Author: ডেস্ক রিপোর্ট

যুগ পরিবর্তনের হাওয়াতে সবকিছু বদলে গেলেও বাঙালি নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশের জায়গায় এখনও চিরায়ত বাংলার শাড়ি দখল করে আছে অদ্বিতীয় মাত্রায়। এখন মেয়েদের বয়স পাঁচ ছয় হলেই শাড়ি পরতে হয় না। তবে উৎসব আয়োজনে শাড়ি থাকে নারীদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় সবার প্রথমে। জীববৈচিত্র্যের মতো লক্ষ্য করা যায় বস্তু-বৈচিত্র্য। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলেই হারিয়ে যেতে হয় ইতিহাসের পাতায়। শাড়ি সেখানে ব্যতিক্রমী এক নাম। সেই পুরাকাল থেকে এখনও বজায় রেখেছে নিজের গরিমা। বাঙালি নারী দেহে এক অবিসংবাদী পরিধেয়। নারীর পরিধেয় বস্ত্র শাড়ির ইতিহাস কিন্তু আজকের নয়। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৩ হাজার বছর বা তারও আগে থেকে রয়েছে শাড়ির উল্লেখ। বিভিন্ন নারী মূর্তির…

Read More

প্রাণীজগতে কুমিরের পরিচয় দুর্ধর্ষ শিকারি হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই যেসব নদী, লেক কিংবা পুকুরে কুমির থাকে, মানুষ সেগুলো এড়িয়ে চলে। তবে বুরকিনা ফাসোর ছোট্ট এক গ্রামে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। এখানে মানুষ আর কুমিরে দারুণ সুসম্পর্ক। এমনকি সেখানে গিয়ে কোনো গ্রামবাসীকে বিশালাকার এসব সরীসৃপের কোনো একটির পিঠে চড়ে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠতে পারেন। বুরকিনা ফাসোতে শুষ্ক সাভানা অঞ্চল আর সবুজ অরণ্য দুটিই পাবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির পাশাপাশি বাজৌলি গ্রামটি টানছে পর্যটকদেরও। বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগুদুগু থেকে বাজৌলি নামের গ্রামটির দূরত্ব মাইল বিশেক। সেখানে বেশ বড়সড় এক পুকুরে শ দুয়েক কুমিরের বাস। ওই পুকুরই ব্যবহার করে গ্রামবাসী। হঠাৎ বাইরে থেকে…

Read More

ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে যাওয়ার প্রভাব এবার বাজেটেও পড়ছে। বাড়তি সুদ পরিশোধে বাড়তি বরাদ্দ রাখতে হবে। চলতি অর্থবছর থেকেই এই চাপ তৈরি হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এই চাপ আরো বাড়বে। আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থের মধ্যে সুদ ব্যয় বাবদই বরাদ্দ রাখতে হবে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। পাঁচ বছর আগের তুলনায় এ সুদ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ। ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে যাওয়ায় সুদের পরিমাণের ওপর প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে। অবশ্য সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াও এর একটি কারণ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়,…

Read More

ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রকাশিত ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে’ এ বছর আরও এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫.৩১ স্কোর নিয়ে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩। দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সবগুলো দেশের অবস্থাই বাংলাদেশের থেকে ভাল। বুধবার প্রকাশিত ওই সূচকে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে ভুটান। দেশটির অবস্থান ৯০তম। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের অবস্থান ৯৫তম। মালদ্বীপের অবস্থান ১০০তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩৫তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম, আফাগানিস্তানের অবস্থান ১৫২তম ও ভারতের অবস্থান ১৬১তম। এর আগে ২০২২ সালে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২তম। সেসময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬.৬৩। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে রিপোর্টার্স…

Read More

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাংবাদিকরা ততটুকুই প্রতিবাদ করেন, যতটুকু পর্যন্ত সরকার ক্ষিপ্ত হবে না৷ বিএনপি আমলে হলে বিষয়টি ভিন্ন হতো৷ নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা৷ প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন৷ আরও আছে মামলার ভয়৷ সবসময় পাশে থাকে না প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো৷ এরই মধ্যে চার সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশের এক সাংবাদিককে নিজ কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে বাজেভাবে মারধর করা হয় এবং তার ভবনের ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তার পিঠে জখম হয়, পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙ্গে যায়৷ তার মাথায়ও ছুরির ক্ষত…

