
দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে বোঝানোর জন্য সবচেয়ে বেশি যে উপমাটি ব্যবহৃত হয়েছে, তা হলো—‘দুই নৌকায় পা রাখা’। একদিকে রাশিয়া, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব; কখনো মস্কোর কাছ থেকে সস্তায় তেল–অস্ত্র, আবার একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকেও সন্তুষ্ট রাখা, কোয়াডে সক্রিয় থাকা, এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে অংশ নেওয়া—দশকের পর দশক ভারত এই ভারসাম্য–রাজনীতিকে বেশ সফলভাবেই টেনে এনেছে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বছরে এসে, আর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর, সেই পুরোনো খেলার মাঠ আর আগের মতো সমতল নেই। দুই নৌকায় পা রেখে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকার জায়গাটা এখন ক্রমেই সরু হয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ভারতের জন্য রুশ তেল ছিল ‘একটা অপশন’। ২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দিনে এক লাখ ব্যারেলেরও কম ছিল। যুদ্ধ–পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা, ইউরোপীয় বাজার সঙ্কুচিত হওয়া এবং বিশাল ছাড়ে তেল বিক্রি করার রুশ আগ্রহের ফলে খুব দ্রুতই ভারত রাশিয়ার অন্যতম বড় ক্রেতায় পরিণত হয়। বর্তমানে সপ্তাহভিত্তিক হিসাবে ১.৬–১.৯ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন আমদানি হয়েছে এমন সময়ও গেছে, যা ভারতের মোট আমদানির এক–তৃতীয়াংশের বেশি। ব্যারেলপ্রতি ১০–২০ ডলার পর্যন্ত ছাড় মানে প্রতি মাসেই ভারতের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়—যা সরাসরি পেট্রোল–ডিজেলের দাম, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, এমনকি রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার সঙ্গে যুক্ত।
কিন্তু ২২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র যখন রাশিয়ার দুটি তেল–দৈত্য রোসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নতুন ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করল, তখন ভারতের জন্য এ পর্যন্ত গড়ে তোলা এই ‘ডিসকাউন্টের স্বর্গ’টা এক ধাক্কায় অনিশ্চিত হয়ে গেল। নতুন নিষেধাজ্ঞা শুধু মার্কিন কোম্পানিগুলোর লেনদেন বন্ধ করেনি, বরং স্পষ্টভাবে হুমকি দিয়েছে—যে কোনো বিদেশি ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যদি এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা চালায়, তাহলে তারাও মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে ছিটকে পড়তে পারে। অর্থাৎ ভারতের তেল কোম্পানি শুধু তেল কিনবে কি না, সেই প্রশ্ন নয়; বরং রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলবে কি না, সেই প্রশ্নও এখন সামনে।
ফলাফল এত দ্রুত দেখা যাবে, অনেকেই হয়তো ধারণাই করেননি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসার কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা গেল, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি ৪০ শতাংশের মতো পড়ে গেছে; এক সপ্তাহে গড়ে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে নেমে এসেছে প্রায় ১.১৯ মিলিয়ন ব্যারেলে। বেশ কয়েকটি বড় রিফাইনারি সরাসরি ঘোষণা করেছে, তারা আপাতত রুশ তেলের নতুন চালান নিচ্ছে না; কেউ কেউ পুরোপুরি বন্ধ করেছে এই আমদানি। অর্থাৎ, বাজারের বাস্তবতা এরই মধ্যে বদলে যেতে শুরু করেছে—এখন কেবল গাণিতিক হিসাবের বিষয় নয়, ঝুঁকির অঙ্কও এখানে বড় হয়ে উঠছে।
এই ঝুঁকির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে মার্কিন শুল্কনীতি। গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় কিছু পণ্যের ওপর বাড়তি ট্যারিফ বসিয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন; একে অনেকে ‘রাশিয়ান অয়েল ট্যারিফ’ নামেই ডাকছেন। এর ফলে মার্কিন বাজারে ভারতীয় রপ্তানি বেশ চোখে পড়ার মতো হারে কমেছে। এখন আড়ালের আলোচনায় যে ‘প্যাকেজ ডিল’ নিয়ে গুঞ্জন, তা হলো—ভারত যদি পর্যায়ক্রমে রোসনেফট ও লুকঅয়েল থেকে তেল আমদানি কমায় বা বন্ধ করে, তাহলে ওয়াশিংটন সেই শুল্ক অনেকটা কমাতে পারে। এতে ট্রাম্প প্রশাসন বলতে পারবে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে সফল, আবার মোদি সরকারও বলতে পারবে, তারা ভারতের রপ্তানিকারকদের বড় ধাক্কা থেকে রক্ষা করেছে।
