যাত্রীসহ ইন্দোনেশিয়ার একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছে। আজ শনিবার(০৯জানু) দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে ওই বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই বিমানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই বিমানে সাতজন শিশু এবং ছয়জন ক্রু সদস্যসহ মোট ৫৬ জন আরোহী ছিল বলে জানা গেছে। বিমানটি পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশ থেকে বোর্নিও দ্বীপের পোন্তিওনাকে যাত্রা করার সময় কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, উড্ডয়নের পর থেকে ইন্দোনেশিয়ার শ্রীউইজায়া এয়ার নিখোঁজ রয়েছে। বিমানটি দেশটির পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশ থেকে বোর্নিও দ্বীপের পোন্তিওনাকের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। বিমানটি শ্রীবিজয়া এয়ার লাইন্সের।
শ্রীবিজয়া এয়ার জানিয়েছে, বিমান নিখোঁজের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়ার আগে এ সংক্রান্ত আরো তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।
জাকার্তা ভিত্তিক টিভি চ্যানেল মেট্রো টিভির বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, ইতিমধ্যে জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা এবং জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। ৫৬জন যাত্রীর মধ্যে ৭জন শিশু ও ৬জন ক্রু রয়েছে বলে জানায় তারা।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার২৪ এক টুইট বার্তায় জানায়, শ্রীবিজয়া এয়ারের ফ্লাইট এসজে-১৮২ জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ৪ মিনিট পরই নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের সময় বিমানটি ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল বলেও জানানো হয়। ট্র্যাকিং সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেল বিমানটি ২৭ বছর পুরানো।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জে এ বারাতা বলেন, “এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নই বিমানটির কী ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় তল্লাশি অভিযানে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ওই বিমানে থাকা আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিমানটি সাগরের ওপর ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছে। ফলে এটি সাগরে বিধ্বস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এই ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নয় যেটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুটি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি ঘটে ইন্দোনেশিয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। স্থানীয় বিমান সংস্থা লায়ন এয়ারের ফ্লাইটটি ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
দেশটিতে এর আগে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিলো ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। এয়ার এশিয়ার ইন্দোনেশিয়ার এথ্রি হান্ড্রেড টুয়েন্টি এয়ারবাসটি ১৬২ জনকে নিয়ে পানির মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।
এসডাব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮২২
আপনার মতামত জানানঃ