ঋণের চাপে ও আর্থিক সংকটে খুব দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। রিজার্ভ না থাকায় জ্বালানি, জরুরি ওষুধ ও খাদ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটির সরকার। কাগজ কিনতে না পারায় বাতিল করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে আরও ঋণ পেতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) এবং অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
আইএমএফ, চীন ও জাপান সরকারের কাছে বিপূল পরিমাণ দেনা জমেছে শ্রীলঙ্কার। এদিকে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শেষ হয়ে যাওয়ায় যথাসময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঋণদাতা পক্ষগুলো ঋণ পুনর্গঠন বা নতুন করে ঢেলে না সাজালে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ঋণখেলাপি হয়ে পড়বে দেশটি। এমন হলে বৈদেশিক বাণিজ্য ও কেনাকাটায় বড় ধরণের আস্থার সংকটে পড়বে দক্ষিণ এশিয়ার এ দ্বীপরাষ্ট্র।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসে সরকারের ভুল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হচ্ছে তাদের। প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন দেশটির বিরোধী দলগুলো।
গত মঙ্গলবারও (১৫ মার্চ) বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও করেন রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকশের কার্যালয়। এ সময় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা।
শ্রীলঙ্কার মূল সমস্যা হলো তার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ। কথিত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গত কয়েক বছরে চীনসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বাছবিচারহীনভাবে ঋণ নিয়েছে দেশটির সরকার।
এতে দেশটির বন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও ঋণের ফাঁদে পড়ে যায় কলম্বো। বছর বছর ঋণের সুদ দিতে দিতে তলানিতে ঠেকেছে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
শ্রীলঙ্কার সরকারের ভরসা ছিল পর্যটন শিল্পের ওপর। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার উল্লেখযোগ্য অংশের যোগান দেয় পর্যটন খাত। তবে করোনা মহামারির কারণে সেখানেও মন্দা দেখা দেয়। ফলে পর্যটন খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার যোগান পায়নি দেশটি। তার ওপর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত কয়েক মাস ধরে বেড়ে যাওয়া তেলের দামের কারণে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশিরভাগ চলে যাচ্ছে তেল আমদানি করতেই।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারও আর অবশিষ্ট নেই তাদের হাতে। জ্বালানির অভাবে পাওয়ার স্টেশন বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং।
এদিকে রিজার্ভ কমে যাওয়ায় দেশটিতে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। গত সপ্তাহে দেশটিতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে আরও ৩৬ শতাংশ। এতে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়ে গেছে।
২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ২৭৭ শ্রীলঙ্কান রুপি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফল এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্য আমদানি। গাড়ি আমদানিও বন্ধ রাখা হয়েছে দেশটিতে।
সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার ঘাড়ে এখন ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা। চলতি বছরের মধ্যে অন্তত ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ শোধ করতে হবে তাদের। অথচ এ মুহূর্তে দেশটির রিজার্ভ নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে।
এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেল এবং খাদ্যপণ্যের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও আমদানি করতে পারছে না দেশটির সরকার। রেশন করতে হচ্ছে গুঁড়া দুধ, চিনি, চাল ও তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।
সৃষ্টি হয়েছে প্রচণ্ড জ্বালানি সংকট। পেট্রল স্টেশনগুলোতে বোতল এবং জেরিকেন নিয়ে মানুষ লাইনে ভিড় করছে। এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না রান্নার গ্যাসও।