কিন্তু বিষয়টা এত সরল নয়। রাশিয়ার ডিসকাউন্ট তেল ছেড়ে দিয়ে যদি ভারত মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা বা আমেরিকা থেকে বেশি দামে তেল কিনতে বাধ্য হয়, তবে আমদানি বিল বাড়বে—বিশেষজ্ঞদের হিসেবে অন্তত দুই শতাংশ পর্যন্ত। সংখ্যাটা শুনতে ছোট লাগলেও ভারতের মতো জ্বালানি আমদানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য এটি বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ। তার সঙ্গে ধরা যায়, রুপির ওপর চাপ, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা, ভর্তুকির বাড়তি বোঝা—সব মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত সরাসরি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, পেট্রোল–ডিজেলের দাম সাধারণ ভোটারের অনুভূতির সঙ্গে একেবারে সরাসরি সম্পর্কিত।
অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধু তেলেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারতের সামরিক সরঞ্জামের বড় অংশই এখনো রাশিয়া–নির্ভর; বিভিন্ন হিসাব বলছে, মোট অস্ত্র আমদানির প্রায় ৪০–৪৫ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে রুশ উৎপাদন বা প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত। এস–৪০০ বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ট্যাংক, যুদ্ধবিমান—দেশের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর বহু বুনিয়াদী স্তম্ভ এখনো মস্কোর ওপর নির্ভরশীল। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকেও অস্ত্র কিনে ভারত এই নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রাতারাতি পাল্টানো সম্ভব নয়, হয়তো কাম্যও নয়। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করা তাই ভারতের কৌশলগত হিসাবের মধ্যেই নেই।
এখানেই এসে ‘দুই নৌকার’ পুরোনো ভারসাম্যের সমস্যাটা স্পষ্ট হয়। এত দিন পর্যন্ত ভারত একদিকে ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, অন্যদিকে কোয়াডের কৌশলগত অংশীদার হয়ে একই সঙ্গে দুই শিবিরে উপস্থিত থেকেছে। এতে ভারতের কূটনীতিকরা বলতেন, তারা ‘মাল্টি–অ্যালাইনমেন্ট’ করছেন, কাউকে এককভাবে বেছে নিচ্ছেন না; প্রত্যেকের সঙ্গে ইস্যুভিত্তিক সম্পর্ক রাখছেন। কিন্তু নতুন বাস্তবতায় যখন এক পক্ষ স্পষ্টভাবে বলছে—রাশিয়ার সঙ্গে তেল ব্যবসা চলবে কি না, সেটা আমাদের সঙ্গে আপনার বাণিজ্যিক–আর্থিক সম্পর্ক নির্ধারণ করবে—তখন আর আগের মতো ‘সমান দূরত্বে সখ্য’ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
চিত্রটা আরও জটিল হয় চীনের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিলে। খবর এসেছে, চীনা রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো আপাতত সমুদ্রপথে কিছু রুশ তেল আমদানি স্থগিত রাখলেও ভবিষ্যতে মধ্যস্থতাকারী ব্যবস্থায় আবারও কিনতে পারে। অর্থাৎ, সরাসরি নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে, বিভিন্ন তৃতীয় দেশের কোম্পানি বা ‘শ্যাডো ফ্লিট’–এর মাধ্যমে তেল কেনাবেচা চালানোর পথ খোলা রাখার চেষ্টা চলছে। ভারতও চাইলে ওই পথ অনুসরণ করতে পারে, অন্তত কিছুটা। কিন্তু এতে ভারতের সরকারি ব্যাংক, বড় করপোরেশন এবং ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থা মার্কিন ‘সেকেন্ডারি স্যাংশনের’ ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। ভারতের অর্থনীতি যতটা যুক্তরাষ্ট্র–নেতৃত্বাধীন আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত, সেই অবস্থায় এই ধরনের অভিযাত্রা চীনের তুলনায় দিল্লির জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এ অবস্থায় নরেন্দ্র মোদির সামনে পরীক্ষাটা একাধিক স্তরে। একদিকে তাঁকে দেশের ভোটারদের দেখাতে হবে, তিনি আমেরিকার ‘চাপে পড়ে’ নয়, ভারতের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অন্যদিকে বাস্তব হিসেবে আছে—ভারতের প্রযুক্তি খাত, ফাইন্যান্স, ডায়াসপোরা রেমিট্যান্স, এমনকি সামরিক সহযোগিতার বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। একই সময়ে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল প্রতিরক্ষা অবকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহু–মেরুকতার পক্ষে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থান তাঁকে সহজে ‘এক শিবিরের মানুষ’ হয়ে যেতে দেয় না। এই দ্বৈত চাপের মধ্যেই তাকে জ্বালানির দামও নিম্নমুখী রাখতে হবে, যাতে দেশের অর্থনীতি ও জনপ্রিয়তা দুটোই খুব বেশি ধাক্কা না খায়।
