Author: ডেস্ক রিপোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬২ সালে তার বিখ্যাত ভাষণে আমেরিকানদের চাঁদে যাওয়ার প্রত্যয় তুলে ধরে বলেছিলেন, “চাঁদে যাওয়া সহজ নয় বলেই আমরা সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এই ঘোষণার সাত বছর পর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা অ্যাপোলো কর্মসূচীর মাধ্যমে ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে অন্তত ছয়টি মিশনের মাধ্যমে প্রায় এক ডজন অভিযাত্রীকে চাঁদে পাঠিয়েছিল। সেসময় এতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে যা প্রায় ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্য মানের। এর পর অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে চন্দ্র অভিযান অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিল বলা যায়। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের চন্দ্রযান চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণের…

Read More

অনেকেরই সকাল শুরু হয় কফির পেয়ালায় চুমুক দিয়ে। এরপর সারাদিন ক্লান্তি, ঘুম দূর করতে কাজের ফাঁকে কয়েক দফায় চলে কফি পান। শুধু আমাদের দেশেই নয়, পুরো বিশ্বে কফি জনপ্রিয় এক ক্যাফেইন। তবে মানুষের পছন্দের এই পানীয় কিন্তু আবিষ্কার করেছিল একদল ছাগল। পুরোনো কিংবদন্তী অনুযায়ী, নবম শতকে আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ ইথিওপিয়ার কাফা অঞ্চলের খালিদ নামের এক আরব বাসিন্দা ছাগল চরানোর সময় খেয়াল করেন যে, তার ছাগলগুলো জামের মতো এক ধরনের ফল খাচ্ছে। সে ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তবে পরবর্তীতে সে লক্ষ্য করে এই ফলগুলো খাওয়ার পর প্রাণীগুলোকে অনেক সতেজ দেখাচ্ছে। এমনকি তার ছাগলগুলো সারারাত না ঘুমিয়ে পার করে দেয়। এরপর খালিদ…

Read More

তীব্র গ্যাস-সংকটের কারণে অলস বসে আছে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রায় অর্ধেক। সামনের দিনগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২ হাজার ৩৭১ মেগাওয়াট। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, বর্তমান সরবরাহের বাইরে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করার মতো অতিরিক্ত গ্যাসের সংস্থান করা সংস্থাটির পক্ষে সম্ভব নয়। জানা যায়, নতুন পাঁচটি বিদ্যুৎ- কেন্দ্রের উৎপাদনে আসার কথা ছিল গত ৩১ আগস্ট। পিডিবি ও তিতাস জানিয়েছে, গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদনে আনা সম্ভব হয়নি। নতুন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে আছে সামিটের মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট…

Read More

প্রাচীন রোমের মাথাব্যথার অন্যতম একটা বড় কারণ ছিল অপরাধ। চুরি-ডাকাতি ছিল সাধারণ ব্যাপার, এমনকি দাঙ্গা-ফ্যাসাদও। সওদাগররা তাদের ক্রেতাদেরকে প্রতিনিয়ত ঠকাতো, মরিয়া ক্রীতদাসরা নিয়মিত পালিয়ে গিয়ে ভিড়তো অপরাধীদের দলে যারা লুকিয়ে থাকতো রোম শহরের নিচের গোপন কুঠুরিতে। সমাজের উচ্চপদে আসীন অভিজাত আর ধনীরা গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা আর সম্পদের পরিমাণটা আরেকটু বাড়িয়ে নিতে চাইতো। একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো শহরই অপরাধীদের চক্করে হয়ে উঠতো কঠিন ধাঁধার মতো। তো ঘুরে আসা যাক পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম প্রধান এই সভ্যতার অপরাধ জগৎ থেকে। প্রাচীন রোমের রাজপথের নিচে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ আর গুহাগুলো দখল করে রেখেছিলো রোমের অন্ধকার জগতের পান্ডারা। এই প্যাঁচানো গোলকধাঁধাগুলো ছিলো…

Read More

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সংস্থাটির তালিকায় শীর্ষ ২০ ধীরগতির শহরের মধ্যে আরো আছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং কুমিল্লা। অথচ যানজট নিরসন করে শহরকে গতিময় করতে ২০১২ সালের পর থেকে গত এক দশকে সড়ক, সেতু, মেট্রোরেল, উড়ালসড়কসহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ এবং মেট্রোরেলের একটি রুটের একাংশ ছাড়াও শহরের মধ্যে ছোট বড়ো অন্তত সাতটি নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কোন কোন জায়গায় কমে আসলেও শহরের সার্বিক যানজট অনেক বেড়েছে, এবং কোন কোন…

