…
এডিটর পিক
বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের আত্মরক্ষা ও অস্ত্র ব্যবহারে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা…
Trending Posts
-
কোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের?
অক্টোবর ৩১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
মণিপুর, ভারত এবং বাংলাদেশ — একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী
নভেম্বর ৩, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
কোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের?
অক্টোবর ৩১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
মণিপুর, ভারত এবং বাংলাদেশ — একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী
নভেম্বর ৩, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে আদানি
- বাংলাদেশে হঠাৎ কারাতে, অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন?
- অর্থ পাচার মামলায় অনিল আম্বানির ৩ হাজার কোটি রুপির সম্পদ জব্দ
- অস্ত্র উৎপাদন কারখানা করবে বাংলাদেশ: কেন?
- মণিপুর, ভারত এবং বাংলাদেশ — একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী
- বিদ্যুৎ খাতে মিলেছে ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য
- পাহাড়ে পাহারায় মিলিটারি: এক নীরব দখলের গল্প
- কেন নির্বাচনের আগে বড় ঝুঁকির নাম অনলাইনে ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি?
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পাহাড়ি জনপদ উত্তরকাশীতে হঠাৎ নেমে আসা মেঘভাঙা বৃষ্টি ও তৎসংলগ্ন আকস্মিক বন্যা যেন মুহূর্তেই জনজীবনকে তছনছ করে দেয়। ধরালি গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী হর্ষিল উপত্যকা কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে প্রবল জলস্রোত, কাদা এবং বিশাল পাথরের আঘাতে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জীবনের এমন ভয়াবহ দৃশ্য তারা আগে কখনো দেখেননি। এই বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ক্ষীরগঙ্গা নদীর উন্মত্ত স্রোত, যা পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে এসে গ্রাম-ঘর, হোটেল, হোমস্টে—সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে মানুষ চিৎকার করে অন্যদের সতর্ক করছে—“পালাও, পালাও”—কিন্তু অনেকেই পালিয়ে বাঁচতে পারেননি। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে চারজনের প্রাণহানির…
ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। ব্যস্ততম নগরীতে এটি এনে দিয়েছে দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক যাতায়াতের সুযোগ। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ মেট্রোরেলে চলাচল করছে। যাত্রীদের চাপ এতটাই বেশি যে পিক আওয়ারে অনেকেই প্রথম ট্রেনেই উঠতে পারেন না। কিন্তু অবাক করার মতো বাস্তবতা হলো—এই বিপুল যাত্রীচাপ সত্ত্বেও মেট্রোরেলের আয় দিয়ে এর নির্মাণ ব্যয় বা ঋণ পরিশোধের কিস্তি তোলা যাচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের ভর্তুকির বোঝা। বর্তমানে ঢাকায় চালু থাকা এমআরটি-৬ লাইনটি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত। দিনে গড়ে প্রায় চার লাখ যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করে। কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সরকারের…
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারীর মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় রাজনৈতিক কর্মীর প্রাণহানি এবং সেইসব ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বিভ্রান্তিকর ও বিভাজিত পরিসংখ্যানের চিত্র। জুলাই-অগাস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তা এখন শুধু মানবিক নয়, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক জটিলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সরকারি গেজেটে ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃত নিহতদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৮৪৪ জন, যা সরকারের তথ্য অনুযায়ী আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের হাতে প্রাণ হারানো নাগরিকদের নামেই সীমাবদ্ধ। অথচ জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের তদন্তে জানাচ্ছে, প্রায় ১৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অনেকে শিশুও ছিল এবং বেশিরভাগই প্রাণ হারিয়েছেন…
বাংলার ইতিহাসে পাল বংশ এক গৌরবময় অধ্যায়, যাদের হাত ধরে বৌদ্ধ ধর্ম এ অঞ্চলে রাজধর্মের মর্যাদা পায় এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতি, শিক্ষা ও স্থাপত্যের এক অসাধারণ বিকাশ ঘটে। কিন্তু ইতিহাসে যেমন উত্থান থাকে, তেমন পতনও অনিবার্য। পালদের দীর্ঘ ৪০০ বছরের শাসনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলার বৌদ্ধ ধর্মও তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উচ্চতা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করে। একসময় যেই ধর্ম বাংলার প্রধান ভিত্তি ছিল, তা-ই কালের প্রবাহে হয়ে পড়ে প্রান্তিক। প্রশ্ন জাগে—কেন? কিভাবে এত বিস্তৃত, শক্তিশালী এক ধর্মব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেল? গোপাল দেব ছিলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা—প্রজা কর্তৃক নির্বাচিত বাংলার প্রথম শাসক। তার বংশধররাই বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের…