Read More

গুবরে পোকা ড্রাগন বা ইউনিকর্নের মতো ডাইনোসর রূপকথার রঙিন জগত থেকে উঠে আসা কোনো প্রাণী নয়। আজ থেকে চব্বিশ কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত হওয়া দৈত্যাকৃতির এই জীব প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীকে একচ্ছত্রভাবে চার কোটি বছর যাবত শাসন করেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের কারসাজিতে সেলুলয়েডের পর্দায় ডাইনোসরের অনুমিত প্রতিচ্ছবি দেখলে যারপরনাই অবাক হতে হয়। অনেক প্রজাতির ডাইনোসর লম্বায় ৪০ ফুট এবং ওজনে প্রায় ৯ টন পর্যন্ত হতো। তাদেরকে টেক্কা দেওয়ার সাধ্য কার? তবে আদিম পৃথিবীতে ডাইনোসর বাদেও এমন কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল, যারা ডাইনোসরকে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখত। প্রাগৈতিহাসিক কালের এমন কিছু বিচিত্র সব প্রাণী নিয়েই আজকের এই আয়োজন। পাশাপাশি এই প্রাণীগুলো যে ডাইনোসরকে খেয়ে…

Read More

কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩শে এপ্রিল থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছিল। তবে ডলার সংকটের মধ্যে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় পর্যাপ্ত কয়লা না থাকায় গত ১৪ই জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফিরে কেন্দ্রটি তারপরও সংশয় ছিল কয়লা আমদানি অব্যাহত থাকবে কিনা। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার টন কয়লা। এপ্রিল মাসে আবারও কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের জন্যও কয়লা…

Read More

হাঙর সবচেয়ে রহস্যময় এবং আশ্চর্যজনক প্রাণী হিসাবে বিবেচিত। বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে ৫০০টিরও বেশি প্রজাতির হাঙর রয়েছে। এগুলোর আকার কয়েক ইঞ্চি থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। মহাসাগরের সবচেয়ে প্রাচীনতম এই প্রাণীটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কমতি নেই। হাঙর মানুষখোকো হিসেবেও পরিচিত। এজন্যই মহাসাগরের যেসব স্থানে হাঙরের বসবাস সেখান থেকে মানুষ একটু দূরেই থাকেন! গ্রিনল্যান্ডের হাঙর যেন আরো বেশি রহস্যময়। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সাক্ষী ছিল তারা। নাম গ্রিনল্যান্ডের হাঙর হলেও শুধু গ্রিনল্যান্ডেই থাকে না। ক্যারিবিয়ান সাগরেও দিব্যি খেলে বেড়ায় তারা। তবে বরফশীতল সাগর, মহাসাগরের গভীরেই তাদের চলাচল। সূর্যের মুখ দেখতে তারা সাঁতরে উপরে ওঠে না সাধারণত। সাধারণত মাইনাস ১…

Read More

প্রাচীন মিশরীয়রা ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মিশর এবং সুদানে বসবাস করত। তারা বেশিরভাগই নীল নদের ধারে বাস করত, কারণ এটি ছিল পানীয় ও ফসল ফলানোর প্রাথমিক উৎস। বাকি দেশগুলি সাধারণত একটি মরুভূমি, বেশ শুষ্ক এবং বালুকাময় এবং পাথুরে। অধিকাংশ মানুষ ছিল কৃষক এবং তাদের প্রধান ফসল ছিল গম ও যব। আঙ্গুর, ডুমুর, খেজুর, বাদাম এবং জলপাই জন্মানোর জন্য তাদের বাগান ও দ্রাক্ষাক্ষেত্রও ছিল। চাষিরা সবজি ও তরমুজও ফলিয়েছেন। প্রতি বছরের বসন্তে, নীল নদ নির্ভরযোগ্যভাবে প্লাবিত হবে এবং এক মাইল প্রশস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটি সরে যাবে এবং উর্বর কাদা/মাটি পিছনে ফেলে যাবে। কৃষকরা তখন দু’জন বা দু’টি গবাদি…

Read More

প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মিশর এক বিস্ময়ের নাম। গত ৩০০ বছরে ধরে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে মিশরে। এক সময় অনেকে মনে করতেন মিশরে বড় ধরনের কিছু আর নতুন করে অবিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তবে ইজিপ্টলোজির অনেক পন্ডিতগণ বরাবরই বলে আসছেন, যা আবিষ্কার হয়েছে তার চেয়েও অনেক কিছু অনাবিস্কৃত রয়ে গেছে। আসলেই তাই। প্রাচীন মিশরের বিস্ময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। এই তো মাস তিনেক আগেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা সাক্কারার প্রাচীন সমাধিভূমিতে খনন করে কয়েক ডজন নতুন মমি এবং ৫৯টি সারকোফ্যাগাস আবিষ্কার করেছিলেন। সারকোফ্যাগাস হচ্ছে কফিন যেখানে মমি রাখা হয়। এসব সারকোফ্যাগাস প্রায় ২ হাজার ৫০০ বছর আগের। আর এবার ট্যাপসিরিস ম্যাগনা সাইটে খননকার্য চালিয়ে…

Read More