বেদুঈন যাযাবরদের এইসমস্ত দুর্লভ ছবি উনিশ শতকের শেষদিকের। মরুভূমিতে পূর্ববতী সরকারের আইন খণ্ডন করে আধুনিক সরকারের নতুন আইনে অনেক বেদুঈন যাযাবর জীবন ত্যাগ করেছিলেন, অনেকে বাধ্য হয়ে ত্যাগ করেন। কেউ সেমি যাযাবর হয়েছেন কেউবা বেছে নিয়েছেন উপবাসী জীবন।
আরবের বেদুঈনরা ছিলেন মূলত পশুপালক। যারা শীত মৌসুমে মরুভূমিতে চলে যেতেন এবং গ্রীষ্মে চাষের জমিতে ফিরে আসতেন। বেদুঈন উপজাতিরা ঐতিহ্যগতভাবে পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে পশুর নামেই তাদের নামকরণ করা হত। উট যাযাবরেরা সাহারা, সিরিয়া এবং আরবের বিশাল অঞ্চল দখল করে বৃহত্তর উপজাতি গঠন করেছিলেন।
আদিবাসী বেদুঈন সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক। তাদের মাঝে বহুবিবাহের প্রচল ছিল এবং যৌথ পরিবারে থাকতেন। পরিবারের প্রধানকে শেখ বলে ডাকা হতো যারা প্রবীণ পুরুষদের নিয়ে গঠিত উপজাতি পরিষদের সহায়তায় সামাজিক ইউনিটগুলোকে উপজাতি কাঠামোতে রুপান্তরিত করতেন।
বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, বেদুঈনরা তাদের যাযাবর জীবন ত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন চাপের মুখোমুখি হয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলো বেদুঈনদের রেঞ্জে থাকা ভূমিগুলো জাতীয়করণ করে ফেলে। বেদুঈনদের চলাচল ও চারণভূমিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে শুরু করে এবং অনেক নিষ্পত্তি কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করা হয় যার ফলে বেদুঈনরা উপবাসী জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের তাগিদেও অনেক বেদুঈন স্বেচ্ছায় স্থায়ী হয়।
ছবি ও লেখা: https://rarehistoricalphotos.com/
এসডব্লিউ/কেএইচ/২০৪৮
আপনার মতামত জানানঃ