বিশেষ প্রতিনিধি : ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম যুবক মন্দিরে ঢুকে পানি পান করায় বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন। রাজ্যের গাজিয়াবাদে তোলা সম্প্রতি একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হওয়ায় শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রমতে, অভিযুক্তের নাম শিরিং নন্দন যাদব। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি উত্তরপ্রদেশে রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গাজিয়াবাদ পুলিশের এসপি ইরাজ রাজা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিরিং নন্দন যাদবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিরিং নন্দন যাদব বিহারের বাসিন্দা। বিহারের ভাগলপুরে তার বাড়ি। কর্মসূত্রে শিরিং উত্তরপ্রদেশে রয়েছে।
যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরকে ধরে তার নাম-পরিচয় জানতে চায়।। সে কেন মন্দিরে ঢুকেছে, তাও জানতে চায় সেই যুবক। জবাবে ওই কিশোর জানায়, ভীষণ জলতেষ্টা পেয়েছিল তার। তাই মন্দিরে জল পান করতে ঢুকেছিল। উত্তর দেওয়ার পরই, ওই কিশোরকে মারতে শুরু করে ওই অভিযুক্ত যুবক।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় একটি মন্দিরে পানি খেতে ঢুকেছেন ওই যুবক। তিনি বেরিয়ে আসার পর অভিযুক্ত শিরিং ওই যুবককে তার নাম ও বাবার নাম জিজ্ঞাসা করেন। তারপর প্রশ্ন করেন, কেন তিনি মন্দিরে ঢুকেছিলেন। যুবক উত্তর দেওয়ার পরেই শুরু হয় মারধর।
চড়, লাথি, ঘুষিতে আক্রান্ত যুবক বারবার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও টানা মারধর চলতেই থাকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তা আলোচনায় আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
ভারতে তুঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের উপর হানাদার হামলার আকারে প্রায়শই মুসলমানদের উপর সহিংসতা সংঘটিত হয়। এই আক্রমণগুলোকে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার এক অংশ হিসাবে দেখা যায় এবং বিংশ শতাব্দীতে পুরো বিশ্ব জুড়ে ইসলামফোবিয়ার উত্থানের সাথেও যুক্ত রয়েছে।
বেশিরভাগ ঘটনা ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে ঘটেছে, অন্যদিকে দক্ষিণে সাম্প্রদায়িক মনোভাব অনেক কম উচ্চারণ করা হয়। সবচেয়ে বড় ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১৯৪৬ সালে পূর্ব কলকাতার নোয়াখালী দাঙ্গার পরে ১৯৪৬ সাল বিহার ও গরমুখেশ্বরে গ্রেট কলকাতা হত্যাকাণ্ড, ১৯৪৭ সালে জম্মুতে মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞ, হায়দ্রাবাদ অপারেশন পোলোর পরে মুসলমানদের ব্যাপকহারে হত্যা, ১৯৫০ সালে বরিশাল দাঙ্গা ও ১৯৬৪ সালে পূর্ব-পাকিস্তান দাঙ্গার পরে কলকাতায় মুসলিম দাঙ্গা, ১৯৬৯ সালের গুজরাট দাঙ্গা, ১৯৮৪ ভিভেন্দি দাঙ্গা, ১৯৮৫ গুজরাট দাঙ্গা, ১৯৮৯ ভাগলপুর দাঙ্গা, বোম্বাই দাঙ্গা, ১৯৮৩ সালে নেলি এবং ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গা, ২০১৩ সালে মুজাফফরনগর দাঙ্গা ও ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গা।
সংঘাতের এই নিদর্শনগুলো দেশভাগের পর থেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কয়েক ডজন গবেষণা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণ-সহিংসতার ঘটনাগুলোর দলিল করেছে। ১৯৫০ সাল থেকে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৫৪ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে এবং ১৯৬৮ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে ৬,৯৩৩ জন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ৫৩০ জন হিন্দু এবং ১৫৯৮ জন ছিল মুসলিম, মোট ৩,৯৯৯ জন সহিংসতার ঘটনায় মারা গিয়েছিল।
১৯৮৯ সালে, ভারতবর্ষের উত্তর জুড়ে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রবীণ স্বামী বিশ্বাস করেন যে পর্যায়ক্রমিক এই সহিংসতা “ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসকে আঘাত করেছে” এবং কাশ্মীর বিরোধের ক্ষেত্রে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের কারণকে বাধা দিয়েছে।
