Author: ডেস্ক রিপোর্ট

গাছের প্রাণ আছে আমরা জানি। কিন্তু তাই বলে গাছের গায়ে রক্ত? ডালে আঘাত পড়লেই ঝরঝর করে ফেটে বেরোচ্ছে রক্তের ধারা। এও কি সম্ভব? অবিশ্বাস্য শোনালেও, এই পৃথিবীর বুকে আছে এমনই এক আশ্চর্য গাছ, যে নিজের শরীরে ধরে রেখেছে টকটকে লাল গাঢ় এক তরল। সে রক্তও আবার যেমন তেমন রক্ত নয়, প্রাগৈতিহাসিক এক হিংস্র ড্রাগনের শরীরের রক্ত। ইয়েমেনের সুকাত্রা দ্বীপ আর আফ্রিকার অল্প কিছু এলাকায় জন্মায় এক বিচিত্রদর্শন গাছ। দেখতে অনেকটা সবুজ রঙের খোলা ছাতার মতো। একটাই লম্বা কাণ্ড, সেটা ওপরের দিকে বাড়তে বাড়তে অসংখ্য ডালপালায় ভাগ হয়ে যায়। সুকাত্রা দ্বীপের শুকনো মাটিতে জন্মানো এ গাছটি প্রায় ৩২ ফুট লম্বা হয়।…

Read More

বাংলাদেশে গুমের কারণে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। যদিও এ ক্ষতিটা সরকার মেনে নিয়েছে একপ্রকার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের বিপরীতেও লাগাতার সবকিছু অস্বীকার করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন? কেন হজম করছে? এর কারণ নিশ্চয়ই এই যে সরকার মনে করে, গুমের মাধ্যমে যে অর্জন হচ্ছে, তার বিনিময়ে ভাবমূর্তির এ ক্ষতি মেনে নেয়াই যায়! গুমের বিরুদ্ধে সারাদেশে ক্ষোভ বিরাজ করলেও তা মূলত দমিত অবস্থায় আছে। যদিও দেশে এ ক্ষোভ দমিত অবস্থায় থাকলেও গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কণ্ঠস্বর সুউচ্চ এবং প্রকাশ্য। তারপরও গুম বন্ধে এ সমালোচনা বা চাপ যে যথেষ্ট নয়, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে গুমের কাজটা…

Read More

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থুমনিয়া নাপিতপাড়া গ্রামের সুবল শীল আজ মেঘা শর্মা। ছেলের শরীর নিয়ে জন্ম হলেও শৈশব থেকেই মেঘার আচরণ ছিল মেয়েদের মতো। কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে আলতা লাগাতে বেশ ভালো লাগতো তার। ছোট্ট মেঘার মনে একটি প্রশ্ন বাববার ঘুরপাক খেত, আসলে সে ছেলে নাকি মেয়ে? নিজের সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন বড় হয়ে। আর তাই নিজের মতো করে বাঁচতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেকে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর করেছেন মেঘা। একটা সময় পাড়ার বন্ধুরা তাকে হিজরা বলেও হাসাহাসি করতো। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিকিৎসার মাধ্যমে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করেন সুবল। সে সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মেধা শর্মা। ২৭ জানুয়ারি ১৯৯৯…

Read More

পৃথিবীতে আজ থেকে প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে জীবনের উদ্ভব। কিন্তু আধুনিক মানব-সদৃশ জীব তথা হোমিনিডদের আবির্ভাব ঘটে আজ থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ বছর আগে। তারা প্রাইমেট বর্গীয় জীবদের মত গাছের উপরে বসবাস করত। ফসিল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আজ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা মহাদেশে অস্ট্রালোপিথেকাস জাতীয় প্রাণীরা বাস করত। অস্ট্রালোপিথেকাস অর্থ দক্ষিণাঞ্চলীয় এপ। ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়াতে ৩০ লক্ষ বছরের পুরনো একটি অস্ট্রালোপিথেকাস প্রাণীর ফসিলের সন্ধান পাওয়া যায়, যার নাম লুসি। অস্ট্রালোপিথেকাসরা মাটিতে দুই পায়ে হাঁটতে পারত। এরপর আজ থেকে ২৫ থেকে ১৫ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকাতে হোমো হাবিলিস নামের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে, যাদেরকে প্রথম যথার্থ মানব…

Read More

দুই দেশের যৌথ সীমানা বরাবর নেপালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে চীন। এমনকি নেপালের জমি দখলের অভিযোগও আনা হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র কাছে ফাঁস হওয়া নেপাল সরকারের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপাল চীনের সাথে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং একইসঙ্গে ভারতে তার নির্ভরতা হ্রাস করার চেষ্টা করছে। তবে নেপালে এই চেষ্টার পরিণতি বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। যদিও নেপাল ও চীনের উভয় সরকারই ৫ই অক্টোবর, ১৯৬১ তারিখে সীমান্ত চুক্তির চুক্তি অনুমোদন করে। ১৯৭৫ সাল থেকে নেপালে চীন ও নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যকে ভারসাম্য বজায় রাখার নীতি অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭৫ সালে…

