুতর জখম হন। একই দিন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
২৬ আগস্ট শুক্রবার ফুলতলা বাজারে উপজেলা বিএনপির সমাবেশস্থলে পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে আওয়ামী লীগ। সংঘাত এড়াতে পুলিশের পরামর্শে বিএনপি সমাবেশ এম এম কলেজ মাঠে করার ঘোষণা দেয়।
এসডব্লিউ/এসএস/১০২২
আপনার মতামত জানানঃ