পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ঘুষ, হয়রানি, নারী নির্যাতন, চাঁদা দাবি বা আদায় ছাড়াও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জীবননাশের হুমকির অভিযোগও রয়েছে। এবার জানা গেল ১২ কেজি গাঁজাসহ পাবনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওছিম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার বিকালে পাবনার পুলিশ সুপার তাকে আটক করেন। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
আটক এসআই ওছিম উদ্দিনকে পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে এসআই ওছিম অভিযান চালিয়ে ১৭ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। কিন্তু, ওই মাদক ব্যবসায়ীকে মাত্র পাঁচ কেজি গাঁজাসহ আটক দেখিয়ে মামলা হয়। বাকি গাঁজা ওছিম নিজের কাছে রেখে দেন। সোমবার বিকেলে ওছিমের ব্যক্তিগত ক্যাবিনেটে তল্লাশি চালিয়ে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং তাকে আটক করা হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই জিন্নাত আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এছাড়াও অভিযুক্ত এসআই ওছিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ প্রধানের কঠোর নির্দেশনা নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছি। অপরাধী সাধারণ মানুষ বা পুলিশ যেই হোক বিচারের মুখোমুখি তাকে হতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার হার আশংকাজনক। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বিভিন্ন অপকর্মের। এবিষয়ে পুলিশের কর্তৃপক্ষসহ দেশের সরকাকেও নজর বাড়াতে হবে। কেননা, আইন রক্ষাকারী কর্তৃক একেরপর এক আইন বিরোধী কর্মকাণ্ডে দেশের আইনের প্রতি মানুষের অনাস্থা জন্মাবে। ফলশ্রুতিতে দেশে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনের খড়্গ চালানোর আগে পুলিশের ওপর চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। তারা বলেন, আগে পুলিশকে অপরাধমুক্তের চরিত্র অর্জন করতে হবে। নইলে সন্ত্রাসীদের নিকট পুলিশের যে ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, এতে পুলিশ আর সন্তাসীদের মধ্যকার তফাৎ ঘুচে যায়।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১০৪৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