Author: ডেস্ক রিপোর্ট

অক্সিজেনের বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া কেউ মহাকাশ পরিভ্রমণে যেতে পারেন না। কারণ পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে কোনো বাতাস নেই। বায়ুর চাপ না থাকায় তাদের স্পেস স্যুট পরতে হয়। না হলে বাঁচাই দায়। বায়ুশূন্য পরিবেশে সব সময় থাকতে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য অনেক দিন ধরে নাসার গবেষণাগারে কৃত্রিম বায়ুশূন্য কক্ষে অনুশীলন করতে হয়। প্রশ্ন হলো, পৃথিবী তো মহাশূন্যেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে। মহাশূন্যে বাতাস নেই অথচ পৃথিবীতে বাতাস। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? এটা কি ব্যতিক্রম? যদি তা-ই হয়, তাহলে এই ব্যতিক্রম কীভাবে হলো? সন্দেহ নেই এটা ব্যতিক্রম এবং শুধু তা-ই নয়, বলা যায় অদ্বিতীয় ব্যতিক্রম। অন্তত আমাদের সৌরজগতের অন্য কোনো গ্রহে পৃথিবীর মতো অক্সিজেনসমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল…

Read More

খাল-বিল-নদীর দেশে অচিন্তনীয়হারে দাম চড়ছে পানির। দফায় দফায় বাড়ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানির দামও। ধীরে ধীরে এসব যেন চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম গত ১২ বছরে বেড়েছে দুই থেকে আড়াই গুণ। দুর্বিষহ জীবনে পড়েছেন শ্রমিক, কৃষক, চাকরিজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বিনোদন, চিকিৎসা, লেখাপড়া এমনকি খাওয়ার খরচ কমিয়ে তারা চাপ সামলাচ্ছেন। সব দিকে কাটছাঁট করে শুধু প্রাণটুকু বাঁচিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন। নতুন করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা যেন তাদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি চলতি মাসে এলপিজি সিলিন্ডারপ্রতি ৬২ টাকা দাম বাড়িয়েছে সরকার। দোকানে দাম আরও বেশি রাখছে। শুধু এলপিজি নয়, গত ১১ বছরে প্রায়…

Read More

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েই বিতর্ক থামেনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইনে বিনোদনমূলক প্লাটফর্মগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এ ব্যাপারে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে। বিটিআরসি’র কর্মকর্তারা বলেছেন, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যম এবং নেটফ্লিক্সের মত ওভার দ্যা টপ বা ওটিটি প্লাটফর্মের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে তারা নীতিমালা প্রণয়নের এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেছেন, তাদের এই নীতিমালা তৈরির জন্য হাইকোর্টেরও নির্দেশ রয়েছে। এর প্রস্তাবিত নাম হচ্ছে, ‘দ্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্লাটফর্মস’। যে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে সামাজিক মাধ্যমসহ অনলাইন প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ…

Read More

পূর্ব ইউরোপের রোমানিয়ার প্রাচীন এক জনপদ ব্রান। তবে বিখ্যাত নয়, মূলত কুখ্যাত। কারণ পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন দুর্গের দেখা মেলে সেখানে। গা ছমছমে পরিবেশ। রোমানিয়ার নির্জন প্রান্তরের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা দুর্গটির দরজায় কড়া নাড়তে দু’বার ভাবতে বাধ্য করবে যে-কাউকেই। কারণ, ব্রানের এই দুর্গটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে সত্যিকার ড্রাকুলার নাম! ইতিহাসের নয়, বাস্তবের ভয়ঙ্কর ড্রাকুলা। এককালে দুর্গটির বাসিন্দা ছিলেন অত্যাচারী শাসক তৃতীয় ভ্লাদ। নির্যাতনের নৃশংসতার জন্য যিনি পরিচিত ছিলেন ‘ভ্লাদ দ্য ইম্পেলার’ নামেও। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ওয়ালাচিয়া অঞ্চলে নিজের কুখ্যাত শাসন চালিয়েছিলেন ভ্লাদ। বাবার স্মৃতি নিজের মধ্যে ধরে রাখতে, পিতা ড্রাকুলের নামে ভ্লাদ নিজের নামকরণ করেছিলেন, ড্রাকুলা। তবে এতটাই নৃশংস ছিলেন তিনি যে…

Read More

গাছের প্রাণ আছে আমরা জানি। কিন্তু তাই বলে গাছের গায়ে রক্ত? ডালে আঘাত পড়লেই ঝরঝর করে ফেটে বেরোচ্ছে রক্তের ধারা। এও কি সম্ভব? অবিশ্বাস্য শোনালেও, এই পৃথিবীর বুকে আছে এমনই এক আশ্চর্য গাছ, যে নিজের শরীরে ধরে রেখেছে টকটকে লাল গাঢ় এক তরল। সে রক্তও আবার যেমন তেমন রক্ত নয়, প্রাগৈতিহাসিক এক হিংস্র ড্রাগনের শরীরের রক্ত। ইয়েমেনের সুকাত্রা দ্বীপ আর আফ্রিকার অল্প কিছু এলাকায় জন্মায় এক বিচিত্রদর্শন গাছ। দেখতে অনেকটা সবুজ রঙের খোলা ছাতার মতো। একটাই লম্বা কাণ্ড, সেটা ওপরের দিকে বাড়তে বাড়তে অসংখ্য ডালপালায় ভাগ হয়ে যায়। সুকাত্রা দ্বীপের শুকনো মাটিতে জন্মানো এ গাছটি প্রায় ৩২ ফুট লম্বা হয়।…

