Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দীর্ঘদিন ধরেই একটি আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয়। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের সন্তানদের জন্য তা ৩২ বছর। এই নির্ধারিত সীমার বাইরে গিয়ে হাজার হাজার তরুণ প্রতিবছর সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে যান। ফলে বিগত এক দশকে একাধিকবার এ নিয়ে আন্দোলন হয়েছে, কোথাও কোথাও ঘটেছে সংঘর্ষ, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। পাশাপাশি এ নিয়মের ইতিহাসও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ। বয়সসীমা নির্ধারণের ইতিহাস সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারণের সূচনা ঘটে আশির দশকে। ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয় চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স।…

Read More

গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ছাত্রনেতৃত্বাধীন এক গণবিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন সূচনার আশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই শূন্যতা দ্রুতই টানছে এমন কিছু ব্যক্তিকে, যাঁরা এতদিন রাজনীতির চরমপন্থী প্রান্তে অবস্থান করতেন। এই সপ্তাহে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয়েছেন মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানী — এক কট্টর ধর্মীয় বক্তা, যিনি আগে উগ্রবাদ ছড়ানোর দায়ে কারাবন্দি ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘Counter Extremism Project’-এর মতে, তিনি আল-কায়েদার ভাবাদর্শী আনোয়ার আল-আউলাকির অনুসারী। এবার তিনি একটি সমাবেশে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ও আগ্রাসী বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। “ওরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালাগাল করতে…

Read More

বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এই সরকারের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিশেষ করে, সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে ক্ষমতা কাঠামো এবং নির্বাচনকালীন ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতপার্থক্য বেশ প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান, তিনি চান ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এই দাবির সঙ্গে সরকারের ঘোষিত সময়সূচির অসঙ্গতি রয়েছে, কারণ ইউনূস প্রশাসন এখনো নির্দিষ্ট কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। ফলে সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম উত্তেজনা কাজ করছে। সরকারের উপর রাজনৈতিক দলগুলোর চাপও বাড়ছে।…

Read More

প্রশান্ত মহাসাগর ছোট হয়ে আসছে, জন্ম নিতে পারে নতুন মহাদেশ। বিজ্ঞানীরা বলছে, একটি নতুন সুপারমহাদেশ গঠনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও গভীর জলরাশি প্রশান্ত মহাসাগর ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধীরগতির প্রক্রিয়া আগামী ২০ থেকে ৩০ কোটি বছরের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পৃথিবীতে নতুন এক বিশাল মহাদেশের জন্ম হতে পারে, যার নাম দেওয়া হয়েছে আমাসিয়া। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা উন্নতমানের সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। তাদের গবেষণা বলছে, পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটগুলো (ভূপৃষ্ঠের বিশাল ভাঙা অংশ) একে অপরের দিকে ধীরে ধীরে সরছে, যা ভবিষ্যতে…

Read More

“বিএসএফ আমাদের বলেছে যে আমরা দুটো গুলি মারবো। গুলি মারার পরে তোমরা সব দৌড় মারবা। তো ওরা দুটো গুলি মারে। তখন আমরা সবাই ভেগে দৌড় মারি। সামনে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়ি।” কথাগুলো বলছিলেন জাহানারা খাতুন। গত শনিবার ভোরে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ভেতরে তাকে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। তার সঙ্গে সেদিন ১৭ জনকে আটক করে বিজিবি, যাদের প্রত্যেককেই ভারত থেকে পুশ ইন করা হয়েছিলো বলে বিজিবি পরে জানায়। জাহানারা খাতুন বলছিলেন, ভারত থেকে ঠেলে বাংলাদেশে ঢোকানোর সময় বিজিবির সামনে পড়লে “কী বলতে হবে সেটাও শিখিয়ে দিয়েছিলো” বিএসএফ সদস্যরা। “ওরা বললো যে, যদি ধরা পড়ো তাহলে বলবা যে আমরা ইন্ডিয়া যাচ্ছিলাম,…

