Author: ডেস্ক রিপোর্ট

ভাটির দেশ হিসেবে ভৌগোলিকভাবে অসুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বাংলাদেশে বারবার বন্যা হচ্ছে। হিমালয়ের ধার বেয়ে পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা অববাহিকার বিপুল আয়তনের পানি শেষমেশ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এই তিন নদীর মিলিত প্রবাহ যখন মেঘনা হয়ে সমুদ্রে নামে, এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম, প্রথম আমাজন। মূলত বাংলাদেশের তিন দিক থেকেই পানি দেশের ভেতরে আসছে। উত্তরে হিমালয়ের বিশাল অববাহিকা, আবার পূর্বেও ভারত ও মিয়ানমারের পাহাড়ি ঢাল বেয়ে পানি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এবারকার বন্যার পানি এসেছে পূর্ব দিক থেকে। তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টির ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। ‘ক্লাউড ব্লাস্ট’ বা অল্প সময়ে তীব্র বৃষ্টি তেমনই একটি নতুন প্রভাব। আসলে…

Read More

একটি ঐতিহাসিক মোড়ে এসে বাংলাদেশের ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। যিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে লৌহমুষ্টি দিয়ে দেশ শাসন করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী এবং তার দল আওয়ামী লীগের কর্মীদের নৃশংস দমন-পীড়ন ও পরবর্তী সহিংসতার ফলে শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়। হাসিনার পতনের পর এই মাসের শুরুতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথগ্রহণ করে। ছাত্র আন্দোলনকারীরা সংঘাত-বিধ্বস্ত দেশে আশার আলো জাগিয়েছে। স্বাধীনতা লাভের অর্ধ শতাব্দী পরে বাংলাদেশের অনেকেই এটিকে ‘দ্বিতীয় মুক্তি’ বলে অভিহিত করছেন। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়,…

Read More

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরণের জ্বালানী তেলের দাম কামানোর ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে গ্রাহকরা বর্তমানের তুলনায় কম দামে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেক কিনতে পারবেন। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্য রেখে’ দেশে জ্বালানি তেলের নতুন এই দাম নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দফায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটার-প্রতি ছয় টাকা কমানো হয়েছে। অপর দিকে ডিজেলের দাম লিটার-প্রতি কমেছে এক টাকা ২৫ পয়সা। ফলে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে কমে ১২১ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে কমে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ হয়েছে। শনিবার রাত ১২…

Read More

বেপরোয়া ব্যাংক দখল করে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী সাইফুল আলম মাসুদের মালিকানাধীন এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি গোপনে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন বিএনপির কিছু নেতা। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর এস আলমের কোনো সম্পত্তি না কেনার বিষয়ে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করার ঘোষণা দেন গর্ভনর। এরপরই নিজেদের অস্থাবর সম্পত্তি গোপনে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে এস আলম গ্রæপ। এরই মধ্যে রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি। এ কাজে এস আলমকে সহযোগিতা করেছে বিএনপি কয়েকজন…

Read More

বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী শেখ হাসিনা তার মিত্র দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী হাসিনার যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সম্ভবত তিনি অদূর ভবিষ্যতে ভারতেই থাকতে বাধ্য হবেন। কেননা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার মায়ের আপাতত ভারত ত্যাগের কোনো ইচ্ছা নেই। এটা মনে হচ্ছে যে, হাসিনা তার দীর্ঘ স্বৈরতান্ত্রিক শ্বাসন টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিবিল্পবের কৌশল নিচ্ছেন। ২৭ আগস্ট এশিয়া টাইমস ‘হাসিনা’স লাস্ট স্টান্ড লিনস অন ইন্ডিয়া অ্যান্ড প্রো-হিন্দু মিসইনফরমেশন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং তার হিন্দুত্ববাদী সমর্থকদের সাথে জড়িত বলেই…

