পৃথিবীব্যাপি করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের ছবলে যখন নাকাল অবস্থা, ঠিক তখন জরুরি ব্যবহারের জন্য গণচীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনে উদ্ভাবিত দু’টি টিকার মধ্যে এটিই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল। রয়টার্সের খবরে এমনটাই জানা গেছে।
৭ মে রয়টার্সের প্রতিবেদনের মাধ্য জানা যায়, পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে একমাত্র চীনই এককভাবে দু’টি টিকা সফলভাবে উদ্ভাবনের দাবি করে আসছিল এতদিন। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকা। ইতোমধ্যে চীনসহ বিশ্বের ৪৫টি দেশের কয়েক লাখ মানুষ সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন। চীনের এই টিকার অনুমোদনের ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহে গতি আসবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছিল। অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে নিশ্চয়তা পেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার অনুমোদন দিয়ে থাকে। যাচাই বাছাইয়ের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে সিনোফার্মের টিকাটি অনুমোদন পেল অবশেষে।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ চীনের উদ্ভাবিত টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন আগেই দিয়েছিল। এবার তাতে সায় দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্যদিকে, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সরকারও চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি মে মাসের মধ্যে চীন সরকারের উপহার হিসেবে এই টিকার পাঁচ লাখ ডোজ দেশে আসতে পারে।
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