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের টানাপোড়েন বর্তমানে নতুন এক সংকটময় মোড়ে পৌঁছেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠাৎ করে ভারতের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা এবং তার পেছনে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানিবান্ধব সম্পর্ককে দায়ী করা—এই দুই দেশকে নতুন এক ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে তা ‘লাভে বিক্রি’ করছে, অর্থাৎ একরকম প্রোফিট ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েছে—যা রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রে জ্বালানি জোগাচ্ছে। এই অভিযোগ শুধু কূটনৈতিক সমালোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। তিনি সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ওপর বর্তমান ২৫ শতাংশ শুল্ক ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায়’ বাড়ানো হবে। এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য রীতিমতো নড়বড়ে…
৫ আগস্ট ২০২৫, দুপুর গড়িয়ে বিকেল। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এক অনন্য মুহূর্তের সাক্ষী হলো জাতি। ইতিহাসের এক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া দিনটির প্রথম বার্ষিকীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উচ্চ কণ্ঠে পাঠ করলেন “জুলাই ঘোষণাপত্র”। জনতার সামনে প্রথমবারের মতো পাঠ করা এই দলিল শুধু একটি রাজনৈতিক ঘোষণাই নয়—এ যেন বাংলাদেশের বহু দশকের বিক্ষুব্ধ ইতিহাস, সংগ্রামের বেদনাবিধুর দলিল, এবং একটি নতুন শুরুতে উত্তরণের দৃঢ় অঙ্গীকার। এই ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে স্বাধীনতার পরবর্তী প্রতিটি ব্যর্থতা, প্রতারণা ও ফ্যাসিবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে জনতার লালিত ক্ষোভ ও বিক্ষোভের বিবরণ। একে শুধু ঘোষণাপত্র বলা ভুল হবে—এ যেন গণ-অভ্যুত্থানের পর জন্ম নেওয়া এক নতুন জাতির…
এই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আমাদের পরিচিত আলু আর টমেটোর মধ্যকার গভীর সম্পর্কের এক চমকপ্রদ ও ঐতিহাসিক দিক উন্মোচন করেছে। প্রায় ৯০ লাখ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকার আদি ভূখণ্ডে এক ধরনের বুনো টমেটো গাছ ও আলুর মতো দেখতে একটি বন্য উদ্ভিদের মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক সংকরায়ণ বা হাইব্রিডাইজেশনই আজকের আধুনিক আলুর জন্ম দেয়। এই ঘটনাটি শুধুই এক বৈজ্ঞানিক কৌতূহল নয়, বরং পৃথিবীর খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও কৃষির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আলু মানবজাতির ইতিহাসে একটি অনন্য খাদ্যশস্য। এটি কেবল পুষ্টিগুণে ভরপুরই নয়, বরং সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক নানা বাস্তবতায় গভীরভাবে জড়িত। এটি এমন একটি উদ্ভিদ যার মূল খাদ্যভাগ—টিউবার—গঠিত হয় মাটির নিচে, অথচ…
ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটে যায় এক ঐতিহাসিক পালাবদল। এটি ছিল সেই দিন, যেদিন হাজারো সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পেশাজীবীরা রাজপথে নেমে এসে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেন। কিন্তু এক বছর পর, আজ ২০২৫ সালের ৫ আগস্টে দাঁড়িয়ে, সেই বিপ্লব কি আদৌ বেঁচে আছে? নাকি কালের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে এক সোনালি স্বপ্ন? সিনথিয়া মেহরিন সকালের মতো শিক্ষার্থীরা এখনও ভুলতে পারেন না সেই রক্তাক্ত দিনগুলোর কথা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের অপরাধে যেভাবে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল, তার চেয়েও বড় ক্ষত ছিল রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা। রাষ্ট্র নিজেই যেদিন নিজের সন্তানের রক্তে রঞ্জিত হয়, সেদিনই তো…
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে যে গণ–অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তা ছিল শুধু রাজনৈতিক নয়—একটি গভীর মানবিক বিপর্যয়ও। প্রথম আলো পত্রিকার অনুসন্ধানভিত্তিক প্রতিবেদন অনুসারে, এ অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ১৩৩ শিশু শহীদ হয়েছে। এ সংখ্যা শুধু সংখ্যাগত নয়, বরং প্রতিটি শহীদের পেছনে রয়েছে একটি করুণ, হৃদয়বিদারক, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতায় মোড়ানো গল্প। তাদের কেউ স্কুলে যাচ্ছিল, কেউ মাদ্রাসায় পড়ত, আবার কেউ দরিদ্র পরিবারের হাল ধরে ক্ষুদ্র শ্রমজীবী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করছিল। শহীদদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল আব্দুল আহাদ, মাত্র চার বছর বয়সী, যিনি নিজ বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। আহাদের মৃত্যুর ঘটনায় বাবার যে হৃদয়বিদারক সাক্ষাৎকার উঠে এসেছে, তাতে বোঝা যায় এই রাষ্ট্রব্যবস্থার…
গত বছরের জুলাইয়ে যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা নিছক একটি কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল না—বরং একটি দীর্ঘকাল ধরে জমে থাকা সামাজিক অসন্তোষের বিস্ফোরণ। “আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”—এই আবেগপ্রবণ স্লোগানই আন্দোলনের চরিত্র এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করেছিল। কিন্তু এক বছর পর ফিরে তাকালে, সেই আন্দোলনের জোয়ারে যা কিছু পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে তা হয়নি বললেই চলে। শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনের পতনের পর যে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এল, তাদের কাছ থেকে ছিল উচ্চ প্রত্যাশা। তবে বাস্তবতা হলো, সেই সরকারের প্রতিটি স্তরে আগের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কালচারেরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এ যেন পুরনো কাঠামোর মধ্যে নতুন মুখ বসানো—কিন্তু চিন্তাধারা, অভ্যাস,…