এদিকে জ্বালানির অভাবে রাস্তায় নামতে পারছে না গণপরিবহনে চলা পাবলিক বাসগুলো। দেশটির বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, তেলের অভাবে তারা মাত্র ২৫ শতাংশ বাস রাস্তায় নামাতে পেরেছেন।
সারের অভাবে জমিও আবাদ করতে পারছেন না দেশটির কৃষকরা। রাসায়নিক সার আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এতে দেশটির ফসল উৎপাদনে ৩০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে দেশটির প্রধান খাদ্য চালের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খাদ্য পরিস্থিতি সামলাতে সরকার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকে ঋণের আওতায় চাল আমদানি করছে।
গত মঙ্গলবারও (১৫ মার্চ) বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও করেন রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকশের কার্যালয়। এ সময় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোমবাতি জ্বালিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে কাগজের অভাবে স্কুলের পরীক্ষা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামলাতে ফের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা আইএমএফ এর দ্বারস্থ হয়েছে রাজাপাকশের সরকার। চীন ও ভারত থেকেও জরুরি ঋণ নিয়েছে তারা। ভারতের কাছে আরও এক বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার জন্য নয়াদিল্লি গেছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকশে।
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৯ সালে গোতাবায়ে যখন দায়িত্ব নিলেন, তখন তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বিপর্যস্ত অর্থনীতি পেয়েছিলেন। সন্ত্রাসী হামলা এবং রাজনৈতিক সংকট দেশটির ওপর মারাত্মকভাবে আঘাত হয়ে এসেছিল। ২০০১ সালের পর থেকে দেশটির প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন ছিল। এরপর আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। করোনা মহামারির আঘাত। দেশটির আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। প্রায় এক দশক ধরে দেশটির পর্যটন থেকে আয় বেড়েছে। কিন্তু করোনা মহামারিতে তা শতকরা ২০ ভাগে নেমে আসে।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রুতই কাজে নেমে পড়েন গোতাবায়ে। তার সরকার বিভিন্ন খাতে কর ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি বাজারে নগদ অর্থ ছাড়তে শুরু করে। এতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়। কমে যায় কর আদায়। বাজেট ঘাটতি আরও বেড়ে যায়।
গোতাবায়ের ক্ষেত্রে একটি বড় সুবিধা হলো তার ভাই প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী (মাহিন্দা, বাছিল) একই পরিবারের। তাদের আরেক ভাই চামালও মন্ত্রিসভার সদস্য। এই ভাইদের দুই ছেলেও (নামাল ও শশীন্দ্র রাজাপক্ষে) মন্ত্রিসভায় আছেন। শ্রীলঙ্কার মতো এক পরিবারের শাসনের নজির এ অঞ্চলের ইতিহাসে বেশ বিরল।
শ্রীলঙ্কায় বড় একটি সমস্যা সন্ত্রাসবাদ। এর চেয়েও বড় ধাক্কা দিয়েছে কোভিড। দেশটির রিজার্ভ মাত্র কয়েক মিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার প্রাপ্তি কমে যাওয়ায় আমদানি বিল বেড়েই চলেছে। এর পেছনে কারণ অবশ্যই বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও পড়েছে শ্রীলঙ্কার ওপরে। এ পরিস্থিতিতে রাজাপক্ষে অবশ্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। ২০২০ সালে মোটরগাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করেছিলেন। গত বছর তিনি রাসায়নিক সার আমদানি নিষিদ্ধ করেছিলেন। তার ফল হয়েছে উল্টো।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে সাধারণ মানুষ এখন যারা এ দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন, তাদেরই দায়ী করছে। জ্ঞান প্রসাদ নামের একজন গাড়িচালক বলেন, ‘আমি সরকারকে এ জন্য দায়ী করছি না। যারা এই সরকারকে ভোট দিয়েছেন, দোষটা আসলে তাদের।’
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও জ্বালানি তেল না পেয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও জ্বালানি তেল বিতরণ পর্যবেক্ষণে গত মঙ্গলবার সেনা মোতায়েন করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