Read More

মহাশূন্যের দূরবর্তী কোনো ছায়াপথ থেকে আসা ২১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি রেডিও সংকেত শনাক্ত করেছেন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই প্রথমবার অন্য কোনো ছায়াপথ থেকে আসা এত দীর্ঘ রেডিও সংকেত রিসিভ করা হলো। বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, হাইড্রোজেন হলো মহাবিশ্বের অন্যতম প্রধান গাঠনিক উপাদান। তাই কোনো স্থানে এর উপস্থিতি সেখানকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য দিতে পারে। এ কারণে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই উপাদান থেকে আগত সংকেত শনাক্ত করতে খুব আগ্রহী। ভারতের এখন চার্জবিহীন, ভারতের জায়ান্ট মেট্রিওয়েভ রেডিও টেলিস্কোপ (জিএমআরটি) আণবিক হাইড্রোজেনের বিচ্ছুরণের কারণে তৈরি হওয়া আলোর একটি তরঙ্গ শানক্ত করেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই তরঙ্গ সংকেতটি অন্তত ৮৮০ কোটি বছর আগে…

Read More

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশের রিজার্ভ। রিজার্ভের পতন ঠেকাতে বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহুমুখী সিদ্ধান্ত সহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করছে। কিন্তু বাস্তবে এর সুফল মিলছে না। উল্টো ডলারের সংকটকে আরও প্রকট করে তুলছে। এতে টাকার মান কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়াচ্ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ সামলাতে হচ্ছে সরকারকে। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে ঋণ শোধ করার ধারা অব্যাহত থাকায় রিজার্ভের ক্ষয় মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রাখার শর্ত দিয়েছিল। বর্তমানে তারচেয়ে কম রিজার্ভ রয়েছে। বর্তমানে যে গ্রস রিজার্ভ রয়েছে, তা গত…

Read More

.বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর শাহিন। যখন তিনি দেশের বাইরে চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন, তখন কল্পনাও করতে পারেননি প্রশান্ত মহাসাগরের এক দ্বীপে তাকে দাসত্বের জীবন কাটাতে হবে। কাজ করতে হবে বিনা বেতনে। এ নিয়ে অভিযোগ করলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। একপর্যায়ে পালিয়ে অন্যত্র গিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছেন এই বাংলাদেশি। শাহিন যখন বিদেশে কাজের সুযোগ পান, তখন বলা হয়েছিল–একজন কোটিপতি উদ্যোক্তার বুটিকে কাজ করতে হবে তাকে। তবে, তার সেই আশা মাটি হয়ে যায় নিমিষেই। আধুনিক সভ্যতার এ যুগেও তাকে দাসত্বের জীবন কাটাতে হবে, এমনটি কোনোদিন ভাবেননি। এমনকি, ৫০ বছর বয়সী শাহিন মারধরের শিকার ও হত্যার হুমকিও পেয়েছেন। সেসব দিনের কথা মনে পড়লে…

Read More

বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর প্রশ্নটি কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যম ও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। কারণ, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ৫০ দিনের চেয়ে বেশি সময় ধরে একটানা হাসপাতালে আছেন তিনি। এ সময়ে একাধিকবার তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা সত্ত্বেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর চিকিৎসকেরা একজন রোগীর স্বাস্থ্য বিষয়ে সবাইকে যতটা অবহিত করতে পারেন, সম্ভবত তার সবটাই করেছেন। খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন একাধিক সংবাদমাধ্যমকে যা জানিয়েছেন, সে…

Read More

রাজনীতি এবং অর্থনীতি। দু’টিই খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে বাংলাদেশে। তবে সামনের দিনগুলো আরও অনেক বেশি উত্তেজনাময় ও শ্বাসরুদ্ধকর। অভাবনীয় এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছি আমরা। কথা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কি আগে কখনো পড়েনি? উত্তর হচ্ছে ‘হ্যা’ এবং ‘না’। অর্থনৈতিক বিপর্যয়। রাজপথে অস্থিরতা, হাঙ্গামা। পর্দার আড়ালে নানা খেলা। এসব কোনোটাই অভিনব নয় বাংলাদেশে। তবে যেটি একেবারেই নতুন তা হচ্ছে, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্যে অবস্থান ও অ্যাকশন। এমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি। পর্দার আড়ালে কি আরও কিছু ঘটছে? এমন প্রশ্নও উঠছে। এই যখন অবস্থা তখন গুজবে ভাসছে দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আসছে একের পর এক তথ্য। কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা ঠাওর…

Read More