২০১৩ সালে ইন্ডিয়াস্পেন্ড জানিয়েছে যে ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতে গরু জাগ্রত সহিংসতার শিকার হওয়া ৮৪% মুসলমান ছিলেন এবং মে ২০১৪ এর পরে এই হামলার প্রায় ৯৯% মুসলমান ছিল বলে জানানো হয়েছিল।
মুসলিম নির্যাতন এবং বিজেপি সরকার
২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। তখন থেকেই হিন্দু উগ্রবাদী জনতা গো-হত্যার সন্দেহে মুসলমানদের উপর হামলা ও তাদের পিটিয়ে হত্যা করছে। গরুর গোশত খাওয়া ও রাখা নিয়েও হিংসার বলি হতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০২১ সালে প্রকাশিত তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০১৪ সালে ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর থেকেই দেশটিতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু হয়।
এসব ঘটনায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে না। পরে চার্জশিট থেকেও এদের নাম বাদ পড়ে যায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ধরনের বর্ণবাদী হামলায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা পিটিয়ে মুসলিমসহ ৫৩ সংখ্যালঘুকে এ পর্যন্ত হত্যা করেছে। গুরুতর আহত ও পঙ্গু করেছে আরও দুই শতাধিক সংখ্যালঘুকে।
এ সময় মুসলমানদের ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘গো মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বছর কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের দাদরি এলাকায় মহম্মদ আখলাক নামক এক ব্যক্তিকে ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার ‘অপরাধে’ পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। ঈদের বাজার করে ফেরা মুসলিম কিশোরকে বন্ধুদের সামনেই ছুরিকাঘাত করে ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ট্রেনে হুগলীর বেসরকারি এক মাদ্রাসা শিক্ষককে একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের লোকজন তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে এবং তাকে মারধর করে ট্রেনের প্ল্যাটফরম থেকে ফেলে দিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করানোর হুমকি দেয়া হয়।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে বেশ কয়েকজন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া সে দেশে স্বাভাবিক ঘটনা। এমনকি আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) নামে ৪০ লাখ মুসলিম তাড়ানোর ফন্দিফিকির করা হয়েছে।
ভারতের রাজখন্ডের রাজ্যে একদল হিন্দু ২৪ বছর বয়ষ্ক তাবরেজ আনসারীকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে চতুর্দিক থেকে নির্যাতন করছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে এ ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। লোকজন লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে এবং ‘জয় শ্রীরাম জয় হনুমান’ বলতে তাকে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি বলছেন না।
এমনকি এক অন্ধ দম্পত্তিকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। ৬৭ বছরের আবুল বাশার ও তার স্ত্রী বেদনা বিবি (৬১) বর্ধমানের অন্ডালের চিটাডাঙ্গা এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে কট্টর হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা তাদের ঘিরে ধরে। ‘জয় শ্রীরাম ও জয় মা স্লোগান’ দিতে বাধ্য করে।
২০২০ সালে দিল্লির দাঙ্গায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে পর্যন্ত ৫০ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছে। মুসলমানদের অন্তত ১০টি মসজিদ ও অন্যান্য পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করা অনারারি লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সানাউল্লাহকে আসাম পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বিদেশী নাগরিক তকমা দিয়ে। তার অপরাধ তিনি মুসলমান।
“ভারতে নারী হয়ে জন্ম না নিয়ে গরু হয়ে জন্ম নেয়া অনেক সম্মানের।”
এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলকে রাজস্থানে পুড়িয়ে মেরে ফেলা, গোরক্ষকদের তাণ্ডবে পহেলু খান বা উমের খানদের মৃত্যু, কিংবা হরিয়ানায় কিশোর জুনেইদ খানকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার মতো অসংখ্য ঘটনা দেশটিতে সংখ্যালঘুদের সামগ্রিক অবস্থার ভয়াবহতা নির্দেশ করে।
শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই ২০১৭ সালের মার্চে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোট ৬২০০টি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে মৃত্যু হয়েছে মোট ১২৪ জনের। এনকাউন্টারে মৃত্যুর পরিসংখ্যান রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। ১২৪ মৃতের মধ্যে জাতিগত ভিত্তিতে মুসলিম ছিলেন ৪৭ জন, ব্রাহ্মণ ছিলেন একজন, যাদব সম্প্রদায়ের ৮ জন আর বাকি ৫৮ জনই ঠাকুর ও দলিত সম্প্রদায়ের।
বিশ্লেষকদের মন্তব্য
ভারতের মুসলিম নেতা তাজুদ্দিন আহমেদ ২০১৯ সালের ২ জুন দেশ পত্রিকায় ‘ঊষা-দিশাহারা নিবিড় তিমির আঁকা’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘গো-রক্ষকদের তান্ডবে ভারতে কত সংখ্যালঘু মানুষের প্রাণ গেছে তার ইয়ত্তা নেই। আহার নিদ্রার মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে ‘পাবলিক লিঞ্চি’।’
গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘ভারতে নারী হয়ে জন্ম না নিয়ে গরু হয়ে জন্ম নেয়া অনেক সম্মানের।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ও ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক শেলডন পোলক বলেন, মুসলমান শাসকরা জোর করে ধর্মান্তর করালে ভারতে একজনও হিন্দু থাকত না। কারণ, মুসলমান শাসকরা ভারতে প্রায় বারোশো বছর রাজত্ব করেছিলেন।
মহারাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ-প্রধান মীরন বোরওয়ানকার জানান, ইদানীং আমি অনুভব করছি সংবিধান যে সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলে এ দেশে তা মানা হচ্ছে না। সংখ্যালঘু সমাজ যে অস্বস্তিতে আছে সেটা তো দেখাই যাচ্ছে, তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের সাহায্য করছে না। আমি এমন একটা দেশ দেখতে চাই, যেখানে সব ধর্ম, সব জাতির সমান অধিকার নিশ্চিত হবে – কিন্তু সেটা আজকাল আর হচ্ছে না বলেই আমাদের এখানে সই করতে হল।
সাবেক কূটনীতিক এবং বাংলাদেশ ও নেপালে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত দেব মুখার্জি বলেন, পরিস্থিতির কোনও উন্নতিই নেই। আর যেভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ তৈরি করা হচ্ছে, তার পরিণতি যে দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।
“সবগুলো ঘটনাই তো শকিং, এগুলো থেকে তো বাছ বিচার করা যায় না। তবু বলব গত জুনে যেভাবে জুনেইদ ছেলেটাকে মারা হল। ভাবুন, ঈদের বাজার করে ফিরছে একটা বাচ্চা ছেলে, তাকেও! কিছুতেই মানতে পারি না, মানতে পারি না…”, বলতে বলতে গলা ধরে আসে দেব মুখার্জির।
তিনি বলেন, ‘আসলে যে-দেশে ষোলো বছরের এক সংখ্যালঘু কিশোরকে ছুরি মেরে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়, তার পর আর কারোরই চুপ থাকা সাজে না!’
আমেরিকার পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা মতে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে ভারত। দেশের বৃহত্তম ধর্মীয়-সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়গুলি প্রায়শই সন্ত্রাসী হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা সহিংস আক্রমণ ও হামলার শিকার হয়েছে। অতীতে, এই আক্রমণগুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত ছিল এবং হিন্দু ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। তবে, বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়ার পরে হিন্দু-জাতীয়তাবাদের উত্থানের সাথে সাথে আক্রমণগুলো আরও নিয়মতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্র-অনুমোদিত কার্যক্রমের আকার নিয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাবলীতে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রায় ১০,০০০ মুসলিম নিহত হয়েছেন।
এসডব্লিউ/এসএস/১৪৩২
আপনার মতামত জানানঃ