সরকারের মুখপাত্র রমেশ পাথিরানা বলেছেন, কেরোসিন তেল কিনতে না পারায় বিক্ষুব্ধ লোকজন কলম্বোয় গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক অবরোধ করে। এতে কয়েক ঘণ্টা সেখানে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর সেনা মোতায়েন করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্টোভে রান্নার জন্য কেরোসিন না পেয়ে একদল উত্তেজিত নারী পর্যটকবাহী বাস আটকে দেন। পাথিরানা বলেন, ‘আমরা দেখেছি পর্যটকদের আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, কিছু ব্যক্তি তেল মজুত করছে। সে কারণে সরকার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকে শিক্ষণীয় হলো, রাজাপক্ষে পরিবার ভোটের রাজনীতিকে যেভাবে ‘পারিবারিক একনায়কত্বে’ পর্যবসিত করেছে, সেটা একটা সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশকেও গভীর সংকটের গিরিখাতে নিক্ষেপ করতে পারে।
শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগুরু সিংহলিরা গৃহযুদ্ধের কারণে ভারতের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল, যার সুযোগ নেওয়ার জন্য তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে গণচীনের দিকে অনেকখানি ঝুঁকে পড়েছিলেন।
চীনও শ্রীলঙ্কার ভূরাজনৈতিক অবস্থানের গুরুত্বের বিবেচনায় দেশটিকে নিজেদের প্রভাববলয়ে টেনে নেওয়ার জন্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় হামবানটোটায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, কলম্বোয় সমুদ্রবন্দরের কাছে চায়নিজ সিটি নির্মাণসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে সহজ শর্তে প্রকল্প ঋণ প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে যখন হামবানটোটা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সম্পন্ন হয়, তখন দেখা গেল যে বন্দর ব্যবহারের যথেষ্ট চাহিদা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
বন্দরের আয় বাড়াতে চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৯৯ বছরের জন্য বন্দরটিকে চীনের কাছে লিজ দিতে বাধ্য হয়। একই রকম বিপদে পড়তে হচ্ছে কলম্বোর চায়নিজ সিটি ও কয়েকটি বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প নিয়ে। যথাযথ ‘প্রকল্প মূল্যায়ন’ পদ্ধতি অবলম্বনে এসব প্রকল্প গৃহীত না হওয়ায় এগুলোর কোনোটাই যথেষ্ট আয়বর্ধনকারী প্রকল্প হয়ে উঠবে না।
এ জন্যই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মহলে বলা হচ্ছে, লোভে পড়ে শ্রীলঙ্কা ‘চীনা ঋণের ফাঁদে’ আটকে গেছে। আরও মারাত্মক হলো, ‘সভরেন বন্ড’ ছেড়ে শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক অর্থবাজার থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার পুঁজি সংগ্রহ করেছিল ওই সময়ে, যেগুলোর ম্যাচিউরিটি ২০২২ সাল থেকেই শুরু হতে চলেছে। কিন্তু এখন তো সুদাসলে ওই বন্ডের অর্থ ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য শ্রীলঙ্কার নেই।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকে শিক্ষণীয় হলো, রাজাপক্ষে পরিবার ভোটের রাজনীতিকে যেভাবে ‘পারিবারিক একনায়কত্বে’ পর্যবসিত করেছে, সেটা একটা সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশকেও গভীর সংকটের গিরিখাতে নিক্ষেপ করতে পারে।
বাংলাদেশেও আমরা গণতন্ত্রকে ‘নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর একনায়কত্বে’ পর্যবসিত করেছি। সম্প্রতি এলডিপির কর্নেল অলি আহমদ স্বীকার করেছেন, ১৯৯১ সালে প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থা থেকে আবার সংসদীয় ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সময় তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাতে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার উদ্দেশ্যে তিনি, ব্যারিস্টার সালাম তালুকদার ও কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান সলাপরামর্শ করে সংবিধানকে এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যে এর পর থেকে রাষ্ট্রের একাধিপতি হয়ে গেছেন শুধুই প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতিকে এভাবে সাংবিধানিকভাবে ‘শিখণ্ডী’তে পরিণত করার জন্য এখন কর্নেল অলি আহমদ জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার দেউলিয়াত্ব এবং অর্থনৈতিক ধস থেকে সময় থাকতে যেন আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৪৭
আপনার মতামত জানানঃ