তবে এটা ঠিক, ভারতের হাতে সব দরকষাকষির অস্ত্রও ফুরিয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ভারত শুধু আরেকটি ‘তেল ক্রেতা দেশ’ নয়; এটি চীনের প্রভাব মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার, ইন্দো–প্যাসিফিক নিরাপত্তা স্থাপত্যের কেন্দ্রে থাকা একটি শক্তি, আবার বিশাল বাজারের অধিকারী। তাই ওয়াশিংটনও জানে, অত্যধিক চাপ দিয়ে দিল্লিকে একক সিদ্ধান্তে ঠেলে দিলে তা উল্টো ফল দিতে পারে। এ কারণেই একদিকে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক চাপ বাড়ানো হচ্ছে, অন্যদিকে পর্দার আড়ালে ‘সমঝোতা প্যাকেজ’ তৈরির চেষ্টাও চলছে—যেখানে ভারত কিছুটা ছাড় দেবে, আর আমেরিকাও কিছু চাপ কমাবে।
কিন্তু যতই নরম–কঠিন কূটনীতির মিশেল থাকুক, একটা জিনিস স্পষ্ট—ভারতের জন্য ‘না রাশিয়াকে রাগাব, না আমেরিকাকে বিরক্ত করব’ ধরনের পুরোনো আরামদায়ক মধ্যপথ অনেকটাই সংকুচিত। একসময় দিল্লি নন–অ্যালাইন্ড আন্দোলনের কথা বলে নিজেকে দু–পক্ষের মাঝামাঝি রাখতে পারত; এখন সে যুগের বিশ্বরাজনীতি নেই। ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রযুক্তি–ঠান্ডাযুদ্ধ, সাপ্লাই চেইন পুনর্গঠন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে সব জায়গায়ই একটা বিস্তৃত ‘নতুন শীতল যুদ্ধের’ রেখা আঁকা হয়ে গেছে। এই বাস্তবতায় দীর্ঘদিন একই সঙ্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করা, আবার কোয়াডে গিয়ে চীনের সম্প্রসারণবাদ নিয়ে উদ্বেগ জানানো—এ জাতীয় কূটনৈতিক কসরত কাগজে যতই ভারসাম্যপূর্ণ দেখাক, বাস্তবে তা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীরা ভারতের এই অবস্থাকে গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখছে। কারণ, দিল্লি যদি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে দূরত্ব বাড়াতে বাধ্য হয়, তবে তা শুধু ভারতের ভেতরেই নয়, গোটা অঞ্চলের কৌশলগত সমীকরণে প্রভাব ফেলবে। আবার উল্টোভাবে, যদি ভারত মার্কিন চাপ অনেকটাই উপেক্ষা করে রুশ তেলের ওপর নির্ভরতা ধরে রাখে, তবে তা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে—যা এ অঞ্চলে চীনের কৌশলগত স্পেস আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও ‘ডমিনো ইফেক্ট’ তৈরি করতে পারে।
সব মিলিয়ে ছবি পরিষ্কার—ভারতের জন্য সিদ্ধান্ত এখন আর কেবল ‘কোন দামে তেল পাওয়া যাচ্ছে’ এই লেভেলে নেই। এটি এখন একই সঙ্গে তেলের দাম, ডলার–ব্যবস্থা, অস্ত্র সরবরাহ, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, শুল্ক, এমনকি অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রশ্ন। দু–দিকেই পা রেখে যাত্রা বুঝি সম্ভব, যখন নদী শান্ত, স্রোত ধীর; কিন্তু স্রোত যখন ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়, তখন দুই নৌকা ক্রমেই বিপরীত দিকে সরে যেতে থাকে। তখন মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির সামনে একটা সময় আসে—তাকে সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, কোন নৌকাতেই তিনি আসলে উঠবেন।
ভারতের জন্য সেই মুহূর্তটা হয়তো একেবারে আগামীকাল এসে যাচ্ছে না। দিল্লি এখনো সময় কিনতে পারছে, এখনো কিছুটা ছাড়–কষাকষি, কিছুটা ‘গ্রে জোন’–এর ভেতর থেকে পথ বের করার চেষ্টা করতে পারছে। কিন্তু দুই পরাশক্তির টানাপোড়েন যত বাড়ছে, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা–নিষেধাজ্ঞার ফাঁস যত শক্ত হচ্ছে, ততই ভারতের জন্য পুরোনো সেই ভারসাম্য–নীতির পরিসর কমছে। ফলে শেষের প্রশ্নটা হয়তো এমনই—ভারত কি তার বহুদিনের ‘স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি’ বজায় রাখতে নতুন কোনো সৃজনশীল পথ বের করতে পারবে, নাকি সত্যিই দুই নৌকায় পা রেখে চলার দিন শেষ হয়ে এসেছে, এবং তাকে শেষ পর্যন্ত কোনো এক পাশে দাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে?
আপনার মতামত জানানঃ