Read More

ইসলামে চিত্রাঙ্কনের নিষেধাজ্ঞা শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে বহুস্তরীয় ইতিহাস, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব। প্রাথমিক ইসলামি যুগে মূর্তিপূজার বিরোধিতা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের আইকনোক্লাজম বা ছবি ধ্বংস আন্দোলনের সময় মুসলিম শাসকেরা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়কে পৃথকভাবে তুলে ধরতে চিত্রবিরোধী অবস্থানকে আরও জোরদার করেন। ৮ম ও ৯ম শতকে হাদিস সংগ্রাহকগণ এমন বহু হাদিস সংকলন করেন, যেখানে ছবি আঁকাকে কিয়ামতের দিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যদিও অনেকে ব্যাখ্যা দেন যে এতে উদ্দেশ্য ছিল মূর্তিপূজার উদ্দেশ্যে ছবি আঁকা। এরপর আব্বাসীয় খেলাফত তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে পারস্য প্রভাবিত শিল্পকে সীমিত করে চিত্রহীন ধর্মীয়…

Read More

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই একধরনের স্বস্তিদায়ক অবস্থানে ছিল, তবে এখন হয়তো প্রথমবারের মতো কিছু চাপের মুখে পড়তে চলেছে—এ চাপটা বাইরের কারও নয়, বরং তাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাস থেকে সৃষ্ট। কিছুটা পেছনে ফিরি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে যত সরকার এসেছে, তাদের সবাইকে প্রথম দিন থেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আমলে জাসদ সক্রিয় ছিল, যার মূল লক্ষ্যই ছিল সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগ বিরোধিতার মোর্চায় ছিল। এরশাদের সময় প্রতিটি বড় রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন রাজপথে সক্রিয় ছিল। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও আওয়ামী লীগ ফল মেনে নেয়নি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি কারচুপির অভিযোগ…

Read More

খুব বেশি না, এক শতক আগেও দুনিয়ায় মুরগির আইটেম খাওয়ার এমন চল ছিল না। আমেরিকানদের ক্ষেত্রেও ছিল একই চিত্র। সারা বছর নরম কিন্তু খুব একটা স্বাদহীন মুরগির মাংস খাওয়া বেশ আধুনিক চিত্র। খুব বেশি না, এক শতক আগেও দুনিয়ায় মুরগির আইটেম খাওয়ার এমন চল ছিল না। আমেরিকানদের ক্ষেত্রেও ছিল একই চিত্র। সারা বছর নরম কিন্তু খুব একটা স্বাদহীন মুরগির মাংস খাওয়া বেশ আধুনিক চিত্র। বলা যায় আধুনিক জীবন ব্যবস্থার একটি লক্ষণ। ‘বিকল্প মাংস’ থেকে চিকেন কীভাবে আমেরিকানদের প্রধান মাংসের উৎস হয়ে উঠল সে গল্প বেশ বিচিত্র। এ গল্পের শুরুটা হয়েছিল গম থেকে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মুরগি খাওয়া হতো…

Read More

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে খুব দ্রুততার সঙ্গে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাপ্রবাহে সর্বশেষ সংযোজন—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন, এই খবর। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন এমন খবর পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। একইদিন সন্ধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ সরানোর দাবি তোলে বিএনপি। এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে…

Read More

মানুষের সংবেদনশীল দাঁতের উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন বিলুপ্ত মাছের ‘দেহবর্ম’ বা বর্মাকৃতির আবরণ থেকে। প্রায় ৪৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগের সেই মাছদের শরীরে থাকা একধরনের সংবেদনশীল টিস্যুই পরবর্তীতে বিবর্তিত হয়ে দাঁতে রূপ নেয়। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়ন্টোলজিস্ট এবং বিবর্তন জীববিজ্ঞানী ইয়ারা হারিডি বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে যে দাঁত শুধু মুখেই নয়, শরীরের বাইরের অংশেও সংবেদনশীল ভূমিকা পালন করতে পারে।’ এই গবেষণা বুধবার (২১ মে) প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে। প্রাথমিকভাবে গবেষকেরা জীবাশ্মের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রথম মেরুদণ্ডী প্রজাতি শনাক্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এই লক্ষ্যে তাঁরা ক্যাম্ব্রিয়ান ও অর্ডোভিসিয়ান যুগের (৫৪ কোটি ১০ লাখ থেকে…

Read More