Read More

বাংলাদেশে গুমের কারণে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। যদিও এ ক্ষতিটা সরকার মেনে নিয়েছে একপ্রকার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের বিপরীতেও লাগাতার সবকিছু অস্বীকার করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন? কেন হজম করছে? এর কারণ নিশ্চয়ই এই যে সরকার মনে করে, গুমের মাধ্যমে যে অর্জন হচ্ছে, তার বিনিময়ে ভাবমূর্তির এ ক্ষতি মেনে নেয়াই যায়! গুমের বিরুদ্ধে সারাদেশে ক্ষোভ বিরাজ করলেও তা মূলত দমিত অবস্থায় আছে। যদিও দেশে এ ক্ষোভ দমিত অবস্থায় থাকলেও গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কণ্ঠস্বর সুউচ্চ এবং প্রকাশ্য। তারপরও গুম বন্ধে এ সমালোচনা বা চাপ যে যথেষ্ট নয়, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে গুমের কাজটা…

Read More

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থুমনিয়া নাপিতপাড়া গ্রামের সুবল শীল আজ মেঘা শর্মা। ছেলের শরীর নিয়ে জন্ম হলেও শৈশব থেকেই মেঘার আচরণ ছিল মেয়েদের মতো। কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে আলতা লাগাতে বেশ ভালো লাগতো তার। ছোট্ট মেঘার মনে একটি প্রশ্ন বাববার ঘুরপাক খেত, আসলে সে ছেলে নাকি মেয়ে? নিজের সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন বড় হয়ে। আর তাই নিজের মতো করে বাঁচতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেকে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর করেছেন মেঘা। একটা সময় পাড়ার বন্ধুরা তাকে হিজরা বলেও হাসাহাসি করতো। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিকিৎসার মাধ্যমে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করেন সুবল। সে সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মেধা শর্মা। ২৭ জানুয়ারি ১৯৯৯…

Read More

পৃথিবীতে আজ থেকে প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে জীবনের উদ্ভব। কিন্তু আধুনিক মানব-সদৃশ জীব তথা হোমিনিডদের আবির্ভাব ঘটে আজ থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ বছর আগে। তারা প্রাইমেট বর্গীয় জীবদের মত গাছের উপরে বসবাস করত। ফসিল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আজ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা মহাদেশে অস্ট্রালোপিথেকাস জাতীয় প্রাণীরা বাস করত। অস্ট্রালোপিথেকাস অর্থ দক্ষিণাঞ্চলীয় এপ। ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়াতে ৩০ লক্ষ বছরের পুরনো একটি অস্ট্রালোপিথেকাস প্রাণীর ফসিলের সন্ধান পাওয়া যায়, যার নাম লুসি। অস্ট্রালোপিথেকাসরা মাটিতে দুই পায়ে হাঁটতে পারত। এরপর আজ থেকে ২৫ থেকে ১৫ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকাতে হোমো হাবিলিস নামের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে, যাদেরকে প্রথম যথার্থ মানব…

Read More

দুই দেশের যৌথ সীমানা বরাবর নেপালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে চীন। এমনকি নেপালের জমি দখলের অভিযোগও আনা হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র কাছে ফাঁস হওয়া নেপাল সরকারের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপাল চীনের সাথে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং একইসঙ্গে ভারতে তার নির্ভরতা হ্রাস করার চেষ্টা করছে। তবে নেপালে এই চেষ্টার পরিণতি বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। যদিও নেপাল ও চীনের উভয় সরকারই ৫ই অক্টোবর, ১৯৬১ তারিখে সীমান্ত চুক্তির চুক্তি অনুমোদন করে। ১৯৭৫ সাল থেকে নেপালে চীন ও নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী সাম্রাজ্যকে ভারসাম্য বজায় রাখার নীতি অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭৫ সালে…

Read More

একটা সময় পৃথিবীর বুকে বিরাজ করত ডাইনোসরেরা। তারপর পৃথিবীতে জন্ম নেয় স্তন্যপায়ীরা। তাদের আয়তনও নেহাত কম ছিল না। আজকের বাঘ, সিংহের চেয়েও বহুগুণ হিংস্র ছিল তাদের স্বভাব। পৃথিবীর বুক থেকে তারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে আজও জীবিত রয়েছে তাদের ‘বংশধর’-রা। যদিও বিবর্তনের সূত্র মেনে, কমেছে আয়তন। দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু প্রজাতি ও তাদের পূর্বপুরুষদের। গালাপাগোস কচ্ছপের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? বর্তমান পৃথিবীর বুকে সর্ববৃহৎ কচ্ছপ প্রজাতি গালাপাগোস। তাদেরই পূর্বপুরুষ ছিল মেগালোচেলিস অ্যাটলাস। তবে প্রাগৈতিহাসিক এই দৈত্যের কাছে গালাপাগোস নিতান্তই শিশু। অন্ততপক্ষে ২ মিটার দীর্ঘ হত প্রাগৈতিহাসিক এই সরীসৃপ। ওজন হত ২-৩ হাজার কেজি! তৃণভোজী এই কচ্ছপটিও ছিল প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীর বৃহত্তম…

Read More