Read More

একটা সময় পৃথিবীর বুকে বিরাজ করত ডাইনোসরেরা। তারপর পৃথিবীতে জন্ম নেয় স্তন্যপায়ীরা। তাদের আয়তনও নেহাত কম ছিল না। আজকের বাঘ, সিংহের চেয়েও বহুগুণ হিংস্র ছিল তাদের স্বভাব। পৃথিবীর বুক থেকে তারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে আজও জীবিত রয়েছে তাদের ‘বংশধর’-রা। যদিও বিবর্তনের সূত্র মেনে, কমেছে আয়তন। দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু প্রজাতি ও তাদের পূর্বপুরুষদের। গালাপাগোস কচ্ছপের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? বর্তমান পৃথিবীর বুকে সর্ববৃহৎ কচ্ছপ প্রজাতি গালাপাগোস। তাদেরই পূর্বপুরুষ ছিল মেগালোচেলিস অ্যাটলাস। তবে প্রাগৈতিহাসিক এই দৈত্যের কাছে গালাপাগোস নিতান্তই শিশু। অন্ততপক্ষে ২ মিটার দীর্ঘ হত প্রাগৈতিহাসিক এই সরীসৃপ। ওজন হত ২-৩ হাজার কেজি! তৃণভোজী এই কচ্ছপটিও ছিল প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীর বৃহত্তম…

Read More

আন্তর্জাতিকভাবে চীন পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত হলেও কাশ্মীর বিতর্কে তারা বরাবর একটা ভারসাম্যের নীতি নিয়েই চলেছে এবং এই সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে, ভারতের এই বক্তব্যেও কখনও আপত্তি জানায়নি। তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। চীন তাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান পরিবর্তন করে কাশ্মীর বিতর্কে হস্তক্ষেপ করার রাস্তা বেছে নিয়েছে। শীতকালীন অলিম্পিক্সের অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চারদিনের সফরের শেষ দিনে চীনের সঙ্গে কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে গণমাধ্যম সূত্রে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন জিনপিং। বেজিংয়ের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুর ‘শান্তিপূর্ণ’ ও…

Read More

‘হু ইজ হিটলার’? উত্তর ভেসে এল ‘মেইনে ফুয়েরার’। উত্তরদাতা কিন্তু কোনও মানুষ নয়। আসলে একটি জার্মান শেফার্ড। না, কোনো কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়, বাস্তব ঘটনা। তবে এ যে সে কুকুর নয়। খোদ নাৎসি বাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কথা বলা কুকুর। আজ থেকে সাত-আট দশক আগে এমনই ঘটেছিল জার্মানিতে। শুধু কথা বলাই নয়, শ্বাপদদের রীতিমতো পড়তে এবং লিখতেও শিখিয়েছিলেন জার্মানির নাৎসি গবেষকরা। কিন্তু কীভাবে? শুধু গোলা-বারুদ আর আগ্নেয়াস্ত্র নয়, শত্রুপক্ষকে কাবু করতে অভিনব সব উপায় আবিষ্কার করেছিলেন নাৎসি গবেষকরা। কখনও পরিকল্পনা ছিল মিত্রপক্ষের সৈনিকদের মধ্যে বিষ মেশানো খাবার বিতরণ করা, বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের মাধ্যমে দুরারোগ্য রোগ ছড়ানো কিংবা জীবিত ইহুদি ব্যক্তির ওপরেই অমানবিক পরীক্ষানিরীক্ষা করতেন…

Read More

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে টিকাদান কার্যক্রমের এক বছর পূর্তি হলো। এই এক বছরে দেশের ৫৭ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তবু দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। করোনা রুখতে বৈশ্বিক টিকাদান পর্যবেক্ষণ ওয়েসবাইট ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’-এর তথ্য পর্যালোচনায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। কেবল পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার টিকাদানে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে। কতটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা’ ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৫৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। এই হার ভারতে…

Read More

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের ব্যর্থতার গ্লানি ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি। ওই নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’-এর অস্তিত্ব ছিল না। যদিও সিইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বলে দাবি করেন। জেলা প্রশাসকেরা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সিটিং এমপিদের বিষয়ে তাদের নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা সম্ভব ছিল বলে মনে করি না। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে, এতেই বোঝা যায় নির্বাচন কেমন হয়েছে? এভাবে না অবাধ, না সুষ্ঠু, না নিরপেক্ষ, না আইনানুগ, না গ্রহণযোগ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন নানা কারণে সমালোচিত নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাহবুব তালুকদার। প্রসঙ্গত, বর্তমান নির্বাচন…

Read More