ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেনকে বরখাস্ত করেছেন। মোসাদের উপ-প্রধান ডেভিড বার্নিয়াকে কোহেনের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। নেতানিয়াহু সোমবার রাতে এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোসাদ প্রধান ইয়োসি কোহেনকে সরিয়ে দিয়ে সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর ডেভিড বার্নিয়াকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতে তিনি নতুন এই দায়িত্বগ্রহণ করবেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৫৬ বছর বয়সী ডেভিড বার্নিয়া ১৯৯৬ সালে মোসাদে যোগ দেন। গত ২৫ বছর ধরে সংস্থাটিতে তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো তাকে অভিজ্ঞ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলে উল্লেখ করে বলেছে- ইরান এবং লেবাননেন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কাজ করতে গোপন এজেন্ট নিয়োগে সিদ্ধহস্ত বার্নিয়া।
ক্যারিয়ারের শুরুতে কেস অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করলেও দক্ষতার কারণে ২০১৩ সালে মোসাদের তজমেট ডিভিশনের দায়িত্বপান ডেভিড বার্নিয়া। ২০১৯ সালে তিনি মোসাদের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে উঠে আসেন।
ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ জানিয়েছে, তজমেট ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে বার্নিয়ার দায়িত্ব ছিল ইরান ও হিজরুল্লাহর ভেতরে থাকা মোসাদের শীর্ষ শত্রু বা লক্ষ্যকে চিহ্নিত ওঅভিযান পরিচালনা করা।
সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় ১১ দিনব্যাপী যুদ্ধ শেষে অস্ত্রবিরতি ঘোষিত হলে হামাস-সহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর যোদ্ধাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এ যুদ্ধে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক রাস্তায় নেমে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন।
অপরদিকে ইসরায়েলও এ যুদ্ধে জয়লাভের দাবি করলেও দেশটির একজন নাগরিককেও রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু যুদ্ধবিরতির তিনদিনের মাথায় মোসাদ প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় গাজা যুদ্ধ নিয়ে তেল আবিবের হতাশা বা অস্বস্তি সামনে এলো।
ধারণা করা হচ্ছে- হামাস-সহ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সামরিক শক্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থতার জন্য কোহেনকে সরিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর গত শুক্রবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১১ দিনের এই ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু রয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া ১১ দিনের এই যুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দিকে প্রায় চার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৪১৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