আলোকে এক জায়গায় বন্দি করে বিরাট কাজ করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। বহু যুগ ধরে এবিষয়ে চলছিল গবেষণা। তবে এবার হাতে এল বিরাট ফলাফল।
আলোকে কেউ ধরতে পারে না। একে বন্দি করা যায় না। একে আটকে রাখা যায় না। তবে এইসব কাহিনী এখন অতীতের বিষয়। এই প্রথম বিজ্ঞানীরা আলোকে বন্দি করে ফেললেন। শুধু বন্দি করা বললে ভুল হবে। তারা আলোকে একটি অভেদ্য বস্তুতে পরিণত করে দিলেন। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার বলেই মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এর আগে বিজ্ঞানীরা অ্যাটমকে অভেদ্য করেছিলেন। তবে আলোকে সেই দলে ফেলা যায় কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা ধরণের জল্পনা। এই আবিষ্কার পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে বিরাট একটি যুগের সূচনা হল বলেই মনে করা হচ্ছে। নেচার পত্রিকায় এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরই নতুন করে পদার্থবিদ্যার নানা থিওরিকে নতুনভাবে নিয়ে আসা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কোয়ান্টাম থিওরিকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটি কামাল করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমে আলোকে তরল হিসেবে তারা নিয়ে এসেছেন। তারপর একটি জায়গায় এই আলোকে তারা বন্দি করেছেন। সেখান থেকে অভেদ্য হিসেবে পাওয়া গিয়েছে আলোকে। এই সুপারসলিড আলোকে ভাঙাও যাবে না বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখানে আলোতে অ্যাটোমিক গ্যাসের ব্যবহার করা হয়েছে। ফোটন কণাকে এখানে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হয়েছে।
কোয়ান্টাম ধারাকে হিসেব করেই আলোকে অভেদ্য হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। যদি এভাবেই আলোকে বন্দি করা যায় তাহলে সেখান থেকে বিরাট শক্তিকে ধরে রাখার বিষয়টি এবার বিজ্ঞানীদের মনে থাকছে। যদি অ্যাটম কণাকে আলোর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় তাহলে সেখান থেকে আরও বড় শক্তির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছে বিজ্ঞানীরা।
এবিষয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ হলেও এখনও বহু কাজ বাকি রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কোয়ান্টাম থিওরিকে কাজে লাগিয়ে এবিষয়ে আরও গভীর গবেষণা করতে চান বিজ্ঞানীরা। তবে আলোকে বেঁধে রাখার এই কাজটি আগামীদিনে কোন বার্তা নিয়ে আসে সেটাই দেখার।
আপনার মতামত জানানঃ