Read More

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রসমূহের ভৌগোলিক অবস্থান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক অবস্থান একদিকে যেমন কোনো রাষ্ট্রের শক্তিমত্তার মূল উৎস হয়ে উঠতে পারে, অন্যদিকে আবার কোনো রাষ্ট্রের চিরন্তন দুর্বলতার কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে। ‘ভারত প্রজাতন্ত্রে’র (Republic of India) অন্তর্ভুক্ত ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ (Siliguri Corridor) এক্ষেত্রে একটি ভূরাজনৈতিক ‘দোধারী তলোয়ার’ (double-edged sword) হিসেবে কাজ করছে। একদিক থেকে দেখলে ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক ঐক্য রক্ষার ক্ষেত্রে করিডোরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, আবার অন্যদিক থেকে দেখলে করিডোরটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক একটি হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বস্তুত, কেবল ভারতের জন্য নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে শিলিগুড়ি করিডোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূখণ্ড। বিশুদ্ধ…

Read More

ভারতীয় ধনকুবেরদের সম্পদ অর্জনের লড়াইয়ে মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছেন গৌতম আদানি। হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্টের সাম্প্রতিক সংস্করণ অনুসারে, সর্বশেষ এক বছরে আদানি পরিবারের সম্পদ বেড়েছে ৯৫ শতাংশ। গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাদের সম্পদের পরিমাণ ১১ লাখ ৬১ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে আদানি গ্রুপ। তা সত্ত্বেও ওই বছর আদানি পরিবারের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৩ কোটি রুপি। হুরুন ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৬২ বছর বয়সী গৌতম আদানি…

Read More

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালানোর পর রেমিট্যান্সের গতি বেড়েই চলেছে। আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি আগস্টের ২৮ দিনে বৈধ পথে ২০৭ কোটি ১০ লাখ (২.০৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি এসেছে। গত বছরের (২০২৩) আগস্টে ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ…

Read More

ধরেই বেঁধে ফেলা হতো হাত ও চোখ। মুখমণ্ডল ঢেকে দিতে পরানো হতো টুপি। নিয়ে যাওয়া হতো গোপন বন্দিশালায়। জানালাবিহীন ছোট্ট কক্ষটিতে সার্বক্ষণিক উচ্চ আলোর বাতি জ্বলে। রাত–দিন বোঝার উপায় নেই। কখনো কখনো বাতি বন্ধ করে দিত, তখন নেমে আসত ঘুটঘুটে অন্ধকার। এগজস্ট ফ্যানের বিকট শব্দের কারণে শোনা যেত না বাইরের কোনো শব্দ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে গোপন বন্দিশালা থেকে ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন বন্দিশালার এমন চিত্র তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেছেন, ওই অজ্ঞাত বন্দিশালায় বেঁচে থাকাটাও ছিল দুঃসহ যন্ত্রণার। সারাক্ষণ মৃত্যুর প্রহর গুনতে হতো, এই বুঝি বের করে নিয়ে গেল। একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তুলে নেওয়ার…

Read More

চারপাশে এত এত বস্তু—ঘরবাড়ি, পাহাড়-পর্বত, মাটি-পাথর, পথ-ঘাট, ধাতু-অধাতু, পৃথিবী-চাঁদ, গ্রুহ-উপগ্রহ-নক্ষত্র— চারপাশে যা কিছু দেখা যায়, সবই বস্তু। তার পরও যদি বলা হয়, মহাবিশ্ব এসব বস্তু দিয়ে তৈরি নয়, তৈরি এমন একটা কিছু দিয়ে দেখা যায় না, দেখা যায়, ছোঁয়া যায় না। এটাকে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, দার্শনিকের অতি কল্পনাও ভাবতে পারেন। কিন্ত এই কথা যিনি বলেছেন তিনি বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত একজন কসমোলজিস্ট—কার্লো রোভেলি। তিনি শুধু বিজ্ঞানী নন, জনপ্রিয় বিজ্ঞানের লেখক হিসেবেও সারা বিশ্বে তার কোটি কোটি পাঠক রয়েছে। রোভেলি তার ‘দ্য অর্ডার অব টাইম’ বইয়ের একটা অধ্যায়ের নাম দিয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড মেড অব ইভেন্ট, নট থিংস’। দেখা যাক, সেই অধ্যায়ে নিতি…

Read More