Author: স্টেটওয়াচ ডেস্ক

এক ধনীর হাতে এত টাকা যে এক কেজি চাল ১০০০ টাকা হলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু এক কেজি চাল বাজারে আনতে পারলেই ১০০০ টাকা পাবে জেনেও কৃষক বাজারে আসতে পারছে না ৫০০ টাকা পরিবহন ভাড়া নেই বলে। এটাই বাংলাদেশের অর্থনীতি। এখানে বিশ্বের তাবত অর্থনীতিবিদের সূত্র ফেল মেরেছে। এখানে টাকার ডি-ভ্যালুয়েশন গোপনে হয়। জনগণ শুধু জানে ৮৫ টাকার ডলার এখন ৯২ টাকা। তাও মিলছে না। শেয়ার বাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য উপচে পড়ছে। সেভিংস একাউন্টেও সুদ পাওয়া যাচ্ছে না। ইনভেস্টমেন্ট করতে ২৮ টি দপ্তরের লোকজন হাঙ্গরের মত হা করে আছে। ঘুষ-দুর্নীতি প্রকাশ্য এবং ‘বৈধ’। খোদ ‘দুদক’এর লোকজন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। বিশ্ববাজারে…

Read More

মিশু মিলন বাংলাদেশের সুন্নী মুসলমান মৌলবাদীরা হিন্দুদের উপর যে আগ্রাসন শুরু করেছে- হিন্দুদের মন্দির, প্রতিমা, ঘর-বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট, খুন-ধর্ষণ করছে; এটাকে সন্দেহের চোখে দেখছে পশ্চিমবঙ্গের কোনো কোনো হিন্দু বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষ। তাদের ধারণা বিজেপি উত্তর প্রদেশের আগামী নির্বাচন এবং বিভিন্ন জায়গায় উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ষড়যন্ত্র করে এগুলো করাচ্ছে নির্বাচনে সুবিধা পাওয়ার জন্য। এই বিষয়ে তারা ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে এবং মন্তব্য করছে, খুব বাহবা পাচ্ছে পশ্চিবঙ্গের মুসলমানদের কাছ থেকে, মুসলমানরা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এগুলো শেয়ার করছে। পশ্চিমবঙ্গের একজন ব্রাহ্মণ দেখলাম লিখেছে- বাংলাদেশের হিন্দুদের দোষ আছে, তারা ধোয়া তুলশী পাতা নয়। কী দোষ করেছে বাংলাদেশের হিন্দুরা? নিজের ধর্ম পালন…

Read More

কামরুল হাসান মামুন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যখনই কোন নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে এসেই প্রায় সকল সরকারই একটি শিক্ষা কমিশন করেছে। প্রথম শিক্ষা কমিশন হয় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ড. কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে। সদ্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের মানুষদের জন্য শিক্ষার কথা ভাবা একটু বিলাসিতা মনে হলেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলেই একজন যোগ্য মানুষকে দিয়ে সেই কমিশন গঠন করেছিলেন। সেই কমিশন ১৯৭৪ সালে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে রাজনীতির পরিবর্তন ঘটায় এ প্রতিবেদন আর আলোর মুখ দেখেনি। এমনকি তার কন্যা টানা ৩ বার ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের কথা বললেও…

Read More

ড. মঞ্জুরে খোদা একজন মুফতি ইব্রাহিমকে নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। তাকে অনেকেই বলছেন তিনি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন বিকারগ্রস্থ মানুষ। আসলে কি তাই? এটাই যদি মানতে হয়, তাহলে ভাবতে হবে- আমাদের সমাজে এমন বিকারগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা কত? তা এখন হাজার, লাখে আটকে নেই, কোটির ঘরে গেছে!! এমন একটি বিকারগ্রস্থ বৃহতজনগোষ্ঠী কিভাবে গড়ে উঠলো? কোথায়, কোন পরিবেশে গড়ে উঠলো? কারা গড়ে তুললো? সে প্রশ্নকে বাদ দিয়ে আপনাদের আলাপ হবে অর্থহীন. দায়িত্বহীন, এবং মূলঘটনাকে আড়াল করা। আমাদের দেশের রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। বিচারের ব্যবস্থা থাকলে তাদের প্রত্যেককেই কাঠগড়ায় দাড়াতে হতো। এই মুফতি ইব্রাহিমদের তৈরীতে তাঁরা তাঁদের দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। তাদের অদূরদর্শি,…

Read More

বিশ্বের প্রত্যেককে করোনার ভ্যাক্সিন দেয়ার মত পর্যাপ্ত পরিমান উৎপাদন করা সম্ভব হবে মনে করে দিয়েছেন স্টেফেন ব্যানসেল। এর ফলে করোনা ভাইরাস কেবল একটি মৌসুমী ফ্লু হয়ে থেকে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। করোনা মহামারি আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টেফেন ব্যানসেল। ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বিশ্বজুড়ে টিকার বিতরণের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন তিনি। যদিও অনেক নিম্ন আয়ের দেশও এখন ভ্যাকসিন অনুদানের অপেক্ষায় রয়েছে। সুইস সংবাদপত্র নিউ জুরচেয়ার জেইতুং’কে স্টেফেন বলেন, শিগগিরই ‘বিশ্বের সবাইকে’ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। ফলে করোনাভাইরাস একটি মৌসুমি ফ্লু’তে…

