কুমিল্লার মুরাদনগরে ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে শোনা গেল অস্ত্রের ঝনঝনানি। জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকরের গণসংযোগে হামলা, গুলিবর্ষণ ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের জায়েদ আলী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ১৮টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও ১৫ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকর বলেন, ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকায় গণসংযোগ শেষে আমি রামচন্দ্রপুর বাজারে ফিরছিলাম। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার নৌকার মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন সরকারসহ বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে চাপিতলা গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় আমার গণসংযোগ দেখে তারা গাড়ি থেকে নেমে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৮টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন সরকার জানান, তিনি এবং তার চাচা জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হামলা করা হয়নি। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু বকর নিজেই একটি ঘটনার সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আবু বকরের গণসংযোগে হামলা করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সরকারবিরোধীদের নানা অভিযোগ রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮-এর জাতীয় নির্বাচনকে ‘রাতের ভোট’ আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আলাপেও রাতের ভোটের স্বীকৃতি মিলেছে। অধিকাংশ নির্বাচনেই বিরোধী প্রার্থীরা বলপ্রয়োগ, হয়রানি, হামলা, কেন্দ্র দখল ও কারচুপির অভিযোগ আনেন। এ অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগগুলোকেই শক্তিশালী করছে।
এসডাব্লিউ/এমএন/আরা/১০৪০
আপনার মতামত জানানঃ