ফ্র্যাঙ্ক হার্লি ছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার, যিনি অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সের দ্বিতীয় অফিসিয়াল যুদ্ধের ফটোগ্রাফার হয়েছিলেন। যখন তিনি পশ্চিম ফ্রন্টে পৌঁছেছিলেন তখন তার পদমর্যাদা ছিল অনারারি ক্যাপ্টেন। কিন্তু যেভাবে তিনি ছবি তোলার জন্য ঝুঁকি নিয়েছিলেন তা দেখে সৈন্যরা তাকে “পাগল ফটোগ্রাফার” বলে অভিহিত করেছিলেন।
তার কাজ ছিল ছবিতে যুদ্ধ নথিভুক্ত করা, গণমাধ্যমকে ছবি পাঠানো এবং অস্ট্রেলিয়ানদের বীরত্বকে তুলে ধরে যারা ফিরে আসতে চায় তাদের উৎসাহ দেয়া।
তবে তিনি ছবিতে যা তুলে ধরেছেন তা পৃথিবীর জন্য নরক বলা চলে। তিনি যুদ্ধ এবং ভুতুড়ে পরিণতির ছবি তুলেছিলেন এবং পশ্চিম ফ্রন্টে রক্ত, মৃত্যু এবং ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
এই সময়ে, হার্লি সরকারী ইতিহাসবিদ ক্যাপ্টেন চার্লস বিনের সাথে সত্য এবং ফটোগ্রাফি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। তাদের দুজনকেই অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্স (এআইএফ) এর অস্ট্রেলিয়ান ওয়ার রেকর্ডস সেকশন দ্বারা উত্তরোত্তর যুদ্ধের নথিভুক্ত করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।
,
কয়েক সপ্তাহ ধরে তার কাজের মূল্যায়ন করার পরে হার্লি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তিনি যা দেখেছেন তার সারমর্মকে একক নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা অসম্ভব।
১৯১৫ এবং ১৯১৭ এর মধ্যে পশ্চিম ফ্রন্টে বেশ কয়েকটি আক্রমণ হয়েছিল। আক্রমণগুলোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের সময় প্রবেশ, মেশিনগান স্থাপন এবং বোমাবর্ষণে মারাত্মক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি ছিল না।
এই আক্রমণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ১৯১৬ সালে ভার্দুনের যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ৭,০০,০০০ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরপর একই বছরে সংগঠিত সোমের যুদ্ধ, যেখানে ১০ লাখেরও বেশি নিহত হয়েছে। এরপর ১৯১৭ সালে সংগঠিত পাসচেন্ডেলের যুদ্ধ। যেখানে হতাহতের সংখ্যা ছিল ৪,৮৭,০০০জন।
ছবিতে যুদ্ধের কিছু দৃশ্য তুলে ধরা হলো:-
লেখা ও ছবি: rare historical photos
এসডব্লিউ/কেএইচ/১৬৪৬
আপনার মতামত জানানঃ