Read More

ইয়েমেনের মারিব শহরে সরকার-সমর্থক সেনা ও হুতি বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ মিলে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) একাধিক সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ৪৮ ঘণ্টায় খনিজ তেলসমৃদ্ধ মারিবের পশ্চিমে ৪৩ জন হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে এএফপিকে জানিয়েছে একটি সূত্র। তাদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেন সরকারপন্থী সামরিক জোটের বিমান হামলায়। এদিকে সংঘাতে সাতজন সরকারপন্থী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আরেকটি সামরিক সূত্র। এর আগে ইয়েমেনের তেলসমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলে সরকারের শেষ ঘাঁটি মারিব অঞ্চলেই সরকারি বাহিনী এবং ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে অন্তত ৬৫…

Read More

সারাবিশ্বের মত বিট্রেনেও করোনাকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমস্ত কিছু। তবে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেখানে বাড়ছে অন্য আরেকটি স্বাস্থ্য সংকট। চলতি বছরের জুলাইয়ের শুরু থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক হাজার বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর দেশটিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, এসব মৃত্যু করোনায় আক্রান্ত হয়ে হয়নি। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মে এ পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক নয়। শীতের মৌসুমে নানা কারণে মৃত্যুহার অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে, কিন্তু গ্রীষ্মে সাধারণত মৃত্যুহার কম থাকে। তবে এ বছরের সার্বিক পরিস্থিতি অন্যরকম যাচ্ছে। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলাচ্ছে কর্তাব্যক্তিদের কপালে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২ জুলাইয়ের পর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে…

Read More

বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে এখনই অনেকগুলো শহর বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ অনেকগুলো শহরে যানজট মারাত্বক একটি সমস্যায় পরিনদ হয়েছে। এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ২ কোটি মানুষের ঢাকা শহরে ব্যক্তিগত গাড়ির মধ্যে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার যথাক্রমে ৪৯ ও ১৮ শতাংশ বাড়লেও গণপরিবহন বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ। বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলো যখন গণপরিবহনে বাসকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে, সেখানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ঘটছে উল্টো ঘটনা। গণপরিবহনের অভাবে ঢাকার রাস্তায় দিনকে দিন ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়লেও সেই অনুপাতে বাড়ছে না গণপরিবহনের সংখ্যা। ফলে যানজটের সমস্যা কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের গ্রাস করে…

Read More

গ্রিনল্যান্ডের সমুদ্রে ভেসে চলেছে প্রকাণ্ড বরফের খণ্ড। বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রকোপে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেটি ভেসে বেড়াচ্ছে সমুদ্রে। মোটরচালিত নৌকায় চেপে হিমবাহর দিকে বন্দুক তাক করে তারপর একের পর এক গুলি চালানো দেখলে মনে হতে পারে কেউ জমাট বাঁধা বরফের টুকরোর মধ্যে কোনো লুকিয়ে থাকা প্রাণী শিকার করতে চাইছেন। তবে ব্যাপারটা একেবারেই তেমন নয়। বরং, শ্বেতশুভ্র ওই বরফই এখানে মানুষের শিকার অর্থাৎ ‘হিমবাহ শিকার’ (Iceberg Hunting)। গ্রিনল্যান্ডে (Greenland) গেলে এমনই অদ্ভুত এক পেশার সন্ধান মিলবে। ওই বরফ শিকারের জন্যই স্থানীয় হিমবাহ শিকারিরা পাড়ি দেন প্রায় তিরিশ মাইল পথ। কিন্তু এই শিকার অভিযানের কারণ বেশ অদ্ভুৎ। ইতিহাস…

Read More

মোহাম্মদ রুবেল অনেক দিন পর জোনাকি বেগম গতকাল তসরিফ আনলেন। শুরুতেই বললেন তোমার কি যত্রতত্র মূত্র বিসর্জনের অভ্যাস আছে নাকি? এমন অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেলো। মিনমিন করে বললাম, আমার এমন অভ্যাস নাই। জোনাকি বেগম ক্ষেপে বললেন তোর আছে, তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীর আছে। কারণ, বাঙালি জাতির এমন অভ্যাস ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত। আমি বললাম হয়তো আছে; তবে বুঝিয়ে বললে বুঝতে পারতাম। তিনি বললেন, তুমিতো সানমার্কো গির্জা দেখেছো। একটু পড়াশোনা করলে জানতে পারবে মহামারি প্লেগ রোগের কবল হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেবতার সন্তুষ্টির জন্য তৎকালীন ইউরোপের চিপাচাপায় সানমার্কোসহ হাজার হাজার গির্জা স্থাপিত হয়েছিল। অথচ, মহামারি প্লেগের সময় ইয়োরোপের মানুষের…

Read More